বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
এদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ দেহগুলি বাগনানে পৌঁছয়। ওই এলাকায় পুলকবাবুদের কনভয় ঢোকার আগে থেকেই রাস্তার দু’পাশে মানুষের ভিড় জমতে থাকে। সকাল থেকেই বাগনানের মুরারিবাড় এলাকায় ছিল শোকের আবহ। পাড়ার মোড়ের জটলা থেকে চায়ের দোকানের জল্পনায় ঘুরেফিরে এসেছে এলাকার পরিচিত এই তিনজনের কথা। যে ক’দিন তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন, ততদিন এঁদের বেঁচে থাকার আশা ছাড়তে রাজি ছিলেন না কেউই। তাঁদের পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল থানায়। কিন্তু উত্তরাখণ্ড প্রশাসন দেহ উদ্ধারের খবর জানানোর পর সব আশাই শেষ হয়ে যায়। সাগরবাবুর বাবা সলিল দে একজন দক্ষ ট্রেকার ছিলেন। তুষার ঝড়ের ভয়াবহতা সম্পর্কে তিনি অবগত হলেও ক্ষীণ আশা মনে রেখেছিলেন তিনিও। এদিন ছেলের কফিনবন্দি দেহ চোখের সামনে দেখে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি। হাহাকার করে ওঠেন তাঁর মা সোনালিদেবীও। দুই ভাই চন্দ্রশেখর ও সরিৎশেখরকে শেষবার দেখার জন্য আগে থেকেই তাঁদের বাড়ির সামনে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। কফিনবন্দি দু’টি দেহ বাড়ির কাছে পৌছতেই সমবেত ভিড় থেকে চাপা কান্নার রোল ওঠে। ভিড়ের চাপে বাড়ির লোকজনই তাঁদের প্রিয়জনকে ঠিক মতো দেখতে পাননি। তাই দুই ভাইয়ের দেহ বাড়ি থেকে বার করে আনার পর ফের তা ভিতরে নিয়ে যেতে হয়। চন্দ্রশেখরবাবুর দেহ খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। ঠাকুরপুকুর ও রানাঘাটে যথাক্রমে সাধনবাবু এবং প্রীতমবাবুর দেহ নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। প্রীতমবাবুর দেহ নিয়ে ফেরেন মন্ত্রী উজ্জ্বলবাবু। প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর উত্তরখান্ডের কানাকাটাপাস অভিযানে রওনা দিয়েছিলেন এই পাঁচ অভিযাত্রী। ১৪ অক্টোবর কাঁঠালিয়া বেস ক্যাম্প থেকে তাঁরা যাত্রা শুরু করার পর দেবীকুণ্ডের কাছে তুষার ঝড়ের মুখে পড়েন।