Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। প্রধানমন্ত্রী একথা বলে দেশের কৃষকদের সম্মান জানালেন, নাকি করলেন অপমান! মোদিজি, আমাদের কৃষকরা দধীচি মুনির উত্তরসূরি। দেবতাদের রক্ষার জন্য বজ্র তৈরি করতে দধীচি মুনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, দিয়েছিলেন নিজের অস্থি। আর আমাদের অন্নদাতারা? রক্ত জল করা পরিশ্রমের বিনিময়ে রক্ষা করে চলেছেন আমাদের জীবন। সেই ঋণ কি একটা মূর্তি গড়ে শোধ হয়, নাকি তাদের সম্মানিত করা যায়? 
পুরাণ মতে, অসুরদের দাপটে স্বর্গচ্যুত দেবদেবীরা গিয়েছিলেন দধীচি মুনির কাছে। কারণ মহাদেবের বরে কাঠ বা কোনও ধাতব অস্ত্রে অসুরদের বধ করা সম্ভব ছিল না। প্রয়োজন ছিল দধীচি মুনির অস্থি। দেবকূলকে রক্ষার জন্য দধীচি মুনি দেহত্যাগ করেছিলেন। তাঁর অস্থি দিয়ে তৈরি বজ্রেই বিনাশ হয়েছিল অসুরকূলের। রক্ষা পেয়েছিলেন দেবতারা।
চাষিরাও আমাদের জীবন রক্ষা করে চলেছেন। তাঁরা আমাদের মুখের অন্ন জোগান বলেই আমরা বেঁচে আছি। তাঁদের রক্ত জল করা পরিশ্রমেই বীজ থেকে গাছ, গাছ থেকে ফসল হয়। শুধু পরিশ্রমই নয়, প্রতিটি পর্যায়ে থাকে চরম অনিশ্চয়তা। বিপুল আর্থিক দায় মাথায় নিয়ে তাঁরা চাষ করেন। বীজ বোনা থেকেই শুরু হয় প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই। কখনও অনাবৃষ্টি, কখনও অতিবৃষ্টি। পদে পদে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা। সেই লড়াই সফল হলে তবেই গোলায় ওঠে সোনালি ফসল। তবে লড়াই সেখানেই শেষ নয়। বরং বলা ভালো, সেখান থেকেই লড়াইয়ের শুরু। ফসলের ন্যায্যমূল্য আদায়ের লড়াই।
সমস্ত উৎপাদিত দ্রব্যের দাম ঠিক করে উৎপাদক সংস্থা। কিন্তু কৃষিপণ্যের দাম ঠিক করার অধিকার চাষির নেই। তাঁরা ব্যবসায়ীদের ঠিক করা দামে 
বীজ কিনে, কোম্পানির নির্ধারিত এমআরপির চেয়ে বেশি টাকায় সার কিনে, চাষ করবেন। অথচ, কৃষিপণ্যের মূল্য ঠিক করবে মধ্যসত্ত্বভোগীর দল। যাদের ডাক নাম ‘ফোড়ে’। বাজারে চাহিদা থাকলে তাঁরা ফসল কেনেন। আর না থাকলে? তাঁরা ততক্ষণ হাত গুটিয়ে বসে থাকেন যতক্ষণ না চাষির রক্ত জল করা পরিশ্রমের ফসল বিক্রি হয় জলের দরে। তাতে চাষির মাথায় চাপে ঋণের বোঝা। আর সেই বোঝা যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে? তখন সবকিছু থেকে নিষ্কৃতির আশায় কেউ দেন গলায় দড়ি, কেউ হাতে তুলে নেন বিষের শিশি।
অনেকের বিশ্বাস, কৃষিঋণ মকুব করলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ৭২ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করেছিল। সেই একই রাস্তায় হেঁটে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও কর্ণাটকে হাজার হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, কৃষিঋণ মকুব করে চাষিদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু এটা 
কোনও স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। উল্টে ক্ষতিই 
হয়। ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার ইচ্ছায় ইন্ধন জোগায়। তাহলে দেশের অন্নদাতাদের জন্য সরকারের করণীয় কী?
চাষিদের একটা বড় অংশ মনে করে, সারের দামের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক  চাষিরা যাতে কম দামে সার কিনতে পারেন তারজন্য দিতে হবে ভর্তুকি। উৎপাদন খরচের একটা বড় অংশ চলে যায় সার কিনতে। তাই সারের দাম কমলে উৎপাদন খরচ কমবে। সেক্ষেত্রে কমে যাবে লোকসানের ঝুঁকিও। আপাতত ২৩টি পণ্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের তালিকায় আছে। যদিও হাতেগোনা দু’চারটি ফসল ছাড়া সরকার কিছুই কেনে না। এই তালিকায় আলু সহ আরও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে যুক্ত করতে হবে। সহায়কমূল্য নির্ধারণের আগে সার, বীজ, মজুরি, সেচের খরচ বৃদ্ধির বিষয়গুলিও দেখতে হবে। ঠান্ডাঘরে বসে মর্জিমাফিক একটা দাম ঠিক করে দিলেই হবে না। মনে রাখতে হবে, চাষিরা ঘরের পয়সায় বেশিদিন রামযাত্রা চালিয়ে যাবেন না।
শুধু সহায়ক মূল্য ঘোষণা করলেই হবে না, চাষি যাতে সেই মূল্য পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। চাষির কাছ থেকে কৃষিপণ্য কিনে সংরক্ষণ করতে হবে। তাতেই চাষিদের ফসলের লাভজনক দাম পাওয়া নিশ্চিত হবে। সরকার ফসল সংরক্ষণ করলে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতেও লাগাম পরানো যাবে। সংরক্ষিত পণ্য বাজারে ছাড়লে বন্ধ হবে ফাটকাবাজির রাস্তা। 
তারজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থেরও প্রয়োজন নেই, দরকার সরকারের সদিচ্ছা। প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি শিল্পপতি ও বহুজাতিক কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করতে পারে, তাহলে দেশের অন্নদাতাদের বাঁচিয়ে রাখতে ভর্তুকি দেবে না কেন? আসলে নরেন্দ্র মোদির সরকারের সেই সদিচ্ছাটাই নেই। তারজন্যই নতুন কৃষি আইন করে কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি তুলে দিতে চেয়েছিল। 
বিজেপি সরকার গোটা কৃষি ব্যবস্থাটাকে কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তারজন্য পাশ করিয়েছিল নয়া কৃষি আইন। তাতে শুধু চাষিরাই বঞ্চিত হতেন না, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া হতো। আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুতদারির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকত না। সেই আইন কার্যকর করার জন্য সরকার আন্দোলনকারী চাষিদের উপর লাঠিচার্জ করতে, এমনকী জলকামান দাগতেও পিছপা হয়নি। কিন্তু কৃষকদের অনমনীয় জেদের কাছে হার মেনেছে সরকার। চাপে পড়ে ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহার করলেও কৃষক-বিরোধী ছাপটা মোদিজির গায়ে লেগেই গিয়েছে। দিল্লিতে কৃষি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তির প্রসঙ্গ তুলে বিদেশি প্রতিনিধিদের কাছে সেই দাগটা মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। 
কৃষকদের উপকার হবে, এমন কোনও ঘোষণা দিল্লির সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী করেননি। সারের ভর্তুকি বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে একটি কথাও বলেননি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের কৃতিত্বই জাহির করেছেন। বুক ফুলিয়ে বলেছেন, ৬ লক্ষ গ্রামের কৃষকের কাছ থেকে তাঁদের লোহার যন্ত্রপাতির টুকরো গলিয়ে বল্লভভাই প্যাটেলের স্ট্যাচু তৈরি করা হয়েছে। ৬০তলা বিল্ডিংয়ের সমান উঁচু স্ট্যাচু দর্শনের সুযোগ যেন বিদেশ থেকে আগত অতিথিরা হাতছাড়া না করেন, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘একজন কৃষকপুত্রকে এমন সম্মান গোটা দুনিয়ায় আজ পর্যন্ত কেউ দেয়নি।’ 
তাহলে মোদ্দা কথাটা কী দাঁড়াল? ভারতে কৃষকদের যোগ্য সম্মান জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, মনমোহন সিং কেউই দেননি। এমনকী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়িও দেননি, দিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।
২০২০ সালে দেশের কৃষকদের আয় তিন বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আয় বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু তাঁর আমলে কৃষক আত্মহত্যা যে বেড়েছে তাতে দ্বিমত নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র রিপোর্ট কী বলছে? কৃষি পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন ৩০জন আত্মহত্যা করছেন প্রতিদিন। ২০২১ সালে আত্মঘাতী হয়েছেন ১০ হাজার ৮৮১জন। তার মধ্যে ৫ হাজার ৩১৮জন চাষি। বাকি খেতমজুর। অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে না পারা, ফসলের লাভজনক দাম না পাওয়া, পেশার অনিশ্চয়তা প্রভৃতি কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে এবং এই প্রবণতা বাড়ছে। এরপরেও কি বিশ্বাস করতে হবে, মোদিজির রাজত্বে কৃষকরা ভালো আছেন এবং সম্মানিত হচ্ছেন?
কাজী নজরুল ইসলাম বহু যুগ আগে লিখেছিলেন, ‘যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ওই বাষ্প-শকট চলে, বাবুসা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।’ সময় বদলালেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ফের প্রমাণ হল, যুগে যুগে ‘দধীচি’রা আত্মত্যাগই করে যান। বিনিময়ে জোটে শুধুই অবহেলা। মোদিজি, বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি গড়ায় ইতিহাসের পাতায় আপনার নাম অবশ্যই জ্বলজ্বল করবে। তারজন্য আপনি আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেই পারেন, আপনি সম্মানিত হতেই পারেন। কিন্তু চাষিরা হন না। কারণ আপনার রাজত্বে তাঁরা ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছেন আঁধারে। অপ্রিয় হলেও এটাই বাস্তব। এ কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
10th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...

এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM