শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
চায়না পালরা চার ভাই বোন। চায়না ছোট। দুই দাদা চাকরি করত, তাই ভবিষ্যতে স্টুডিওর হাল ধরার কেউ ছিল না। এমত অবস্থায় পুজোর বায়না ধরার পর চায়নার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বাধ্য হয়ে চায়নাকে তিনি তাঁর স্টুডিওতে পাঠান তদারকি করার জন্য। পুজো শুরু হওয়ার সাতাশ-আঠাশ দিন আগে চায়নার বাবা মারা যান। আর তার ফলে স্টুডিওর সম্পূর্ণ দায়িত্ব এসে বর্তায় চায়নার উপর। শিল্পীজীবন শুরু করেন চায়না পাল। প্রথম প্রথম চায়না সব কিছু তত্ত্বাবধান করতেন। কিন্তু তারপর নিজের হাতে ঠাকুর গড়ার ইচ্ছে জাগে তাঁর। প্রতিমা তৈরি করতে গেলে দুরকমের মাটি পরিমাণমতো মিশিয়ে বানাতে হয়, নাহলে সেটা ফেটে যায়। চায়না পাল সেই মাটি মেশানো থেকে শুরু করে সব কিছু আস্তে আস্তে নিজের চেষ্টায় শিখে নেন।
এখন নিজের হাতে একটা গোটা ঠাকুরের রূপ দিতে সক্ষম তিনি। চায়নার কথায় বিচুলি বাঁধা আর কাঠামো তৈরি ছাড়া পুরোটাই তিনি নিজের দক্ষ হাতে করেন। বর্তমানে মাকে নিয়ে থাকেন চায়না। জীবনে কাজটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। প্রতিবছর পুজোর সময় প্রচুর ঠাকুর তাঁর হাতে তৈরি হয়ে শহরের বারোয়ারিগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এবছরও প্রায় তিরিশটা প্রতিমা গড়ছেন তিনি। প্রতিমা তৈরি করার সুবাদে রাজ্যপালের হাত থেকে পুরস্কারও গ্রহণ করেছেন চায়না। সেই দিনটা তাঁর কাছে আজও স্বপ্নের মতো মনে হয়। প্রতিমার চোখ আঁকতেও ভালো লাগে চায়নার। তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার চোখ যখন জীবন্ত হয়ে ওঠে, তখন সেদিক থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না তিনি। প্রতিমা বানানোর অবসরে গান শুনতে এবং গান গাইতে ভালোবাসেন মৃৎশিল্পী চায়না পাল।
কাকলি পাল বিশ্বাস