বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
করোনা বিধি মানা হচ্ছে কি না দেখতে এদিন সকালে রাজপুর এলাকায় সোনারপুর থানার পুলিস টহল দিচ্ছিল। সেই সময় একটি বন্ধ দোকানের সামনে ওই বৃদ্ধকে বিধ্বস্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। মাস্ক নেই কেন, তা জানতেই আইসির নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিসকর্মী তাঁর কাছে যান। সামনে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন, ওই বৃদ্ধ কাঁদছেন। তাঁর শরীরে কাঁপুনি হচ্ছে। এমনটা দেখে প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় পুলিস। জল ও চা খাইয়ে তাঁকে কিছুটা ধাতস্থ করা হয়। এরপর পুলিস তাঁর কাছ থেকে দুর্দশার কথা জানতে পারে। ওই বৃদ্ধ পুলিসকে জানান, বারাসতের একটি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। সেই মতো ৪,০০০ টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল এদিন। ডায়মন্ডহারবার থেকে সেই টাকা নিয়ে বারাসতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে বুঝতে পারেন যে তাঁর সব টাকা চুরি হয়ে গিয়েছে। ওই অবস্থায় বাস থেকে নেমে এদিক-ওদিক পাগলের মতো ছুটে বেড়াতে থাকেন তিনি। রাজপুর মোড়ে এসে অসহায় হয়ে বসে পড়েন ওই দোকানের সামনে। এতদিন ধরে জমানো টাকা খুইয়ে চিকিৎসা আর করানো সম্ভব নয় ভেবেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সোনারপুর থানার আইসি সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, অস্ত্রোপচারের কথা যে ঠিক, তা আমরা ওঁর কাছে থাকা একটি কাগজ দেখে জানতে পারি। এরপর সবাই মিলে টাকা তুলে তাঁর হাতে দিয়ে বারাসতের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দিই। পুলিসকর্মীদের পাশাপাশি কিছু স্থানীয় মানুষজনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। পরে ওই বৃদ্ধ বলেন, নিজের জমানো সামান্য পুঁজি এভাবে চলে যাবে ভাবিনি। পুলিসবাবুরা সাহায্য না করলে আমার পক্ষে আর চিকিৎসা করানো সম্ভব হত না!