Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

২১ অক্টোবর, ২০২১। ভারত ১০০ কোটি ডোজ টিকাকরণ সম্পন্ন করল। টিকাকরণ কর্মসূচি শুরুর মাত্র ন’মাসের মধ্যেই এল এই সাফল্য। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ এক দুরূহ যাত্রা! বিশেষত ২০২০ সালের গোড়ার দিকে কী পরিস্থিতি ছিল, তা ফিরে দেখলেই আমরা বুঝতে পারব। ১০০ বছর বাদে মানব সমাজ আরও এক অতিমারির কবলে। এবং কেউ বিশেষ কিছু জানতও না এই ভাইরাস সম্পর্কে। মনে পড়ে, কেমন এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়! দ্রুত চরিত্র বদল করা এক অজানা, অদৃশ্য শত্রুর মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা। 
সেই আশঙ্কা থেকে আশ্বাসের পথে যাত্রার সূচনা হল। ক্রমে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানের সুবাদে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল আমাদের দেশ।
সমাজের একাধিক অংশকে সঙ্গে নিয়ে এটা সত্যিই ভগীরথের মতো এক প্রয়াস। চেষ্টার মাত্রাটা বুঝতে গেলে একটা ছোট্ট তথ্য জেনে রাখা দরকার। প্রতিটি টিকা দিতে একজন স্বাস্থ্যপরিষেবা কর্মীর সময় লাগে ২ মিনিট। সেই অনুযায়ী এই সাফল্যে পৌঁছতে লেগেছে প্রায় ৪১ লক্ষ মানব-দিবস অথবা আনুমানিক ১১ হাজার মানব-বর্ষের চেষ্টা। 
বড় মাত্রার যে কোন প্রয়াসে দ্রুত সাফল্য অর্জন করতে হলে সবার আস্থা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। এই অভিযানের সাফল্যের অন্যতম কারণ সেটাই। এই টিকাকরণ এবং তার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রেখেছে মানুষ। যদিও অনাস্থা এবং আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা কম হয়নি। 
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ শুধুমাত্র বিদেশি ব্র্যান্ডে আস্থা রাখেন। এমনকী সেটা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রেও। তবে, কোভিড-১৯ টিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতবাসী সর্বসম্মতিক্রমে আস্থা রেখেছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ভ্যাকসিনের উপর। এটা এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। 
নাগরিক এবং সরকার যদি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে জন ভাগিদারীর আদর্শকে সামনে রেখে এক হয়ে যায়, তাহলে ভারত যে কী করতে পারে এই টিকাকরণ অভিযান তার একটি উদাহরণ। ভারত যখন টিকাকরণ অভিযান শুরু করে, তখন অনেকেই ১৩০ কোটি মানুষের ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন। কেউ বলেছিলেন, তিন-চার বছর সময় লাগবে ভারতের। কারও কারও দাবি ছিল, মানুষ টিকা নিতে এগিয়ে আসবেন না। এমনও অনেকে ছিলেন, যাঁরা বলেছিলেন, গোটা বিষয়টি অব্যবস্থার চূড়ান্ত হবে এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এমনকী কেউ কেউ তো এও বলেছিলেন যে, ভারত সরবরাহ শৃঙ্খল অটুট রাখতে পারবে না। কিন্তু জনতা কারফিউ এবং তার পরবর্তী লকডাউনের মতোই ভারতবাসী দেখিয়ে দিয়েছে, তাঁদের আস্থাভাজন অংশীদার করে তোলা গেলে কী অভাবনীয় ফলই না হতে পারে।
যখন সকলে এগিয়ে আসেন, তখন অসম্ভব বলে কিছুই থাকে না। আমাদের স্বাস্থ্যপরিষেবা কর্মীরা পাহাড়ে চড়ে, নদী পেরিয়ে দুর্গম জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন মানুষকে টিকা দিতে। ভারতে টিকা নিয়ে অনাগ্রহীর সংখ্যা ছিল বেশ কম, যা অনেক উন্নত দেশেও দেখা যায়নি। তার জন্য আমাদের যুব সমাজ, সমাজকর্মী, স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী, সামাজিক এবং ধর্মীয় নেতাদের প্রত্যেকেরই অভিনন্দন প্রাপ্য। 
টিকাকরণ অভিযানে অগ্রাধিকার চেয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিভিন্ন রকম চাপ ছিল। কিন্তু সরকার এটা নিশ্চিত করেছে যে, অন্য অনেক কর্মসূচির মতো টিকাকরণ অভিযানেও কোন ভিআইপি সংস্কৃতি থাকবে না। 
২০২০-র গোড়ায় যখন কোভিড-১৯ বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন থেকেই আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার ছিল যে, টিকার সাহায্য নিয়ে এই অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে। সেইমতো আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিই। বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী গঠন করি। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকেই একটি রোডম্যাপ সাজিয়ে ফেলি।
আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! একবার পরিস্থিতিটা ভাবুন—যদি ভারতের নিজস্ব টিকা না থাকত, তাহলে ভারত কীভাবে এই বিশাল জনসংখ্যার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করত? এবং তার জন্য কত বছর সময় লাগত? এখানেই অভিনন্দন জানাতে হয় ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং উদ্যোগপতিদের, যাঁরা সময়মতো এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্যই আজ টিকার ক্ষেত্রে ভারত সত্যিকারের আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। আমাদের টিকা নির্মাতারা এই বিশাল জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে উৎপাদনও বাড়িয়েছেন, যার থেকে প্রমাণ হয়েছে যে তারা অদ্বিতীয়। 
যে দেশে সরকারকে সাধারণত এগিয়ে চলার পথে বাধা হিসেবে ধরা হয়, সেখানে আমাদের সরকার প্রগতিকে গতি দিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে। প্রথম দিন থেকেই টিকা প্রস্তুতকারকদের পাশে থেকেছে সরকার। প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, অর্থদানের পাশাপাশি বিধিনিয়ম প্রক্রিয়ার গতি এনে সাহায্য করেছে। সরকারের সব মন্ত্রক একসঙ্গে টিকা প্রস্তুতকারকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। অপসারণ করা হয়েছে যে কোনও বাধা। ভারতের মতো বিশাল দেশে শুধু টিকা প্রস্তুত করাই যথেষ্ট নয়। নজর দিতে হয়েছে শেষ বিন্দু পর্যন্ত তা পৌঁছনো এবং বাধাহীন লজিস্টিকসের উপর। যে সমস্যাগুলি ছিল, তা বুঝতে হলে ভ্যাকসিনের একটি ভায়ালের যাত্রার কথাটা ভাবুন। পুনে অথবা হায়দরাবাদের একটি কারখানা থেকে ভায়াল পাঠানো হয় যে কোনও রাজ্যের একটি হাবে। সেখানে থেকে সেটি জেলার হাবে যায়। সেই হাব থেকে তা পৌঁছে দেওয়া হয় টিকাকরণ কেন্দ্রে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিমান অথবা ট্রেনে কয়েক হাজার ট্রিপ। এই সম্পূর্ণ যাত্রাপথে টিকার ভায়াল একটি নির্দিষ্টমাত্রায় তাপমাত্রায় রাখতে হয়, যা কেন্দ্রীয়ভাবে তত্ত্বাবধানে থাকে। এর জন্য ১ লক্ষের বেশি কোল্ডচেন উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। আগেভাগেই টিকা সরবরাহের সূচি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকেও। যাতে তারা ভালোভাবে সব পরিকল্পনা করতে পারেন এবং টিকাও পূর্বনির্ধারিত দিনেই তাদের কাছে পৌঁছয়। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এ এক অভূতপূর্ব প্রয়াস। 
এই সমস্ত প্রয়াসকে সাহায্য করেছে কো-উইনের মতো একটি শক্তিশালী টেক প্ল্যাটফর্ম। টিকাকরণ অভিযান যাতে সুষ্ঠু ও সঠিক মাত্রায় হয়, যাতে নজর রাখা যায় এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে—তা নিশ্চিত করেছে কো-উইন। এর ফলে স্বজনপোষণ বা লাইন ভেঙে আগেভাগে যাওয়ার কোন জায়গাই ছিল না। একজন গরিব শ্রমিক নিজের গ্রামে প্রথম ডোজটি নিলেও নির্ধারিত সময়ের ব্যবধানে যাতে শহরের কর্মস্থলে এসে দ্বিতীয় ডোজটি নিতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বচ্ছতা বাড়াতে রিয়েল টাইম ড্যাশবোর্ডের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে কিউআর কোড দেওয়া সার্টিফিকেট। যাতে পরিচিতি সম্পর্কে নিশ্চয়তা মেলে। এই ধরণের প্রয়াসের নজির শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে বিরল। 
২০১৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আমি বলেছিলাম যে, আমাদের দেশ সামনের দিকে এগচ্ছে ‘টিম ইন্ডিয়া’-র জন্য। এই ‘টিম ইন্ডিয়া’ আমাদের ১৩০ কোটি মানুষের একটি বড় দল। মানুষের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা যদি ১৩০ কোটি ভারতীয়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ চালাই, তাহলে দেশ প্রতি মুহূর্তে ১৩০ কোটি পা এগিয়ে যাবে। আমাদের টিকাকরণ অভিযান আরও একবার দেখাল এই ‘টিম ইন্ডিয়া’-র ক্ষমতা। টিকা কর্মসূচিতে ভারতের সাফল্য সারা বিশ্বকে এও দেখাল যে, ‘গণতন্ত্র করে দেখাতে পারে’!
বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানে যে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে, তা আমাদের যুব সমাজ, উদ্ভাবক এবং সরকারের সব স্তরকে জনপরিষেবায় নতুন মাত্রা পৌঁছতে উৎসাহিত করবে বলেই আমি আশাবাদী। আর সেটা শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা বিশ্বের কাছে হয়ে উঠবে একটি মডেল। 
22nd  October, 2021
জনস্বার্থে কালজয়ী কাজ
একটিও হল না কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ক্ষমতায় আরোহণ করেন, সেই ২০১৪ সালের মে-জুন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম চলছিল ১০৯ ডলার প্রতি ব্যারেল। ওই সময় ভারতে পেট্রলের দাম কত ছিল? ৭২ টাকা প্রতি লিটার। বিশদ

রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়!
মৃণালকান্তি দাস

তাহলে কি রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়? প্রশ্ন যাই থাক, এটাও ঘটনা যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যোগী সরকার ও সঙ্ঘ অস্বস্তিতে পড়েছে। মোদি সরকারই অযোধ্যার ট্রাস্ট গঠন করে ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে মনোনীত করেছে। ফলে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আলোচনায় সেই রামমন্দির। আলোচনায় রামের নামে দুর্নীতি! এই বদনাম কি সইতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথ?
বিশদ

28th  October, 2021
শুধু ভারত নয়, ধর্মনিরপেক্ষ উপমহাদেশ
হারাধন চৌধুরী

হাসিনা সত্যিই আন্তরিক হলে জাতীয় সংসদে বিল আনুন অবিলম্বে। দ্রুত ফিরিয়ে আনুন মুজিবের সেই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, স্বাধীনতার মাত্র দশমাসের ভিতরে মুজিব যেটা উপহার দিয়েছিলেন। হাসিনা বুঝিয়ে দিন, বাঙালি আজও সঙ্কীর্ণ নয়।
বিশদ

27th  October, 2021
গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। বিশদ

26th  October, 2021
দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল।
বিশদ

25th  October, 2021
একশো কোটির ঢক্কা নিনাদে
মোদির আগাম দেওয়ালি!
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি গত ডিসেম্বরে একবার ঘটা করে ঢাকি বিদায়ের মতো করোনা বিদায়ের কথা বলেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই দাবি। এবারও ১০০ কোটি ডোজের সাফল্য ফেরি করতে গিয়ে তিনি দেড় সপ্তাহ আগেই দেশে আগাম দেওয়ালি ডেকে এনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড স্মৃতি ভুলিয়ে মোদিজি দ্রুত ভোট রাজনীতির দৌড়ে ফিরতে চাইছেন।
বিশদ

24th  October, 2021
বিএসএফের খবরদারি
বৃদ্ধির পিছনে আসল অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পাকা মাথার অঙ্ক। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে একটা কথা বলতেন, এবারের ভোট ‘দাদার পুলিস’ করাবে। সেই ‘দাদার পুলিস’কেই বঙ্গের ১০টি জেলার ২১টি লোকসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় খবরদারির ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হল।
বিশদ

23rd  October, 2021
এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।
বিশদ

22nd  October, 2021
সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো। বিশদ

20th  October, 2021
দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে।
বিশদ

19th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
একনজরে
দীপাবলির উপহার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর পাইপলাইনের মাধ্যমে লাদাখের গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মান-মেরাগ গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...

বার্সেলোনার খারাপ সময় যেন কিছুতেই কাটছে না। লা লিগায় এল ক্লাসিকোর পর বুধবার রায়ো ভায়াকেনোর কাছেও হারল কাতালন ক্লাবটি। অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন সের্গিও বুস্কেতসরা। ...

ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM