Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

‘আমি একরোখা একগুঁয়ে,
শেষ দেখে তবে ছাড়ব’

ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, জেডএসআই)-এর শীর্ষ পদে প্রথম মহিলা মুখ তিনি। বাধার অদৃশ্য সেই ‘কাচের দেওয়াল’ ভাঙতে মহিলারা লড়াই করেন প্রতিনিয়ত। তিনি অনায়াসে সেটা ভেঙে দিতে পেরেছেন। কিন্তু চলার পথটা কেমন ছিল? জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
 
 শীর্ষ পদ ছুঁয়ে ফেলার আগে পথটা কি আদৌ মসৃণ ছিল?
 চলার পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। নানাসময় নানারকম লড়াই করতে হয়েছে। তবে তার পাশাপাশি বলব, বিরাট বা ভয়ঙ্কর নাটকীয় কোনও বাধা এসে আমায় আটকে দিয়েছে, এমন নয়। আমি ভাগ্যবান, চারপাশ থেকে অনেকটাই সহযোগিতা পেয়েছি। তাই বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতেও পেরেছি। কিন্তু মহিলা হওয়ার জন্যই সব বাধা তৈরি হয়েছে, এটা আমি বলব না। হয়তো এমন কোনও পদক্ষেপ করতে হয়েছে যেটা একজন পুরুষকে করতে হতো না, কারণ তাঁর সেটা করার দরকারই পড়ত না। তবে আমি তো শুধু একজন মহিলা বিজ্ঞানী নই, আমি মা, স্ত্রী, একমাত্র পুত্রবধূ এবং নিজের বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। এতগুলো দায়িত্ব ছিল। তার জন্য কেরিয়ারে প্রভাবও পড়েছে। তবে আমার মতে, মহিলারা যখন মনে করেন, কোনও লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন, তখন তাঁরা একেবারে সাহসী এবং নির্ভীক হয়ে যান। এই একরোখা একগুঁয়েমি ভাবটা আমার মধ্যে ছিল। অনেক দ্বন্দ্বের মধ্যেও সেই ভাবনাটা ঠিক এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই যে কোনও বয়সের মেয়ের এটা মনে রাখা উচিত, নিজের মধ্যেকার শক্তিটা হারিয়ে ফেলা যাবে না কিছুতেই। আমি হয়তো একটা জিনিস প্রাথমিকভাবে পারব না, কিন্তু ছাড়বও না। বলা ভালো, শেষ দেখে ছাড়ব। 

 ভবিষ্যতে জেডএসআইতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য আপনি কী ভেবেছেন?
 কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং বায়ুপরিবর্তন মন্ত্রকের অধীনে জেডএসআইয়ে কিন্তু অনেক মহিলাই এসেছেন। মহিলাদের বিজ্ঞানী হিসেবে অংশগ্রহণ বেড়েছে ২০-২১ বছর আগে থেকেই। তারপর থেকে যত রিক্রুটমেন্ট হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ মহিলা আছেন। আলাদা করে মহিলাদের নিয়োগ করার জন্য তাই কিছু করতে হয় না।

 বিজ্ঞানে মহিলারা কম উৎসাহী। এ অভিযোগ বহুদিনের। এখন ধারণাটা অনেকটা পাল্টালেও মুছে যায়নি, কী কারণ এর জন্য দায়ী বলে আপনার মনে হয়?
 মেয়েদের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রেই খুব অভাব রয়েছে। শহরে এটা এতটা বোঝা যায় না। কিন্তু গ্রামের দিকে গেলে বোঝা যায়। বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য অনেক সময়ই ভালো শিক্ষক পায় না মেয়েরা। একেকটি জায়গায় অবশ্যই অনেক দক্ষ মনোযোগী শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু একটা বড় অংশে মেয়েরা সেই সুযোগটা পায় না। আমি এটা বুঝতে পারি বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে কথা বলে। ওদের ছেলেমেয়ে বা নাতিনাতনির পড়াশোনা নিয়ে প্রশ্ন করলে বলে, স্কুল থেকে ঠিকমতো গাইড করে না, ভালো শিক্ষক শিক্ষিকাও নেই। এটাই তো বড় বাধা। আর গ্রামে এমনিতেই মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে লোকে ভাবে কম। ভাবে রান্না শিখুক বা বিয়ে হবে। আর একটা অংশ আছে মোবাইল দেখবে, কিন্তু পড়াশোনায় মাথা ঘামাবে না। শহরে চিত্রটা আলাদা। সেখানে অনেক বেশি সংখ্যক মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণারত। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে যেটা হয়, ইচ্ছেটা থাকা সত্ত্বেও হয়তো জেদটা থাকে না, তাই অনেকে পিছিয়ে পড়ে। কিছুই তো সহজে পাওয়া যায় না জীবনে। তা সে পুরুষ হোক বা মহিলা, প্রত্যেকেই তার মতো করে চেষ্টা করে। এটা ঘটনা যে, মেয়েদের মাথায় অনেক বেশি দায়িত্ব দিয়ে বড় করা হয়। তাই মেয়েদের মনে সেই সব আনুষঙ্গিক বিষয় অনেকটা জুড়ে থাকে। তাতে জেদ বা লক্ষ্যটা ধাক্কা খায়। একইসঙ্গে মেয়েরা যে মাল্টিটাস্কিং করতে পারে, সেটাও তৈরি হয়ে যায়। এটা কিন্তু পুরুষরা পারে না।

 বিভিন্ন পেশা অথবা গবেষণার ক্ষেত্রে মহিলারা এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নানাভাবে। সমাজে একাংশ মহিলাদের অবদান স্বীকার করে নিলেও তলায় তলায় সেই চেপে দেওয়ার ব্যাপারটা খুবই প্রকট। কীভাবে লড়বেন মেয়েরা?
 দেখুন লিঙ্গবৈষম্য এমনি এমনি একদিন চলে যাবে না। এটা বিশ্বজুড়ে চলে। ধরে নিতে হবে এটা একটা বাধা, যেটা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সেইভাবেই তো নিজেকে মোটিভেট করতে হয়। পুরুষদের মধ্যে একটা আত্মতুষ্টি চলে আসে, তাদের মনে হয় আমি যোগ্য হলেই সুযোগ পাব। এই আত্মতুষ্টিটা মেয়েদের মধ্যে আসে না। কারণ তারা জানে তারা যোগ্য বলেই শুধু তাদের লড়াই করতে হয় না, তাদের চারপাশে যে অনেকে অযোগ্য, এটা প্রমাণ করার জন্যও তাদের লড়তে হয়। এটা বড় লড়াই। আর এটা সবসময় থাকবে।  
 
 আপনি নিজে একজন মা। বলা হয় জীবনের প্রথম শিক্ষা শিশু পায় তার মায়ের কাছ থেকে। সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত বলে আপনার মনে হয়?
 আমার এক মেয়ে। ওর গায়ে হাত তুলিনি কোনওদিন। বকিওনি। আমি বরাবরই ওয়ার্কিং মাদার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম। আমার মা আমায় বলেছিলেন, ‘তুই মেয়েকে সারাদিনে কতটা সময় দিস যে তুই দেখা হলেই শাসন করবি?’ সেই কথাটা মাথায় রেখেছিলাম। আমি নিজে ছোটবেলার মারধোর খাইনি, তা কিন্তু নয় (হাসতে হাসতে)। তবে তখন সময়টা অন্যরকম ছিল। মা আমায় বোঝালেন, ‘যেটুকু সময় মেয়েকে দিচ্ছিস, সেটা বকেঝকে নষ্ট করিস না। তাতে তুই বাড়ি ফিরলে ওর খুশিভাবটা চলে যাবে।’ সেটা বুঝেছিলাম। আর আমি ভাগ্যবান, মেয়ে খুব ভালো মানুষ হয়েছে। একটা কথা ওকে ছোট থেকে বুঝিয়েছি, প্রত্যেকের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। জীবন যতই কঠিন হোক, কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না। মানুষের প্রতি যত্নবান হবে। এটা থাকলেই দায়িত্ববোধ আসে। আমি চেয়েছিলাম ও ছোট থেকেই বুঝুক, ওর চারপাশে যারা রয়েছে, তাদের কতটা গুরুত্ব। তারা না থাকলে ওর কতটা অসুবিধে হবে। এই বিষয়টা আমি নিজেও বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। জীবনে তার ফলও পেয়েছি। আমার চারপাশের মানুষজনের সহযোগিতা পেয়েছি বলেই অনেক কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। 

 পরিবারের সমর্থন না পেলে কাজের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া অসম্ভব। আপনি সেটা পেয়েছেন। কিন্তু মহিলাদের একটা বড় অংশের লড়াই শুরু হয় ঘর থেকেই। অনেকে একারণে থমকে যান। কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। মনের জোর কীভাবে পাবেন তাঁরা?
 ওই যে বললাম, হাল ছেড়ো না। ওটাই মন্ত্র। লেগে থাকতে হবে। কিছু না কিছু হবেই। এটা আমার বিশ্বাস। সবসময় যে লক্ষ্য ঠিক করা থাকে, তা নয়। আমি যখন জেডএসআই জয়েন করি, তখন আমার ২৮ বছর বয়স। আমি তো ভাবিনি ৫০ বছর বয়সে ডিরেক্টর হব। কিন্তু যা করেছি, সিরিয়াসলি করেছি। ভালো ছাত্রী ছিলাম, সেটা একটা সুবিধা হয়েছে। জীবনে ওঠা-পড়া তো থাকবেই। মসৃণ রাস্তা দিয়ে কেউ হাঁটে না সারাজীবন। দেখবেন যার কেরিয়ার খুব মসৃণ, তার বাড়িতে হয়তো সমস্যা রয়েছে। আর একটা বড় কথা, জীবনে কিছু জিনিস ছেড়ে দিতে শিখতে হয়। কারণ অনেকে এমন থাকবে যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে বা আমার বিরুদ্ধে কিছু করবে। আর আমি একটা বিশেষ পদমর্যাদায় পৌঁছনোর পর ভাবব, তাদের শিক্ষা দেব— না, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে হবে। আমার যখন বিয়ে হয়েছিল, তখন বাপের বাড়ি ছেড়ে আসার সময় মা কানে কানে বলেছিলেন, ‘বোবার শত্রু নেই।’ কেরিয়ার-অফিস কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, সব জায়গায় এটা আমি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি। অনেক বিষয় থাকে, যা নিয়ে মুহূর্তের অসাবধানতায় আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এটা করতে নেই। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। কিন্তু সব কিছুকে গুরুত্ব দিতে নেই। সামনে কোনও বাধা এলেই ভাবব, এটা আমার সঙ্গেই কেন হচ্ছে? বাধাটাকে এত বড় করে কেন দেখব? সেটা পেরিয়ে যে রাস্তাটা পাব, সেটার কথা কেন ভাবব না? মেয়েদের সেটা মাথায় রাখতে হবে।

 মেয়েরা মেয়েদের পাশে থাকলে অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজ পিতৃতন্ত্রের বুলিটাও মেয়েদের দিয়েই বলিয়ে নেয়। কীভাবে একে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন মেয়েরা?
 একজন মেয়ের গোটা জীবন আর একজনের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। তোমার রাস্তাটা দুর্গম দেখে আমি পিছিয়ে যাব না। আমার রাস্তাও দুর্গম, পাথর ছড়ানো। পাথর ডিঙিয়ে যাব। সেগুলোকে সরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছব। এই রাস্তা খুঁজে পাওয়াটাই বড় ব্যাপার। বুদ্ধির ব্যাপার। কতটা মানিয়ে নিতে পারি পরিস্থিতির সঙ্গে, সেটা দেখব। কোনও একজনের কিছু পছন্দ নয় বলে সেটা নিয়ে লড়াই করতে নামব না। এগুলো করলে এক তো সময় নষ্ট, আর নয়তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইটা করা হয় না। আমরা মেয়েরা অনেক ছোট ছোট গন্ডিতে নিজেদের আটকে ফেলি। ধরুন একজন কর্মরতা মহিলা, তার খুবই ব্যস্ত জীবন। একদিন বাড়িতে পরিচারিকা এল না। মেয়েটি যদি বাড়ির লোকের সঙ্গে ঝগড়া করতে নামে, কেন আমি এত কাজ করব? তাতে সময়টাই বয়ে যাবে। সেখানে শান্তভাবে দেখলেই হয়, তার বেরনোর সময়ের আগে কতটা কাজ সে করতে পারবে। সেটা করে সে বলে দেবে, এই অবধি আমি করলাম। এবার তোমরা দেখো। তারপর সে কাজে বেরিয়ে যাবে। তা না হলে কিন্তু যুক্তি-তক্কে অনেকটা এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সময়টায় বরং গঠনমূলক কিছু করা অনেক ভালো। মেয়েরা সেটাই ভুলে যায়। আর একটা কথা, তুমি মানুষকে সাহায্য করো, সেই সাহায্য অন্য কারও থেকে হলেও ফিরে পাবে। 

 বিজ্ঞান ছাড়া কী কী ব্যাপারে আপনার উৎসাহ রয়েছে? অবসরে কী করতে পছন্দ করেন?
 ছবি আঁকা, বই পড়া, গান শোনা এ সব তো আছেই। একটা সময় খুব বনসাঁই করতাম। আগে গানও করতাম। এখন ইচ্ছে আছে গ্রাফিক আর্ট শেখার।

 সামনেই তো পুজো। এই সময়টা কীভাবে কাটান? পুজোর স্মৃতি বলতে কী মনে পড়ে?
 আমাদের কালীঘাটের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। সেটা সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো পুজো। যাকে জোড়াবাড়ির সিংহবাহিনীর পুজো বলা হয়। পুজোর দিনগুলো, মানে পঞ্চমী থেকে দশমী আমার তুমুল ব্যস্ততা। নাওয়া-খাওয়া প্রায় বন্ধ! সপ্তমীতে ঠাকুর বরণ থেকে শুরু করে দশমীর বরণ, বিসর্জন, ভোগ রান্না, নৈবেদ্য ঠিক করা, কলা বউ কী পরবে— সবেতেই আমি। বাপের বাড়িতে জীবনে এসব করিনি। বাইরের প্যান্ডেলে অঞ্জলি, খাওয়াদাওয়া ওই অবধি। শ্বশুরবাড়ির পুজোয় জড়িয়ে পরার পর বুঝলাম এটা অফিস জবের থেকে কিছু কম নয়! যখন থেকে এখানে এসেছি, এটা জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজো বড় ব্যাপার। তাই মহালয়ার আগে থেকেই প্ল্যানিং চলে। পুরো ডায়েরি ধরে। বিয়ের পরপরই অবশ্য এত দায়িত্ব ছিল না। শাশুড়ি বা পিসিশাশুড়ি সব দেখতেন। তখন আমার কাজ বলতে ছিল আলপনা দেওয়া, ঠাকুর সাজানো ইত্যাদি। হাতেকলমে এত কাজ ছিল না তখন! সঙ্গে গৃহদেবতা আছেন। দোল উৎসবেও আমাদের খুব জাঁকজমক। তারপর চারবার লক্ষ্মীপুজো, মনসাপুজো সবই হয়। আসলে কী জানেন, মেয়েদের তো নানা সময় প্রয়োজনমতো আলাদা আলাদা ভূমিকা পালন করতে হয়। তাই পরিকল্পনা করে এগতে পারলে সবই সম্ভব। সেটা আমার বাবা বলতেন। 
04th  September, 2021
গিন্নি হলেন কর্তা

মেয়েরা আজ বহুক্ষেত্রে একাই সংসারী। সংসার সামলাতে তাঁদের তাই পুরুষের সাহচর্য লাগে না সবসময়। এহেন গিন্নিরা আদতে সংসারের কর্তাই বটে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার মাঝেমধ্যেই সমাজের অনভ্যস্ত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে এই কটাক্ষ বিড়ম্বনা স্বরূপ, কিছু ক্ষেত্রে আবার হাস্যকর। এই নিয়ে রসরচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

23rd  October, 2021
আইনজীবী হতে চান
প্রতিবন্ধী কন্যা কঙ্কাবতী

প্রতিভা মানুষকে পরিচিতি দেয়। আর সেই পরিচয় নিয়ে আমরা সমাজকে ফুলে-ফলে বিকশিত করে তুলি। সমৃদ্ধ হয় দেশ। নিকষ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে উজ্জ্বল আলোর বাতাবরণ তৈরি হয় সেই প্রতিভারই মাধ্যমে।  বিশদ

23rd  October, 2021
শ্বেতার অভিনব ইনস্টা সিরিজ

শ্বেতা রামরাজ ওরফে ক্যালাইডোলাইট। মহিলাদের অগ্রগতি নিয়েই তাঁর কাজ। পেশায় তিনি শিল্পী। সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি সিরিজ বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেটি মহিলাদের স্কেচ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট যাঁরা, সেইসব মহিলার মুখচ্ছবি এঁকেছেন শ্বেতা। বিশদ

23rd  October, 2021
নারীশক্তি এবং দেবী দুর্গা

দেবী দুর্গাই নারীশক্তির প্রতিক। দেবীর শক্তির বিভিন্ন রূপ যুগ যুগ ধরে নারীর মধ্যে সঞ্চারিত। নারী কখনও বীরাঙ্গনা, কখনও বা স্নেহময়ী। বিভিন্ন সময়, নানাভাবে নারীশক্তির এই স্তরবিন্যাস বিশ্লেষণ করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  October, 2021
এখন মেয়েরা

রাজস্থানের এক গ্রামের মেয়ে সোনাল শর্মা। বাবা দুধ বিক্রি করেন। কিন্তু মেয়ে একেবারেই ভিন্ন পথে হাঁটলেন। পড়াশোনা শেষ করে আইনের পরীক্ষায় বসলেন সোনাল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উকিল হওয়ার মুখে তিনি। তাই বলে যে সারা দিন শুধুই পড়াশোনা করে কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন এমনটা ভাববেন না। বিশদ

09th  October, 2021
মন্দিরে মন্দিরে
দুর্গাপুজো

ভারতের নানা রাজ্যে রয়েছে দেবী দুর্গার মন্দির। কোথাও দেবী নিত্য পুজো পান, কোথাও বা মহা ধুমধাম সহকারে পালিত হয় নবরাত্রি ও দশেরা। মন্দিরের পৌরাণিক গল্প ও পুজোর বিবরণ বর্ণনায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

02nd  October, 2021
এখন মেয়েরা
পাহাড় চূড়ায় মেয়েরা

গত ১ আগস্ট শুরু হয়েছিল তাঁদের অভিযান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন মহিলা ঠিক করলেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিজেদের পারদর্শিতা তাঁরা সর্বসমক্ষে তুলে ধরবেন। পাহাড় ভালোবাসেন তাঁরা সকলেই। আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশাও তাঁদের প্রবল। বিশদ

02nd  October, 2021
সারদা মিশনে 
মাতৃপুজো

শ্রীশ্রীমা সারদার পুজো বিষয়ে আলোচনায় প্রব্রাজিকা আপ্তকামপ্রাণা।  বিশদ

25th  September, 2021
এখন মেয়েরা

এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শীর্ষে রয়েছেন তিনি। অঙ্কে তাঁর ভীষণ দখল। আবার মহিলাকেন্দ্রিক বিষয় নিয়েও তাঁর চিন্তার অন্ত নেই। তিনি নমিতা থাপার। এমকিউর ফার্মার তিনি এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর। হেল্থ কেয়ারে কাজ করার সুবাদে নমিতা মহিলাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অভাব খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বিশদ

25th  September, 2021
দুর্গাপুজোর  মহোৎসবে 
মেয়েরা

প্রায় দু’শো বছর ছুঁই ছুঁই লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো। মহাপুজোর প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বাড়ির মেয়ে বউরা। পুজোর পুরনো ও নতুন গল্প নিয়ে কলম ধরলেন লাহাবাড়ির কন্যা সুস্মেলী দত্ত।
বিশদ

18th  September, 2021
এখন মেয়েরা

জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না জোহানা লুৎজ। জার্মানির এই কন্যাটি তাই স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি তিনি নাসা-র বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন। অথচ লুৎজ হয়ে উঠলেন নাসার প্রথম এবং একমাত্র বধির বিজ্ঞানী। কিন্তু কেমন করে ঘটল এই অভাবনীয় ঘটনা? বিশদ

18th  September, 2021
গানে গানে 
নারী শক্তি

৩০ বছর ধরে বাউল গানের সাধনা করছেন রিনা দাস বাউল। মহিলাদের নিয়ে গান লেখেন তিনি। সমাজে নারী শক্তির প্রচার ও প্রসারই তাঁর লক্ষ্য। বাউল সঙ্গীত, বিদেশে বাউল গানের অনুষ্ঠান ও নিজের গানের ভাষা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

11th  September, 2021
এখন মেয়েরা

আনা এলিজাবেথ জর্জ হলেন কেরলের এক হোম বেকার। ওনাম উৎসবে এক অভিনব কাজ করে বসলেন তিনি। গোটা একটা শাড়ির ডিজাইনে বানিয়ে ফেললেন ধোসা! অবশ্য এই খাবারকে ধোসা না বলে বরং এডিবল শাড়ি নামেই বিক্রি করেছেন। বিশদ

11th  September, 2021
নির্যাতনের বিরুদ্ধে 
মেঘার লড়াই

মিমির বয়স তখন তেরো। বাবা, মা, কাকা কাকিমা ও খুড়তুতো দাদা মিলে তাদের বড় সংসার। কাকাকে ভীষণ ভয় পেত মিমি। অথচ কাকা তো ভীষণ ভালোবাসেন তাকে। দেখতে পেলেই জড়িয়ে ধরেন। চুমু খান। তবু মিনি ধারে পাশে ঘেঁষতে চায় না। মা এই নিয়ে বকাবকি করলে একদিন মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলেছিল সে। বিশদ

04th  September, 2021
একনজরে
বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...

ফের মালদহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার হল। বুধবার রাতে ইংলিশবাজার থানার মহদিপুর স্থলবন্দরের বড় পার্কিং এলাকা থেকে ১০টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস জানিয়েছেন। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...

তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM