Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ গঠনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যের পরিচয় থেকে ওই ভূখণ্ডের মুক্তি ঘটে। কিন্তু তাতেও দোলাচল কাটেনি। দেশটি গ্রস্ত হয়েছে খাঁটি সন্দেহের বাতাবরণে। নিজেদের স্বাধীনতার চেতনা অহরহ একে অন্যের প্রশ্নের মুখোমুখি। একদল ভাবছে, ‘ভারত ওদের মামার বাড়ি’! অন্যদলের সন্দেহ, তাদের বিরোধীরা ‘রাজাকার’! বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশি’ তবে কারা? কেউ নয়! দেশবাসী দেশের মানুষকে চিনবে আর কবে?
হাসিনার পতনের পরই জাতীয় সঙ্গীত বাতিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। জোরালো দাবি, ‘জাতীয় 
শোক দিবস’ পালন আর নয়। ওইসঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত নোট বাতিলেরও! ভাঙা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি। এবার কোপে তাঁর রচিত গান। বাংলাকে ভাঙার ও দুর্বল করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখতেই কবিগুরু গানটি 
লেখেন। ‘জাতির পিতা’ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর ৫০ বর্ষের প্রাক্কালে বাংলাদেশ থেকে তাঁর যাবতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার আয়োজনও প্রায় সম্পূর্ণ! 
‘চোখের বালি’র বাকিগুলির বিদায়েও সমান 
উদ্যোগী আমোদ গেঁড়েরা। কিন্তু ‘চোখের বালি’ সাফ করতে গিয়ে নিজ হাতে নিজের চোখই তাঁরা উপড়ে ফেলছেন না তো! 
হাসিনা দেশ ছাড়তেই, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর মিউজিয়াম ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন ওই বাড়িতেই। এই ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যের বহু নিদর্শন ও দলিল চিরলুপ্ত হয়ে গেল। ঐতিহ্যশালী একাধিক প্রতিষ্ঠানও দুর্বৃত্তদের টার্গেট এখন। ‘ধনধান্যপুষ্পভরা’ গান গেয়ে যে রাহুল আনন্দ বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরই সংগীতের যাবতীয় আয়োজন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের পরিণতির পরিমাপ এতদিনে নিশ্চয় নিয়ে ফেলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর পতনের কৃতিত্ব একদল ছাত্রছাত্রীর আন্দোলনের। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার অন্য এক বৈষম্য দিয়েই শুরু হল না কি? শাসকের আসনে স্বাগত ইউনুস তাঁর মর্যাদা খোয়ালেন শুরুতেই। তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ হল শুধুই কোরান! তাই ইতিমধ্যেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে, বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলন হাইজাক হয়নি কি?  নেপথ্যে পাকিস্তান এবং আমেরিকার কলকাঠি দেখছেন অনেকে। কেননা, একাত্তরে শুধু নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেননি, প্রকারান্তরে তা ছিল আমেরিকারও নাকখত।
বাংলাদেশে যথারীতি বিপন্ন হিন্দুরা। যেকোনও ইস্যুতে, একটি দুর্বৃত্ত শ্রেণির চোখে শুধু তারাই দোষী! এজন্য হিন্দু জনসংখ্যা সেখান কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, তবে ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪-এও তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন পাকিস্তান মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ (শোনা যাচ্ছে, মহাসাগরে নাকি সম্প্রতি এক ঘটি জল বেড়েছে)! ঢাকার এক গবেষক ১৯৪৭-পরবর্তী পাঁচদশকে হিন্দুনিধন, ধর্মান্তরণ ও বিতাড়ন প্রবণতা বিশ্লেষণসহ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আগামী তিনদশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনসিং’ আখ্যা কি অতিরঞ্জন? এথনিক ক্লিনসিং কি কোনও জাতির শ্রীবৃদ্ধির পথ হতে পারে? রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙা হল ২২ শ্রাবণের প্রাক্কালে। ‘হিন্দু’ (বাস্তবে তিনি একেশ্বরের উপাসক ‘ব্রাহ্ম’ ছিলেন) রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত (আমার সোনার বাংলা) খারিজের দাবি ক্রমে জোরদার হচ্ছে। পোড়ানো হল বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ নজরুল ইসলামের বই। সে কি তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি কিংবা হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? অশালীন মন্তব্য লেখা হল কালিলেপা বেগম রোকেয়ার ছবিতেও! সেটা কি তাঁকে ‘হাসিনা’ ভেবে? হায় রে, বিদ্যের দৌড়, ফ্যানাটিসিজম!
হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে পার্লামেন্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের এমপিরা। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস। প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথে। বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মার্কিন মুলুকের দুই কংগ্রেসম্যান। বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে, কানাডাতেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। চাপে পড়ে একাধিক হিন্দু মন্দির পাহারায় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। সীমান্তে দলে দলে হিন্দুরা গলা জলে কাতর আর্জিসহ দাঁড়িয়ে আছেন ভারতে ঢুকে বাঁচার আশায়। আবার 
একদল নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আর্তনাদ করছেন, ‘এই দেশে আর থাকতে পারব না’ বলে। অন্যদিকে, দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না, ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা বাংলাদেশি হিন্দুদের! এসব সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
অন্যদিকে, একদল নির্যাতিত মানুষ আওয়াজ তুলেছেন ‘আমার মাটি, আমার মা, এই দেশ ছাড়ব না’। আরও ভালো লাগছে যে, নেতৃত্বে অল্পবয়সি হিন্দু মেয়েরা! বড় বড় মিছিল ও জমায়েত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ নানা স্থানে। তাঁদের প্রশ্ন, স্বাধীনতা সংগ্রামে কি হিন্দুদের কোনও অবদান নেই? দুর্বৃত্তদের পাল্টা মার দেওয়ারও হুঁশিয়ারি তাঁদের মুখে! এমনকী, ৫ দফা দাবিও উত্থাপন করেছেন তাঁরা: হিন্দুরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। ধর্মীয় কারণে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার বিচার করতে হবে দ্রুত। দাবি উঠেছে ক্ষতিপূরণের। সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং হিন্দুদের জন্য সংসদে ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতেও পোস্টার পড়েছে। হিন্দুদের ঘুরে দাঁড়াবার এই ছবি সত্যিই নতুন। পারবেন কি তাঁরা প্রতিরোধের স্পিরিট ধরে রাখতে? অনেকাংশে নির্ভর করছে সরকারের নীতির উপর। বাংলাদেশের বর্তমান কর্ণধারদের উচিত, এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে নিজভূমে বাঁচতে চাওয়া মানুষগুলির হাত শক্ত করা। তাতে বাংলাদেশেরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং তা সহায়ক হবে তার ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে। পাশাপাশি রয়েছেন চব্বিশের যোগেন মণ্ডলরাও (পিনাকী ভট্টাচার্য, গোবিন্দ প্রামাণিক অ্যান্ড কোং)। একজন মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর অভাবও অনুভূত হচ্ছে সেখানে, যিনি একাত্তরে বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক অভূতপূর্ব বাতাবরণ গড়ে তোলেন। ‘ISLAM’ শব্দের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেন তিনি, ‘I Shall Love All Mankind’! এজন্য মুসলিমরাও সশ্রদ্ধায় তাঁকে ‘এজমালি সম্পত্তি (কমন প্রপার্টি)’ বলে ঘোষণা করেছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনকে সর্বতোভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন এপার বাংলার অগণিত মানুষ। কিন্তু ৫ আগস্ট এবং পরবর্তী নৈরাজ্যের ছবিতে সবচেয়ে হতাশ তাঁরা। দুই বন্ধু প্রতিবেশীর মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্র ক্রমে প্রসারিত হচ্ছিল। সেই স্বাস্থ্যকর চিত্র যারা ধ্বংস করছে তারা কোনোভাবেই নতুন বাংলাদেশের হিতাকাঙ্ক্ষী নয়। ব্যাপারটা একুশ এবং স্বাধীনতার চেতনারও পরিপন্থী।
মাথাপিছু বর্ধিত আয় (যদিও ওইসঙ্গে বৈষম্য বৃদ্ধির সত্যটি অবাঞ্ছিত), মৃত্যুর নিম্নহার, পোশাক শিল্পের শ্রেষ্ঠত্ব, ক্রিকেট, সিনেমা, নাটক, 
গান, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি বাংলাদেশকে ধরে‌ রাখতে হবে। তবে হিন্দুদের তাড়িয়ে এই সাফল্য ফিরবে না, আরও দীন হবে দেশ। যেমনটা হতে হয়েছিল 
১৯৪৭ বা ১৯৭১-এর পর অনেক বছর। ঐতিহাসিক ব্রিগেড ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তকণ্ঠে জানিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সবার সমান অবদান রয়েছে। আর বন্ধু হিসেবে ভারতের ঋণ অপরিশোধ্য। এখন সেই ভারতকে অস্বীকার করার তাগিদে দেশেরই একদল নাগরিক প্রধান টার্গেট হলে তার চেয়ে আত্মঘাতী নীতি আর কিছু হবে না। একদিকে বাড়বে মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির অপ্রতিরোধ্য দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে কালিমালিপ্ত হবে সুশীল সমাজের এযাবৎকালের প্রতিটি সৎ প্রচেষ্টা।‌ ইতিমধ্যেই গার্মেন্টস-সহ একাধিক শিল্প এবং সরকারি প্রকল্প থেকে পুঁজি 
অন্য দেশে সরে যেতে শুরু করেছে বলে দুঃসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের নাটক, সিনেমা, গান, বইপত্র, সাহিত্যসৃষ্টিও কি পশ্চিমবাংলার পাঠক দর্শক শ্রোতা হারাতে তৎপর? সামনেই দুর্গাপুজো, 
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটা নতুন বাংলাদেশের কাছে অগ্নিপরীক্ষাও বটে। গতবার বাংলাদেশে সর্বজনীন পুজো হয়েছিল ৩২ হাজারের বেশি। ওপারের কাগজগুলি লিখেছিল, দেশের বিভিন্ন এলাকার মতোই দুর্গাপুজো বাড়ছে ঢাকা শহরেও। ঢাকায় পুজোমণ্ডপের সংখ্যা ২৪৫, গতবছরের চেয়ে চারটি বেশি।
মহম্মদ ইউনুসের প্রভিশনাল গভর্নমেন্টের মেয়াদ যত ছোট হয় ততই মঙ্গল। স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তিতে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক দেশে। পরিবারতন্ত্রকে পুরো পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের সাধারণতন্ত্রে উত্তরণ জরুরি। সেই রাজনীতির অনুশীলনে অপছন্দের দলগুলি ব্রাত্য ঘোষিত হলে সেটা হবে নতুন বড় ভুল, প্রতিহিংসার রাজনীতি, যাতে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া ছিলেন হাসিনা অ্যান্ড কোম্পানি। পরাজিত হাসিনার ছেঁড়া জুতোতেই পা গলাবেন কি তাঁর প্রতিযোগীরাও? ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ আনলেন বলে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরাও যেন এই সুযোগে নতুন রাজা বা স্বৈরশাসক হয়ে ওঠার ভুলটি না করেন। অবশ্যই ফেরাতে হবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। নতুবা বৈষম্যহীন 
সমাজ গঠনের স্বপ্নটি রাজপথে একদল তরুণের রক্তপাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আশঙ্কিত ব্যর্থতা, অনবরত নাড়া দিতে থাকবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকেও। তখন উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বলতে পারে, একটা দেশ তিন টুকরো হল, দুই টুকরো শুধু মুসলমানদের হলে আমরা একা ‘সেকু’ থাকতে যাব কোন আহ্লাদে! মুসলিমরা ততক্ষণই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ যতক্ষণ তারা কোনও 
রাষ্ট্রে ‘সংখ্যালঘু’। সেই ম্যাও দীর্ঘমেয়াদে সামলানো ভারতের পক্ষে কঠিনই হতে পারে। পাকিস্তানের দুর্দশার মূলে তার তীব্র ভারত-বিরোধিতার 
নীতি। ভারতের চরম সর্বনাশ কামনা করতে করতেই নিজের সর্বনাশ হাসিল করে ফেলেছে দেশটি। বাংলাদেশের নব্য নায়করা তার থেকে কোনও শিক্ষা নেবেন না কি?
14th  August, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শেয়ার বাজার: ২২৪ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হল সেনসেক্স

04:26:00 PM

কুম্ভমেলা থেকে ফেরার পথে বৃন্দাবনে বাসে আগুন, ঝলসে মৃত ১
পূর্ণকুম্ভে পূণ্যের ডুব দিয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি। ...বিশদ

04:16:50 PM

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ, ২৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি

04:12:00 PM

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ডের বন্যা স্মৃতি মান্ধানাদের
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিলেন ভারতীয় ...বিশদ

04:00:00 PM

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ধোঁয়ায় ঢেকে গোটা এলাকা

03:53:09 PM

রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ...বিশদ

03:28:03 PM