Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ গঠনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যের পরিচয় থেকে ওই ভূখণ্ডের মুক্তি ঘটে। কিন্তু তাতেও দোলাচল কাটেনি। দেশটি গ্রস্ত হয়েছে খাঁটি সন্দেহের বাতাবরণে। নিজেদের স্বাধীনতার চেতনা অহরহ একে অন্যের প্রশ্নের মুখোমুখি। একদল ভাবছে, ‘ভারত ওদের মামার বাড়ি’! অন্যদলের সন্দেহ, তাদের বিরোধীরা ‘রাজাকার’! বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশি’ তবে কারা? কেউ নয়! দেশবাসী দেশের মানুষকে চিনবে আর কবে?
হাসিনার পতনের পরই জাতীয় সঙ্গীত বাতিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। জোরালো দাবি, ‘জাতীয় 
শোক দিবস’ পালন আর নয়। ওইসঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত নোট বাতিলেরও! ভাঙা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি। এবার কোপে তাঁর রচিত গান। বাংলাকে ভাঙার ও দুর্বল করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখতেই কবিগুরু গানটি 
লেখেন। ‘জাতির পিতা’ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর ৫০ বর্ষের প্রাক্কালে বাংলাদেশ থেকে তাঁর যাবতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার আয়োজনও প্রায় সম্পূর্ণ! 
‘চোখের বালি’র বাকিগুলির বিদায়েও সমান 
উদ্যোগী আমোদ গেঁড়েরা। কিন্তু ‘চোখের বালি’ সাফ করতে গিয়ে নিজ হাতে নিজের চোখই তাঁরা উপড়ে ফেলছেন না তো! 
হাসিনা দেশ ছাড়তেই, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর মিউজিয়াম ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন ওই বাড়িতেই। এই ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যের বহু নিদর্শন ও দলিল চিরলুপ্ত হয়ে গেল। ঐতিহ্যশালী একাধিক প্রতিষ্ঠানও দুর্বৃত্তদের টার্গেট এখন। ‘ধনধান্যপুষ্পভরা’ গান গেয়ে যে রাহুল আনন্দ বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরই সংগীতের যাবতীয় আয়োজন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের পরিণতির পরিমাপ এতদিনে নিশ্চয় নিয়ে ফেলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর পতনের কৃতিত্ব একদল ছাত্রছাত্রীর আন্দোলনের। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার অন্য এক বৈষম্য দিয়েই শুরু হল না কি? শাসকের আসনে স্বাগত ইউনুস তাঁর মর্যাদা খোয়ালেন শুরুতেই। তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ হল শুধুই কোরান! তাই ইতিমধ্যেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে, বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলন হাইজাক হয়নি কি?  নেপথ্যে পাকিস্তান এবং আমেরিকার কলকাঠি দেখছেন অনেকে। কেননা, একাত্তরে শুধু নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেননি, প্রকারান্তরে তা ছিল আমেরিকারও নাকখত।
বাংলাদেশে যথারীতি বিপন্ন হিন্দুরা। যেকোনও ইস্যুতে, একটি দুর্বৃত্ত শ্রেণির চোখে শুধু তারাই দোষী! এজন্য হিন্দু জনসংখ্যা সেখান কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, তবে ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪-এও তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন পাকিস্তান মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ (শোনা যাচ্ছে, মহাসাগরে নাকি সম্প্রতি এক ঘটি জল বেড়েছে)! ঢাকার এক গবেষক ১৯৪৭-পরবর্তী পাঁচদশকে হিন্দুনিধন, ধর্মান্তরণ ও বিতাড়ন প্রবণতা বিশ্লেষণসহ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আগামী তিনদশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনসিং’ আখ্যা কি অতিরঞ্জন? এথনিক ক্লিনসিং কি কোনও জাতির শ্রীবৃদ্ধির পথ হতে পারে? রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙা হল ২২ শ্রাবণের প্রাক্কালে। ‘হিন্দু’ (বাস্তবে তিনি একেশ্বরের উপাসক ‘ব্রাহ্ম’ ছিলেন) রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত (আমার সোনার বাংলা) খারিজের দাবি ক্রমে জোরদার হচ্ছে। পোড়ানো হল বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ নজরুল ইসলামের বই। সে কি তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি কিংবা হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? অশালীন মন্তব্য লেখা হল কালিলেপা বেগম রোকেয়ার ছবিতেও! সেটা কি তাঁকে ‘হাসিনা’ ভেবে? হায় রে, বিদ্যের দৌড়, ফ্যানাটিসিজম!
হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে পার্লামেন্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের এমপিরা। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস। প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথে। বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মার্কিন মুলুকের দুই কংগ্রেসম্যান। বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে, কানাডাতেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। চাপে পড়ে একাধিক হিন্দু মন্দির পাহারায় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। সীমান্তে দলে দলে হিন্দুরা গলা জলে কাতর আর্জিসহ দাঁড়িয়ে আছেন ভারতে ঢুকে বাঁচার আশায়। আবার 
একদল নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আর্তনাদ করছেন, ‘এই দেশে আর থাকতে পারব না’ বলে। অন্যদিকে, দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না, ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা বাংলাদেশি হিন্দুদের! এসব সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
অন্যদিকে, একদল নির্যাতিত মানুষ আওয়াজ তুলেছেন ‘আমার মাটি, আমার মা, এই দেশ ছাড়ব না’। আরও ভালো লাগছে যে, নেতৃত্বে অল্পবয়সি হিন্দু মেয়েরা! বড় বড় মিছিল ও জমায়েত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ নানা স্থানে। তাঁদের প্রশ্ন, স্বাধীনতা সংগ্রামে কি হিন্দুদের কোনও অবদান নেই? দুর্বৃত্তদের পাল্টা মার দেওয়ারও হুঁশিয়ারি তাঁদের মুখে! এমনকী, ৫ দফা দাবিও উত্থাপন করেছেন তাঁরা: হিন্দুরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। ধর্মীয় কারণে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার বিচার করতে হবে দ্রুত। দাবি উঠেছে ক্ষতিপূরণের। সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং হিন্দুদের জন্য সংসদে ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতেও পোস্টার পড়েছে। হিন্দুদের ঘুরে দাঁড়াবার এই ছবি সত্যিই নতুন। পারবেন কি তাঁরা প্রতিরোধের স্পিরিট ধরে রাখতে? অনেকাংশে নির্ভর করছে সরকারের নীতির উপর। বাংলাদেশের বর্তমান কর্ণধারদের উচিত, এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে নিজভূমে বাঁচতে চাওয়া মানুষগুলির হাত শক্ত করা। তাতে বাংলাদেশেরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং তা সহায়ক হবে তার ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে। পাশাপাশি রয়েছেন চব্বিশের যোগেন মণ্ডলরাও (পিনাকী ভট্টাচার্য, গোবিন্দ প্রামাণিক অ্যান্ড কোং)। একজন মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর অভাবও অনুভূত হচ্ছে সেখানে, যিনি একাত্তরে বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক অভূতপূর্ব বাতাবরণ গড়ে তোলেন। ‘ISLAM’ শব্দের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেন তিনি, ‘I Shall Love All Mankind’! এজন্য মুসলিমরাও সশ্রদ্ধায় তাঁকে ‘এজমালি সম্পত্তি (কমন প্রপার্টি)’ বলে ঘোষণা করেছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনকে সর্বতোভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন এপার বাংলার অগণিত মানুষ। কিন্তু ৫ আগস্ট এবং পরবর্তী নৈরাজ্যের ছবিতে সবচেয়ে হতাশ তাঁরা। দুই বন্ধু প্রতিবেশীর মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্র ক্রমে প্রসারিত হচ্ছিল। সেই স্বাস্থ্যকর চিত্র যারা ধ্বংস করছে তারা কোনোভাবেই নতুন বাংলাদেশের হিতাকাঙ্ক্ষী নয়। ব্যাপারটা একুশ এবং স্বাধীনতার চেতনারও পরিপন্থী।
মাথাপিছু বর্ধিত আয় (যদিও ওইসঙ্গে বৈষম্য বৃদ্ধির সত্যটি অবাঞ্ছিত), মৃত্যুর নিম্নহার, পোশাক শিল্পের শ্রেষ্ঠত্ব, ক্রিকেট, সিনেমা, নাটক, 
গান, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি বাংলাদেশকে ধরে‌ রাখতে হবে। তবে হিন্দুদের তাড়িয়ে এই সাফল্য ফিরবে না, আরও দীন হবে দেশ। যেমনটা হতে হয়েছিল 
১৯৪৭ বা ১৯৭১-এর পর অনেক বছর। ঐতিহাসিক ব্রিগেড ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তকণ্ঠে জানিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সবার সমান অবদান রয়েছে। আর বন্ধু হিসেবে ভারতের ঋণ অপরিশোধ্য। এখন সেই ভারতকে অস্বীকার করার তাগিদে দেশেরই একদল নাগরিক প্রধান টার্গেট হলে তার চেয়ে আত্মঘাতী নীতি আর কিছু হবে না। একদিকে বাড়বে মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির অপ্রতিরোধ্য দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে কালিমালিপ্ত হবে সুশীল সমাজের এযাবৎকালের প্রতিটি সৎ প্রচেষ্টা।‌ ইতিমধ্যেই গার্মেন্টস-সহ একাধিক শিল্প এবং সরকারি প্রকল্প থেকে পুঁজি 
অন্য দেশে সরে যেতে শুরু করেছে বলে দুঃসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের নাটক, সিনেমা, গান, বইপত্র, সাহিত্যসৃষ্টিও কি পশ্চিমবাংলার পাঠক দর্শক শ্রোতা হারাতে তৎপর? সামনেই দুর্গাপুজো, 
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটা নতুন বাংলাদেশের কাছে অগ্নিপরীক্ষাও বটে। গতবার বাংলাদেশে সর্বজনীন পুজো হয়েছিল ৩২ হাজারের বেশি। ওপারের কাগজগুলি লিখেছিল, দেশের বিভিন্ন এলাকার মতোই দুর্গাপুজো বাড়ছে ঢাকা শহরেও। ঢাকায় পুজোমণ্ডপের সংখ্যা ২৪৫, গতবছরের চেয়ে চারটি বেশি।
মহম্মদ ইউনুসের প্রভিশনাল গভর্নমেন্টের মেয়াদ যত ছোট হয় ততই মঙ্গল। স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তিতে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক দেশে। পরিবারতন্ত্রকে পুরো পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের সাধারণতন্ত্রে উত্তরণ জরুরি। সেই রাজনীতির অনুশীলনে অপছন্দের দলগুলি ব্রাত্য ঘোষিত হলে সেটা হবে নতুন বড় ভুল, প্রতিহিংসার রাজনীতি, যাতে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া ছিলেন হাসিনা অ্যান্ড কোম্পানি। পরাজিত হাসিনার ছেঁড়া জুতোতেই পা গলাবেন কি তাঁর প্রতিযোগীরাও? ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ আনলেন বলে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরাও যেন এই সুযোগে নতুন রাজা বা স্বৈরশাসক হয়ে ওঠার ভুলটি না করেন। অবশ্যই ফেরাতে হবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। নতুবা বৈষম্যহীন 
সমাজ গঠনের স্বপ্নটি রাজপথে একদল তরুণের রক্তপাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আশঙ্কিত ব্যর্থতা, অনবরত নাড়া দিতে থাকবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকেও। তখন উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বলতে পারে, একটা দেশ তিন টুকরো হল, দুই টুকরো শুধু মুসলমানদের হলে আমরা একা ‘সেকু’ থাকতে যাব কোন আহ্লাদে! মুসলিমরা ততক্ষণই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ যতক্ষণ তারা কোনও 
রাষ্ট্রে ‘সংখ্যালঘু’। সেই ম্যাও দীর্ঘমেয়াদে সামলানো ভারতের পক্ষে কঠিনই হতে পারে। পাকিস্তানের দুর্দশার মূলে তার তীব্র ভারত-বিরোধিতার 
নীতি। ভারতের চরম সর্বনাশ কামনা করতে করতেই নিজের সর্বনাশ হাসিল করে ফেলেছে দেশটি। বাংলাদেশের নব্য নায়করা তার থেকে কোনও শিক্ষা নেবেন না কি?
14th  August, 2024
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
একনজরে
বিশ্ববিদ্যালয় গড়লেও হাসপাতালের স্বপ্নপূরণ হল না। তার আগেই প্রয়াত হলেন বীরভূমের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী মুনকির হোসেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ...

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান কপার লিমিটেড (এইচসিএল) ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ‘এক্সেলেন্ট’ তকমা পেল। পাবলিক এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রক (ডিপিই) ‘মউ’ করার মাপকাঠিতে সংস্থাটিকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। ...

ভারত বিদ্বেষ চরম আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। ভারতীয় পণ্য ‘বয়কটের’ ডাক দিয়ে বাজার গরম করতে ময়দানে নেমেছেন ছোট-বড় সমস্ত শ্রেণির নেতা। ...

 আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গি নুর ইসলাম ও শাদ রবি বাংলায় ঠিক কতগুলি স্লিপার সেল খুলেছে এবং সদস্য সংখ্যা কত, জেরা করে জানতে চায় বেঙ্গল এসটিএফ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির  সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১২: ইংরেজ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জন্ম
১৮৭১: আমাশা রোগের জীবাণু আবিষ্কর্তা জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশির জন্ম
১৮৯৪: বিখ্যাত সুরকার তথা সেক্সাফোনের আবিষ্কারক এডলফ সক্সের মৃত্যু
১৯০৪: চিত্রশিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৭: নাট্যকার বিধায়ক ভট্টাচার্যের জন্ম
২০০৫: সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৮ টাকা ৮৮.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫০ টাকা ১১১.২৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩০ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী ৩৭/৫৫, রাত্রি ৯/২৭। রোহিনী নক্ষত্র ৩০/৫৮ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/২৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৫০  মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৭ গতে ১০/৪ মধ্যে। 
২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী রাত্রি ১০/৫৭। রোহিনী নক্ষত্র রাত্রি ৮/২৭। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৩ মধ্যে ও ৮/২০ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩০ মধ্যে ও ৪/২ গতে ৫/২৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৪ গতে ৮/৫৪ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২৩ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৬ গতে ১১/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
৮ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
৫৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:18:00 PM

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে এআই সামিটে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

02:04:50 PM

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টেতে রাজ্য বাজেট পেশ হবে বিধানসভায়

02:04:00 PM

কৃষকদের ঋণে ডোবাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:02:00 PM

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট মরীচিকা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:01:00 PM

এই বাজেট বাংলা বিরোধী বাজেট: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

01:59:00 PM