Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বওয়াজির সেই গায়ের আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। ৪ জানুয়ারি বওয়াজির মৃত্যুতে সিদি শহরের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ গর্জে উঠেছিল। তারপর দিন দশেক ধরে দেশের সর্বত্র বিক্ষোভ এবং সরকারি বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেল যে, তিউনিসিয়ার স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট জিন-এল-আবেদিন বেন আলি পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেটা ছিল ১৪ জানুয়ারি। ক্ষমতায় এসেছিলেন শাসকদলের স্পিকার এবং বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু জনতা তাতে খুশি নয়। তারা ওই জমানার পুরোপুরি বিলুপ্তি এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোঁ ধরে রইল। জনতাই জিতল। ২০১১-র অক্টোবরে সংসদীয় ভোট হল। কয়েকটি ধর্মনিরপেক্ষ দলকে সঙ্গে নিয়ে এনহাদা ইসলামি পার্টি কোয়ালিশন সরকার গড়ল।
তিউনিসিয়ায় শুরু হলেও বসন্তের পলাশ ফুটল আরও কয়েকটি আরব দেশে। জানুয়ারিতে যখন তিউনিস জনতা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল, সেই সময় মিশরের মানুষও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়াজ তুলল। তারা চিৎকার করে বলল, ‘হোসনি মুবারক, তোমার জন্য বিমান নিয়ে অপেক্ষা করছে বেন আলি।’ গোটা দেশ কায়রোয় জড়ো হল। কায়রোর সব রাস্তা মিশল ‘তাহরির স্কোয়ারে।’ ২৫ জানুয়ারি যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা চলল ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিন হোসনি মুবারক পদত্যাগ করলেন। বলা ভালো, জনতা পদত্যাগ করতে বাধ্য করল। ২০১১-এ তিউনিসিয়ায় যা শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা মরু-বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। তিউনিসিয়া, মিশরের পাশাপাশি লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরিন, সিরিয়া, মরক্কো, জর্ডনেও স্বৈরাচারী ও পারিবারিক একনায়কতন্ত্রী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ রাস্তায় নামল। লিবিয়ার কুখ্যাত শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গদ্দাফির অপসারণের দাবিতে উত্তাল হল গোটা দেশ। ২০ অক্টোবর টিভি চ্যানেলগুলি গোটা দুনিয়াকে দেখাল, কীভাবে স্বৈরাচারী গদ্দাফিকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারছে একদল যুবক। কেউ খোঁজ নেয়নি, সেই যুবক কারা? এখন তারা কোথায়? সেদিন আরব দুনিয়ার একের পর এক দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দায় কার?
গোটা দুনিয়া শুধু দেখেছে, একটার পর একটা দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে মরুদেশগুলি থেকে চিরতরে বসন্ত পালিয়ে গিয়েছে। আজ আরবের আকাশে শুধুই যুদ্ধবিমান আর মাটিতে ভ্রাতৃঘাতী ইসলামি উন্মাদনা। শুধু তিউনিসিয়াতেই নয়, আরবের যে সব দেশে ‘বসন্ত’ এসেছিল, তার কোনওটিতেই তা স্থায়ী হতে পারেনি। একনায়কতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্র উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার যোগ্য দাবিদার না থাকায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। সেই শূন্যতাকে ব্যবহার করেছে উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলি। প্রতিটি দেশে চলছে গৃহযুদ্ধ। হানাহানি। দলে দলে যুবক যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীতে। ওই গোষ্ঠীগুলি জানে, বেকার, গরিব ও ধর্মান্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানা সহজ। অথচ, সেই সব দেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা আজ উধাও। এরাই তো একসময় ‘কুখ্যাত’ শাসকের তকমা দিয়ে বেন আলি, গদ্দাফিদের পতন চেয়েছিলেন। ডেকে এনেছিলেন ‘আরব বসন্ত’। সেই সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের কেউ প্রশ্ন করার নেই— গদ্দাফিহীন লিবিয়ায় এতদিনেও শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল না কেন? কেন দিনের পর দিন সিরিয়ার নিরাপরাধ মানুষদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মরতে হচ্ছে? চোদ্দ বছর আগে লিবিয়া, সিরিয়া বা ইয়েমেনে জনতার হুঙ্কার যে বসন্তের উপস্থিতি ঘোষণা করেছিল, তা আজ বেপাত্তা। ওই তিনটি দেশই এখন গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত, দিশেহারা। বাকি আরব দেশগুলিতে কায়েম হয়েছে অভিজাত শ্রেণির শাসন-ই। যা অতীত, তাই বর্তমান...।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের ঘটনা দেখলে ভয় হয়। সেই একই ছবি। সেই গৃহযুদ্ধ, আগুন, ধ্বংসলীলা। দেখে মনে হবে, ভরা বর্ষায় সেখানকার তথাকথিত ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা যেন ‘বসন্ত’ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ২০২৩-এ বাংলাদেশে ভোটের আগে এই কথাই তো বলেছিলেন মস্কোয় রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে আরব বসন্ত তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমেরিকা। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্র করছেন।’ সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে অনেকে উড়িয়ে দিলেও, বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ হতে বেশি সময় লাগেনি।
প্রথমে কোটা আন্দোলন দিয়ে শুরু। তারপর কোটা সমস্যা মিটতেই নয় দফা আন্দোলনের ডাক। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেমে আসে এক দফায়— হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চাই। ‘অন্তর্বর্তীকালীন গণতান্ত্রিক সরকার’ গঠনের ডাক দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। সাতটি ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠন নিয়ে গঠিত এই ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’। আসলে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল বাংলাদেশের ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠনগুলিও। শুনলে অবাক হবেন, এই ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব’ আসলে বিএনপি-জামাতের দীর্ঘদিনের। ফলে এই ইস্যুতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানায় বিএনপি, জামাত ও হেফাজতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। হাসিনা সরকার ফেলতে সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে হাত মেলাতে কুণ্ঠাবোধ করেনি বামপন্থীরা। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, আসল লক্ষ্য হাসিনাকে উৎখাত করা। দেশকে মৌলবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। আর সবকিছু পরিকল্পনার পিছনে হয়তো ছিল ঢাকার পাকিস্তানি হাইকমিশন সহ বিদেশি শক্তিগুলি। এ যেন মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের ‘বদলা’!
কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক পালাবদলে। যার পরিণামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেনার ঘেরাটোপে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সঙ্গে বোন রেহানা। হাসিনা ‘গণভবন’ ছাড়তেই এতদিন ঘাপটি মেরে থাকা মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলিও মুখোশ খুলে ফেলে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি ভাঙা শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। ধানমন্ডির যে বাড়িতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, হাসিনা বিরোধী আগুনে পুড়ে ছাই সেই সব স্মৃতি। সিঁড়ির মাঝ বরাবর রাখা ছিল তাঁর বুলেটবিদ্ধ দেহের সাদা-কালো ছবি। পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সময় ওখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবের দেহ। সেই ৩২ ধানমন্ডির মিউজিয়ামে জ্বলেছে ‘জাতির জনক’-এর স্মৃতি। মুছে গিয়েছে বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় স্মৃতি। বাংলাদেশের কোনও বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক তার প্রতিবাদ করেননি। বরং সেই ছবি ভাইরাল করে উল্লাস দেখিয়েছে কিছু ‘বিশ্বাসঘাতক’-এর দল!
হাসিনা দেশ ছাড়তেই তাণ্ডব। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, গণভবনে ঢুকে আন্দোলনকারীদের একাংশের দাপাদাপি। যে যা পেরেছে সব লুঠ করেছে। কারও হাতে টেলিভিশন, কেউবা ফুলের টব, কারও হাতে রাজহাঁস-মুরগি। কেউ বা ছুটেছে চেয়ার হাতে। এমনকী বাদ যায়নি লেপ-তোষকও। একজন যুবককে আবার হাসিনার শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁর বিছানায় সটান শুয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। ওই কয়েক ঘণ্টা বোঝাই দায়, এরা আন্দোলনকারী নাকি লুটেরা। শেখ হাসিনা তো এদেরই এতদিন ‘রাজাকার’ বলতেন। তাঁর ভুল কোথায় ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আর কারও নেই...।
বাংলাদেশের বাইরে গোটা দুনিয়ার হাতে ছবি আসছে প্রতিদিন। ছবি দেখেই টের পাওয়া যায়, ছাত্রসমাজের নামে আসলে হামলা চালিয়েছে কারা? বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি সেইসব ছবি যতই লুকিয়ে রাখুক না কেন, বিশ্ববাসী জেনে গিয়েছে সিরাজগঞ্জে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিস সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার ক্ষমতা একমাত্র ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ হয়। তারাই পারে দেশের স্বপ্ন ধ্বংস করতে। যে স্বপ্নে একটা দেশে গড়ে উঠেছিল মেট্রোরেল। এ যেন ২০১৩ সালের সেই বিএনপি-জামাতের হিংসালীলার পুনরাবৃত্তি! নয়তো কোটা আন্দোলনের রেশ কেন বাংলাদেশের প্রান্তিক হিন্দু পরিবারগুলির উপর এসে পড়বে?
শহিদ মিনারে হাজারো কণ্ঠে ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানের সঙ্গে ড্রোন শট দিয়ে উপর থেকে ছবিটি দেখতে খুব সুন্দর। শুনলে হৃদয়ে আবেগ ঝরে পড়ে। সমস্যা হল এই সুন্দরের আড়ালে অসুন্দরও লুকিয়ে ছিল। তা টের পাওয়া গিয়েছে হাসিনার পদত্যাগের পর। মুখোশ খুলে বেরিয়ে পড়েছে আসল চেহারা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যার বিচার চেয়েছিল। কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনে এত মানুষের প্রাণ গিয়েছে, যা দেশের কেউ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বিচার ব্যবস্থায় আস্থা নেই, তাই নয় দফা দাবি তুলেছিলেন। তারপর হঠাৎ গোটা দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে এক দফা দাবি। ছাত্র নেতারা বলে ফেলেছেন, সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে একটি সম্মিলিত মোর্চা গঠন করার কথা। বলে ফেলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ‘জাতীয় রূপরেখা’ হাজির করবেন। অর্থাৎ ছাত্র নেতারা এখন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষে মত্ত। কেন? কোটা থেকে সরাসরি চলে গেলেন মোর্চা গঠন করে বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরিতে? তাহলে তো প্রমাণ হয়ে গেল, হাসিনাকে উৎখাত করাই আন্দোলনের একমাত্র অভিমুখ ছিল। ছাত্রনেতারা তো এখন আর চাকরি নয়, ক্ষমতা চায়। আর এই ভয়ঙ্কর শক্তির মুখোশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের তথাকথিত বামপন্থী ছাত্ররা! যারা সারা জীবন আন্দোলনে শুধুই ‘রোমান্টিকতা’ খুঁজে বেড়ান! কেউ খেয়ালই করছেন না, হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই তো এখন লাল থেকে কালোতে ফিরে আসছেন। আসলে কোটা আন্দোলনের হিসেবটা শুরু থেকে এটাই ছিল। তার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। সেই আবেগের জোরে বাংলাদেশে পালাবদল। একেবারে ‘আরব বসন্ত’-র জেরক্স কপি!
ভয় হয়... হয়তো একদিন লিবিয়া, সিরিয়ার তালিকায় উঠবে বাংলাদেশেরও নাম। সেদিন ফিরেও তাকাবে না আমেরিকা, পাকিস্তান, চীন কিংবা রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মরুদেশগুলির মতোই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে গোঁড়া ইসলামিক দেশ। মৌলবাদী সংগঠনগুলি এখন সেই স্বপ্নে বিভোর...।
08th  August, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কুম্ভমেলা থেকে ফেরার পথে বৃন্দাবনে বাসে আগুন, ঝলসে মৃত ১
পূর্ণকুম্ভে পূণ্যের ডুব দিয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি। ...বিশদ

04:16:50 PM

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ, ২৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি

04:12:00 PM

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ডের বন্যা স্মৃতি মান্ধানাদের
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিলেন ভারতীয় ...বিশদ

04:00:00 PM

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ধোঁয়ায় ঢেকে গোটা এলাকা

03:53:09 PM

রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ...বিশদ

03:28:03 PM

বেহাল দশায় ময়নাগুড়ির খুকশিয়া উদ্যান
বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা ...বিশদ

03:20:00 PM