বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
পুজোর পর রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। পূর্ব মেদিনীপুরও তার বাইরে নয়। পুজোর ছুটিতে দীঘার সৈকতে বিপুল সংখ্যায় পর্যটক সমাগম হয়েছিল। দীঘায় ভিড়ের সেই জের এখনও অব্যাহত। দীঘা থেকে ফিরেই কৃষ্ণনগর শহরের ঘূর্ণি এলাকায় একই পরিবারের তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেই আশঙ্কা থেকেই সৈকত শহরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় করোনা সংক্রমণ ও ভ্যাকসিন নিয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। তারপরই দীঘায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করার জন্য পুলিসকে নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই একাধিক অটো ও টোটো নিয়ে পুলিসের পক্ষ থেকে দীঘায় মাইকিং শুরু হয়। তাতে বলা হয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী, দোকানদার থেকে হোটেল কর্মী, প্রত্যেকেই যেন মাস্ক ব্যবহার করেন। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেই হবে। দীঘায় পর্যটকদের বেশিরভাগ মাস্ক ব্যবহার করেন না। এনিয়ে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানা দিয়ে রেহাই পেয়েছেন কয়েকশো পর্যটক। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সরাসরি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শিখরে পৌঁছনোর সময় দীঘায় অনেক জায়গায় কন্টেইনমেন্ট জোন হয়েছিল। কয়েক মাস কার্যত জনশূন্য ছিল দীঘা। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আবারও দীঘায় পর্যটকদের আসা-যাওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু, বেড়াতে এসে অনেকেই ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখাচ্ছেন। মুখ থেকে মাস্ক উধাও। দূরত্ববিধি বলেও কিছু নেই। এনিয়ে কিছুটা কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মাস্ক না পরায় পর্যটকদের ধরপাকড়ের মধ্যে দিয়ে সেই বার্তা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিস।
দীঘা থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, মাস্ক ব্যবহার না করায় এদিন মোট ২১জন পর্যটককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীঘায় বেড়াতে এলে করোনার ভয় নেই, এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। তাই পর্যটক থেকে হোটেল কর্মী, দোকানদার প্রত্যেকের উদ্দেশে আমাদের বক্তব্য, মাস্ক ব্যবহার করুন। দীঘা মোহনা কোস্টাল থানার ওসি সত্যজিৎ চানক্য বলেন, মাস্ক না পরায় ন’জন পর্যটককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, দীঘায় হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে আসেন। এরকম জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে বিপদ অনিবার্য। তাই প্রত্যেকের উদ্দেশে আমাদের বার্তা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।