Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি? নাকি গোয়েন্দারাও তোষামোদি আর ‘অব কি বার ৪০০ পারের স্বপ্ন ফেরিতেই বুঁদ ছিল গত অর্ধবর্ষ। কোথায় কী ঘটছে, তার খবরাখবর রাখায় মন ছিল না। নাহলে জুন মাসে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে হাসিনা দু’বার দিল্লি ঘুরে গেলেও কেউ কিচ্ছু আঁচ পেলেন না। এবং তারপরই চীন সফরে গিয়ে চরম অপমানিত হয়ে ফিরেছিলেন মুজিবুর কন্যা। প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাংলাদেশকে বড় মাপের ঋণ দিতে অস্বীকার করে জিনপিং সরকার। সেই কূটনৈতিক অপমান হজম করতে না পেরে সফর কাটছাঁট করে আগেই ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি। বেজিংয়ের ওই আচরণের পরও সেদিন দিল্লি কেন আসল সত্যিটার খোঁজ নিল না, তা গভীর রহস্যেই ঢাকা থাকবে চিরদিন।
এটা ঠিক, এই কঠিন সময়ে বিদেশ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বেমানান। উচিতও নয়। যে কোনও আর্ন্তজাতিক বিপর্যয়ের সময় সরকার ও বিরোধী 
পক্ষ অন্তত এই একটা ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েই চলে। এটাই আমাদের রাজনৈতিক সৌজন্য ও শিক্ষা। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত, বছরখানেক আগে ইমরান খানের গ্রেপ্তার, শ্রীলঙ্কার অভূতপূর্ব আর্থিক সঙ্কট এবং দু’বছর আগে রাজাপাক্ষের দেশত্যাগের পিঠোপিঠি এবার বাংলাদেশে হাসিনার আচমকা পতন ও কোথাও আশ্রয় না পেয়ে প্রাণভয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আসা এপারের অস্বস্তি বাড়াতে বাধ্য। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সেদেশের সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের হুঁশিয়ারি, ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রনেতাকে যেন বেশিদিন আশ্রয় না দেয় দিল্লি। বারে বারে ঘুরে আসে একটাই অভিযোগ, ভারত সরকার যখন হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারল তাহলে আগাম ঢাকার নিয়ন্ত্রণ যে দ্রুত মুজিবুর কন্যার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেই ব্যাপারে সতর্ক করেনি কেন? অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ তো ২৪০’এ থেমে যাওয়ার চেয়ে এই মুহূর্তে শাসক বিজেপি’র কাছে কম বড় জ্বালা নয়। তার অভিঘাত এ দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নাগরিক জীবনকে টালমাটাল করে দিতে পারে আগামী দিনে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের।
গত সোমবার বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার নির্মম দৃশ্য দেখে এই একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরে ঘুরে আসছে, দেশের বড় অংশের মানুষ যে পুরোপুরি বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে, তা ঘুণাক্ষরে কেন বুঝতে পারলেন না বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দু’শো বিচ্যুতির মধ্যে প্রথম ভুল, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ‘রাজাকার’ মন্তব্য করা। দ্বিতীয় ভুল, আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে আওয়ামি লিগের সংগঠন ছাত্র লিগকে লেলিয়ে দেওয়া। আর তৃতীয় ভুল, ছাত্রদের উপর পুলিসকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া। এখান থেকেই পুরো আন্দোলনটা অন্যদিকে মোড় নেয়। সেনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় যে সরকার গঠিত হয়েছে তা কতটা ছাত্রদের দাবিকে সম্মান জানাবে, সন্দেহ আছে। ইউনুস সাহেবকেই বা সবাই মেনে নেয় কি না, সেটাও দেখার। কিন্তু আওয়ামি লিগের একাধিপত্য যে বলপূর্বক উপর থেকে চাপানো ছিল, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ সব শ্রেণির শাসককুলের কাছেও বড় শিক্ষা। যেনতেনপ্রকারেণ ভোটে জেতার অর্থই জনগণ ষোলোআনা সঙ্গে, তার কোনও মানে নেই। বিশেষ করে সিংহভাগ বিরোধী দলই যদি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে, তাহলে শাসকের বিরুদ্ধে আঙুল উঠতে বাধ্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় গণতন্ত্রে অভিশাপ। একসময় বিস্ফোরণ হতে বাধ্য। বাংলাদেশের বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, বাধ্য হয়ে হাসিনার দেশত্যাগ দুনিয়ার ক্ষমতার কারবারিদের সেই মোক্ষম শিক্ষাই দিয়ে গেল। ক্ষমতার দম্ভে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে কুক্ষিগত করার মাশুল আজ না হয় কাল দিতেই হবে। মাত্র সাত মাস আগেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে হেলায় সেই ভোট লড়াইয়ে জয়ীও হন মুজিবুর কন্যা হাসিনা। সেই দিক দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে হাসিনা সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রাষ্ট্রনায়ক। কিন্তু প্রদীপের তলাতেই যে এত অন্ধকার কে জানত? ২০০৮ সালে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তারপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পরপর যে তিনটি নির্বাচনে জিতে তিনি গদি ধরে রাখেন, সেগুলি খুবই বিতর্কিত, একপেশে ছিল। কারণ বহু বিরোধী নেতানেত্রীকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। মামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই বিদেশে পাড়ি দেন। মুজিবুর কন্যা ক্ষমতাকে এতটাই কেন্দ্রীভূত করেছিলেন যে তাঁকে অপরাজেয় বলেই মনে হচ্ছিল। এই বিরোধীশূন্য আবহে নির্বাচনে জয়লাভ যে আখেরে ব্যুমেরাং হতে বাধ্য, ইতিহাসের এই পাঠ মুজিবুর কন্যা নেননি। ছাত্র আন্দোলনের নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের আড়ালে গত সোমবার একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি আবারও তা মনে করিয়ে দিল নির্মমভাবে। তাঁর বহু স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন, ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে লুটপাট চলল, ভাঙচুর হল। দেশে-বিদেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সাফল্যের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন, সেই উন্নয়নকে নিমেষে ম্লান করে লাগামহীন দুর্নীতির পাল্টা জবাব এই বিক্ষোভের মাধ্যমে বেরিয়ে এল ঢাকার রাজপথে। তা সঙ্কট ডেকে আনল পড়শি এপার বাংলাতেও। 
মোদিজি যতই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়ান, নিজেকে স্বঘোষিত বিশ্বগুরু সাজিয়ে ভাবমূর্তির মারকাটারি বিপণনে মন দিয়ে থাকুন, এই উপমহাদেশে দিল্লির কূটনৈতিক কর্তৃত্ব কিন্তু ধাক্কা খাচ্ছে বারবার। একের পর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কট্টর ভারত বিরোধী মনোভাব মোটেই আমাদের বিদেশ নীতির ভালো বিজ্ঞাপন হতে পারে না। এটা ঠিক, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া পাকিস্তানকে ক্রমাগত অক্সিজেন দিচ্ছে চীন। মূলত ভারতকে চাপে ফেলতে। নেপাল, ভুটান থেকে মায়ানমারও ইদানীং আর্থিক প্রয়োজনে দিল্লির তুলনায় বেশি শুনছে বেজিংয়ের কথা। এর উপর বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশও কট্টর সেনা, বিএনপি, ছাত্র ও জামাত নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে দিল্লির বিপদ বড় কম নয়। এমনও খবর আছে, একটা নির্ভেজাল ছাত্র আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে পাকিস্তানের আইএসআই ও সেনার মদতে পিছন থেকে গোটা অপারেশনটা পরিচালনা করেছে চীনই। লক্ষ্য ভারতকে এই উপমহাদেশে ক্রমেই একঘরে করা। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে চীন ও পাকিস্তান। প্যারিস থেকে উড়িয়ে এনে ইউনুস সাহেবকে এই সরকারের মাথা করার পিছনেই বা কোন বৃহৎ শক্তির হাত?
কিন্তু সব ছাপিয়ে মূল প্রশ্ন, পদ্মাপারে নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে এদেশে সবচেয়ে বড় 
ক্ষতি কোন রাজ্যের? পাকিস্তান অগ্নিগর্ভ হলে তার ছাপ পড়ে কাশ্মীরে, পাঞ্জাবে। আর বাংলাদেশ? বারবার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে এরাজ্যের স্থলসীমানা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া জলসীমানাও আছে। সীমান্ত বরাবর রয়েছে ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, অসম সহ উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দু’কোটিরও বেশি মানুষ এপারে এসে আশ্রয় নেয়। ঢাকা, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, যশোর, চট্টগ্রাম থেকে দলে দলে শরণার্থী ঢোকার সেই দুঃসহ স্মৃতিই কি আবার ফিরে আসছে এপার বাংলায়? হাবড়া, বনগাঁ, সুন্দরবন, বসিরহাট, কোচবিহার তার সাক্ষী। এর প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে, যা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য, বেকার সমস্যা এবং রুটিরুজির ক্ষতের সঙ্গে। সেইসঙ্গে দেশভাগের দুঃসহ স্মৃতি। এখন ওপারের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। তাই বিপদও বেশি।
এটা ঠিক, অরাজকতা চিরদিনই বিপন্ন মানুষকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল শান্ত ভূখণ্ডের দিকেই টেনে নিয়ে যায়। ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তাই ঘটেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ এবারও পশ্চিমবঙ্গে  ঢুকতে মরিয়া। মূল উদ্বেগের বিষয় প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তের ওপারের সংখ্যালঘুরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারত সরকারের ভূমিকা কী হবে? সরকারিভাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাট করে দরজা খোলা হবে না। কিন্তু একইসঙ্গে শীতলকুচি, ইসলামপুর, দক্ষিণ বেরুবাড়ি, হিলি সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার অপেক্ষায় ওপারের মানুষজন। এরা সবাই কিন্তু নির্যাতিত হিন্দু সংখ্যালঘু নন। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সুযোগ নিয়ে জেল ভাঙা দাগী অপরাধীরাও মিশে গিয়েছে ভিড়ে। যদি তাদের একজনও ঢোকে, তাহলে এপারে নাশকতার আশঙ্কাই বাড়বে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি যার অনিবার্য পরিণতি। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসতেই মৌলবাদীরা উৎসাহিত হয়ে উঠেছে। কট্টরপন্থী জামাত এবং তার সঙ্গীসাথীদের গোপন এজেন্ডা স্পষ্ট, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত ও বিহারের কাটিহার, কিষানগঞ্জকে নিয়ে ইসলামিক বাংলাস্তান গঠন। নিঃসন্দেহে আমাদের রাজ্যের পক্ষে এমন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। এই ষড়যন্ত্রকে কিছুতেই সফল হতে দেওয়া যাবে না। অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে হবে, অন্যথায় সর্বনাশ। সেই কারণেই আগামী ৬ মাস বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রতিটি রাজ্য, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে, যাতে মৌলবাদীদের পরিকল্পনা সফল হতে না পারে।
সম্ভবত মুজিবুর কন্যা নিজেও আন্দাজ করতে পারেননি তাঁর জনসমর্থনের ভিত ধ্বংস করে দিয়েছে তোষামোদির উইপোকা। তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতেই চেয়েছিলেন। আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের এই জমে থাকা ক্ষোভের বিন্দুমাত্র আঁচ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে ছিল না, এটাই বিস্ময়ের। জনসমর্থন হারালে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সরকার কঠোরভাবে বলপ্রয়োগের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যা সারা দেশে ভয় ও দমনের পরিবেশ তৈরি করে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সমালোচনার কণ্ঠরোধ করতে এবং অনলাইনে প্রচার ঠেকাতে হাসিনা সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও জারি করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
ভারতের পক্ষে এই পরিস্থিতি ঢাকার চেয়ে কম চ্যালেঞ্জিং নয়। তবে যিনিই দায়িত্বে আসুন, ভারতের একটাই চাহিদা, পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল হোক। 
সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসুক। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় আসুক, নাহলে এপারেও স্বস্তি ফিরবে না। কাঁটাতারের ওপারে ভিড় বাড়তেই থাকবে। 
11th  August, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কুলটির সিমুল গ্রামে জল সংকট, তুমুল বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
কুলটির সিমুল গ্রামে জল সংকট চরমে। কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থা কুলটি ...বিশদ

01:32:44 PM

ভারতীয় নৌ-সেনার শক্তিবৃদ্ধি: বাহিনীতে যোগ হল আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি ও আইএনএস বংশী নামে তিনটি রণতরী

01:27:52 PM

বাঘাযতীনে বাড়ি ভাঙার ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করল পুরসভা

01:20:00 PM

কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সে শাস্তি পাবেই, মালদহে শুটআউট মন্তব্য অভিষেকের

01:07:57 PM

বাঘাযতীনে হেলে পড়া বহুতল ভাঙার কাজ শুরু

01:02:11 PM

মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ভয়াবহ ঘটনা, প্রেমিককে বিয়ে করতে চাওয়ায় মেয়েকে খুন বাবার, গ্রেপ্তার

12:57:00 PM