বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
হেঁসেলে রকমারি আমিষ ও নিরামিষ পদ তৈরি থেকে রেস্তরাঁ, তেলেভাজা বা ফাস্টফুডের দোকানে বিভিন্ন পদের জন্য আলু লাগেই। মাংস, ডিম, মাছের রান্না থেকে রকমারি তরকারি কিংবা জিভে জল আনা চপের জন্য আলু চাই। আর এই আলুর দাম চড়তে শুরু করতেই বাড়ির কর্তা থেকে গৃহিণীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সকাল-সন্ধ্যার জলখাবার থেকে দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য উপযুক্ত পদ তৈরি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাইকারি ও খুচরো বাজারে আনাজের দাম উর্ধ্বমুখী। সব্জি ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগেও খুচরো বাজারে প্রতি কেজি জ্যোতি আলু ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। এখন প্রতি কেজি ১৯-২০টাকা। প্রতি কেজি চন্দ্রমুখী আলুর দাম ছিল ১৮-১৯ টাকা। দাম বেড়ে হয়েছে ২৩-২৪টাকা।
লালবাগের এক ব্যবসায়ী বলেন, বস্তাপিছু প্রায় ১৫০টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজিতে তিন টাকা বেড়েছে। প্রতি বস্তায় চার-পাঁচ কেজি খারাপ আলু বের হয়। এই লোকসানটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বাধ্য হয়েই প্রতি কেজিতে ৪-৫টাকা বাড়াতে হয়েছে। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কিছুটা হলেও কমেছে। আরও দাম বাড়বে বলে মহাজনরা বলছেন। বহরমপুর নতুন বাজারের এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী বলেন, তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় পরিবহণ খরচ বেড়েছে। কাজেই দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনও নেই।
লালবাগের বাসিন্দা রুমি ভাস্কর বলেন, জলখাবার থেকে প্রতিদিনের রান্নায় আলু লাগে। অথচ আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় কী দিয়ে কী করব ভেবেই সময় চলে যাচ্ছে। বহরমপুরের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা ধর বলেন, কোনও তরকারি না হলেও আলুসিদ্ধ, সর্ষের তেল ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাত খাওয়া যায়। সব শাক-সব্জির দাম বাড়লেও বেশ কয়েক মাস ধরে আলুর দাম মোটামুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিল। এখন আবার আলুর দামও বেড়ে গেল। পেশায় শিক্ষক অরূপ ঘোষ বলেন, আলুর দামের উপর সমস্ত জিনিসের দাম বৃদ্ধি নির্ভর করে। ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহণ খরচ বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার একটা সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।