Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ গঠনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যের পরিচয় থেকে ওই ভূখণ্ডের মুক্তি ঘটে। কিন্তু তাতেও দোলাচল কাটেনি। দেশটি গ্রস্ত হয়েছে খাঁটি সন্দেহের বাতাবরণে। নিজেদের স্বাধীনতার চেতনা অহরহ একে অন্যের প্রশ্নের মুখোমুখি। একদল ভাবছে, ‘ভারত ওদের মামার বাড়ি’! অন্যদলের সন্দেহ, তাদের বিরোধীরা ‘রাজাকার’! বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশি’ তবে কারা? কেউ নয়! দেশবাসী দেশের মানুষকে চিনবে আর কবে?
হাসিনার পতনের পরই জাতীয় সঙ্গীত বাতিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। জোরালো দাবি, ‘জাতীয় 
শোক দিবস’ পালন আর নয়। ওইসঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত নোট বাতিলেরও! ভাঙা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি। এবার কোপে তাঁর রচিত গান। বাংলাকে ভাঙার ও দুর্বল করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখতেই কবিগুরু গানটি 
লেখেন। ‘জাতির পিতা’ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর ৫০ বর্ষের প্রাক্কালে বাংলাদেশ থেকে তাঁর যাবতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার আয়োজনও প্রায় সম্পূর্ণ! 
‘চোখের বালি’র বাকিগুলির বিদায়েও সমান 
উদ্যোগী আমোদ গেঁড়েরা। কিন্তু ‘চোখের বালি’ সাফ করতে গিয়ে নিজ হাতে নিজের চোখই তাঁরা উপড়ে ফেলছেন না তো! 
হাসিনা দেশ ছাড়তেই, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর মিউজিয়াম ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন ওই বাড়িতেই। এই ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যের বহু নিদর্শন ও দলিল চিরলুপ্ত হয়ে গেল। ঐতিহ্যশালী একাধিক প্রতিষ্ঠানও দুর্বৃত্তদের টার্গেট এখন। ‘ধনধান্যপুষ্পভরা’ গান গেয়ে যে রাহুল আনন্দ বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরই সংগীতের যাবতীয় আয়োজন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের পরিণতির পরিমাপ এতদিনে নিশ্চয় নিয়ে ফেলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর পতনের কৃতিত্ব একদল ছাত্রছাত্রীর আন্দোলনের। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার অন্য এক বৈষম্য দিয়েই শুরু হল না কি? শাসকের আসনে স্বাগত ইউনুস তাঁর মর্যাদা খোয়ালেন শুরুতেই। তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ হল শুধুই কোরান! তাই ইতিমধ্যেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে, বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলন হাইজাক হয়নি কি?  নেপথ্যে পাকিস্তান এবং আমেরিকার কলকাঠি দেখছেন অনেকে। কেননা, একাত্তরে শুধু নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেননি, প্রকারান্তরে তা ছিল আমেরিকারও নাকখত।
বাংলাদেশে যথারীতি বিপন্ন হিন্দুরা। যেকোনও ইস্যুতে, একটি দুর্বৃত্ত শ্রেণির চোখে শুধু তারাই দোষী! এজন্য হিন্দু জনসংখ্যা সেখান কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, তবে ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪-এও তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন পাকিস্তান মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ (শোনা যাচ্ছে, মহাসাগরে নাকি সম্প্রতি এক ঘটি জল বেড়েছে)! ঢাকার এক গবেষক ১৯৪৭-পরবর্তী পাঁচদশকে হিন্দুনিধন, ধর্মান্তরণ ও বিতাড়ন প্রবণতা বিশ্লেষণসহ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আগামী তিনদশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনসিং’ আখ্যা কি অতিরঞ্জন? এথনিক ক্লিনসিং কি কোনও জাতির শ্রীবৃদ্ধির পথ হতে পারে? রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙা হল ২২ শ্রাবণের প্রাক্কালে। ‘হিন্দু’ (বাস্তবে তিনি একেশ্বরের উপাসক ‘ব্রাহ্ম’ ছিলেন) রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত (আমার সোনার বাংলা) খারিজের দাবি ক্রমে জোরদার হচ্ছে। পোড়ানো হল বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ নজরুল ইসলামের বই। সে কি তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি কিংবা হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? অশালীন মন্তব্য লেখা হল কালিলেপা বেগম রোকেয়ার ছবিতেও! সেটা কি তাঁকে ‘হাসিনা’ ভেবে? হায় রে, বিদ্যের দৌড়, ফ্যানাটিসিজম!
হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে পার্লামেন্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের এমপিরা। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস। প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথে। বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মার্কিন মুলুকের দুই কংগ্রেসম্যান। বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে, কানাডাতেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। চাপে পড়ে একাধিক হিন্দু মন্দির পাহারায় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। সীমান্তে দলে দলে হিন্দুরা গলা জলে কাতর আর্জিসহ দাঁড়িয়ে আছেন ভারতে ঢুকে বাঁচার আশায়। আবার 
একদল নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আর্তনাদ করছেন, ‘এই দেশে আর থাকতে পারব না’ বলে। অন্যদিকে, দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না, ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা বাংলাদেশি হিন্দুদের! এসব সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
অন্যদিকে, একদল নির্যাতিত মানুষ আওয়াজ তুলেছেন ‘আমার মাটি, আমার মা, এই দেশ ছাড়ব না’। আরও ভালো লাগছে যে, নেতৃত্বে অল্পবয়সি হিন্দু মেয়েরা! বড় বড় মিছিল ও জমায়েত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ নানা স্থানে। তাঁদের প্রশ্ন, স্বাধীনতা সংগ্রামে কি হিন্দুদের কোনও অবদান নেই? দুর্বৃত্তদের পাল্টা মার দেওয়ারও হুঁশিয়ারি তাঁদের মুখে! এমনকী, ৫ দফা দাবিও উত্থাপন করেছেন তাঁরা: হিন্দুরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। ধর্মীয় কারণে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার বিচার করতে হবে দ্রুত। দাবি উঠেছে ক্ষতিপূরণের। সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং হিন্দুদের জন্য সংসদে ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতেও পোস্টার পড়েছে। হিন্দুদের ঘুরে দাঁড়াবার এই ছবি সত্যিই নতুন। পারবেন কি তাঁরা প্রতিরোধের স্পিরিট ধরে রাখতে? অনেকাংশে নির্ভর করছে সরকারের নীতির উপর। বাংলাদেশের বর্তমান কর্ণধারদের উচিত, এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে নিজভূমে বাঁচতে চাওয়া মানুষগুলির হাত শক্ত করা। তাতে বাংলাদেশেরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং তা সহায়ক হবে তার ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে। পাশাপাশি রয়েছেন চব্বিশের যোগেন মণ্ডলরাও (পিনাকী ভট্টাচার্য, গোবিন্দ প্রামাণিক অ্যান্ড কোং)। একজন মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর অভাবও অনুভূত হচ্ছে সেখানে, যিনি একাত্তরে বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক অভূতপূর্ব বাতাবরণ গড়ে তোলেন। ‘ISLAM’ শব্দের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেন তিনি, ‘I Shall Love All Mankind’! এজন্য মুসলিমরাও সশ্রদ্ধায় তাঁকে ‘এজমালি সম্পত্তি (কমন প্রপার্টি)’ বলে ঘোষণা করেছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনকে সর্বতোভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন এপার বাংলার অগণিত মানুষ। কিন্তু ৫ আগস্ট এবং পরবর্তী নৈরাজ্যের ছবিতে সবচেয়ে হতাশ তাঁরা। দুই বন্ধু প্রতিবেশীর মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্র ক্রমে প্রসারিত হচ্ছিল। সেই স্বাস্থ্যকর চিত্র যারা ধ্বংস করছে তারা কোনোভাবেই নতুন বাংলাদেশের হিতাকাঙ্ক্ষী নয়। ব্যাপারটা একুশ এবং স্বাধীনতার চেতনারও পরিপন্থী।
মাথাপিছু বর্ধিত আয় (যদিও ওইসঙ্গে বৈষম্য বৃদ্ধির সত্যটি অবাঞ্ছিত), মৃত্যুর নিম্নহার, পোশাক শিল্পের শ্রেষ্ঠত্ব, ক্রিকেট, সিনেমা, নাটক, 
গান, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি বাংলাদেশকে ধরে‌ রাখতে হবে। তবে হিন্দুদের তাড়িয়ে এই সাফল্য ফিরবে না, আরও দীন হবে দেশ। যেমনটা হতে হয়েছিল 
১৯৪৭ বা ১৯৭১-এর পর অনেক বছর। ঐতিহাসিক ব্রিগেড ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তকণ্ঠে জানিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সবার সমান অবদান রয়েছে। আর বন্ধু হিসেবে ভারতের ঋণ অপরিশোধ্য। এখন সেই ভারতকে অস্বীকার করার তাগিদে দেশেরই একদল নাগরিক প্রধান টার্গেট হলে তার চেয়ে আত্মঘাতী নীতি আর কিছু হবে না। একদিকে বাড়বে মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির অপ্রতিরোধ্য দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে কালিমালিপ্ত হবে সুশীল সমাজের এযাবৎকালের প্রতিটি সৎ প্রচেষ্টা।‌ ইতিমধ্যেই গার্মেন্টস-সহ একাধিক শিল্প এবং সরকারি প্রকল্প থেকে পুঁজি 
অন্য দেশে সরে যেতে শুরু করেছে বলে দুঃসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের নাটক, সিনেমা, গান, বইপত্র, সাহিত্যসৃষ্টিও কি পশ্চিমবাংলার পাঠক দর্শক শ্রোতা হারাতে তৎপর? সামনেই দুর্গাপুজো, 
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটা নতুন বাংলাদেশের কাছে অগ্নিপরীক্ষাও বটে। গতবার বাংলাদেশে সর্বজনীন পুজো হয়েছিল ৩২ হাজারের বেশি। ওপারের কাগজগুলি লিখেছিল, দেশের বিভিন্ন এলাকার মতোই দুর্গাপুজো বাড়ছে ঢাকা শহরেও। ঢাকায় পুজোমণ্ডপের সংখ্যা ২৪৫, গতবছরের চেয়ে চারটি বেশি।
মহম্মদ ইউনুসের প্রভিশনাল গভর্নমেন্টের মেয়াদ যত ছোট হয় ততই মঙ্গল। স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তিতে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক দেশে। পরিবারতন্ত্রকে পুরো পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের সাধারণতন্ত্রে উত্তরণ জরুরি। সেই রাজনীতির অনুশীলনে অপছন্দের দলগুলি ব্রাত্য ঘোষিত হলে সেটা হবে নতুন বড় ভুল, প্রতিহিংসার রাজনীতি, যাতে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া ছিলেন হাসিনা অ্যান্ড কোম্পানি। পরাজিত হাসিনার ছেঁড়া জুতোতেই পা গলাবেন কি তাঁর প্রতিযোগীরাও? ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ আনলেন বলে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরাও যেন এই সুযোগে নতুন রাজা বা স্বৈরশাসক হয়ে ওঠার ভুলটি না করেন। অবশ্যই ফেরাতে হবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। নতুবা বৈষম্যহীন 
সমাজ গঠনের স্বপ্নটি রাজপথে একদল তরুণের রক্তপাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আশঙ্কিত ব্যর্থতা, অনবরত নাড়া দিতে থাকবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকেও। তখন উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বলতে পারে, একটা দেশ তিন টুকরো হল, দুই টুকরো শুধু মুসলমানদের হলে আমরা একা ‘সেকু’ থাকতে যাব কোন আহ্লাদে! মুসলিমরা ততক্ষণই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ যতক্ষণ তারা কোনও 
রাষ্ট্রে ‘সংখ্যালঘু’। সেই ম্যাও দীর্ঘমেয়াদে সামলানো ভারতের পক্ষে কঠিনই হতে পারে। পাকিস্তানের দুর্দশার মূলে তার তীব্র ভারত-বিরোধিতার 
নীতি। ভারতের চরম সর্বনাশ কামনা করতে করতেই নিজের সর্বনাশ হাসিল করে ফেলেছে দেশটি। বাংলাদেশের নব্য নায়করা তার থেকে কোনও শিক্ষা নেবেন না কি?
14th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM