Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শুধু ভারত নয়, ধর্মনিরপেক্ষ উপমহাদেশ
হারাধন চৌধুরী

মাথায় কাগজের মুকুট। তাতে লেখা—‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই।’ ‘যদি তুমি মানুষ হও, ধর্মান্ধতা রুখে দাও’—ব্যানার পিঠে ঝুলছে। হ্যান্ড মাইকে চলছে ঘোষণা—‘শেখ মুজিব, রবি ঠাকুর, কাজী নজরুলের বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই।’ তাঁর বুকে টাঙানো অন্য একটি ব্যানার—‘বাংলার হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, মুসলমান—আমরা সবাই বাঙালি, ভাই ভাই। আসুন অমুসলিমদের জানমাল রক্ষা করি, তাদের পাশে দাঁড়াই।’ তাঁর কণ্ঠে চণ্ডীদাসের উক্তি—‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’ রাজপথে ঘুরছেন এক যুবক। সাইফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া। একটি সংবাদপত্রের তরফে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ‘একলা চলো রে’ মন্ত্রে বিশ্বাসী যুবকটি পুলিসের বাধা উপেক্ষা করারও সাহস দেখিয়েছেন। পথচলতি মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁর কথা—‘আমরা ধর্মীয় মৌলবাদকে ঘৃণা করি। আসুন, অমুসলিমদেরকেও ভালোবাসি। তাদের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাই মিলেমিশে চলব। এটাই ইসলামের শিক্ষা।’ ব্যথিত, লজ্জিত সাইফুল বলেছেন, ‘হিন্দুদের জানমাল, ঘরবাড়ি ও পূজামণ্ডপের উপর যে নারকীয় হামলা হয়েছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।’ এই মর্মে আইন তৈরির দাবিতে সরব সাইফুল চান, পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ময়াবিষ্ট হওয়ার উপকরণের অভাব নেই। কিন্তু তার কতটুকুতে দু-দণ্ড শান্তি স্বস্তি ভরসার অবকাশ মেলে? সেই অভাব মোচনের সূচনা দেখলাম সাইফুল ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার পাঠে।  
সেদিনের নেতাদের আর যোগ্য বলে মনে করি না। নেতাদের সম্পর্কে আমাদের এই সম্ভ্রম ছিল যে তাঁরা ক্ষমতা যোগ্যতায় ঈশ্বরের সমান। তাঁদের অসাধ্য কিছু নেই। অথচ তাঁরা ভারতভাগ আটকাতে পারেননি, বরং এই অভিযোগটি আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে তাঁদেরই কারও কারও উচ্চাভিলাষ পূরণের জন্য ভারতভাগ হয়েছিল। চিকিৎসাশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারি যে সম্পূর্ণ অক্ষত দুটি অঙ্গকে ব্যবচ্ছিন্ন করেছিলেন সেদিনের কিছু হাতুড়ে ডাক্তার। তাতে রোগ সারেনি, উল্টে ক্রনিক কিছু ব্যাধির পত্তন হয়েছে। সবচেয়ে বড়টার নাম উপমহাদেশ জুড়ে ধর্মে ধর্মে বিভেদ বৃদ্ধি। একটি দেশে (ভারতে) অহিন্দুরা সংখ্যালঘু ছিল। জিন্নার কৃতিত্ব একটাই—তিনি দুটি দেশে (পাকিস্তান এবং অতঃপর বাংলাদেশে) হিন্দুদের সংখ্যালঘু বানাতে পেরেছেন। তিন তিনটি দেশের কোথাও সুখী হতে পারল না হিন্দু, মুসলমানের কেউই।
তিনটি দেশেই ধর্মান্ধরা যাবতীয় গন্ডগোল করে থাকে স্বদেশ প্রেমের নামে। কিন্তু তা খাঁটি হলে কখনওই হিংসামূলক কর্মে যুক্ত হওয়া যায় না। তাতে যে অখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে তার প্রত্যক্ষ দায় হিংস্র লোকটার উপরেই বর্তায়। সম্প্রতি বাংলাদেশের যে বদনাম হল তা কোনও দিন পূরণ হওয়ার নয়। শুধু কি কিছু হিন্দুর বাড়ি আর মণ্ডপ/মন্দির ভাঙা হল? না, চুরমার করা হল আসলে বাংলাদেশের সম্প্রীতির ভাবমূর্তিটা। একটা জিনিস এই উন্মাদরা জানে না, দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ববঙ্গকে আসলে যা হারাতে হয়েছে সেটা মানবসম্পদ। ১৯৪৭ পরবরর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারতে নানা ক্ষেত্রে যে বিরাট অগ্রগতি ঘটেছিল তাতে অপরিমেয় অবদান রেখেছেন পূর্ববঙ্গ ছেড়ে আসা একঝাঁক প্রতিভাবান মানুষ। পূর্ববঙ্গে সম্প্রীতির অভাব না ঘটলে এই মানুষগুলি ওই দেশেরই নানা স্থানে থেকে যেতে পারতেন। অনেকে হয়তো যুক্তি সাজাবেন, কেন, তার পরেও কি বাংলাদেশ উন্নতি করেনি? নিশ্চয় করেছে। তবে এইসব প্রতিভা প্রত্যাখ্যাত না-হলে উন্নতি আরও ত্বরান্বিত এবং বেশি হতো। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিবঙ্গ তথা ভারতও। বাঙালির মিলিত শক্তিই হয়তো একদিন সারা ভারত বা এই গোটা উপমহাদেশকেই নিয়ন্ত্রণ করার যোগ্যতা ও শক্তি অর্জন করত। সেই ট্রেন সাড়ে সাত দশক আগে মিস করেছি আমরা। কিন্তু এই দীর্ঘ অবসর কি শুধুই বিস্মৃতির? এটাকে তো শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ করে তোলা যেত। অখ্যাত অরাজনৈতিক সাইফুলের ভূমিকায় আমি সেই বিচক্ষণতার পরিচয় পেলাম।
ইসকন, হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের একাধিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদ করেছেন ঢাকা মহানগর থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অনেক অখ্যাত জনপদেরও অসংখ্য মানুষ। আছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ছাত্র, কবি, শিল্পী বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের মধ্যে অবশ্যই আছেন মুসলিমরা এবং যথেষ্ট বেশি সংখ্যায়। সবার নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। সরকার আশ্বস্ত করেছে। প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের নানা প্রান্ত থেকে। সরাসরি নিন্দা করেছে আমেরিকাও। আওয়ামি লিগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অনুপম সেন ফের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান দাবি করেছেন। হাসিনা সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুরাদ হাসানের গলাতেও মুজিবের সংবিধান ফেরানোর অঙ্গীকার বজ্রকঠিন শোনাল। কিন্তু সব ছাপিয়ে গেল সাইফুল ভাইয়ের একক প্রয়াস।
ভারতে সিএএ একটি অন্যায্য আইন। যে আইনে মুসলিম বাদে অন্য কয়েকটি ধর্মের মানুষকে যুক্ত করা হয়েছে। আইনটিতে হিন্দু আবেগ থাকলেও কোনও সম্প্রদায়ের কল্যাণ লেখা নেই। এই আইনের পরতে পরতে একটা জিনিসই নিশ্চিত করা হয়েছে, তার নাম ক্ষমতার স্বার্থ। আইনটির মূল প্রতিপাদ্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি প্রতিবেশী/নিকটবর্তী দেশগুলিতে বিপন্ন অমুসলিমদের ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। আরএসএসের এই রাজনৈতিক অস্ত্র ভোঁতা করার একটাই উপায় উপর্যুক্ত দেশগুলিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সেটা অবশ্য কোনও কোনও প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক আশ্বাসের মশকারা নয়। যেমন ইমরান খান একবার নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে দাবি করেছিলেন, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে রাষ্ট্রের ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত, পাকিস্তানের কাছ থেকে শিখুন মোদি! আসল মন্ত্র হল, গোটা উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। ভারতের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের নিশ্চয়তা দেয়। অনেকের অভিযোগ, মোদি জমানা সংবিধানের এই নীতিগুলির রূপায়ণে আন্তরিক নয়, বরং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘিত হচ্ছে। তীব্র সমালোচনা হচ্ছে বটে এই অনাচার পুরোপুরি রুখে দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রগতিশীল প্রতিবাদীদের যুক্তি ভোঁতা করে দিচ্ছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। এই তিন দেশের কোথাওই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান নেই‌। আফগানিস্তানে চেপে বসেছে তালিবানি শাসন। জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানে ইসলামি শাসন গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রচলন করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। তাঁর উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট এরশাদ ১৯৮৮ সালে সংবিধান বদল করে দেশবাসীর উপর ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ চাপিয়ে দেন। সেটাই চলছে। এই অন্যায় সংশোধনের আন্তরিক চেষ্টা হয়নি। বরং কাবুলের পতনের পর ধর্মান্ধরা বাংলাদেশেও তালিবানি শাসন কায়েমের দাবিতে গলা চড়িয়েছে। সোজা কথায়, পাকিস্তানের স্বপ্নপূরণে মরিয়া শক্তি চায় বাংলাদেশের মেয়েদের আর সংখ্যালঘুদের মধ্যযুগীয় আঁধারে নিমজ্জিত করতে। এই তিন দেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার একটাই উপায় সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করা। বহুত্ববাদকে সশ্রদ্ধায় গ্রহণ করা, যা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন নয়। কারণ শেখ হাসিনার দলই সর্বেসর্বা। বিএনপি, জামাত মৃতপ্রায়। হেফাজতে ইসলামও রুগ্ন। এখন আসল দরকার শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। তিনি তো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার নিয়েই রাজনীতিতে এসেছিলেন। পিতার হত্যাকারীদের একে একে শাস্তি দিয়েছেন। তাহলে পিতার তৈরি সংবিধান ফিরিয়ে আনতে বাধা কোথায়?
তাঁর দল ও সরকারের এ ব্যাপারে গড়িমসি দেখে এই প্রশ্নটাই উঁকি দেয় যে, তাহলে শেখ হাসিনাও কি ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে বাস্তবে শ্রদ্ধা করেন না? ধর্মনিরপেক্ষতা এক রাজনৈতিক কৌশল মাত্র! দেশের বৃহত্তম দলের ছাত্র সংগঠনকে প্রতিবাদের ময়দানে প্রত্যাশিতভাবে দেখা গেল না কেন? হাসিনা সত্যিই আন্তরিক হলে জাতীয় সংসদে বিল আনুন অবিলম্বে। দ্রুত ফিরিয়ে আনুন মুজিবের সেই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, স্বাধীনতার মাত্র দশমাসের ভিতরে মুজিব যেটা উপহার দিয়েছিলেন। হাসিনা বুঝিয়ে দিন, বাঙালি আজও সঙ্কীর্ণ নয়। ধর্মের ভিত্তিতে ভারতভাগের বাস্তবতা নস্যাৎ করেই গড়ে উঠেছিল স্বাধীন বাংলাদেশ। নেপথ্য শক্তি ছিল শুধুই বাঙালি জাতীয়তা। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আদিবাসী প্রভৃতি সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিল। তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশে নির্দিষ্ট একটি রাষ্ট্রধর্ম অন্যায় নয় কি? এই ঘোষণায় অমুসলিমরা সেদেশে নিশ্চিত করেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে রূপান্তরিত হয়েছেন।
এইভাবেই ভারতের হিন্দু মৌলবাদী শক্তির হাত শক্ত করেছে তিন প্রতিবেশী। তারা তো এই যুক্তিই দিচ্ছে, ভারত ভেঙে তিনটি দেশ হল। মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে তারা মুসলিম রাষ্ট্র/রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম গ্রহণ করল। অন্যদিকে, হিন্দুদের বিপুল গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ভারত ধর্মনিরপেক্ষ—এ কেমন নীতি? তার মানে, মুসলিমরা যেখানে সংখ্যালঘু শুধু সেখানেই তারা ধর্মনিরপেক্ষ! এর ফল ভারতীয় মুসলিমদের জন্য ভালো হয়নি। অন্য তিন দেশের ধর্মান্ধতা এবং সেখানকার দেড়-দুই কোটি হিন্দু/অমুসলিমকে দাবিয়ে রাখার নীতিই প্রায় ২২ কোটি ভারতীয় মুসলিমের ক্ষতির কারণ হয়েছে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির হাত আরও শক্ত করতে অন্য তিন দেশেও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির উত্থান কাম্য।
বাংলাদেশ দিয়েই এটা শুরু হোক। মুজিব তনয়ার উপর গভীর আস্থা আছে। তিনি এইভাবে তাঁর নামটা স্বর্ণাক্ষরে লিখে যান। আমি ভীষণ আশাবাদী যে, সাধারণ নাগরিকের কুণ্ঠাহীন সমর্থন ও সাধুবাদ পাবে সরকার। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম যথেষ্ট বিচক্ষণ; সাধারণ মানুষ এবার অভূতপূর্ব চেতনার পরিচয় দিল। অনেকে হয়তো হাসবেন, তবু আমি আস্থা রাখব পাকিস্তানের উপরেও। সুদূর কোনওকালে হয়তো সেখানেও ধর্মনিরপেক্ষতার জয় পতাকা উড়তে থাকবে। বাংলাদেশ দিক বদল করলে পাকিস্তান, আফগানিস্তানও আধুনিক হয়ে ওঠার কথা ভাবতে থাকবে। ধর্ম ধর্ম করে সঙ্কীর্ণতার কীর্তন একদিন ক্লান্ত হবেই, হতেই হবে, প্রকৃতির নিয়মে। গোটা উপমহাদেশের অন্তর থেকে এই দাবি ক্রমে জোরালো হোক।
27th  October, 2021
জনস্বার্থে কালজয়ী কাজ
একটিও হল না কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ক্ষমতায় আরোহণ করেন, সেই ২০১৪ সালের মে-জুন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম চলছিল ১০৯ ডলার প্রতি ব্যারেল। ওই সময় ভারতে পেট্রলের দাম কত ছিল? ৭২ টাকা প্রতি লিটার। বিশদ

রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়!
মৃণালকান্তি দাস

তাহলে কি রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়? প্রশ্ন যাই থাক, এটাও ঘটনা যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যোগী সরকার ও সঙ্ঘ অস্বস্তিতে পড়েছে। মোদি সরকারই অযোধ্যার ট্রাস্ট গঠন করে ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে মনোনীত করেছে। ফলে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আলোচনায় সেই রামমন্দির। আলোচনায় রামের নামে দুর্নীতি! এই বদনাম কি সইতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথ?
বিশদ

28th  October, 2021
গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। বিশদ

26th  October, 2021
দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল।
বিশদ

25th  October, 2021
একশো কোটির ঢক্কা নিনাদে
মোদির আগাম দেওয়ালি!
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি গত ডিসেম্বরে একবার ঘটা করে ঢাকি বিদায়ের মতো করোনা বিদায়ের কথা বলেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই দাবি। এবারও ১০০ কোটি ডোজের সাফল্য ফেরি করতে গিয়ে তিনি দেড় সপ্তাহ আগেই দেশে আগাম দেওয়ালি ডেকে এনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড স্মৃতি ভুলিয়ে মোদিজি দ্রুত ভোট রাজনীতির দৌড়ে ফিরতে চাইছেন।
বিশদ

24th  October, 2021
বিএসএফের খবরদারি
বৃদ্ধির পিছনে আসল অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পাকা মাথার অঙ্ক। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে একটা কথা বলতেন, এবারের ভোট ‘দাদার পুলিস’ করাবে। সেই ‘দাদার পুলিস’কেই বঙ্গের ১০টি জেলার ২১টি লোকসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় খবরদারির ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হল।
বিশদ

23rd  October, 2021
টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! বিশদ

22nd  October, 2021
এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।
বিশদ

22nd  October, 2021
সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো। বিশদ

20th  October, 2021
দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে।
বিশদ

19th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
একনজরে
তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...

বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...

দীপাবলির উপহার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর পাইপলাইনের মাধ্যমে লাদাখের গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মান-মেরাগ গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ...

বার্সেলোনার খারাপ সময় যেন কিছুতেই কাটছে না। লা লিগায় এল ক্লাসিকোর পর বুধবার রায়ো ভায়াকেনোর কাছেও হারল কাতালন ক্লাবটি। অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন সের্গিও বুস্কেতসরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM