Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। প্রধানমন্ত্রী একথা বলে দেশের কৃষকদের সম্মান জানালেন, নাকি করলেন অপমান! মোদিজি, আমাদের কৃষকরা দধীচি মুনির উত্তরসূরি। দেবতাদের রক্ষার জন্য বজ্র তৈরি করতে দধীচি মুনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, দিয়েছিলেন নিজের অস্থি। আর আমাদের অন্নদাতারা? রক্ত জল করা পরিশ্রমের বিনিময়ে রক্ষা করে চলেছেন আমাদের জীবন। সেই ঋণ কি একটা মূর্তি গড়ে শোধ হয়, নাকি তাদের সম্মানিত করা যায়? 
পুরাণ মতে, অসুরদের দাপটে স্বর্গচ্যুত দেবদেবীরা গিয়েছিলেন দধীচি মুনির কাছে। কারণ মহাদেবের বরে কাঠ বা কোনও ধাতব অস্ত্রে অসুরদের বধ করা সম্ভব ছিল না। প্রয়োজন ছিল দধীচি মুনির অস্থি। দেবকূলকে রক্ষার জন্য দধীচি মুনি দেহত্যাগ করেছিলেন। তাঁর অস্থি দিয়ে তৈরি বজ্রেই বিনাশ হয়েছিল অসুরকূলের। রক্ষা পেয়েছিলেন দেবতারা।
চাষিরাও আমাদের জীবন রক্ষা করে চলেছেন। তাঁরা আমাদের মুখের অন্ন জোগান বলেই আমরা বেঁচে আছি। তাঁদের রক্ত জল করা পরিশ্রমেই বীজ থেকে গাছ, গাছ থেকে ফসল হয়। শুধু পরিশ্রমই নয়, প্রতিটি পর্যায়ে থাকে চরম অনিশ্চয়তা। বিপুল আর্থিক দায় মাথায় নিয়ে তাঁরা চাষ করেন। বীজ বোনা থেকেই শুরু হয় প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই। কখনও অনাবৃষ্টি, কখনও অতিবৃষ্টি। পদে পদে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা। সেই লড়াই সফল হলে তবেই গোলায় ওঠে সোনালি ফসল। তবে লড়াই সেখানেই শেষ নয়। বরং বলা ভালো, সেখান থেকেই লড়াইয়ের শুরু। ফসলের ন্যায্যমূল্য আদায়ের লড়াই।
সমস্ত উৎপাদিত দ্রব্যের দাম ঠিক করে উৎপাদক সংস্থা। কিন্তু কৃষিপণ্যের দাম ঠিক করার অধিকার চাষির নেই। তাঁরা ব্যবসায়ীদের ঠিক করা দামে 
বীজ কিনে, কোম্পানির নির্ধারিত এমআরপির চেয়ে বেশি টাকায় সার কিনে, চাষ করবেন। অথচ, কৃষিপণ্যের মূল্য ঠিক করবে মধ্যসত্ত্বভোগীর দল। যাদের ডাক নাম ‘ফোড়ে’। বাজারে চাহিদা থাকলে তাঁরা ফসল কেনেন। আর না থাকলে? তাঁরা ততক্ষণ হাত গুটিয়ে বসে থাকেন যতক্ষণ না চাষির রক্ত জল করা পরিশ্রমের ফসল বিক্রি হয় জলের দরে। তাতে চাষির মাথায় চাপে ঋণের বোঝা। আর সেই বোঝা যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে? তখন সবকিছু থেকে নিষ্কৃতির আশায় কেউ দেন গলায় দড়ি, কেউ হাতে তুলে নেন বিষের শিশি।
অনেকের বিশ্বাস, কৃষিঋণ মকুব করলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ৭২ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করেছিল। সেই একই রাস্তায় হেঁটে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও কর্ণাটকে হাজার হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, কৃষিঋণ মকুব করে চাষিদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু এটা 
কোনও স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। উল্টে ক্ষতিই 
হয়। ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার ইচ্ছায় ইন্ধন জোগায়। তাহলে দেশের অন্নদাতাদের জন্য সরকারের করণীয় কী?
চাষিদের একটা বড় অংশ মনে করে, সারের দামের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক  চাষিরা যাতে কম দামে সার কিনতে পারেন তারজন্য দিতে হবে ভর্তুকি। উৎপাদন খরচের একটা বড় অংশ চলে যায় সার কিনতে। তাই সারের দাম কমলে উৎপাদন খরচ কমবে। সেক্ষেত্রে কমে যাবে লোকসানের ঝুঁকিও। আপাতত ২৩টি পণ্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের তালিকায় আছে। যদিও হাতেগোনা দু’চারটি ফসল ছাড়া সরকার কিছুই কেনে না। এই তালিকায় আলু সহ আরও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে যুক্ত করতে হবে। সহায়কমূল্য নির্ধারণের আগে সার, বীজ, মজুরি, সেচের খরচ বৃদ্ধির বিষয়গুলিও দেখতে হবে। ঠান্ডাঘরে বসে মর্জিমাফিক একটা দাম ঠিক করে দিলেই হবে না। মনে রাখতে হবে, চাষিরা ঘরের পয়সায় বেশিদিন রামযাত্রা চালিয়ে যাবেন না।
শুধু সহায়ক মূল্য ঘোষণা করলেই হবে না, চাষি যাতে সেই মূল্য পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। চাষির কাছ থেকে কৃষিপণ্য কিনে সংরক্ষণ করতে হবে। তাতেই চাষিদের ফসলের লাভজনক দাম পাওয়া নিশ্চিত হবে। সরকার ফসল সংরক্ষণ করলে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতেও লাগাম পরানো যাবে। সংরক্ষিত পণ্য বাজারে ছাড়লে বন্ধ হবে ফাটকাবাজির রাস্তা। 
তারজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থেরও প্রয়োজন নেই, দরকার সরকারের সদিচ্ছা। প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি শিল্পপতি ও বহুজাতিক কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করতে পারে, তাহলে দেশের অন্নদাতাদের বাঁচিয়ে রাখতে ভর্তুকি দেবে না কেন? আসলে নরেন্দ্র মোদির সরকারের সেই সদিচ্ছাটাই নেই। তারজন্যই নতুন কৃষি আইন করে কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি তুলে দিতে চেয়েছিল। 
বিজেপি সরকার গোটা কৃষি ব্যবস্থাটাকে কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তারজন্য পাশ করিয়েছিল নয়া কৃষি আইন। তাতে শুধু চাষিরাই বঞ্চিত হতেন না, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া হতো। আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুতদারির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকত না। সেই আইন কার্যকর করার জন্য সরকার আন্দোলনকারী চাষিদের উপর লাঠিচার্জ করতে, এমনকী জলকামান দাগতেও পিছপা হয়নি। কিন্তু কৃষকদের অনমনীয় জেদের কাছে হার মেনেছে সরকার। চাপে পড়ে ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহার করলেও কৃষক-বিরোধী ছাপটা মোদিজির গায়ে লেগেই গিয়েছে। দিল্লিতে কৃষি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তির প্রসঙ্গ তুলে বিদেশি প্রতিনিধিদের কাছে সেই দাগটা মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। 
কৃষকদের উপকার হবে, এমন কোনও ঘোষণা দিল্লির সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী করেননি। সারের ভর্তুকি বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে একটি কথাও বলেননি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের কৃতিত্বই জাহির করেছেন। বুক ফুলিয়ে বলেছেন, ৬ লক্ষ গ্রামের কৃষকের কাছ থেকে তাঁদের লোহার যন্ত্রপাতির টুকরো গলিয়ে বল্লভভাই প্যাটেলের স্ট্যাচু তৈরি করা হয়েছে। ৬০তলা বিল্ডিংয়ের সমান উঁচু স্ট্যাচু দর্শনের সুযোগ যেন বিদেশ থেকে আগত অতিথিরা হাতছাড়া না করেন, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘একজন কৃষকপুত্রকে এমন সম্মান গোটা দুনিয়ায় আজ পর্যন্ত কেউ দেয়নি।’ 
তাহলে মোদ্দা কথাটা কী দাঁড়াল? ভারতে কৃষকদের যোগ্য সম্মান জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, মনমোহন সিং কেউই দেননি। এমনকী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়িও দেননি, দিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।
২০২০ সালে দেশের কৃষকদের আয় তিন বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আয় বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু তাঁর আমলে কৃষক আত্মহত্যা যে বেড়েছে তাতে দ্বিমত নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র রিপোর্ট কী বলছে? কৃষি পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন ৩০জন আত্মহত্যা করছেন প্রতিদিন। ২০২১ সালে আত্মঘাতী হয়েছেন ১০ হাজার ৮৮১জন। তার মধ্যে ৫ হাজার ৩১৮জন চাষি। বাকি খেতমজুর। অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে না পারা, ফসলের লাভজনক দাম না পাওয়া, পেশার অনিশ্চয়তা প্রভৃতি কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে এবং এই প্রবণতা বাড়ছে। এরপরেও কি বিশ্বাস করতে হবে, মোদিজির রাজত্বে কৃষকরা ভালো আছেন এবং সম্মানিত হচ্ছেন?
কাজী নজরুল ইসলাম বহু যুগ আগে লিখেছিলেন, ‘যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ওই বাষ্প-শকট চলে, বাবুসা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।’ সময় বদলালেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ফের প্রমাণ হল, যুগে যুগে ‘দধীচি’রা আত্মত্যাগই করে যান। বিনিময়ে জোটে শুধুই অবহেলা। মোদিজি, বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি গড়ায় ইতিহাসের পাতায় আপনার নাম অবশ্যই জ্বলজ্বল করবে। তারজন্য আপনি আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেই পারেন, আপনি সম্মানিত হতেই পারেন। কিন্তু চাষিরা হন না। কারণ আপনার রাজত্বে তাঁরা ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছেন আঁধারে। অপ্রিয় হলেও এটাই বাস্তব। এ কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
10th  August, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুম্বইতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেওয়া হল গার্ড অফ অনার

11:25:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

11:24:44 AM

মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজের উপর চলন্ত গাড়িতে আগুন, আতঙ্ক

11:24:27 AM

২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন এলন মাস্ক, জেফ বেজস, মার্ক জুকারবার্গ

11:15:00 AM

দিল্লির কনট প্লেসে প্রাচীন হনুমান মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

11:05:00 AM

বুধবারে চড়ছে শেয়ার বাজার, সেনসেক্স বাড়ল ৪৬৮ পয়েন্ট

10:55:00 AM