Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বওয়াজির সেই গায়ের আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। ৪ জানুয়ারি বওয়াজির মৃত্যুতে সিদি শহরের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ গর্জে উঠেছিল। তারপর দিন দশেক ধরে দেশের সর্বত্র বিক্ষোভ এবং সরকারি বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেল যে, তিউনিসিয়ার স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট জিন-এল-আবেদিন বেন আলি পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেটা ছিল ১৪ জানুয়ারি। ক্ষমতায় এসেছিলেন শাসকদলের স্পিকার এবং বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু জনতা তাতে খুশি নয়। তারা ওই জমানার পুরোপুরি বিলুপ্তি এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোঁ ধরে রইল। জনতাই জিতল। ২০১১-র অক্টোবরে সংসদীয় ভোট হল। কয়েকটি ধর্মনিরপেক্ষ দলকে সঙ্গে নিয়ে এনহাদা ইসলামি পার্টি কোয়ালিশন সরকার গড়ল।
তিউনিসিয়ায় শুরু হলেও বসন্তের পলাশ ফুটল আরও কয়েকটি আরব দেশে। জানুয়ারিতে যখন তিউনিস জনতা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল, সেই সময় মিশরের মানুষও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়াজ তুলল। তারা চিৎকার করে বলল, ‘হোসনি মুবারক, তোমার জন্য বিমান নিয়ে অপেক্ষা করছে বেন আলি।’ গোটা দেশ কায়রোয় জড়ো হল। কায়রোর সব রাস্তা মিশল ‘তাহরির স্কোয়ারে।’ ২৫ জানুয়ারি যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা চলল ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিন হোসনি মুবারক পদত্যাগ করলেন। বলা ভালো, জনতা পদত্যাগ করতে বাধ্য করল। ২০১১-এ তিউনিসিয়ায় যা শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা মরু-বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। তিউনিসিয়া, মিশরের পাশাপাশি লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরিন, সিরিয়া, মরক্কো, জর্ডনেও স্বৈরাচারী ও পারিবারিক একনায়কতন্ত্রী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ রাস্তায় নামল। লিবিয়ার কুখ্যাত শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গদ্দাফির অপসারণের দাবিতে উত্তাল হল গোটা দেশ। ২০ অক্টোবর টিভি চ্যানেলগুলি গোটা দুনিয়াকে দেখাল, কীভাবে স্বৈরাচারী গদ্দাফিকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারছে একদল যুবক। কেউ খোঁজ নেয়নি, সেই যুবক কারা? এখন তারা কোথায়? সেদিন আরব দুনিয়ার একের পর এক দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দায় কার?
গোটা দুনিয়া শুধু দেখেছে, একটার পর একটা দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে মরুদেশগুলি থেকে চিরতরে বসন্ত পালিয়ে গিয়েছে। আজ আরবের আকাশে শুধুই যুদ্ধবিমান আর মাটিতে ভ্রাতৃঘাতী ইসলামি উন্মাদনা। শুধু তিউনিসিয়াতেই নয়, আরবের যে সব দেশে ‘বসন্ত’ এসেছিল, তার কোনওটিতেই তা স্থায়ী হতে পারেনি। একনায়কতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্র উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার যোগ্য দাবিদার না থাকায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। সেই শূন্যতাকে ব্যবহার করেছে উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলি। প্রতিটি দেশে চলছে গৃহযুদ্ধ। হানাহানি। দলে দলে যুবক যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীতে। ওই গোষ্ঠীগুলি জানে, বেকার, গরিব ও ধর্মান্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানা সহজ। অথচ, সেই সব দেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা আজ উধাও। এরাই তো একসময় ‘কুখ্যাত’ শাসকের তকমা দিয়ে বেন আলি, গদ্দাফিদের পতন চেয়েছিলেন। ডেকে এনেছিলেন ‘আরব বসন্ত’। সেই সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের কেউ প্রশ্ন করার নেই— গদ্দাফিহীন লিবিয়ায় এতদিনেও শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল না কেন? কেন দিনের পর দিন সিরিয়ার নিরাপরাধ মানুষদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মরতে হচ্ছে? চোদ্দ বছর আগে লিবিয়া, সিরিয়া বা ইয়েমেনে জনতার হুঙ্কার যে বসন্তের উপস্থিতি ঘোষণা করেছিল, তা আজ বেপাত্তা। ওই তিনটি দেশই এখন গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত, দিশেহারা। বাকি আরব দেশগুলিতে কায়েম হয়েছে অভিজাত শ্রেণির শাসন-ই। যা অতীত, তাই বর্তমান...।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের ঘটনা দেখলে ভয় হয়। সেই একই ছবি। সেই গৃহযুদ্ধ, আগুন, ধ্বংসলীলা। দেখে মনে হবে, ভরা বর্ষায় সেখানকার তথাকথিত ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা যেন ‘বসন্ত’ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ২০২৩-এ বাংলাদেশে ভোটের আগে এই কথাই তো বলেছিলেন মস্কোয় রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে আরব বসন্ত তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমেরিকা। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্র করছেন।’ সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে অনেকে উড়িয়ে দিলেও, বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ হতে বেশি সময় লাগেনি।
প্রথমে কোটা আন্দোলন দিয়ে শুরু। তারপর কোটা সমস্যা মিটতেই নয় দফা আন্দোলনের ডাক। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেমে আসে এক দফায়— হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চাই। ‘অন্তর্বর্তীকালীন গণতান্ত্রিক সরকার’ গঠনের ডাক দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। সাতটি ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠন নিয়ে গঠিত এই ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’। আসলে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল বাংলাদেশের ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠনগুলিও। শুনলে অবাক হবেন, এই ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব’ আসলে বিএনপি-জামাতের দীর্ঘদিনের। ফলে এই ইস্যুতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানায় বিএনপি, জামাত ও হেফাজতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। হাসিনা সরকার ফেলতে সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে হাত মেলাতে কুণ্ঠাবোধ করেনি বামপন্থীরা। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, আসল লক্ষ্য হাসিনাকে উৎখাত করা। দেশকে মৌলবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। আর সবকিছু পরিকল্পনার পিছনে হয়তো ছিল ঢাকার পাকিস্তানি হাইকমিশন সহ বিদেশি শক্তিগুলি। এ যেন মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের ‘বদলা’!
কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক পালাবদলে। যার পরিণামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেনার ঘেরাটোপে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সঙ্গে বোন রেহানা। হাসিনা ‘গণভবন’ ছাড়তেই এতদিন ঘাপটি মেরে থাকা মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলিও মুখোশ খুলে ফেলে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি ভাঙা শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। ধানমন্ডির যে বাড়িতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, হাসিনা বিরোধী আগুনে পুড়ে ছাই সেই সব স্মৃতি। সিঁড়ির মাঝ বরাবর রাখা ছিল তাঁর বুলেটবিদ্ধ দেহের সাদা-কালো ছবি। পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সময় ওখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবের দেহ। সেই ৩২ ধানমন্ডির মিউজিয়ামে জ্বলেছে ‘জাতির জনক’-এর স্মৃতি। মুছে গিয়েছে বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় স্মৃতি। বাংলাদেশের কোনও বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক তার প্রতিবাদ করেননি। বরং সেই ছবি ভাইরাল করে উল্লাস দেখিয়েছে কিছু ‘বিশ্বাসঘাতক’-এর দল!
হাসিনা দেশ ছাড়তেই তাণ্ডব। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, গণভবনে ঢুকে আন্দোলনকারীদের একাংশের দাপাদাপি। যে যা পেরেছে সব লুঠ করেছে। কারও হাতে টেলিভিশন, কেউবা ফুলের টব, কারও হাতে রাজহাঁস-মুরগি। কেউ বা ছুটেছে চেয়ার হাতে। এমনকী বাদ যায়নি লেপ-তোষকও। একজন যুবককে আবার হাসিনার শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁর বিছানায় সটান শুয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। ওই কয়েক ঘণ্টা বোঝাই দায়, এরা আন্দোলনকারী নাকি লুটেরা। শেখ হাসিনা তো এদেরই এতদিন ‘রাজাকার’ বলতেন। তাঁর ভুল কোথায় ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আর কারও নেই...।
বাংলাদেশের বাইরে গোটা দুনিয়ার হাতে ছবি আসছে প্রতিদিন। ছবি দেখেই টের পাওয়া যায়, ছাত্রসমাজের নামে আসলে হামলা চালিয়েছে কারা? বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি সেইসব ছবি যতই লুকিয়ে রাখুক না কেন, বিশ্ববাসী জেনে গিয়েছে সিরাজগঞ্জে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিস সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার ক্ষমতা একমাত্র ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ হয়। তারাই পারে দেশের স্বপ্ন ধ্বংস করতে। যে স্বপ্নে একটা দেশে গড়ে উঠেছিল মেট্রোরেল। এ যেন ২০১৩ সালের সেই বিএনপি-জামাতের হিংসালীলার পুনরাবৃত্তি! নয়তো কোটা আন্দোলনের রেশ কেন বাংলাদেশের প্রান্তিক হিন্দু পরিবারগুলির উপর এসে পড়বে?
শহিদ মিনারে হাজারো কণ্ঠে ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানের সঙ্গে ড্রোন শট দিয়ে উপর থেকে ছবিটি দেখতে খুব সুন্দর। শুনলে হৃদয়ে আবেগ ঝরে পড়ে। সমস্যা হল এই সুন্দরের আড়ালে অসুন্দরও লুকিয়ে ছিল। তা টের পাওয়া গিয়েছে হাসিনার পদত্যাগের পর। মুখোশ খুলে বেরিয়ে পড়েছে আসল চেহারা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যার বিচার চেয়েছিল। কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনে এত মানুষের প্রাণ গিয়েছে, যা দেশের কেউ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বিচার ব্যবস্থায় আস্থা নেই, তাই নয় দফা দাবি তুলেছিলেন। তারপর হঠাৎ গোটা দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে এক দফা দাবি। ছাত্র নেতারা বলে ফেলেছেন, সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে একটি সম্মিলিত মোর্চা গঠন করার কথা। বলে ফেলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ‘জাতীয় রূপরেখা’ হাজির করবেন। অর্থাৎ ছাত্র নেতারা এখন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষে মত্ত। কেন? কোটা থেকে সরাসরি চলে গেলেন মোর্চা গঠন করে বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরিতে? তাহলে তো প্রমাণ হয়ে গেল, হাসিনাকে উৎখাত করাই আন্দোলনের একমাত্র অভিমুখ ছিল। ছাত্রনেতারা তো এখন আর চাকরি নয়, ক্ষমতা চায়। আর এই ভয়ঙ্কর শক্তির মুখোশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের তথাকথিত বামপন্থী ছাত্ররা! যারা সারা জীবন আন্দোলনে শুধুই ‘রোমান্টিকতা’ খুঁজে বেড়ান! কেউ খেয়ালই করছেন না, হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই তো এখন লাল থেকে কালোতে ফিরে আসছেন। আসলে কোটা আন্দোলনের হিসেবটা শুরু থেকে এটাই ছিল। তার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। সেই আবেগের জোরে বাংলাদেশে পালাবদল। একেবারে ‘আরব বসন্ত’-র জেরক্স কপি!
ভয় হয়... হয়তো একদিন লিবিয়া, সিরিয়ার তালিকায় উঠবে বাংলাদেশেরও নাম। সেদিন ফিরেও তাকাবে না আমেরিকা, পাকিস্তান, চীন কিংবা রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মরুদেশগুলির মতোই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে গোঁড়া ইসলামিক দেশ। মৌলবাদী সংগঠনগুলি এখন সেই স্বপ্নে বিভোর...।
08th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে পৌঁছলেন ইডির আধিকারিকরা

02:12:00 PM

আর জি কর-এ পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক, পরীক্ষা চালাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড

01:55:00 PM

বোয়ালমারী হাইস্কুলে মিড ডে মিল খেয়ে মান পরীক্ষা করলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন

01:46:00 PM

শেয়ার বাজার আপডেট: ১৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮১ হাজার ৬৯২ পয়েন্টে পৌঁছল সেনসেক্স

01:33:00 PM

বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের খবর পেয়েই জয়োল্লাসে মাতলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল কর্মীরা

01:17:00 PM

আর জি কর –এ পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে আতঙ্ক
একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ...বিশদ

01:12:00 PM