Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

ধরা যাক ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম ড. মনমোহন সিং। এরকম সময় কাশ্মীরে হিংসার আগুনে জ্বলছে। বিগত বছরগুলিতে কখনও উরিতে সেনাবাহিনীর ছাউনিতে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ১৯ জন সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন, কখনও পুলওয়ামায় একজন মাত্র তরুণ একটি লাল মারুতি চেপে এসে আধা সামরিক বাহিনীর কনভয়ে হামলা চালিয়ে ৪২ জন আধা সেনা জওয়ানকে হত্যা করেছে। আর এখন ২০২১ সালে নিয়ম করে প্রায় প্রতিদিন কাশ্মীরে নিত্যনতুন আক্রমণের শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন একের পর এক ভারতীয় নাগরিক। কেউ কাশ্মীরের বাসিন্দা। কেউ আবার কাশ্মীরে গিয়ে বসবাস করছিলেন জীবিকার জন্য। সাধারণ স্ট্রিট ভেন্ডার অথবা নিরীহ দোকানি। ঘটনাচক্রে বেছে বেছে হিন্দু অথবা শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকেই টার্গেট করা হচ্ছে। কখনও সখনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও নিহত হয়েছেন। সোজা কথায় সন্ত্রাসবাদীরা যে বার্তা দিতে চাইছে, সেটি হল কাশ্মীর অশান্ত। এবং নিরাপদ নয়। পরিস্থিতি এমনই যে, কাশ্মীরের হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মীরা গণছুটির দরখাস্ত করেছেন।  তাঁরা কর্মস্থলে যেতে ভয় পাচ্ছেন। বাড়ি থেকে বেরতে আতঙ্ক। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম ড. মনমোহন সিং হলে, এই অবস্থায় কী করতেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব কিংবা দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিজেপি সমর্থক এবং সংঘ পরিবার? কার কাছে জবাবদিহি চাইতেন? কে হতেন সবথেকে বেশি সমালোচনার টার্গেট? আজ কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। প্রশাসনিক, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।  ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির পর তো আমাদের বলা হয়েছিল কাশ্মীরের সুদিন এসে গেল! ভারতের যে কোনও নাগরিক নাকি এখন কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন! সেখানে যে কেউ গিয়ে থাকতে পারবেন। বহু মানুষ সেই স্বপ্নপূরণে বিভোর হয়েছিলেন এবং জয়ধ্বনি দিয়েছিলেন। আজ তাহলে এই অবস্থা কেন? ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক কিংবা দলের নেতানেত্রীরা এখন কী করছেন? কাকে দায়ী করছেন? ড. মনমোহন সিং অথবা অবিজেপি যে কোনও প্রধানমন্ত্রী অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে ভারতীয় জনতা পার্টির আজ ভূমিকাটি ঠিক কেমন হতো? আর প্রকৃতপক্ষে আজ তাদের ভূমিকা কী? তাঁরা ঠিক কী মনে করেন? কাশ্মীরের সমস্যা সমাধান, কাশ্মীরি পণ্ডিত, হিন্দু, শিখ অথবা কাশ্মীর এবং বহিরাগত ভারতীয় নাগরিককে রক্ষা করার দায়িত্ব ২০২১ সালে কার? সোনিয়া গান্ধীর? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? মনমোহন সিং-এর? দিল্লির মসনদে কে বসে আছেন? 
ধরা যাক, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম রাহুল গান্ধী। সেই সময় পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ঢুকে পড়ল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একঝাঁক জওয়ান জীবন বিপন্ন করে এবং আত্মবলিদান দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের একাংশকে তাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু সেই ঘটনার পর এক বছর ধরে মোট ১৩ বার ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী স্তরের বৈঠক সত্ত্বেও চীন নিজেদের সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিতে নারাজ হল। বৈঠক ব্যর্থ । লাদাখে চীনের সেনাবাহিনী ভারতের নাকের ডগায় বসে রইল। এবং চীন কখনও অরুণাচল প্রদেশ, কখনও উত্তরাখণ্ডে এসে ভারতকে চোখ রাঙিয়ে যাচ্ছে। বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না চীন স্পষ্ট দাদাগিরি দেখিয়ে। আজ ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব ঠিক কী করতেন যদি প্রধানমন্ত্রীর নাম হতো রাহুল গান্ধী? আর আজ সেই ভারতীয় জনতা পার্টির  চীনের এই আচরণ নিয়ে ভূমিকা কী? আজ তারা নীরব কেন? ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে  জওহরলাল নেহরু যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বসে বসে অপমানিত হওয়ার তুলনায় যুদ্ধ করা কি অন্তত কিছুটা সম্মানের নয়? আজ চীন যখন তখন ভারতকে হুমকি হুঁশিয়ারি দেয় কেন? যখন ইচ্ছে করছে ঢুকে পড়ছে কেন? তাহলে কি চীন বুঝে গিয়েছে যে, ভারত কোনওদিনই আমাদের পাল্টা জবাব দিতে পারবে না? গত বছর ভারত সরকার চীনের বহু পণ্য বয়কট করেছিল। আজ এক বছর পর খোঁজ নিয়ে দেখা যাক সেই বয়কট কতটা অব্যাহত আছে। আর এই এক বছরে ভারতের আত্মনির্ভরতার কতটাই বা অগ্রসর হয়েছে? সরকার একটি শ্বেতপত্র পেশ করুক যে, এবার থেকে কোন কোন পণ্য আমরা আর কোনওদিন চীন থেকে আমদানি করব না। কোন কোন পণ্য গত এক বছর ধরে সম্পূর্ণ মেড ইন ইন্ডিয়ারই ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আগে চীনের উপর নির্ভরশীল ছিল? সেটা জানতে পারলে আমাদের গর্ব হবে! 
ধরা যাক, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম সময় পেট্রলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলবে শীঘ্রই। নিত্যব্যবহার্য খাদ্যপণ্যের দাম আকাশ স্পর্শ করেছে। সরকারি চাকরির সংস্থান ক্রমেই কমছে। সরকার রীতিমতো চৈত্র সেল, ফেস্টিভ্যাল অফার অথবা অ্যামাজন ডিসকাউন্ট উইকের মতো করে সরকারি সংস্থা, ব্যাঙ্ক, বিমা, বিমান বিক্রির পসরা সাজিয়ে বসেছে। সরকারি কর্তা জোর গলায় বলছেন, সরকারের হাতে গুটিকয়েক ব্যাঙ্ক থাকবে। সবই বিক্রি করা হবে। সরকারের হাতে কিছুই থাকবে না। সরকার কোনও সংস্থা পরিচালনা করবে না। সরকার ব্যাঙ্কের দায়িত্ব নেবে না। সেনাবাহিনীর অস্ত্র, সামরিক যন্ত্রাংশ, উপকরণ এসব এবার থেকে যে কোনও বেসরকারি কোম্পানিই উৎপাদন করতে পারবে। মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে সরকার বেসরকারি হাতে দিয়ে দেবে। সরকারি চাকরির সুযোগ ক্রমেই কমছে। আমাদের জানতে ইচ্ছা করছে, তাহলে ভারত সরকার নামক একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান আগামী দিনে ঠিক কী করবে? তাদের কী কী কাজ বাকি রইল? ব্যাঙ্কের সুদের হার তলানিতে এসে ঠেকেছে। সরকারকে মানুষ বছর বছর ট্যাক্স দেবে, ভোট দেবে এবং সব কথায় সায় দেবে। কিন্তু বিনিময়ে ভাঙা রাস্তা পাবে, ট্রেনের ওয়েটিং লিস্ট পাবে, ওলা উবের অটোর যথেচ্ছাচার পাবে, ওষুধের আকাল পাবে, মেডিক্লেমের লুটপাট পাবে, কর্পোরেটের সর্ষের তেলের দামের ছ্যাঁকা পাবে, রাজনীতিবিদদের শূন্যগর্ভ লেকচার পাবে। অর্থনীতির মন্দা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, একটি সাধারণ পরিবারও বলতে পারবে না, তাদের আয় অথবা সঞ্চয় বেড়েছে। এরকম একটি অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী দলের কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে, ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক ও নেতৃত্ব কী করতেন? তাদের আক্রমণের লক্ষ্য কে হতেন? 
কাশ্মীর আবার এক নতুন অগ্নিবলয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছে। চীন চতুর্দিক থেকে ভারতকে চাপ দিচ্ছে। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইতিমধ্যেই চীনের অর্থনৈতিক উপনিবেশে পরিণত। এই রাষ্ট্রগুলিতে চীনের প্রভাব অপরিসীম। অর্থনীতি কিছুতেই ঘুরে দাঁড়ানোর পন্থা খুঁজে পাচ্ছে না। জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।  মাঝখানে রুল টানা একটি সাদা পৃষ্ঠার একদিকে এই ফ্যাক্টরগুলিকে লিখে অন্য পাশে লিখুন— সফল ও ব্যর্থ! কোনটায় টিক দেবেন? প্রধানমন্ত্রীর নাম যাই হোক। কাল্পনিকভাবেও যদি ধরে নেওয়া যেত যে, এরকম ফ্যাক্টরগুলি  একটি দেশে উপস্থিত হয়েছে, তাহলে সেই সরকারকে সাধারণভাবে সফল বলা হবে? নাকি ব্যর্থ? আর এসব তো কল্পনা নয়, সবটাই বাস্তব। আমরা তো ২০২১ সালে বসে আছি! ১৯৬২ সালেও নয়, আবার ২০১০ সালেও নয় যে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু কিংবা ড. মনমোহন সিংকে দোষ দেব! তাই না? 
22nd  October, 2021
জনস্বার্থে কালজয়ী কাজ
একটিও হল না কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ক্ষমতায় আরোহণ করেন, সেই ২০১৪ সালের মে-জুন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম চলছিল ১০৯ ডলার প্রতি ব্যারেল। ওই সময় ভারতে পেট্রলের দাম কত ছিল? ৭২ টাকা প্রতি লিটার। বিশদ

রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়!
মৃণালকান্তি দাস

তাহলে কি রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়? প্রশ্ন যাই থাক, এটাও ঘটনা যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যোগী সরকার ও সঙ্ঘ অস্বস্তিতে পড়েছে। মোদি সরকারই অযোধ্যার ট্রাস্ট গঠন করে ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে মনোনীত করেছে। ফলে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আলোচনায় সেই রামমন্দির। আলোচনায় রামের নামে দুর্নীতি! এই বদনাম কি সইতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথ?
বিশদ

28th  October, 2021
শুধু ভারত নয়, ধর্মনিরপেক্ষ উপমহাদেশ
হারাধন চৌধুরী

হাসিনা সত্যিই আন্তরিক হলে জাতীয় সংসদে বিল আনুন অবিলম্বে। দ্রুত ফিরিয়ে আনুন মুজিবের সেই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, স্বাধীনতার মাত্র দশমাসের ভিতরে মুজিব যেটা উপহার দিয়েছিলেন। হাসিনা বুঝিয়ে দিন, বাঙালি আজও সঙ্কীর্ণ নয়।
বিশদ

27th  October, 2021
গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। বিশদ

26th  October, 2021
দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল।
বিশদ

25th  October, 2021
একশো কোটির ঢক্কা নিনাদে
মোদির আগাম দেওয়ালি!
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি গত ডিসেম্বরে একবার ঘটা করে ঢাকি বিদায়ের মতো করোনা বিদায়ের কথা বলেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই দাবি। এবারও ১০০ কোটি ডোজের সাফল্য ফেরি করতে গিয়ে তিনি দেড় সপ্তাহ আগেই দেশে আগাম দেওয়ালি ডেকে এনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড স্মৃতি ভুলিয়ে মোদিজি দ্রুত ভোট রাজনীতির দৌড়ে ফিরতে চাইছেন।
বিশদ

24th  October, 2021
বিএসএফের খবরদারি
বৃদ্ধির পিছনে আসল অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পাকা মাথার অঙ্ক। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে একটা কথা বলতেন, এবারের ভোট ‘দাদার পুলিস’ করাবে। সেই ‘দাদার পুলিস’কেই বঙ্গের ১০টি জেলার ২১টি লোকসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় খবরদারির ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হল।
বিশদ

23rd  October, 2021
টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! বিশদ

22nd  October, 2021
সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো। বিশদ

20th  October, 2021
দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে।
বিশদ

19th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
একনজরে
দীপাবলির উপহার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর পাইপলাইনের মাধ্যমে লাদাখের গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মান-মেরাগ গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ...

বার্সেলোনার খারাপ সময় যেন কিছুতেই কাটছে না। লা লিগায় এল ক্লাসিকোর পর বুধবার রায়ো ভায়াকেনোর কাছেও হারল কাতালন ক্লাবটি। অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন সের্গিও বুস্কেতসরা। ...

ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...

বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM