বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, বুধবার সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে মানুষকে সচেতন করতে একাধিক প্রচার চালানো হয়েছে। যে এলাকাগুলিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে, তার তালিকা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রশাসনের তরফে বালুরঘাট শহরের একাধিক এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জোরকদমে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ করে চলেছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করব।
দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, প্রশাসনের তরফে যে এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। শহরে প্রতিদিন অভিযান চলছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না, তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সংক্রমণ কমাতে পুলিস প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে।
বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখর দাশগুপ্ত বলেন, শহরের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। মানুষকে আমরা সচেতন করলেও অনেকে কথা শুনছেন না। আমরা এত প্রচার চালাচ্ছি, তবুও কোনও কাজে দিচ্ছে না। প্রশাসন শহরের কিছু এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আমাদের কাছে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনও সহযোগিতা চায়নি। চাইলে অবশ্যই সবদিক থেকে আমরা সাহায্য করব। কন্টেইনমেন্ট জোনে যে সমস্ত গাইড লাইন রয়েছে, সেই অনুযায়ী পুলিস কাজ করবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। এমনকী কোথাও কোনও কন্টেইনমেন্ট জোন ছিল না। হঠাৎ বৃহস্পতিবার শহরের একাধিক এলাকায় পুলিস গিয়ে ব্যারিকেড দেওয়ায় শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন করে ৩০ জন যে সংক্রামিত হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশের বাড়ি বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। সেই ওয়ার্ডগুলিকে চিহ্নিত করে প্রশাসন সংক্রামিতদের বাড়ির আশেপাশ এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মোট ১৫টি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও সেই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হলেও কোনও মার্কিং না করায় অনেকে বিষয়টি জানতে পারছেন না। ফলে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করছেন। অনেকে মনে করছেন, টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে সংক্রামিত হবেন না। ফলে তাঁরা কোনও বিধি মানছেন না। এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বালুরঘাটের রথতলায় কন্টেইনমেন্ট জোন। নিজস্ব চিত্র