বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
দীর্ঘ করোনা আবহে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্কুলের বিল্ডিং, চেয়ার, টেবিল, দরজা, জানালা উইয়ের কবলে পড়ে ও অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে নষ্ট হয়েছে। দীর্ঘদিন না চালানোর ফলে নষ্ট হয়ে গেছে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ। লাইব্রেরির বহু বইপত্র বর্ষায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে জেলার অন্যতম প্রাচীন স্কুল বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি। তবে বিষয়টি বেশ কঠিন স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ডঃ সুপ্রিয়কুমার সাধু বলেন, স্কুলের চৌহদ্দি আগাছায় ভরে গিয়েছে। সরকার থেকে স্যানিটাইজের খরচ বহন করলেও যে সমস্ত পরিকাঠামো নষ্ট হয়েছে সেগুলি সারানোর জন্য যথেষ্ট টাকার দরকার। এরপরেও পড়ুয়াদের স্কুলমুখি করাটা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি। কারণ দীর্ঘদিন স্কুল না আসাটাই পড়ুয়াদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। সেই অভ্যাস পাল্টানো অন্যতম কঠিন কাজ। পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই মানসিকতা শিক্ষকদের মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছে। স্বাভাবিক যে ছন্দ ছিল সেটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বড় চ্যালেঞ্জ সহকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে স্কুলকে আগের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা। তবে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের পুনরায় ছন্দবদ্ধ করা যথেষ্ট পরিশ্রম সাধ্য ও সময় সাপেক্ষ বলে জানান তিনি।
মাঝের সময়ে করোনা সংক্রমণ কমতেই দুটি বেঞ্চে দু’জন ও একজনের অনুপাতে বসিয়ে খোলা হয়েছিল স্কুল। কিন্তু সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক পঠন-পাঠন। বর্তমান নির্দেশিকায় সংক্রমণ রুখতে প্রতি বেঞ্চে দু’জন করে বসলেও ছয় ফুট দুরত্ব রাখতে বলা হয়েছে। প্রতি ক্লাসে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ জনের বেশি যেন অতিক্রম না করে তার জন্য কড়া বার্তা দেওয়া থাকলেও মফঃস্বল স্কুলগুলিতে এক একটি বিভাগে প্রায় ৭০ থেকে ৯০ জন পড়ুয়া থাকে।
সেক্ষেত্রে প্রতি বিভাগকে তিন চার ভাগে ভাগ করে ক্লাস করতে হবে এটা অনেক সময় সাপেক্ষ বলে মনে করছেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। বোলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ভাস্বতী লাহা নাগ আরেকটি সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, নবম থেকে দ্বাদশ স্বাভাবিক পঠন-পাঠন হলেও পঞ্চম থেকে অষ্টম অনলাইনে ক্লাস হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনলাইন ও অফলাইনে দু’দিকেই সময় দেওয়া কঠিন কাজ। কারণ মফঃস্বলের অধিকাংশ স্কুলে কম শিক্ষক থাকার বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে শিক্ষকরাও চাইছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তাই উপায় বের করে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।