শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
জানলা দিয়ে বউ পালালো ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু অমৃতার। এরপর কলকাতা কলিং, মেহের আলি, থ্রি স্মোকিং ব্যারেল, অন্য বসন্ত, তুষাগ্নি, আহারে ইত্যাদি ছবিতে বেশ দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ওয়েব সিরিজ ‘মানভঞ্জন’-এ তাঁর অভিনয় ও অভিব্যক্তি নজর কেড়েছে দর্শকের। একটা অদ্ভুত লাবণ্যময় সৌন্দর্য তাঁর। শান্ত-স্নিগ্ধ অথচ বুদ্ধিদীপ্ত। পুজোর সাজ আর শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তাঁর সেই স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ল।
ষষ্ঠীতে সিল্ক-বাফতা
পুজোর সময় কলকাতার বাইরে কোথাও বেড়াতে যেতে মন চায় না অমৃতার। বেড়ানোর জন্য সারাবছরই তো পড়ে আছে, পুজোর পাঁচটা দিন আলো ঝলমল কলকাতার সঙ্গেই থাকতে চাই— বললেন অমৃতা। তারপর টুক করে তুলে নিলেন পিঙ্ক-ম্যাজেন্টা কম্বিনেশনের সিল্ক বাফতা শাড়িটি। অ্যাসিড পেন্টিং-এ জিওমেট্রিক জিকজ্যাক, রাউন্ড, লাইন মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে শাড়িটিতে। এটি ‘কৌশিকি’জ’ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার কৌশিকি বিশ্বাস জানালেন, এটাই তাঁর এবারের পুজো স্পেশাল। ম্যাট ফিনিশড সিল্ক বাফতা খুব নরম আর হালকা। অ্যাসিড পেন্টিংয়ে শুধু জিওমেট্রিক নকশাই নয়, ফ্লোরাল ও ওরলি নকশাও আছে। গুজরাত থেকে আনিয়েছেন মাড-বাটিক মাল কটন। এছাড়া সিল্ক ও তসরে অ্যাসিড পেন্টিং ও ব্লকপ্রিন্টের মিক্স ম্যাচ, অ্যাসিড পেন্টিংয়ের সঙ্গে কাঁথাকাজ, ফিউশন কাঁথা, সিল্কে গুজরাতি, ব্যাঙ্গালোর সিল্কে আড়ি-কাশ্মীরি ওয়ার্কের করা পার্টিওয়্যার শাড়ি পাবেন। বাংলার তাঁতে কড়ি ঘুঙুর লাগিয়ে প্যাচওয়ার্ক বা এমব্রয়ডারি করেও পুজো স্পেশাল শাড়ি করেছেন ডিজাইনার।
সপ্তমীতে তাঁত এমব্রয়ডারি
প্রতি বছরের মতো এবারও সপ্তমীর দিনটা স্কুলের বন্ধুদের জন্য রাখতে চান অমৃতা। পিঙ্ক আমার খুব প্রিয় রং- বলেই হালকা ও গাঢ় গোলাপি কম্বিনেশনে তৈরি তাঁত এমব্রয়ডারি শাড়িটি তুলে নিলেন। মালটিকালার্ড সুতোয় ফ্লোরাল এমব্রয়ডারি করে বাংলার তাঁত ও রেশম চেক শাড়িকে সাজিয়েছেন ডিজাইনার অনুশ্রী ও শম্পা। তাঁদের ‘অনুষ্পা’ বুটিকে এই ধরনের এমব্রয়ডারি করা, বিডস ও পার্ল বসানো শাড়িই এবারের পুজো স্পেশাল। এছাড়া তাঁতে এক্সক্লুসিভ ব্লকপ্রিন্ট, হ্যান্ডপেন্টিং, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি করা শাড়িও রয়েছে। সিল্ক ও তসরে ব্লকপ্রিন্ট ও বাটিক এবং এমব্রয়ডারির মিক্স অ্যান্ড ম্যাচেও পুজোর শাড়ি তৈরি হয়েছে।
অষ্টমীতে জর্জেট চিকন
অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার সময় মায়ের বুটিকের পুজো কালেকশন থেকে একটা লালপাড় হ্যান্ডলুম পরব— বললেন অমৃতা। কিন্তু দিনটা আমার কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর জন্য তাই ভোগ খেয়ে দুপুরবেলাতেই বেরিয়ে পড়ব বন্ধুদের সঙ্গে। ম্যাডক্স স্কোয়ারে বসব খানিকক্ষণ। ফুচকা খাব। আইসক্রিম খাব। শাড়িটা খুব হেভি হলে মুশকিল, বলতে বলতে সবুজ জর্জেটে লখনউ চিকনের কারুকাজ করা শাড়িটা তুলে নিয়ে মুচকি হেসে বললেন পারফেক্ট।’ শাড়িটি ‘জয়িতাজ সিলেকশন’-এর। জয়িতা সরাসরি লখনউয়ের চিকন শিল্পীদের দিয়ে কাজ করান। হালকা প্যাস্টেল শেডে কটন, কোটা, শিফন, জর্জেটে চিকনের কাজ করা শাড়িগুলো খুব সফিস্টিকেটেড।
নবমীতে খাদির সিল্ক
নবমীর দিন বাবা-মা’র সঙ্গে উত্তর কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাই। বাগবাজার, কুমোরটুলি, আহিরীটোলা, বিবেকানন্দ রোড, হেদুয়া পার্ক...। এইদিন ‘ট্র্যাডিশনাল সিল্ক শাড়ি’ পরতে চাই। তাই খাদি সিল্ক এম্পোরিয়াম-এর প্রিন্টেড সিল্কটা মনে ধরল অমৃতার। এবার ট্র্যাডিশনাল প্রিন্টের সঙ্গে একটু অন্যরকম প্রিন্টের মিক্স ম্যাচ করা হয়েছে। পাটলিপাল্লু স্টাইলে প্রিন্ট, হাফ-হাফ প্রিন্ট, তসর ডাই করে প্রিন্ট খাদির এবারের পুজো স্পেশাল এছাড়া সিল্ক ও তসরে শান্তিনিকেতনি কাঁথা, ফিউশন কাঁথা কাজ করা শাড়িও পাবেন।
দশমীতে বেনারসি বর্ডার
দশমীর দিনটা বাড়িতেই থাকি। রাস্তায় ঘোরাঘুরির ব্যাপার নেই তাই জমকালো শাড়ি পরতে কোনও অসুবিধে নেই। এই দিনটায় সবথেকে বেশি সাজগোজ করি— বললেন অমৃতা। বেনারসি বর্ডার টিস্যু শাড়িটি খুব পছন্দ হল তাঁর। আগুন লাল জমিনে স্কার্ট বর্ডার আর জমজমাট বেনারসি আঁচল। শাড়িটি ‘থৈবী’ বুটিকের। ডিজাইনার মৌমিতা জানালেন, হাতের কাজ করা শাড়ি তো আছেই তাঁর কালেকশনে তবে এবারের পুজো স্পেশাল বেনারসের এই টিস্যু শাড়িটি। হালকা ওজনের এই শাড়ির দামও রিজিনেবল।