Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি? নাকি গোয়েন্দারাও তোষামোদি আর ‘অব কি বার ৪০০ পারের স্বপ্ন ফেরিতেই বুঁদ ছিল গত অর্ধবর্ষ। কোথায় কী ঘটছে, তার খবরাখবর রাখায় মন ছিল না। নাহলে জুন মাসে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে হাসিনা দু’বার দিল্লি ঘুরে গেলেও কেউ কিচ্ছু আঁচ পেলেন না। এবং তারপরই চীন সফরে গিয়ে চরম অপমানিত হয়ে ফিরেছিলেন মুজিবুর কন্যা। প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাংলাদেশকে বড় মাপের ঋণ দিতে অস্বীকার করে জিনপিং সরকার। সেই কূটনৈতিক অপমান হজম করতে না পেরে সফর কাটছাঁট করে আগেই ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি। বেজিংয়ের ওই আচরণের পরও সেদিন দিল্লি কেন আসল সত্যিটার খোঁজ নিল না, তা গভীর রহস্যেই ঢাকা থাকবে চিরদিন।
এটা ঠিক, এই কঠিন সময়ে বিদেশ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বেমানান। উচিতও নয়। যে কোনও আর্ন্তজাতিক বিপর্যয়ের সময় সরকার ও বিরোধী 
পক্ষ অন্তত এই একটা ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েই চলে। এটাই আমাদের রাজনৈতিক সৌজন্য ও শিক্ষা। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত, বছরখানেক আগে ইমরান খানের গ্রেপ্তার, শ্রীলঙ্কার অভূতপূর্ব আর্থিক সঙ্কট এবং দু’বছর আগে রাজাপাক্ষের দেশত্যাগের পিঠোপিঠি এবার বাংলাদেশে হাসিনার আচমকা পতন ও কোথাও আশ্রয় না পেয়ে প্রাণভয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আসা এপারের অস্বস্তি বাড়াতে বাধ্য। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সেদেশের সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের হুঁশিয়ারি, ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রনেতাকে যেন বেশিদিন আশ্রয় না দেয় দিল্লি। বারে বারে ঘুরে আসে একটাই অভিযোগ, ভারত সরকার যখন হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারল তাহলে আগাম ঢাকার নিয়ন্ত্রণ যে দ্রুত মুজিবুর কন্যার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেই ব্যাপারে সতর্ক করেনি কেন? অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ তো ২৪০’এ থেমে যাওয়ার চেয়ে এই মুহূর্তে শাসক বিজেপি’র কাছে কম বড় জ্বালা নয়। তার অভিঘাত এ দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নাগরিক জীবনকে টালমাটাল করে দিতে পারে আগামী দিনে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের।
গত সোমবার বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার নির্মম দৃশ্য দেখে এই একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরে ঘুরে আসছে, দেশের বড় অংশের মানুষ যে পুরোপুরি বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে, তা ঘুণাক্ষরে কেন বুঝতে পারলেন না বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দু’শো বিচ্যুতির মধ্যে প্রথম ভুল, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ‘রাজাকার’ মন্তব্য করা। দ্বিতীয় ভুল, আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে আওয়ামি লিগের সংগঠন ছাত্র লিগকে লেলিয়ে দেওয়া। আর তৃতীয় ভুল, ছাত্রদের উপর পুলিসকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া। এখান থেকেই পুরো আন্দোলনটা অন্যদিকে মোড় নেয়। সেনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় যে সরকার গঠিত হয়েছে তা কতটা ছাত্রদের দাবিকে সম্মান জানাবে, সন্দেহ আছে। ইউনুস সাহেবকেই বা সবাই মেনে নেয় কি না, সেটাও দেখার। কিন্তু আওয়ামি লিগের একাধিপত্য যে বলপূর্বক উপর থেকে চাপানো ছিল, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ সব শ্রেণির শাসককুলের কাছেও বড় শিক্ষা। যেনতেনপ্রকারেণ ভোটে জেতার অর্থই জনগণ ষোলোআনা সঙ্গে, তার কোনও মানে নেই। বিশেষ করে সিংহভাগ বিরোধী দলই যদি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে, তাহলে শাসকের বিরুদ্ধে আঙুল উঠতে বাধ্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় গণতন্ত্রে অভিশাপ। একসময় বিস্ফোরণ হতে বাধ্য। বাংলাদেশের বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, বাধ্য হয়ে হাসিনার দেশত্যাগ দুনিয়ার ক্ষমতার কারবারিদের সেই মোক্ষম শিক্ষাই দিয়ে গেল। ক্ষমতার দম্ভে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে কুক্ষিগত করার মাশুল আজ না হয় কাল দিতেই হবে। মাত্র সাত মাস আগেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে হেলায় সেই ভোট লড়াইয়ে জয়ীও হন মুজিবুর কন্যা হাসিনা। সেই দিক দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে হাসিনা সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রাষ্ট্রনায়ক। কিন্তু প্রদীপের তলাতেই যে এত অন্ধকার কে জানত? ২০০৮ সালে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তারপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পরপর যে তিনটি নির্বাচনে জিতে তিনি গদি ধরে রাখেন, সেগুলি খুবই বিতর্কিত, একপেশে ছিল। কারণ বহু বিরোধী নেতানেত্রীকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। মামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই বিদেশে পাড়ি দেন। মুজিবুর কন্যা ক্ষমতাকে এতটাই কেন্দ্রীভূত করেছিলেন যে তাঁকে অপরাজেয় বলেই মনে হচ্ছিল। এই বিরোধীশূন্য আবহে নির্বাচনে জয়লাভ যে আখেরে ব্যুমেরাং হতে বাধ্য, ইতিহাসের এই পাঠ মুজিবুর কন্যা নেননি। ছাত্র আন্দোলনের নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের আড়ালে গত সোমবার একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি আবারও তা মনে করিয়ে দিল নির্মমভাবে। তাঁর বহু স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন, ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে লুটপাট চলল, ভাঙচুর হল। দেশে-বিদেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সাফল্যের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন, সেই উন্নয়নকে নিমেষে ম্লান করে লাগামহীন দুর্নীতির পাল্টা জবাব এই বিক্ষোভের মাধ্যমে বেরিয়ে এল ঢাকার রাজপথে। তা সঙ্কট ডেকে আনল পড়শি এপার বাংলাতেও। 
মোদিজি যতই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়ান, নিজেকে স্বঘোষিত বিশ্বগুরু সাজিয়ে ভাবমূর্তির মারকাটারি বিপণনে মন দিয়ে থাকুন, এই উপমহাদেশে দিল্লির কূটনৈতিক কর্তৃত্ব কিন্তু ধাক্কা খাচ্ছে বারবার। একের পর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কট্টর ভারত বিরোধী মনোভাব মোটেই আমাদের বিদেশ নীতির ভালো বিজ্ঞাপন হতে পারে না। এটা ঠিক, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া পাকিস্তানকে ক্রমাগত অক্সিজেন দিচ্ছে চীন। মূলত ভারতকে চাপে ফেলতে। নেপাল, ভুটান থেকে মায়ানমারও ইদানীং আর্থিক প্রয়োজনে দিল্লির তুলনায় বেশি শুনছে বেজিংয়ের কথা। এর উপর বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশও কট্টর সেনা, বিএনপি, ছাত্র ও জামাত নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে দিল্লির বিপদ বড় কম নয়। এমনও খবর আছে, একটা নির্ভেজাল ছাত্র আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে পাকিস্তানের আইএসআই ও সেনার মদতে পিছন থেকে গোটা অপারেশনটা পরিচালনা করেছে চীনই। লক্ষ্য ভারতকে এই উপমহাদেশে ক্রমেই একঘরে করা। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে চীন ও পাকিস্তান। প্যারিস থেকে উড়িয়ে এনে ইউনুস সাহেবকে এই সরকারের মাথা করার পিছনেই বা কোন বৃহৎ শক্তির হাত?
কিন্তু সব ছাপিয়ে মূল প্রশ্ন, পদ্মাপারে নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে এদেশে সবচেয়ে বড় 
ক্ষতি কোন রাজ্যের? পাকিস্তান অগ্নিগর্ভ হলে তার ছাপ পড়ে কাশ্মীরে, পাঞ্জাবে। আর বাংলাদেশ? বারবার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে এরাজ্যের স্থলসীমানা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া জলসীমানাও আছে। সীমান্ত বরাবর রয়েছে ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, অসম সহ উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দু’কোটিরও বেশি মানুষ এপারে এসে আশ্রয় নেয়। ঢাকা, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, যশোর, চট্টগ্রাম থেকে দলে দলে শরণার্থী ঢোকার সেই দুঃসহ স্মৃতিই কি আবার ফিরে আসছে এপার বাংলায়? হাবড়া, বনগাঁ, সুন্দরবন, বসিরহাট, কোচবিহার তার সাক্ষী। এর প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে, যা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য, বেকার সমস্যা এবং রুটিরুজির ক্ষতের সঙ্গে। সেইসঙ্গে দেশভাগের দুঃসহ স্মৃতি। এখন ওপারের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। তাই বিপদও বেশি।
এটা ঠিক, অরাজকতা চিরদিনই বিপন্ন মানুষকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল শান্ত ভূখণ্ডের দিকেই টেনে নিয়ে যায়। ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তাই ঘটেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ এবারও পশ্চিমবঙ্গে  ঢুকতে মরিয়া। মূল উদ্বেগের বিষয় প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তের ওপারের সংখ্যালঘুরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারত সরকারের ভূমিকা কী হবে? সরকারিভাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাট করে দরজা খোলা হবে না। কিন্তু একইসঙ্গে শীতলকুচি, ইসলামপুর, দক্ষিণ বেরুবাড়ি, হিলি সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার অপেক্ষায় ওপারের মানুষজন। এরা সবাই কিন্তু নির্যাতিত হিন্দু সংখ্যালঘু নন। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সুযোগ নিয়ে জেল ভাঙা দাগী অপরাধীরাও মিশে গিয়েছে ভিড়ে। যদি তাদের একজনও ঢোকে, তাহলে এপারে নাশকতার আশঙ্কাই বাড়বে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি যার অনিবার্য পরিণতি। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসতেই মৌলবাদীরা উৎসাহিত হয়ে উঠেছে। কট্টরপন্থী জামাত এবং তার সঙ্গীসাথীদের গোপন এজেন্ডা স্পষ্ট, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত ও বিহারের কাটিহার, কিষানগঞ্জকে নিয়ে ইসলামিক বাংলাস্তান গঠন। নিঃসন্দেহে আমাদের রাজ্যের পক্ষে এমন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। এই ষড়যন্ত্রকে কিছুতেই সফল হতে দেওয়া যাবে না। অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে হবে, অন্যথায় সর্বনাশ। সেই কারণেই আগামী ৬ মাস বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রতিটি রাজ্য, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে, যাতে মৌলবাদীদের পরিকল্পনা সফল হতে না পারে।
সম্ভবত মুজিবুর কন্যা নিজেও আন্দাজ করতে পারেননি তাঁর জনসমর্থনের ভিত ধ্বংস করে দিয়েছে তোষামোদির উইপোকা। তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতেই চেয়েছিলেন। আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের এই জমে থাকা ক্ষোভের বিন্দুমাত্র আঁচ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে ছিল না, এটাই বিস্ময়ের। জনসমর্থন হারালে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সরকার কঠোরভাবে বলপ্রয়োগের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যা সারা দেশে ভয় ও দমনের পরিবেশ তৈরি করে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সমালোচনার কণ্ঠরোধ করতে এবং অনলাইনে প্রচার ঠেকাতে হাসিনা সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও জারি করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
ভারতের পক্ষে এই পরিস্থিতি ঢাকার চেয়ে কম চ্যালেঞ্জিং নয়। তবে যিনিই দায়িত্বে আসুন, ভারতের একটাই চাহিদা, পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল হোক। 
সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসুক। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় আসুক, নাহলে এপারেও স্বস্তি ফিরবে না। কাঁটাতারের ওপারে ভিড় বাড়তেই থাকবে। 
11th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM