Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

দুর্গাপুজোর  মহোৎসবে 
মেয়েরা

প্রায় দু’শো বছর ছুঁই ছুঁই লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো। মহাপুজোর প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বাড়ির মেয়ে বউরা। পুজোর পুরনো ও নতুন গল্প নিয়ে কলম ধরলেন লাহাবাড়ির কন্যা সুস্মেলী দত্ত।

কথায় কথায় সেদিন দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ উঠতেই, লাহা পরিবারের আদুরে আহ্লাদি গিন্নিমা বছর একশো ছুঁই ছুঁই লীলাবতীর চোখ দুটো কেমন যেন চিকচিক করে উঠল। সে কি কষ্টে না আনন্দে কে জানে! স্মৃতিভারে জর্জরিত এই অশীতিপর বৃদ্ধার দিকে চেয়ে থাকা ওঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের চোখে তখন ফুটে ওঠে হাজারো জিজ্ঞাসা। ‘কেমন ছিল সে সময়ের পুজোর সাজগোজ, প্রসাধন, পোশাকআশাক, উৎসবের প্রস্তুতিপর্ব?’
‘সাধারণ রূপচর্চা হিসেবে বেসন দুধের সর তো ছিলই, তার সঙ্গে ময়লা ত্বক ঝকঝকে হওয়ার জন্য বাদামবাটার পেস্ট, গোলাপ জল, ময়দা, জাফরান— কোনও কিছুই বাদ যেত না। এমনি সময় চুল পরিষ্কার করা হতো রিঠে দিয়ে। কিন্তু দুর্গাপুজোর সাজগোজের প্রস্তুতি হিসেবে স্থানীয় হাকিমি দোকান থেকে আনানো হতো জবাফুল, নারকেল তেল ও বিভিন্ন ভেষজ উপাদানে সমৃদ্ধ ‘মাথাঘষা’-র বিশেষ উপাদান। এভাবেই প্রায় একমাস আগে থেকে চলত পুজোর তোড়জোড়।’
 ‘আচ্ছা ঠাম্মা, স্টাইল ব্যাপারটা সে সময় আদৌ কি ছিল?’ বউমা ভারতীর পর এবার নাতনির প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। লীলাবতী সপ্রতিভভাবে জানালেন, ‘ছিল মানে, অবশ্যই ছিল। না হলে, সিনেমার নায়িকাদের অনুকরণে চুল বাঁধার ছাঁদ, শাড়ি ব্লাউজের রকমফের, গয়নার হরেক ডিজাইন— এইসবের চল থাকত কি? তার জন্য অনেক ধরনের প্রস্তুতিও চলত অবশ্য। বাড়িতে আসত মুসলমান দর্জি। চিকের আড়াল থেকে মেয়ে বউরা ঠিক যেমনটি বলতেন ঠিক সেভাবেই তারা শাড়ি ও ব্লাউজে ফ্রিল, লেস, ঝালর, কুঁচি কখনও বা সোনা বা রুপোর তার দিয়ে সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করে দিত। তবে হ্যাঁ, সেই সময় কিন্তু এরকম ম্যাচিং ট্যাচিংয়ের বালাই ছিল না।’
এ পর্যন্ত এক নিঃশ্বাসে বলে এবার লীলাবতী একটু দম নিলেন। ‘ঠাম্মা শুনেছি, পুজোয় নাকি লাহাবাড়ির বউ মেয়েরা সেলাই করা জামাকাপড় পরতেন না?’প্রশ্ন করল নাতনি।  ‘ঠিক শুনেছিস ভাই, আমার বিয়ে হয়েছিল ন’বছর বয়সে। বিয়েতে লাল টুকটুকে একটা চেলি গায়ে জড়িয়েছিলাম আর শরীরের ওপরে একটা উড়নি ছিল মাত্র। সেটাই নিয়মমাফিক আমার বিয়ের পর প্রথম দুগ্‌গাপুজোয় আবার একদিন পরেছিলুম। সঙ্গে গায়ে চড়িয়েছিলুম প্রচুর গয়না। সাতনরী হার, মুক্তোর কলার, সোনার চিক, জড়োয়ার নেকলেস, বিছে হার, গিনি-গাঁথা হার, আর্মলেট, রিস্টলেট, খোঁপার বাগান, নথ, ঝাড়ঝুমকো, রুপোর মল, পায়েজোর... আরও কত কী! আর পুজোর অন্যান্য দিন পরেছিলুম বেনারসি। তবে অষ্টমীর দিন আমাদের শাশুড়ি মায়ের পুরনো বেনারসি পরতেই হতো। সঙ্গে থাকত হীরের গয়না।’
 ‘মা গো, মনে আছে নতুন বউ হয়ে এ বাড়িতে আসার পরে, তোমার হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে রোজ পুজোবাড়ি যেতুম আর হাঁ করে চেয়ে দেখতুম— তোমাদের চুলগুলো— কতরকম খোঁপার ডিজাইন সব! শাশুড়ি হয়ে গেছ বলে সাদা খোলের কাপড় আটপৌরে করে পরতে বটে, কিন্তু চুল বাঁধতে নানারকম করে’। বউমার কথা শুনে ফোকলা দাঁতে ফিক ফিক হেসে ঠাম্মা বলে উঠলেন, ‘কাননদেবী, অনুভাদেবী, পদ্মাদেবীর মতো ইস্টাইল করতাম গো। সে যুগে বাংলা ছবির নায়িকাদের আদলে আমরা খোঁপা বাঁধতুম। এলোখোঁপা, বিনুনিখোঁপা এরকম কত শত যে খোঁপার রকমফের ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। পুজোর প্রায় মাসখানেক আগে থেকে প্রতিদিন বিকেলে বসত বউ-ঝিদের চুলবাঁধার রিহার্সাল। অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট নববধূরা ছিল এই কাজে বলির পাঁঠা। শাশুড়ি, ননদ, জা, পিসিশাশুড়ি মাসিশাশুড়িদের আবদারে মাথাভর্তি চুল নিয়ে বেচারিদের তখন যেন নাভিশ্বাস অবস্থা। এক এক দিন এক একরকম চুল বেঁধে আসন্ন পুজোর জন্য এই ছাঁদটা কতটা কীভাবে কার জন্য উপযুক্ত, তা বিচার করা হতো। আসলে সে যুগে তো এমন সব ফ্যাশন প্যারেড ট্যারেডের বালাই ছিল না, টেলিভিশন, মোবাইলও ছিল না— যা ছিল তা হল, পুজোবাড়ি উপলক্ষে একসঙ্গে হওয়ার ছুতোয় কীভাবে সমাজের কাছে পরিচিত হওয়া যায় তারই উপায় ঠিক করা। তমুক বাড়ির বউ দেখেছ কী সুন্দর চুল বেঁধেছিল, অমুক কী ভালো ডিজাইনের গয়না পরেছে— এভাবে আর কি।’
লীলাবতীর কথার রেশ টেনে এবার তৃতীয় প্রজন্ম ঝরঝর করে বলে উঠল, ‘বুঝেছি তোমাদের লাহাবাড়ির মধ্যে এভাবেই এক বাড়ির সঙ্গে অন্যবাড়ির একটা প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা চলত। আর যে জিতত, সেই-ই পেত শারদসুন্দরীর শিরোপা। তাই না?’ 
ফোকলা হাসি হেসে ঠাম্মা নাতনির কথায় সায় দিলেন।
‘এ তো গেল চুল বাঁধার স্টাইল আর পোশাকআশাকের কথা— তোমাদের প্রসাধন কেমন হতো ঠাম্মা?’
 ‘দূর তোদের মতো ওসব মুখে রংটঙের বালাই ছিল না বাপু। পায়ে আলতা পরতাম, সেটাই নীচেকার ঠোঁটে আলতো বুলিয়ে নিতাম। তার সঙ্গে পরতাম ঘরে পাতা কাজল আর কপালে একটা সিঁদুরের টিপ বা কাঁচপোকার টিপ— ব্যস।’
ভারতীদেবী মাঝখান থেকে ফুট কেটে বলে উঠলেন, ‘আমাদের সময়ে কিন্তু বিলিতি ম্যাক্সফ্যাক্টর ঠোঁট রং, লাল আর কমলা রঙে পাওয়া যেত। তার সঙ্গে মাখতাম বিলিতি পমেটম, ঘরে পাতা কাজল আর লাল ভেলভেটের টিপ। তোদের মতো আইব্রাও, মাস্কারা, আইলাইনার, রুজ— ওসবের মোটেও চল ছিল না। আর তাছাড়া সে যুগে বিলিতি ভালো কোম্পানির সেরা শ্যাম্পু, সাবান, পাউডার এসবও পাওয়া যেত। যেগুলো মাখলে এমনিই সুন্দর থাকতাম আমরা।’
দুর্গা পুজোর আর মোটেও দেরি নেই। নীচে লাহাবাড়ির ঠাকুরদালান থেকে মাঝেমধ্যে ভেসে আসছে ঢাকের মৃদুমন্দ আওয়াজ। ঠাকুরে রং লেগে গিয়েছে এক কোট। শরতের পুজো পুজো গন্ধে চারিদিক মাতোয়ারা। কথা বলতে বলতে মনটা কেমন যেন হঠাৎ উদাসীন হয়ে গেল অনিন্দিতার। অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে, এবার বাড়ি ফিরতে হবে।
ঠাম্মা আর মায়ের কথাগুলো শুনতে শুনতে এতক্ষণ ধরে সে যেন ডুব দিয়েছিল পুরনো প্রস্তর যুগে— এখন আবার বুঝি ফিরতে হবে ঘোর কলিতে। ভাবতে না  ভাবতেই ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতর চতুর্থ প্রজন্মের বায়বীয় ডাক।
 ‘মা, তোমাকে একটা হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়েছি, এক্ষুনি দেখে বলো তো কেমন লাগছে? ভাবছি এ বছর অষ্টমীতে এভাবেই সাজব।’
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলেই ঝপ করে ফোনটা রেখে দিল পুপু।
হোয়াটসঅ্যাপটা খুলতেই চোখ দুটো ঝিলমিলিয়ে উঠল মেয়ের সাজ দেখে। এ বছর ওর মামার বাড়িতে দুর্গাপুজোর পালা পড়েছে। তাই সদ্য ইতিহাসে মাস্টার্স করা পুপুর উৎসাহের অন্ত নেই। ওর অষ্টমীর রিহার্সাল সাজে ধরা পড়েছে যেন আভিজাত্য আর বনেদিয়ানার এক অনবদ্য মেলবন্ধন। সাদা খোলের লাল পাড় কাতান বেনারসির সঙ্গে ও পরেছে ফ্রিল দেওয়া সাবেক জ্যাকেট প্যাটার্নের ব্রোকেড কনট্রাস্ট ব্লাউজ আর তার সঙ্গে মানানসই ভারী সোনার গয়না। কী সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে, আহা নজর না লেগে যায়!
কে বলে, এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তাদের চিরন্তন সাজপোশাক আর সাবেকিয়ানাকে ভুলে গিয়েছে? কে বলে, তারা উদ্ধত, অশালীন?
পুপুর পাঠানো ছবির নীচে একটা ছোট্ট ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে মোবাইলটা বন্ধ করল অনিন্দিতা। দক্ষিণ কলকাতায় থাকে অনিন্দিতা, কিন্তু বাপের বাড়িতে দুর্গাপুজোর পালা পড়লে, ক’দিনের জন্য তার ঠিকানা বদলে যায় বেচু চ্যাটার্জি স্ট্রিট লাহাবাড়িতে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। বাপের বাড়িতে এসে থাকার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ মায়ের সেই বেনার঩সি, যেটা ঠাম্মা মাকে দিয়েছিলেন বিয়ের গায়ে হলুদের তত্ত্বে, সেটার কথা মনে পড়ল। এবারে লাহাবাড়ির পুজোয় অষ্টমীর দিন অনিন্দিতা সেটাই পরবে ঠিক করল।
তবে বাড়ি যাওয়ার আগে অন্তত একবার প্রতিমা দর্শন না করলেই নয়। দেখা গেল, নীচে ঠাকুরদালানে তখন চলছে মায়ের সাজগোজের প্রস্তুতি। কুমোরের তুলির আঁচড়ে মা দুগ্‌গা কীভাবে যেন জীবন্ত হয়ে উঠছেন ক্রমশ। কী অপূর্ব মায়ের এই রূপ!
কাকে দেখছেন মা, মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা অনিন্দিতাকে, নাকি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে? কে জানে! পা দুটো যেন ক্রমশ অবশ হয়ে আসছে। বুক থেকে একটা ভারী দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। কেন জানি না, প্রায় দু’শো বছর আগেকার এই ঐতিহ্যমণ্ডিত ঠাকুর মণ্ডপে দাঁড়িয়ে থাকার শিহরণ যেন আজ এই এতদিন পরে অনুভব করল সে।
মাকে ছেড়ে যেতে এখন মন চাইছে না— কিন্তু তবু গন্তব্যে তো যেতেই হবে। ‘জয় মা দুর্গা’ মনে মনে জপতে জপতে অনিন্দিতা পাড়ি দিল শ্বশুরবাড়ির দিকে।
18th  September, 2021
গিন্নি হলেন কর্তা

মেয়েরা আজ বহুক্ষেত্রে একাই সংসারী। সংসার সামলাতে তাঁদের তাই পুরুষের সাহচর্য লাগে না সবসময়। এহেন গিন্নিরা আদতে সংসারের কর্তাই বটে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার মাঝেমধ্যেই সমাজের অনভ্যস্ত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে এই কটাক্ষ বিড়ম্বনা স্বরূপ, কিছু ক্ষেত্রে আবার হাস্যকর। এই নিয়ে রসরচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

23rd  October, 2021
আইনজীবী হতে চান
প্রতিবন্ধী কন্যা কঙ্কাবতী

প্রতিভা মানুষকে পরিচিতি দেয়। আর সেই পরিচয় নিয়ে আমরা সমাজকে ফুলে-ফলে বিকশিত করে তুলি। সমৃদ্ধ হয় দেশ। নিকষ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে উজ্জ্বল আলোর বাতাবরণ তৈরি হয় সেই প্রতিভারই মাধ্যমে।  বিশদ

23rd  October, 2021
শ্বেতার অভিনব ইনস্টা সিরিজ

শ্বেতা রামরাজ ওরফে ক্যালাইডোলাইট। মহিলাদের অগ্রগতি নিয়েই তাঁর কাজ। পেশায় তিনি শিল্পী। সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি সিরিজ বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেটি মহিলাদের স্কেচ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট যাঁরা, সেইসব মহিলার মুখচ্ছবি এঁকেছেন শ্বেতা। বিশদ

23rd  October, 2021
নারীশক্তি এবং দেবী দুর্গা

দেবী দুর্গাই নারীশক্তির প্রতিক। দেবীর শক্তির বিভিন্ন রূপ যুগ যুগ ধরে নারীর মধ্যে সঞ্চারিত। নারী কখনও বীরাঙ্গনা, কখনও বা স্নেহময়ী। বিভিন্ন সময়, নানাভাবে নারীশক্তির এই স্তরবিন্যাস বিশ্লেষণ করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  October, 2021
এখন মেয়েরা

রাজস্থানের এক গ্রামের মেয়ে সোনাল শর্মা। বাবা দুধ বিক্রি করেন। কিন্তু মেয়ে একেবারেই ভিন্ন পথে হাঁটলেন। পড়াশোনা শেষ করে আইনের পরীক্ষায় বসলেন সোনাল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উকিল হওয়ার মুখে তিনি। তাই বলে যে সারা দিন শুধুই পড়াশোনা করে কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন এমনটা ভাববেন না। বিশদ

09th  October, 2021
মন্দিরে মন্দিরে
দুর্গাপুজো

ভারতের নানা রাজ্যে রয়েছে দেবী দুর্গার মন্দির। কোথাও দেবী নিত্য পুজো পান, কোথাও বা মহা ধুমধাম সহকারে পালিত হয় নবরাত্রি ও দশেরা। মন্দিরের পৌরাণিক গল্প ও পুজোর বিবরণ বর্ণনায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

02nd  October, 2021
এখন মেয়েরা
পাহাড় চূড়ায় মেয়েরা

গত ১ আগস্ট শুরু হয়েছিল তাঁদের অভিযান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন মহিলা ঠিক করলেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিজেদের পারদর্শিতা তাঁরা সর্বসমক্ষে তুলে ধরবেন। পাহাড় ভালোবাসেন তাঁরা সকলেই। আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশাও তাঁদের প্রবল। বিশদ

02nd  October, 2021
সারদা মিশনে 
মাতৃপুজো

শ্রীশ্রীমা সারদার পুজো বিষয়ে আলোচনায় প্রব্রাজিকা আপ্তকামপ্রাণা।  বিশদ

25th  September, 2021
এখন মেয়েরা

এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শীর্ষে রয়েছেন তিনি। অঙ্কে তাঁর ভীষণ দখল। আবার মহিলাকেন্দ্রিক বিষয় নিয়েও তাঁর চিন্তার অন্ত নেই। তিনি নমিতা থাপার। এমকিউর ফার্মার তিনি এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর। হেল্থ কেয়ারে কাজ করার সুবাদে নমিতা মহিলাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অভাব খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বিশদ

25th  September, 2021
এখন মেয়েরা

জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না জোহানা লুৎজ। জার্মানির এই কন্যাটি তাই স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি তিনি নাসা-র বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন। অথচ লুৎজ হয়ে উঠলেন নাসার প্রথম এবং একমাত্র বধির বিজ্ঞানী। কিন্তু কেমন করে ঘটল এই অভাবনীয় ঘটনা? বিশদ

18th  September, 2021
গানে গানে 
নারী শক্তি

৩০ বছর ধরে বাউল গানের সাধনা করছেন রিনা দাস বাউল। মহিলাদের নিয়ে গান লেখেন তিনি। সমাজে নারী শক্তির প্রচার ও প্রসারই তাঁর লক্ষ্য। বাউল সঙ্গীত, বিদেশে বাউল গানের অনুষ্ঠান ও নিজের গানের ভাষা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

11th  September, 2021
এখন মেয়েরা

আনা এলিজাবেথ জর্জ হলেন কেরলের এক হোম বেকার। ওনাম উৎসবে এক অভিনব কাজ করে বসলেন তিনি। গোটা একটা শাড়ির ডিজাইনে বানিয়ে ফেললেন ধোসা! অবশ্য এই খাবারকে ধোসা না বলে বরং এডিবল শাড়ি নামেই বিক্রি করেছেন। বিশদ

11th  September, 2021
‘আমি একরোখা একগুঁয়ে,
শেষ দেখে তবে ছাড়ব’

ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, জেডএসআই)-এর শীর্ষ পদে প্রথম মহিলা মুখ তিনি। বাধার অদৃশ্য সেই ‘কাচের দেওয়াল’ ভাঙতে মহিলারা লড়াই করেন প্রতিনিয়ত। তিনি অনায়াসে সেটা ভেঙে দিতে পেরেছেন। কিন্তু চলার পথটা কেমন ছিল? জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

04th  September, 2021
নির্যাতনের বিরুদ্ধে 
মেঘার লড়াই

মিমির বয়স তখন তেরো। বাবা, মা, কাকা কাকিমা ও খুড়তুতো দাদা মিলে তাদের বড় সংসার। কাকাকে ভীষণ ভয় পেত মিমি। অথচ কাকা তো ভীষণ ভালোবাসেন তাকে। দেখতে পেলেই জড়িয়ে ধরেন। চুমু খান। তবু মিনি ধারে পাশে ঘেঁষতে চায় না। মা এই নিয়ে বকাবকি করলে একদিন মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলেছিল সে। বিশদ

04th  September, 2021
একনজরে
তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...

বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...

রাজ্যের ‘টি ট্যুরিজম’ প্রকল্পের স্বার্থে এক চা বাগানের রাস্তার একটি অংশ দেওয়া হয় অন্য দু’টি কোম্পানিকে। বাগান কর্তৃপক্ষ বিকল্প রাস্তা বানাতে গিয়ে স্থানীয় বিরোধের সম্মুখীন। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM