সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
বাজি পোড়ালে দীপাবলির ফ্যাশনে ওয়ার্ডরোবে থাক হাল্কা সুতির পোশাক। তবে সে পোশাক খুব ছাপোষা হবে না। তাতে থাকবে অকস্মাৎ রঙের চমক। হাকোবা আঁচলের শাড়ি বাছলেন, তার গায়ে রঙ্গোলির স্টাইলে নানা প্যাচওয়ার্ক করিয়ে নিতে পারেন। হাল্কা কাঁথাকাজের শাড়িও বাছতে পারেন এই সময়। কুর্তা বা পাঞ্জাবির নকশাতেও হাল্কা রঙের ছোঁয়া থাকুক। তার পকেট বা বর্ডার খুব রংচঙে হলে মানাবে ভালো। বাজি পোড়ানোর দিন ফুল স্লিভ সুতির শার্টই উপযোগী। তবে একটু ছক ভাঙতে চাইলে শার্টের বদলে চাইনিজ কলারের ফুল স্লিভ কুর্তা বেছে নিতে পারেন। সঙ্গে সুতির ধোতি প্যান্ট বা ক্যাজুয়াল জিনস হলেই ভালো। মহিলারা লং গাউন বাছেন অনেকে। তবে এই সময় ইন্ডোর পার্টি না হলে গাউন বাদ দিন। রাখুন হাল্কা সুতির কুর্তি, কিংবা সুতির হাল্কা কাজের শাড়ি। ডিজাইনার ফুল স্লিভ বা থ্রি কোয়ার্টার ব্লাউজ থাকুক সঙ্গে। ছোটদের দিন ফুল স্লিভ ঢিলেঢালা সুতির জামা ও সুতি বা জিনসের প্যান্ট। বাজি পোড়ানোর সময় চোখে নাইট গ্লাস, হাতে সুতির গ্লাভস ও পায়ে চপ্পল বা হাওয়াই চটি।
ত্বকবিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, ‘আতসবাজি শব্দদূষণ করে না বটে, তবে এর প্রভাবেই পরিবেশে কার্বন মনোক্সাইড, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার, ওজোন, সালফার ডাই অক্সাইড ইত্যাদি মেশে। দীপাবলির রাত থেকেই অনেকের ত্বকে র্যাশ দেখা যায়। কারও ত্বক জ্বালা করে, ইচিং বা চুলকানিভাব থাকে। এছাড়া রাত জেগে পার্টি, নানারকম তেল-মশলার খাবার খাওয়া সবই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ত্বক বাঁচিয়ে আলোর উৎসবে মেতে উঠতে হবে।’
বাজি পোড়ানোর আগে
• ক’দিন বেশি করে জল খান। শরীর ডিটক্স থাকলে দীপাবলির দূষণের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত থাকতে পারবেন।
• ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। ফেস ওয়াশ বা ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। টোনার, ময়েশ্চারাইজার মেখে বাজি পোড়ান। এতে বাতাসের ক্ষতিকর কণা ত্বকে চেপে বসবে না। ছোটদের ক্যালামাইন লোশন মাখিয়ে দিন।
• মাস্ক পরুন। বাজির বারুদ ও ধোঁয়া শ্বাসযন্ত্রে ক্ষতি করে।
বাজি পোড়ানোর পরে
• হাত-পা-মুখ ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। বারুদের হাতে কিছু খাবেন না।
• ত্বক ফেসওয়াশ ও টোনার দিয়ে পরিষ্কার করুন।
• রাতে পার্টি থাকলে চাই ওয়াটার বেসড ড্রাই মেকআপ।