বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
এদিন জেলাশাসক জানিয়েছেন, গতবারের থেকেও বেশি পরিমাণ ধান খাদ্যদপ্তরের মাধ্যমে জেলার চাষিদের থেকে কেনা হবে। পয়লা নভেম্বর থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। জেলায় গতবারের মতো ১৩টি ধান ক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও আরও সাতটি নতুন ধান ক্রয় কেন্দ্র এবার চালু থাকবে। তাছাড়াও ওই প্রক্রিয়ায় আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকছে বেনফেড, ডব্লুবিইসিএসসি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। ৩৩টি রাইস মিল এ ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে এদিন জেলা খাদ্যদপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক, জেলা পরিষদের প্রতিনিধি, রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন, জনপ্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। এ ব্যাপারে সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনাও হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত আর্থিক বর্ষে জেলাজুড়ে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সহায়ক মূল্যের বিনিময়ে সেই পরিমাণ ধান চাষিদের থেকে খাদ্যদপ্তর কিনতে পেরেছে। যার ফলে জেলায় প্রায় ৫৫ হাজার চাষি উপকৃত হয়েছেন।
রাজ্যের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী জেলায় যাতে কোনও চাষি ধান বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যায় না পড়েন, সেদিকেও জেলা প্রশাসনের নজর থাকবে। তারজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে হেল্পলাইন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও থাকছে। ওই নম্বরগুলিতে চাষিরা তাঁদের সমস্যা বা কোনও অভিযোগ থাকলে জানাতে পারবেন। যেগুলি প্রশাসনিক আধিকারিকরা নজরে রাখবেন। হেল্পলাইন নম্বর হল ১৯৬৭, টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৫০৫, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হল ৯৯০৩০৫৫৫০৫। এই নম্বরগুলিতে ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপ করে কোনও মধ্যস্থতাকারীর অসাধু কার্যকলাপ বা অভাবী বিক্রি সম্পর্কেও চাষিরা জানাতে পারবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, লক্ষ্মীপুজোর সময় যেভাবে জেলায় প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে ধান চাষে সেভাবে প্রভাব পড়েনি। জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টি ও নদীর জল ঢোকার কারণে ২২ হাজার হেক্টর চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। তবে ধানি জমিতে ৪৮ ঘণ্টা জল জমে থাকার পরেও জল নেমে গেলে, ধানের তেমন ক্ষতি হয় না। কিন্তু, সব্জি চাষে প্রভূত ক্ষতি হয়। জলপাইগুড়ির ভৌগোলিক কারণে ধানের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফসল কাটা শুরু হলে এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট ধারণা মিলবে। প্রসঙ্গত, জেলায় গত আর্থিক বছর প্রায় ছ’লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছিল। রাজ্যের তরফে উৎপাদিত ২০-২৫ শতাংশ ধান সহায়কমূল্যের বিনিময়ে চাষিদের থেকে কেনা হয়। গতবারও তাই হয়েছিল। এদিকে, খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার প্রতি কুইন্টাল ধান ১৮৬৮ টাকা করে চাষিদের থেকে কিনেছিল সরকার। এবার এখনও পর্যন্ত সেই সহায়ক মূল্য কত, তা জানা যায়নি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের নির্ধারিত ধানের সহায়কমূল্য জানা যাবে বলে আশাবাদী দপ্তরের আধিকাকিরা। সেই মতোই ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।