Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিএসএফের খবরদারি
বৃদ্ধির পিছনে আসল অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী করায় শুধু রাজ্যবাসী নয়, বিজেপির তাবড় তাবড় নেতাও চমকে গিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্বের বেড়ি পরিয়ে ভাঙন আটকানোর বিষয়টি সেদিন বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ার কারণটি তখনও ঠিক খোলসা হচ্ছিল না। অঙ্কটা বোঝা গেল বিএসএফের খবরদারির সীমারেখা ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০কিমি করায়। এখন বেশ বোঝা যাচ্ছে, অমিত শাহ হিসেব কষেই নিশীথবাবুকে তাঁর পাশে জায়গা দিয়েছেন। জনসমর্থনের তলানিতে পৌঁছে যাওয়া কেন্দ্রীয় সরকার ও মিডিয়া নির্ভর বঙ্গ বিজেপিকে কোমা থেকে বের করার নতুন পরীক্ষা। কৌশল বারবার গোঁত্তা খেলেও হাল ছাড়েন না। এটাই অমিত শাহের ইউএসপি। সেই কারণে সরকারের ও দলের জয়ঢাক পেটানোর সময় দলের তাত্ত্বিক, পণ্ডিত, প্রবীণ নেতাদের ছিটকে দিয়ে নরেন্দ্র মোদির পাশে থাকেন তিনি। শুধুই তিনি।
১৯৭৫ সালের ২৬ জুন দিনটির কথা মনে আছে? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। ওইদিন দেশে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের পরামর্শে ইন্দিরা গান্ধীর কথায় রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ এই ‘কালা কানুন’ জারি করেছিলেন। রাজনারায়ণের করা মামলায় নির্বাচনী দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন  ইন্দিরা গান্ধী। এলাহাবাদ হাইকোর্ট যেদিন সেই রায় দিয়েছিল ঠিক সেই দিনই গুজরাত বিধানসভা ভোটের ফল বেরিয়েছিল। আর তাতে কংগ্রেস হেরে গিয়েছিল। একের পর এক ঘটনায় বোঝা যাচ্ছিল, কংগ্রেসি দুর্গের ভিত নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। শুধু ধাক্কা দেওয়ার অপেক্ষা। সেই উদ্দেশ্যে যখন দেশের বিরোধী দলগুলি আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।
যে কোনও ‘কালা কানুন’ লাগুর লক্ষ্য একটাই, সরকারের গদি বাঁচানো। কিন্তু মজাটা হল, সবটাই চালানো হয় দেশের সুরক্ষা অথবা মানুষের স্বার্থের কথা বলে। তবে, আইন করে, দমনপীড়ন চালিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে সরকারের কাজকর্মের ধারা বদলাতে হয়। আর সরকার নিজেকে না বদলালে মানুষই সরকার বদলে দেয়। এটাই নিয়ম। তাই ব্যাঙ্ক, কোলিয়ারি জাতীয়করণ সহ বহু ভালো কাজ 
সত্ত্বেও ‘এশিয়ার মুক্তিসূর্য’ ইন্দিরা গান্ধীকে ঘাড়ধাক্কা খেতে হয়েছিল। মোদিজি, এই ইতিহাসটা স্মরণে রাখলে আপনারই মঙ্গল।
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে সমস্ত সংস্কার ও নয়া আইন চালু করেছে, তার বেশিরভাগই মানুষের ক্ষতি করেছে। কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই আইন লাগু করার সময় দেওয়া হয়েছে জনস্বার্থের দোহাই। জরুরি অবস্থা জারির পর বেতার ভাষণে ইন্দিরা গান্ধীও ‘জনস্বার্থে’র দোহাই দিয়েছিলেন, এখন নরেন্দ্র মোদিজিও সেটাই করে চলেছেন।
নোট বাতিলের সময় মোদিজি শুনিয়েছিলেন ‘কালা ধন’ নিকেশের গল্প। গোটা দেশকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। চালু করেছিলেন এক হাজার টাকার পরিবর্তে দু’ হাজারি নোট। তবে, সেই নোট বাজারে খুব বেশি দেখা যায় না। নিন্দুকেরা টিপ্পনি কেটে বলছেন, নোট বাতিলে সাধারণ মানুষের 
ক্ষতি হলেও কালো টাকার মালিকদের লাভ হয়েছে বিস্তর। এখন একই জায়গায় দ্বিগুণ টাকা ধরে যাচ্ছে। এই না হলে ‘জনস্বার্থ’!
বিরোধীদের যাবতীয় প্রতিবাদকে অগ্রাহ্য করে পাশ করা হল কৃষি বিল। বলা হল, কৃষকের স্বার্থেই কৃষি আইন। চাষি ফসলের ন্যায্য দাম পাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। অর্থাৎ অবাধ মজুতদারির ছাড়পত্র। পরিণতি, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বহু জিনিসপত্রের দাম ১০০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। আফগানিস্থানে বোমা পড়লে এখানে পোস্তর দাম বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষ নাকানিচোবানি খাচ্ছে। মানুষ বিজেপিকে আর পছন্দ করছে না। তাই একের পর এক নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হচ্ছে। তবুও নিজেদের শোধরানোর কোনও চেষ্টা নেই। উল্টে ক্ষমতায় ফিরতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগাচ্ছে। 
মাত্র ৬ ঘণ্টার নোটিসে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে কোটি কোটি মানুষকে বিপদে ফেলেছিলেন মোদি। কিন্তু তখন তাঁর রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার কথা মনে ছিল না। নোট বাতিলের সময়েও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। আর পেট্রল-ডিজেলের জিএসটি লাগুর কথা উঠলেই রাজ্যের মতামত নিচ্ছেন। আহা, কত বড় ‘গণতন্ত্রপ্রেমী’। 
আসলে এই সবই রাজনীতির কৌশল। বিজেপি সব সময় ‘গাছেরও খাব তলারও কুড়াবো’ নীতি নিয়ে চলে। পেট্রপণ্যে জিএসটি লাগু করলে রাজ্যের কোষাগারে যেমন টান পড়বে, তেমনই কেন্দ্রের আয়ও বিপুল কমবে। বিজেপি যদি সত্যিই পেট্রপণ্যে জিএসটি লাগু করতে চায় তাহলে যে সব রাজ্যে তাদের সরকার আছে সেখানেই করতে পারে। সেটা কর঩লেই তো বিরোধীদের হাতে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা চাপে পড়ে যাবেন। তখন তাঁরাও পেট্রপণ্যে জিএসটি মেনে নিতে বাধ্য হবেন। কিন্তু, সেটা বিজেপি করছে না। এ থেকে প্রমাণ হয়, মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া নয়, রাজনীতি করাই বিজেপির উদ্দেশ্য।
অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর কৌশলটা মোদিজির কাছেই শিখতে হবে। পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির দায় সুচতুরভাবে তিনি রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছেন। অর্থমন্ত্রী বলছেন, রাজ্যগুলি চাইছে না বলেই পেট্রপণ্যে জিএসটি লাগু হচ্ছে না। ভাবখানা এমন, যে ব্যাপারে কেন্দ্র-রাজ্য স্বার্থ জড়িয়ে আছে সেবিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া মোদিজির সরকার একটি পা ফেলে না। আচ্ছা, যেভাবে নোট বাতিল করেছেন, যেভাবে কাশ্মীরে ৩৭০নং অনুচ্ছেদ বিলোপ করেছেন, যেভাবে কৃষি আইন করেছেন, সেই একইভাবে পেট্রপণ্যে জিএসটি লাগু করছেন না কেন? কেন্দ্র যদি বলে পেট্রপণ্যেও জিএসটি লাগু করা হল। তাহলে তাদের কে ঠেকাবে?
বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পাকা মাথার অঙ্ক। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে একটা কথা বলতেন, এবারের ভোট ‘দিদির পুলিস’ দিয়ে হবে না, ‘দাদার পুলিস’ ভোট করাবে। বিজেপি নেতাদের দাদার পুলিসের উপর বড় ভরসা। কারণ তারা অনায়াসেই ঘটিয়ে দিতে পারে ‘শীতলকুচি’। গুলি করে মারা জলভাত। এবার সেই ‘দাদার পুলিস’কেই বঙ্গের ১০টি জেলার ২১টি লোকসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় খবরদারির ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হল। 
বাংলার নির্বাচনের পর বিজেপির ছন্নছাড়া অবস্থা। নীচের তলায় ঝান্ডা ধরার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। দলের এমএলএ, এমপিরাও তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপি কর্মীরা প্রাক্তন আর বর্তমান রাজ্য সভাপতির সামনেই মারামারি করছেন। এই অবস্থায় বিজেপির ভরসা সেই এজেন্সিই। বিএসএফকে সামনে রেখে সীমান্ত এলাকায় ঘর বাঁচানোর চেষ্টা চালাবে। কারণ বিজেপির দিল্লির নেতারা খুব ভালো করেই বুঝেছেন, বিধানসভা ভোটের পর যেভাবে ভাঙন এবং বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে তাতে লোকসভা ভোটে হালে পানি পাবে না। তাই বিএসএফকে সামনে রেখে এলাকা কব্জা করার চেষ্টা চালাবে। আর তার প্রতিবাদ করলেই উঠবে চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযানে ও দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।
তবে, বিএসএফ এখনই খুব বেশি লাফঝাঁপ করবে না। এখন থেকে এলাকা ধরে ধরে নামের তালিকা তৈরি করবে। মাঝেম঩ধ্যে তল্লাশির নামে পরিচয়পত্র দেখতে চাইবে, চমকাবে। আসল খেলাটা শুরু করবে লোকসভা নির্বাচনের আগে।
কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে জঙ্গি নেতা হিসেবে নিশীথ প্রামাণিকের উত্থান। মারদাঙ্গা তো বটেই, অভিযোগ খুনের ঘটনাতেও জড়িয়েছে তাঁর নাম। সীমান্ত এলাকার চোরাচালান, বিভাজনের রাজনীতি তাঁর খুব ভালো করে জানা। সেই নিশীথবাবু এখন ‘দাদার পুলিসে’র হর্তা কর্তা বিধাতা। নয়া বিজ্ঞপ্তি তাঁর সামনে এনে দিয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়ি ঘোরানোর আইনি অধিকার।
কথায় আছে, কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ। বঙ্গে বিজেপি পরাস্ত হওয়ায় দিলীপ ঘোষের কপাল পুড়লেও কপাল খুলে গেল নিশীথ প্রামাণিকের। অমিত শাহের ‘জহুরির চোখ’। তাই নিশীথবাবুকেই যোগ্য সহযোগী ঠাওরেছেন। এমনিতে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীদের তেমন কিছু কাজ থাকে না। কিন্তু, অমিত শাহ বিএসএফের কর্তৃত্ব করার এলাকা বাড়িয়ে নিশীথবাবুর ‘কাজ করার’ জায়গাটা তৈরি করে দিলেন।
অমিতজি, ফন্দি এঁটে, বিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য নিত্যনতুন কৌশল বের করে আপনি বড়জোর ‘চাণক্য’ হতে পারেন, কিন্তু কিছুতেই ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হতে পারবেন না। কারণ দলকে সঙ্কট থেকে বের করে আনার ফর্মুলা আপনার জানা নেই।
23rd  October, 2021
জনস্বার্থে কালজয়ী কাজ
একটিও হল না কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ক্ষমতায় আরোহণ করেন, সেই ২০১৪ সালের মে-জুন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম চলছিল ১০৯ ডলার প্রতি ব্যারেল। ওই সময় ভারতে পেট্রলের দাম কত ছিল? ৭২ টাকা প্রতি লিটার। বিশদ

রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়!
মৃণালকান্তি দাস

তাহলে কি রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়? প্রশ্ন যাই থাক, এটাও ঘটনা যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যোগী সরকার ও সঙ্ঘ অস্বস্তিতে পড়েছে। মোদি সরকারই অযোধ্যার ট্রাস্ট গঠন করে ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে মনোনীত করেছে। ফলে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আলোচনায় সেই রামমন্দির। আলোচনায় রামের নামে দুর্নীতি! এই বদনাম কি সইতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথ?
বিশদ

28th  October, 2021
শুধু ভারত নয়, ধর্মনিরপেক্ষ উপমহাদেশ
হারাধন চৌধুরী

হাসিনা সত্যিই আন্তরিক হলে জাতীয় সংসদে বিল আনুন অবিলম্বে। দ্রুত ফিরিয়ে আনুন মুজিবের সেই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, স্বাধীনতার মাত্র দশমাসের ভিতরে মুজিব যেটা উপহার দিয়েছিলেন। হাসিনা বুঝিয়ে দিন, বাঙালি আজও সঙ্কীর্ণ নয়।
বিশদ

27th  October, 2021
গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। বিশদ

26th  October, 2021
দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল।
বিশদ

25th  October, 2021
একশো কোটির ঢক্কা নিনাদে
মোদির আগাম দেওয়ালি!
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি গত ডিসেম্বরে একবার ঘটা করে ঢাকি বিদায়ের মতো করোনা বিদায়ের কথা বলেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই দাবি। এবারও ১০০ কোটি ডোজের সাফল্য ফেরি করতে গিয়ে তিনি দেড় সপ্তাহ আগেই দেশে আগাম দেওয়ালি ডেকে এনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড স্মৃতি ভুলিয়ে মোদিজি দ্রুত ভোট রাজনীতির দৌড়ে ফিরতে চাইছেন।
বিশদ

24th  October, 2021
টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! বিশদ

22nd  October, 2021
এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।
বিশদ

22nd  October, 2021
সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো। বিশদ

20th  October, 2021
দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে।
বিশদ

19th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
একনজরে
রাজ্যের ‘টি ট্যুরিজম’ প্রকল্পের স্বার্থে এক চা বাগানের রাস্তার একটি অংশ দেওয়া হয় অন্য দু’টি কোম্পানিকে। বাগান কর্তৃপক্ষ বিকল্প রাস্তা বানাতে গিয়ে স্থানীয় বিরোধের সম্মুখীন। ...

দীপাবলির উপহার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর পাইপলাইনের মাধ্যমে লাদাখের গ্রামে পৌঁছল পানীয় জল। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মান-মেরাগ গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ...

বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM