Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জীবনে ফিরে আসুক
কোজাগরীর অনন্ত আলো
সন্দীপন বিশ্বাস

এ এমন এক শ্বাসরুদ্ধ সময়, যখন বেঁচে থাকার শর্তগুলো এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। ক্রমাগত ভাইরাসের আক্রমণ আর আতঙ্কে হারিয়ে গিয়েছে মানুষের আত্মবিশ্বাস। পৃথিবীটা আজ যেন চির অমানিশার এক গ্রহ। এরই মধ্যে জেগে উঠেছে আরও এক কোজাগরী রাত। এই রাতে অফুরান জ্যোৎস্নার ঢেউ ওঠে চরাচর জুড়ে। মার খাওয়া এই সঙ্কুচিত জীবনে নেমে আসুক অলৌকিক এক স্বপ্নের রাত, শুভ দিন। আবার নতুন বিশ্বাসে, নতুন প্রত্যাশায় বেঁচে ওঠার আশ্বাস ছড়িয়ে পড়ুক লক্ষ্মীপুজোর এই শুভক্ষণে। দেশের বহু মানুষ এখন কর্মহীন, অর্থহীন, স্বাস্থ্যহীন এক ভাঙাচোরা প্রজাতি। তার পুনরুত্থানের কামনায় বাঙালির ঘরে ঘরে কোজাগরী পূর্ণিমায় চলছে ধনদাত্রীর আরাধনা। অনন্তকাল ধরে বাঙালি বুক নিংড়ে যে সামান্য বরটুকু চেয়েছে, সেটা হল তার সন্তানকে দুধেভাতে রাখা। 
তবে সময় বড় যন্ত্রণাময়। উৎসবের আসরে একে তো ভাইরাসের আতঙ্ক ছিলই, তার উপরে মানবঘাতী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির উস্কানি মানুষকে বড়ই পীড়িত করেছে। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদকে অস্ত্র করে অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত জারি রয়েছে। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দার। একশ্রেণির মৌলবাদী দস্যু সেদেশের সংখ্যালঘু মানুষের ধর্মাচরণের উপর কুৎসিতভাবে আক্রমণ করেছে। এই জঘন্য আচরণের বিরুদ্ধে নিন্দায় মুখর হয়ে উঠেছে সারা বিশ্ব। তবে এটা যে বাংলাদেশের অন্তর থেকে সম্মিলিতভাবে উঠে আসা কোনও আক্রমণ নয়, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এমন এক শক্তি, যারা বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলতে চায়, ভারতের সঙ্গে হাসিনার সদ্ভাব নষ্ট করতে চায়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র মূলত দাদা চীনের, পাকিস্তানপন্থী বাংলাদেশিদের এবং রোহিঙ্গাদের। মনে রাখা দরকার এই ধরনের কাজ ভবিষ্যতে আরও হবে। খাল কেটে কুমিরের মতো রোহিঙ্গাদের ঘরে ঢোকানোর আরও মাশুল গুনতে হবে হাসিনা সরকারকে। এই সময়ে হাসিনা সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মৌলবাদীদের মোকাবিলা করে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হবে। উৎসবের সময় সেখানকার বিভিন্ন মণ্ডপে, মন্দিরে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তার পিছনে একটা বড় উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। সেই রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির আগুন জ্বলেছে কুমিল্লা, নোয়াখালি, রংপুর, রাজশাহি, সিলেট, ঢাকা, মাদারিপুর, কাশিমবাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর, কক্সবাজার, বেগমগঞ্জে। মন্দিরে হামলা হয়েছে, মণ্ডপে হামলা হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ইসকন। যেভাবে সর্বত্র একসঙ্গে আক্রমণ হয়েছে, তাতে বোঝাই যায় এর পিছনে একটা ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে আশার কথা বাংলাদেশেরই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ও শিক্ষিত সংখ্যাগুরুরাই এই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সঙ্ঘবদ্ধভাবে তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছেন, বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের হাতের পুতুল হতে দেবেন না। তাঁরাই পুজোর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে দুর্গামণ্ডপ রক্ষা করেছেন। সারারাত দুই সম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আসলে অশুভ শক্তির কোনও জাত হয় না, সম্প্রদায় হয় না, দেশও হয় না। অশুভ শক্তি হল অসুরের জাত। তারা মানব কল্যাণ বিরোধী। সমস্ত ধর্মের মধ্যেই অসুরদের উৎপাত অনুভব করা যায়। সমস্ত শুভ শক্তিকে একত্রিত হয়ে তাকে ধ্বংস করতে হবে। 
আজ কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ উপস্থিত। সেখানে ধর্মের নামে একটা উন্মত্ততা তৈরির প্রয়াস চলছে। অশুভ শক্তি চাইছে, হাসিনার ক্ষমতার ভিতকে ভেঙে গুঁড়িয়ে মৌলবাদী শাসকের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। আমাদের এখানে যেমন ধর্মান্ধ মানুষ আছেন, আবার ধর্মনিরপেক্ষ মানুষও আছেন, বাংলাদেশেও সেরকম। সেখানকার ধর্মনিরপেক্ষরা হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে রাশ শক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন। আবেদন জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, এই দেশটাকে অবিলম্বে ধর্মনিরপেক্ষ করে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে চরম আঘাত হানতে হবে। পাশাপাশি ভারতের চাপও রয়েছে। হয়তো অচিরেই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার বিল আনবে। যে আদর্শকে একদিন শেখ মুজিবুর রহমান মেনে চলতেন, আজ সেই আদর্শের পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।’ কিন্তু মৌলবাদীরা সেদিন তাঁকে খুন করে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার বোধকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ইসলাম ধর্মকেই রাষ্ট্র পরিচালনার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল। পরে হাসিনা সরকার এসে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার বোধকে কিছু কিছু সংযোজিত করেন। তিনি সেখানে সব ধর্মের সমানাধিকারের সুযোগ তৈরি করেছেন। সংবিধানে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত হলেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহ অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও সমান স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিতে হবে।  সেই অধিকার শুধু কাগজে কলমে স্বীকৃত হলেই চলবে না। বাংলাদেশের প্রশাসনকে তা মেনে চলতেও হবে। চীন, পাকিস্তান  চাইছে বাংলাদেশ তাদের হাতে সাজানো তামাক খাক। তাদের বশংবদ হোক। তাই এই লড়াই শুধু সেদেশের সংখ্যালঘুদেরই নয়, এ লড়াই সেদেশের মানুষ এবং প্রশাসনেরও। হয় তারা রুখে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘুদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে, না হয় তারা চীনের দাসে পরিণত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। সেদেশের সচেতন, শিক্ষিত মানুষের কাছে এই ভবিতব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। তাই তাঁরা নিজেদের দেশকে বাঁচাতে মৌলবাদীদের নির্মূল করতে চাইছেন দেশ থেকে। সেই বোধ জেগেছে হাসিনারও। তিনিও চাইছেন, রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। অশান্তির পর একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি বলেছেন, ‘যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের এটাই মূলমন্ত্র।’ সুতরাং অনেকেই মনে করছেন, তিনি আবার দেশকে ধর্মনিরপেক্ষতার মন্ত্রে বাঁধতে সক্ষম হবেন। 
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে এদেশের বিজেপিকূল একটা ইস্যু পাওয়ার আশায় সজাগ হয়ে উঠেছে। তারা এটাকে হাতিয়ার করে বাংলার মানুষের মনে একটু সহানুভূতির ঢেউ তুলতে চাইছে। রাজ্যের গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে পর্যুদস্ত হয়েছে। সেই ক্ষততে মলম লাগিয়ে তারা নতুন করে জেগে ওঠার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। সচেতন মানুষ সমস্ত পরিস্থিতির দিকেই নজর রেখেছেন।
পুজোয় বাঙালির আনন্দে কালি ছিটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আবার অন্যদিকে বাঙালির আত্মহারা পুজোর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাঙালির স্বার্থবিরোধী একটি পদক্ষেপও চুপিসারে নিয়ে ফেলেছেন। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত দখলদারি বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের। এটা আগে ছিল ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যেই ছিল তাদের যাবতীয় অপারেশন। বিএসএফ দেশের প্রহরীর কাজ করে, এনিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় তাদের কাজকর্ম কিন্তু বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। সীমান্ত অঞ্চলে যাঁরা থাকেন, সেই সব ভুক্তভোগী বিএসএফের একাংশের অত্যাচারের কথা জানেন। সাধারণ নিরীহ কৃষক সহ মা-বোনেরা তটস্থ হয়ে থাকেন। যেভাবে সেখানে অত্যাচার ও জোরজুলুমের ঘটনা ঘটে, তা সভ্য মানুষের পরিচয় বহন করে না। রাষ্ট্রক্ষমতা যাঁরা ভোগ করেন, তাঁরা যদি সৎ না হন, কাজের প্রতি সততা না থাকে, তবে সবকিছু বিশৃঙ্খল হতে বাধ্য। বাংলায় নির্বাচনে হারের বদলা নিতেই এটা করা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। নানাভাবে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত চলছে তো চলছেই। তিন রাজ্যে এই নিয়ম লাগু হয়েছে। এই তিন রাজ্য হল বাংলা, অসম ও পাঞ্জাব। তার মধ্যে বাংলা এবং পাঞ্জাবে বিজেপির ভাঙাচোরা অবস্থা। 
যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় একটি রাজ্যের যে সাংবিধানিক অধিকারটুকু ছিল, সেটাকে খর্ব করতে উঠে পড়ে লেগেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। সমস্ত সংস্থার স্বাধীনতাকে খর্ব করে তাঁরা সেগুলিকে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবহার করে চলেছেন। ইডি, আইটি, সিবিআই, এনআইএ, এনসিবির মতো সংস্থাগুলিকে যেভাবে দাসানুদাসে পরিণত করা হয়েছে, বিএসএফকে এবার সেভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছেন দুই কর্তা।  
অথচ বাঙালির কাছে মুখ্যমন্ত্রী যে স্বস্তিটুকু এনে দিতে চাইছেন, তাতে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা আনার চেষ্টা হচ্ছে। করোনাকালে এরাজ্যের মানুষের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন মমতা। বিভিন্ন খাতে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিয়ে তাঁদের লড়াইয়ের শক্তি জোগানোর চেষ্টা করছেন। ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার গড়ে সেখানে নারীর ক্ষমতায়নের চেষ্টা করছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথী, একশো দিনের কাজ সহ বহুমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে সবসময় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। বিপদকালে বা উৎসবের সময়ে তাঁর এই ভূমিকা দেখে অসহায় বিজেপি এখন শুধু ছিদ্রান্বেষীর ভূমিকা পালন করছে এবং কেন্দ্র বারবার চেষ্টা করছে রাজ্যকে বিপাকে ফেলার। 
তবে আজ এই শুভক্ষণে মানুষের আকুল প্রার্থনা— সব প্রতিকূলতা কেটে যাক। অনন্ত হোক এই কোজাগরী রাত। আকাশ থেকে গলানো সোনার মতো নেমে আসুক আরও আলো, আরও শান্তি। দীর্ঘায়িত হোক জীবনের কোজাগরী আলো।  
20th  October, 2021
জনস্বার্থে কালজয়ী কাজ
একটিও হল না কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ক্ষমতায় আরোহণ করেন, সেই ২০১৪ সালের মে-জুন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম চলছিল ১০৯ ডলার প্রতি ব্যারেল। ওই সময় ভারতে পেট্রলের দাম কত ছিল? ৭২ টাকা প্রতি লিটার। বিশদ

রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়!
মৃণালকান্তি দাস

তাহলে কি রামের নামে দুর্নীতিও করা যায়? প্রশ্ন যাই থাক, এটাও ঘটনা যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যোগী সরকার ও সঙ্ঘ অস্বস্তিতে পড়েছে। মোদি সরকারই অযোধ্যার ট্রাস্ট গঠন করে ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে মনোনীত করেছে। ফলে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আলোচনায় সেই রামমন্দির। আলোচনায় রামের নামে দুর্নীতি! এই বদনাম কি সইতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথ?
বিশদ

28th  October, 2021
শুধু ভারত নয়, ধর্মনিরপেক্ষ উপমহাদেশ
হারাধন চৌধুরী

হাসিনা সত্যিই আন্তরিক হলে জাতীয় সংসদে বিল আনুন অবিলম্বে। দ্রুত ফিরিয়ে আনুন মুজিবের সেই ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, স্বাধীনতার মাত্র দশমাসের ভিতরে মুজিব যেটা উপহার দিয়েছিলেন। হাসিনা বুঝিয়ে দিন, বাঙালি আজও সঙ্কীর্ণ নয়।
বিশদ

27th  October, 2021
গাড়ি না চড়লেও তেলের
জ্বালায় ফোস্কা পড়ে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমরা ভোটে জিতব... যেভাবে হোক। নির্বাচনী দামামা বেজে গেলে তখন না হয় মাস দুয়েক পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়বে না। থমকে যাবে রান্নার গ্যাসও। তখন কেন আর নিয়ন্ত্রণ তেল কোম্পানিগুলির হাতে থাকে না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু নেই। বিশদ

26th  October, 2021
দক্ষিণ এশিয়া কি অন্ধ হয়ে যাবে?
পি চিদম্বরম

সীমানা দেশগুলিকে চিহ্নিত করে, কিন্তু মানুষকে ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই জিনিস বিশ শতকে ঘটেছিল।
বিশদ

25th  October, 2021
একশো কোটির ঢক্কা নিনাদে
মোদির আগাম দেওয়ালি!
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি গত ডিসেম্বরে একবার ঘটা করে ঢাকি বিদায়ের মতো করোনা বিদায়ের কথা বলেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই দাবি। এবারও ১০০ কোটি ডোজের সাফল্য ফেরি করতে গিয়ে তিনি দেড় সপ্তাহ আগেই দেশে আগাম দেওয়ালি ডেকে এনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড স্মৃতি ভুলিয়ে মোদিজি দ্রুত ভোট রাজনীতির দৌড়ে ফিরতে চাইছেন।
বিশদ

24th  October, 2021
বিএসএফের খবরদারি
বৃদ্ধির পিছনে আসল অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপেই থাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পাকা মাথার অঙ্ক। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে একটা কথা বলতেন, এবারের ভোট ‘দাদার পুলিস’ করাবে। সেই ‘দাদার পুলিস’কেই বঙ্গের ১০টি জেলার ২১টি লোকসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় খবরদারির ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হল।
বিশদ

23rd  October, 2021
টিম ইন্ডিয়া – প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই
নরেন্দ্র মোদি

আজ পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি দেশই নিজেরা টিকা তৈরি করতে পেরেছে। ১৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে কয়েকটি মাত্র উৎপাদকের ওপরেই নির্ভরশীল। বেশ কিছু দেশ এখনও টিকা হতে পাওয়ার অপেক্ষায়। সেখানে ভারত ১০০ কোটি ডোজের মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে! বিশদ

22nd  October, 2021
এই সামগ্রিক ব্যর্থতার দায় কার?
সমৃদ্ধ দত্ত

জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। রান্নার গ্যাস আকাশছোঁয়া। ব্যাঙ্ক ডাকঘরের সুদ কম। বেকারত্ব এবং অনাহারে ভারত অন্য রাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প, আয়কর, সরকারি স্কিম অথবা নতুন কাজের সুযোগ—সাধারণ নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে কোনও সহায়তাই সরকারের থেকে পাচ্ছে না।
বিশদ

22nd  October, 2021
সাম্প্রদায়িক হিংসা জাগিয়ে ফায়দা চায় রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

‘সংখ্যালঘুরা কার কাছে বিচার চাইবেন?’ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা শুধু উৎসবকেই ম্লান করেনি, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকেও লজ্জায় ফেলেছে।
বিশদ

21st  October, 2021
দু’টো ডোজ মানেই
বিশল্যকরণী নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

করোনা বিদায় নেয়নি। তা সত্ত্বেও আনন্দে মেতেছেন এঁরা... পুজো কমিটির ধারক ও বাহকেরা। তাঁরা প্রভাবশালী। তাই ২০০৯ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হেলায় অমান্য করতে পারেন। আদালত তো জানিয়েই দিয়েছিল, কোনওভাবে মণ্ডপের উচ্চতা যেন ৪০ ফুট না ছড়ায়। তা সত্ত্বেও বছরের পর বছর বহু পুজো কমিটি ইচ্ছেমতো প্রভাব খাটিয়ে চলেছে।
বিশদ

19th  October, 2021
মানবাধিকারের পক্ষে ক্ষতিকারক মানসিকতা
পি চিদম্বরম

গত তিন বৎসরাধিককালে প্রধানমন্ত্রী ভীমা কোরেগাঁও মামলায় বন্দিদের মানবাধিকার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এমনকী এনআইএ নামক যে সংস্থার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন তার তরফে এই মামলার অভিযোগ গঠনে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ নিয়েও তিনি নিশ্চুপ। ... আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যখন তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা মানবাধিকারের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।’’ বিশদ

18th  October, 2021
একনজরে
ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...

তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...

বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM