Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

গানে গানে 
নারী শক্তি

৩০ বছর ধরে বাউল গানের সাধনা করছেন রিনা দাস বাউল। মহিলাদের নিয়ে গান লেখেন তিনি। সমাজে নারী শক্তির প্রচার ও প্রসারই তাঁর লক্ষ্য। বাউল সঙ্গীত, বিদেশে বাউল গানের অনুষ্ঠান ও নিজের গানের ভাষা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কমলিনী চক্রবর্তী।

 বাউল গানের জগতে এলেন কী করে? আর কেন?
 আমাদের বংশ পরম্পরা ধরে সকলেই এই গানই গাইছি। প্রায় পাঁচ পুরুষ ধরে আমাদের পরিবারে এই ধারা বয়ে চলেছে। তাই ছোট থেকে এই পরিবেশে মানুষ হতে হতে আর অন্য কিছু করার কথা কখনও ভাবাই হয়নি।

 অল্প বয়স থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলেন যে বাউল শিল্পীই হবেন?
 না, বাউল শিল্পী হওয়া বা এই সঙ্গীতকে পেশা হিসেবে নেওয়া— এগুলো কিন্তু বিয়ের পরেই হয়েছে। পরিবারে এই গানের ধারা ছিল বটে, তবু আমি তা পেশাগতভাবে শিখেছি দিবাকর দাস বাউলের কাছে। উনিই আমার শিক্ষক, আমার গুরু, আমার স্বামী। বাউল গানের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে ও শিখিয়ে উনি আমাকে এই পথে হাত ধরে নিয়ে এসেছেন। 

 কিন্তু বিয়ের অনেক আগে থেকেই তো আপনি এই জগতের সঙ্গে পরিচিত...।
 সেটা ঠিকই। আমি জন্ম থেকেই বাউল ঘরানায় মানুষ হয়েছি। তবে এই যে পেশাগতভাবে বাউল গানকে অবলম্বন করা, সেটা কিন্তু ওঁর কারণেই সম্ভব হয়েছে। মানে ধরুন আমার যদি অন্যত্র বিয়ে হতো তাহলে হয়তো আর এই জগতে আসা হতো না। তখনও আমি বাউল গান সমানভাবেই জানতাম। কিন্তু তা নিয়ে চর্চা করার সুযোগ পেতাম না। 

 শুধু বাবা বা ঠাকুরদাকে দেখেই কি এই গানের প্রতি আকর্ষণ জন্মেছিল? নাকি এই আকর্ষণের পিছনে আর কোনও ঘটনা আছে?
 আমি তো ছোট থেকেই বাউল গানে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এই গানের প্রতি যে আলাদা একটা টান সেটা প্রথম অনুভব করেছিলাম ফুলমালা পিসিকে দেখে। বাউল গানের নিগূঢ় যে ভাবধারা, সেটা অনুভব করেছিলাম ফুলমালা পিসির গান শুনে। সত্যি বলতে কি, উনি আমার আইডল হয়ে উঠেছিলেন। ওঁর গান গাওয়ার ধরন, গানের মাঝে মাঝে তার ভাব বোঝানো ইত্যাদির প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ গড়ে উঠেছিল আমার। আমি নিজের অজান্তেই ওঁর কথা বলা, একতারা বাজানো এইসব ফলো করতে শুরু করেছিলাম। পিসিই আমায় গানের ভাব বিষয়ে বিশদে বলতেন। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। এমনকী পিসির শাড়ি পরার ধরনটাও অনুকরণ করতাম।  আর একটা জিনিস আমায় বাউল সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট করেছিল।

 কী সেটা?
 শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। আমার বাড়ি শান্তিনিকেতনে। ছোটবেলা থেকেই তাই পৌষমেলায় যাই। তখন শুধুই বাউল পুঁথির গান শোনার জন্য ছুটে ছুটে মেলায় যেতাম। সেই যে গান, সেখানেও অনেক শিল্পীকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তাঁদের গান গাওয়ার ধরন, সাধারণ জীবনের মধ্যে আসাধারণের বীজ খুঁজে পাওয়া, অল্প কথায় জগতের সারমর্ম বোঝানো— এইসব দেখে আকৃষ্ট হয়েছি। একবার পূর্ণদাস বাউলের দিদি রাধারানিকে দেখলাম পৌষমেলার মাঠে। কেমন বিভোর হয়ে ঝুড়ি বাজিয়ে গান করছেন। চারপাশের জগৎ নিয়ে কোনও চিন্তাই যেন তাঁর নেই। ঈশ্বর চেতনায় তিনি এতটাই বিভোর। মনে হচ্ছিল ঈশ্বরই বুঝি তাঁকে দিয়ে গানটা গাইয়ে নিচ্ছেন। আর কী সুর সেই ঝুড়ির বাদনে। গানের প্রতিটি কথা যেন ঝুড়ির বাজনার সঙ্গে একাকার হয়ে যাচ্ছে। আমি শ্রদ্ধায় মাথা নত করে ওঁকে প্রণাম করলাম। আমায় আশীর্বাদ করেছিলেন। আজও ওঁর সেই স্পর্শ যেন আমার গায়ে লেগে রয়েছে। 

 আপনি তো গান লেখেন। আপনার গানের ভাব কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়?
 আমি মেয়েদের জীবনের কথা বলি। বাউল জগতে মেয়েদের সাধনার কথা বিশেষভাবে বলা আছে। আমি একজন মহিলা হয়ে আমার পরবর্তী প্রজন্মকে সেইভাবেই তৈরি করে দিতে চাই। তাদের কথা নিজের গানের ভাষায় ব্যক্ত করতে চাই। আমি মনে করি মেয়েরাই পারে মেয়েদের মনের ভাব উজাড় করে বলতে। মেয়েরাই পারে মেয়েদের ঢাল হয়ে দাঁড়াতে। পৃথিবীতে নারীর প্রতি এতই যে অনাচারষ তা নারী হয়ে যদি না-ই ব্যক্ত করলাম তাহলে আর কী-ই বা করলাম জীবনে? আমি তাই আমার গানের মাধ্যমে নারী জীবনের গান গাই। সমাজের চোখে তুলে ধরতে চাই মেয়েদের। নারীশক্তির কথা বলি। মেয়েদের মধ্যে অনেক শক্তি রয়েছে। সমাজে তা তারা সবসময় প্রকাশ করার সুযোগ পায় না। সেই নারী শক্তিরই প্রচার করতে চাই। সেই শক্তির কথাই বলি আমার গানের মাধ্যমে। কিছুটা মাত্র বলা হয়েছে। আরও কত কথাই তো বলা বাকি। আশা রাখি মেয়েদের সমাজে উল্লেখযোগ্য করে তোলার পিছনে যৎসামান্য কিছু অবদান আমি গানের মাধ্যমে রেখে যেতে পারব। 

 সময়ের সঙ্গে আপনার গানকে প্রাসঙ্গিক রাখেন, নাকি বাউলের ভাবের সঙ্গেই আপনার গানের সামঞ্জস্য  খুঁজে পাওয়া যায়?
 আমার গান একটা গোটা যুগের কথা বলে। আমার গান মানুষের কথা বলে। তাই শুধুই যে সময়ের সঙ্গে তা প্রাসঙ্গিক তা নয়। বরং ভবিষ্যতেও আমার গানের প্রাসঙ্গিকতা থাকবে এই ভাবনা থেকেই আমি গান লিখি। 

 আপনার স্বামীর সঙ্গে আপনার আলাপ হওয়ার ঘটনা একটু বলুন।
 জয়দেবের মেলায় আমার সঙ্গে দিবাকর দাস বাউলের প্রথম আলাপ হয়েছিল। তিনি তখন প্রতিষ্ঠিত বাউল শিল্পী। আমি গিয়েছিলাম বাবার সঙ্গে। ফলে আমার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বললে ভুল হবে। দিবাকর দাস বাউলের সঙ্গে আসলে আলাপটা হয়েছিল বাবার। বাবাই ওঁর সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক করেন। তারপর আমরা একসঙ্গে বাউল সঙ্গীতের সাধনা শুরু করি। 

 বাউল সঙ্গীতের জগতে মহিলাদের অবস্থান এখন কেমন বলে আপনি মনে করেন?
 মহিলাদের অনেকেই এই গানের প্রতি টান অনুভব করেন সেটা বোঝা যায়। কিন্তু শুধু টান অনুভব করলেই তো আর হল না। তার সঙ্গে রোজগারেরও একটা ব্যাপার তো আছে। কোনও কিছুকে পেশা হিসেবে নিতে গেলে তা থেকে কেমন রোজগার হয় সেদিকটাও দেখতে হয়। সেই ভাবনা থেকে অনেকে আবার এই পথে হাঁটতে ভয়ও পায়। তবে এই পথে আরও মহিলা যাতে আসেন তার জন্যই আমি একটা শিক্ষা কেন্দ্র শুরু করেছি পারুলডাঙায় আমার আখড়ার কাছে। এখানে আমি বাউল গানের বিভিন্ন পদ শেখাই। মহাজনরা যে বাউল পদ লিখে গিয়েছেন, সেই পদ বিষয়ে মহিলাদের শেখানো হয়, গানের মানে বোঝানো হয়। এবং এইভাবেই আমি বাউল সঙ্গীতের প্রতি একটা আকর্ষণ গড়ে তুলতে চাই।

 কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
 প্রচণ্ড সাড়া পাচ্ছি। আসলে আমি মনে করি না যে বাউল গান গাইতে হলে সংসার ত্যাগ করতে হবে। অন্য ধারার জীবন যাপন করতে হবে। গৃহী হয়েও বাউলের মর্ম বোঝা যায়, এই গানের চর্চা করা যায়। সেটাই আমি প্রচার করতে চাই। এখনও পর্যন্ত আমার কেন্দ্রে যেসব মহিলা আসছেন তাঁরা এই বাউল পদগুলো শুনে ও শিখে খুবই আগ্রহভরে তা গাওয়ার চেষ্টা করছেন। বাউল মহাজনদের সম্বন্ধে জানা, তাঁদের গানের কথার মর্ম বোঝা এইসবই শেখাচ্ছি। বাউল গানের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। আমরা প্রহর অনুযায়ী গান গাই। যেমন সকালবেলায় প্রভাতী গান গাই। তারপর দুপুরে আবার ভোগারতির আলাদা গান রয়েছে। এরপর সন্ধেবেলা গোষ্ঠী থেকে বা আখড়া থেকে দল বেঁধে ফেরার সময় যে গান তাকে বলে ফিরাগোষ্ট বাউল গান। এছাড়া সন্ধেবেলার আলাদা গান রয়েছে। আবার রাতেরও গান রয়েছে। এইভাবে প্রতিটি ক্ষণের জন্য আলাদা আলাদা ভাবসহ গান লিখে গিয়েছেন বাউল মহাজনরা। তাঁদের সেই গান আবারও আমি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। 

 শখ সৌখিনতা আছে কোনও?
 শুধু গান। এছাড়া জীবন চালাতে গেলে যা যা লাগে তাই করি। যেমন রান্না। তবে তা একেবারেই সাধারণ রোজকার রান্না। আমাদের বাগানের যেটুকু শাকসব্জি, ফল হয় সেগুলোই তুলে রান্না করি। এছাড়া আমি শুধুই গানে মজে থাকতে চাই। 

 আপনি বললেন বাউল গানের জন্য আলাদা সাজগোজ করতে হয়। কেমন সেই সাজ?
 সাধারণভাবে বাউল গান গাইতে গেলে শাড়ি পরে গাওয়াই শ্রেয়। আমার অন্তত তাই মনে হয়। আমি যেমন আমার আখড়ায় বলি একটু হলুদ শাড়ি পরতে। আসলে গেরুয়া হল বাউল গানের রং। গেরুয়া, কারণ তা ত্যাগের বসন। আমাদের ভবাপাগলা শিখিয়ে গিয়েছেন যে ত্যাগের মাধ্যমেই আসল সাধনা সম্ভব। তাই বলে এই ত্যাগ কিন্তু ঘর ছাড়তে বা সংসার ত্যাগ করতে বলে না। এই ত্যাগ লোভ, বাসনা, কামনা ইত্যাদি ত্যাগ করে ঈশ্বর প্রেমে নিজেকে নিমগ্ন করতে বলে। ভবাপাগলা তো বলেছেন, ঘর ত্যাগ করে বনেতে যাবি, ভাত না খাস ফল তো খাবি। অর্থাৎ ত্যাগ মানেই যে অসম্ভব কষ্ট করে কৃচ্ছ্রসাধন করে দিন কাটানো তা কিন্তু নয়। সংসারে থেকেও নিজের মনকে ত্যাগের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। হিংসা, নিন্দা ইত্যাদি ত্যাগ করলেই আমার মনে হয় ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। তাছাড়া আগে তুলসীর মালা পরা হতো। কিন্তু এখন অনেকে বেল কাঠেরও মালা পরে। আসলে তুলসীর মালা পরলে নিরামিষ খেতে হয়। একটু কঠোর নিয়ম মানতে হয়। যারা অত কঠোর নিয়ম মানতে চান না তাঁরা বেলের মালাও ধারণ করতে পারেন। এইসব ধারণের মধ্যে কিছু নেই, আসল কথা মনটা পরিষ্কার রেখে ঈশ্বরের সাধনা করা।

 পুজোর ভাবনায় আপনি কেমন গান লিখেছেন?
 উমার আগমনী গানকে বিষয় করেই আমি বাউল গান লিখেছি। তাছাড়া মেয়েদের উপর, নারীশক্তির উপর তো অনেক গানই রয়েছে। আমাদের শক্তির আধার তো দেবী দুর্গা। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করেই আমার সাধনা চলে পুজোর সময়। আর সারা বছরও তাঁরই আরাধনায় নিমগ্ন থাকি। মেয়েদের শক্তির কথা বলি। তাদের নিজস্ব তেজ ও শক্তি ব্যক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করি।

 পুজো এবার কেমন করে কাটাবেন বলে ভাবছেন?
 আগে তো পুজোয় বিভিন্ন দেশে দেশান্তরে যেতাম গান গাইতে। কিন্তু এখন মহামারীর জন্য আমরা গৃহবন্দি। তবু এবছর পুজোয় আমার বেশ কাটবে। আমার ছাত্রছাত্রীরা সবাই আমার আখড়ায় আসবে। তাদের নিয়ে পুজোর চারদিন নারী শক্তির নানা গান গাইব। সাধন ভজনে মজে থাকব। এটা ভেবেই ভালো লাগছে। 

 বিদেশে যখন অনুষ্ঠান করতে যান, তখন বিদেশিরা আপনাদের গানের মর্ম বোঝে বলে মনে হয়?
 না, ভাষা তো তারা বোঝে না। কিন্তু সঙ্গীতের একটা নিজস্ব বাচনভঙ্গি আছে। সেই ভাষা সবাইকে একই ছাতার তলায় টেনে নিয়ে আসে। সুর, ছন্দ এইসব মিলিয়ে সঙ্গীতের ভাষা। এই ভাষাই সর্বব্যাপী একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর সেই টানেই বিদেশের মানুষও বাউলের সুরে মজে যায়। অনেক সময় হয়তো দোভাষী নিয়েও গান গাই। তখন হয়তো তাঁরা গানের আক্ষরিক মানে বুঝিয়ে একটা তর্জমা করে দেন। তবে গানের ভাব কিন্তু এই তর্জমার মধ্যে আবদ্ধ থাকে না। তা দেশ বা সংস্কৃতির বেড়া ভেঙে মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। 

 আপনার প্রথম বিদেশ যাওয়া, বিদেশে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা একটু বলুন।
 ২০০০ সালে প্রথম বিদেশ গিয়েছিলাম বাউল গান নিয়ে। প্যারিস গিয়েছিলাম প্রথমবার। আমি তো মুগ্ধ হয়ে যাই। এত আলো, এত ফুলের সাজ দেখে বিভোর হয়ে গিয়েছিলাম। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন ওখানে একটা ফেস্টিভ্যাল চলছিল। তাই আলোর সাজে সেজে উঠেছিল গোটা দেশ। আমার নয়ন জুড়িয়ে গিয়েছিল সেই সাজ দেখে। দেশটা যেন একটা অপরূপা রমণী বেশে আমার দু’চোখের সামনে ধরা দিয়েছিল। এত লালিত্য সেই সাজে।  কোথাও এতটুকু বাড়তি নেই। আলোর মায়ায় যেন কানায় কানায় ভরে উঠেছিল ফ্রান্স। তারপর বহুবার বিদেশ গিয়েছি। সুইডেন গিয়েছি। আবার এবছর পুজোর পরপরই পর্তুগাল যাওয়ার কথা। ওখানে ওমেক্স ফেস্টিভ্যাল হয়। সেখানে আমাদের বাউল গান নিয়ে যাব। 

 বিদেশি উৎসবে যখন আপনারা আমাদের সংস্কৃতির প্রদর্শন করেন তখন  বিদেশিরা কেমনভাবে তা অনুধাবন করেন বলে আপনার মনে হয়?
 আমি যতবারই বাউল গান নিয়ে বিদেশের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছি, সেখানকার মানুষের ভালোবাসা এবং আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তাঁদের যেন ভিতরে একটা উত্তেজনা হয় আমাদের সংস্কৃতিকে আত্মস্থ করার জন্য। একটা টান বুঝিবা তাঁরাও অনুভব করেন মনে মনে। তাই এমন দর্শকদের সামনে নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বা এক কথায় আমাদের সম্পদকে তুলে ধরতে পেরে দারুণ আনন্দ লাগে। একবার ফ্রান্স থেকে দু’জন আমার আখড়ায় গান শুনতে এসেছিলেন। আমার গান শুনে তাঁরা এত মুগ্ধ হয়েছিলেন যে আমায় তাঁদের দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটা ২০১৭ অথবা ২০১৯ সাল হবে। সঠিক মনে নেই। যাই হোক, আমার গান শুনে ওই দুই বিদেশি পর্যটকের চোখে জল এসেছিল। কিন্তু তাঁরা তো আর ভাষা বুঝে কাঁদেননি। বরং বাউল সঙ্গীতের ভাবে মুগ্ধ হয়েই তাঁদের চোখে জল এসেছিল। সেইবার ফ্রান্সে গিয়ে যখন অনুষ্ঠান করেছিলাম তখনও সেই ভাব সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কতটা পেরেছি জানি না। তবে চেষ্টা তো করেই চলেছি।
 
11th  September, 2021
গিন্নি হলেন কর্তা

মেয়েরা আজ বহুক্ষেত্রে একাই সংসারী। সংসার সামলাতে তাঁদের তাই পুরুষের সাহচর্য লাগে না সবসময়। এহেন গিন্নিরা আদতে সংসারের কর্তাই বটে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার মাঝেমধ্যেই সমাজের অনভ্যস্ত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে এই কটাক্ষ বিড়ম্বনা স্বরূপ, কিছু ক্ষেত্রে আবার হাস্যকর। এই নিয়ে রসরচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

23rd  October, 2021
আইনজীবী হতে চান
প্রতিবন্ধী কন্যা কঙ্কাবতী

প্রতিভা মানুষকে পরিচিতি দেয়। আর সেই পরিচয় নিয়ে আমরা সমাজকে ফুলে-ফলে বিকশিত করে তুলি। সমৃদ্ধ হয় দেশ। নিকষ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে উজ্জ্বল আলোর বাতাবরণ তৈরি হয় সেই প্রতিভারই মাধ্যমে।  বিশদ

23rd  October, 2021
শ্বেতার অভিনব ইনস্টা সিরিজ

শ্বেতা রামরাজ ওরফে ক্যালাইডোলাইট। মহিলাদের অগ্রগতি নিয়েই তাঁর কাজ। পেশায় তিনি শিল্পী। সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি সিরিজ বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেটি মহিলাদের স্কেচ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট যাঁরা, সেইসব মহিলার মুখচ্ছবি এঁকেছেন শ্বেতা। বিশদ

23rd  October, 2021
নারীশক্তি এবং দেবী দুর্গা

দেবী দুর্গাই নারীশক্তির প্রতিক। দেবীর শক্তির বিভিন্ন রূপ যুগ যুগ ধরে নারীর মধ্যে সঞ্চারিত। নারী কখনও বীরাঙ্গনা, কখনও বা স্নেহময়ী। বিভিন্ন সময়, নানাভাবে নারীশক্তির এই স্তরবিন্যাস বিশ্লেষণ করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  October, 2021
এখন মেয়েরা

রাজস্থানের এক গ্রামের মেয়ে সোনাল শর্মা। বাবা দুধ বিক্রি করেন। কিন্তু মেয়ে একেবারেই ভিন্ন পথে হাঁটলেন। পড়াশোনা শেষ করে আইনের পরীক্ষায় বসলেন সোনাল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উকিল হওয়ার মুখে তিনি। তাই বলে যে সারা দিন শুধুই পড়াশোনা করে কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন এমনটা ভাববেন না। বিশদ

09th  October, 2021
মন্দিরে মন্দিরে
দুর্গাপুজো

ভারতের নানা রাজ্যে রয়েছে দেবী দুর্গার মন্দির। কোথাও দেবী নিত্য পুজো পান, কোথাও বা মহা ধুমধাম সহকারে পালিত হয় নবরাত্রি ও দশেরা। মন্দিরের পৌরাণিক গল্প ও পুজোর বিবরণ বর্ণনায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

02nd  October, 2021
এখন মেয়েরা
পাহাড় চূড়ায় মেয়েরা

গত ১ আগস্ট শুরু হয়েছিল তাঁদের অভিযান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন মহিলা ঠিক করলেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিজেদের পারদর্শিতা তাঁরা সর্বসমক্ষে তুলে ধরবেন। পাহাড় ভালোবাসেন তাঁরা সকলেই। আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশাও তাঁদের প্রবল। বিশদ

02nd  October, 2021
সারদা মিশনে 
মাতৃপুজো

শ্রীশ্রীমা সারদার পুজো বিষয়ে আলোচনায় প্রব্রাজিকা আপ্তকামপ্রাণা।  বিশদ

25th  September, 2021
এখন মেয়েরা

এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শীর্ষে রয়েছেন তিনি। অঙ্কে তাঁর ভীষণ দখল। আবার মহিলাকেন্দ্রিক বিষয় নিয়েও তাঁর চিন্তার অন্ত নেই। তিনি নমিতা থাপার। এমকিউর ফার্মার তিনি এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর। হেল্থ কেয়ারে কাজ করার সুবাদে নমিতা মহিলাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অভাব খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বিশদ

25th  September, 2021
দুর্গাপুজোর  মহোৎসবে 
মেয়েরা

প্রায় দু’শো বছর ছুঁই ছুঁই লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো। মহাপুজোর প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বাড়ির মেয়ে বউরা। পুজোর পুরনো ও নতুন গল্প নিয়ে কলম ধরলেন লাহাবাড়ির কন্যা সুস্মেলী দত্ত।
বিশদ

18th  September, 2021
এখন মেয়েরা

জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না জোহানা লুৎজ। জার্মানির এই কন্যাটি তাই স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি তিনি নাসা-র বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন। অথচ লুৎজ হয়ে উঠলেন নাসার প্রথম এবং একমাত্র বধির বিজ্ঞানী। কিন্তু কেমন করে ঘটল এই অভাবনীয় ঘটনা? বিশদ

18th  September, 2021
এখন মেয়েরা

আনা এলিজাবেথ জর্জ হলেন কেরলের এক হোম বেকার। ওনাম উৎসবে এক অভিনব কাজ করে বসলেন তিনি। গোটা একটা শাড়ির ডিজাইনে বানিয়ে ফেললেন ধোসা! অবশ্য এই খাবারকে ধোসা না বলে বরং এডিবল শাড়ি নামেই বিক্রি করেছেন। বিশদ

11th  September, 2021
‘আমি একরোখা একগুঁয়ে,
শেষ দেখে তবে ছাড়ব’

ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, জেডএসআই)-এর শীর্ষ পদে প্রথম মহিলা মুখ তিনি। বাধার অদৃশ্য সেই ‘কাচের দেওয়াল’ ভাঙতে মহিলারা লড়াই করেন প্রতিনিয়ত। তিনি অনায়াসে সেটা ভেঙে দিতে পেরেছেন। কিন্তু চলার পথটা কেমন ছিল? জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

04th  September, 2021
নির্যাতনের বিরুদ্ধে 
মেঘার লড়াই

মিমির বয়স তখন তেরো। বাবা, মা, কাকা কাকিমা ও খুড়তুতো দাদা মিলে তাদের বড় সংসার। কাকাকে ভীষণ ভয় পেত মিমি। অথচ কাকা তো ভীষণ ভালোবাসেন তাকে। দেখতে পেলেই জড়িয়ে ধরেন। চুমু খান। তবু মিনি ধারে পাশে ঘেঁষতে চায় না। মা এই নিয়ে বকাবকি করলে একদিন মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলেছিল সে। বিশদ

04th  September, 2021
একনজরে
তেলের ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল বসিরহাটে। মাটিয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস হালদার (২৬) বসিরহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ...

বার্সেলোনার খারাপ সময় যেন কিছুতেই কাটছে না। লা লিগায় এল ক্লাসিকোর পর বুধবার রায়ো ভায়াকেনোর কাছেও হারল কাতালন ক্লাবটি। অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন সের্গিও বুস্কেতসরা। ...

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস ধনতেরাস উপলক্ষে নিয়ে এল একগুচ্ছ অফার। সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে ২২৫ টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। নগদ ১০০ টাকা ছাড়ের পাশাপাশি ১২৫ টাকার রুপো দেওয়া হবে। ...

বীরভূমে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে দু’-একদিনের মধ্যে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস। বিশেষ তল্লাশি চালানো হবে বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায়ও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী ২১/৭ দিবা ২/১০। পুষ্যা নক্ষত্র ১৪/৪৮ দিবা ১১/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৪৩/৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৪৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১১ কার্তিক, ১৪২৮, শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১। অষ্টমী দিবা ৯/১৬। পুষ্যা নক্ষত্র  দিবা ৮/১০। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৪/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১০ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
২২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পাকিস্তানের

11:42:00 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ : পাকিস্তান : ১২২/৪ (১৭ ওভার)

10:55:43 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৭৫/১ (১১ ওভার)

10:21:48 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তান ৩১/১ (৫ ওভার)

09:49:25 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান

09:45:03 PM

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১: আফগানিস্তান ৯৩/৬ (১৫ ওভার)

08:49:51 PM