Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংরক্ষণ: সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজপথ জুড়ে বিক্ষোভের স্রোত, স্লোগান, শাসক বাহিনীর বুটের শব্দ। চাপা পড়ল সবকিছু... গুলি ছুটছে। বাংলাদেশের আকাশে তার অনুরণন। প্রতিবাদী স্লোগান ঢাকা পড়ছে তাতে। ছুটছে আন্দোলনকারীরা। ছুটছে মানুষ। সাধারণ মানুষ। তাদের সঙ্গে সংরক্ষণ বিরোধী এই আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। সামাজিক বৈষম্যের বিরোধিতায় শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ কখন রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করেছে, সেটাও জানা নেই তাদের। বুকের মাঝে বাসা বেঁধে আছে শুধু আতঙ্ক। আর একটাই প্রশ্ন—বেঁচে বাড়ি ফিরতে পারব তো? দৌড়াদৌড়ির মধ্যে সরে যাচ্ছে একজন। ধীরে ধীরে। আরও কয়েকজন এসে তাকে ধরলেন। আস্তে আস্তে বসে পড়ছে সে। বুকে গুলি লেগেছে। শরীর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। নাঃ, বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। পরিচয়? স্রেফ আম আদমি। সমাজের সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি জাত বিশেষ। 
সীমান্ত বদলে যায়, বদলায় না এই খাঁটি সত্যিটা। বৈষম্য তাদের রোজকার সঙ্গী। কলেজে বৈষম্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে, চাকরিতে, আবার সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পেও। দরখাস্ত দিতে গিয়ে তারা জানতে পারে, আর জায়গা নেই। আসন যে কয়েকটি আছে, সেগুলি সংরক্ষিত। কোটার। সেই আসন যদি ভর্তি না হয়েই পড়ে থাকে? যদি কোনও প্রার্থী পাওয়া না যায়? তখনও হয়তো ডাক পড়বে না জেনারেল 
ক্যাটিগরির সেই ছেলেটির। প্রশাসন থাকবে অপেক্ষায়। সংরক্ষণের স্নো-পাউডার মেখে কেউ যদি আসে। আর ক্ষোভ বাড়বে সেই জেনারেল ক্যাটিগরির ছেলেটির মধ্যে। তাকে বারুদের স্তূপ বললে কি খুব ভুল হবে? শুধু একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের অপেক্ষা। একটি ডাক। এক আহ্বান। তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। ঠিক যেমনটা হয়েছে বাংলাদেশে।
বড় বিচিত্র দেশ ভারত। বড় বিচিত্র এর গণতান্ত্রিক অধিকার। সংরক্ষণের ফর্মুলার দিকে যত নজর পড়ে, ততই অবাক বোধ হয়। কারণ, যে ব্যবস্থা সমাজের পিছিয়ে থাকা শ্রেণিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য শুরু হয়েছিল, সেটাই এখন বদলে গিয়েছে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিতে। সংবিধান চেয়েছিল, এদেশে কেউ যেন ‘অচ্ছুৎ’ না থাকে। নিচু জাতের হাতে জল খাওয়া যাবে না, তাদের ছায়া মাড়ানো যাবে না, তাদের সঙ্গে স্কুলের এক বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করা যাবে না... এমন হাজারো সামাজিক অসুখের ভ্যাকসিন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল সংরক্ষণ ব্যবস্থা। লোকসভা-বিধানসভায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কিংবা সরকারি চাকরিতে। সংবিধান আমাদের শিখিয়েছিল, জাতপাতের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করা যাবে না। চলবে না বৈষম্য। কিন্তু সংবিধান আমাদের একবারও বলে দেয়নি যে, এই ব্যবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যতক্ষণ সংরক্ষিত শ্রেণি জেনারেল ক্যাটিগরির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে পারবে। বুঝে নিতে পারবে তাদের অধিকার। তাই শ্রেণি উন্নয়ন নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোটা ব্যবস্থা বদলে গিয়েছে জাতপাতের রাজনীতিতে। অমুক জাতের লোকজন আমার ভোটব্যাঙ্ক... নথিভুক্ত করে দাও ওদের সংরক্ষণের আওতায়। ওরা খুশি হবে, আমাদের ভোট দেবে। রাজনীতি কিন্তু এটা দেখছে না যে, সত্যিই তাঁদের সবার সংরক্ষণের সুবিধা প্রয়োজন কি না। আর তাই যে মাতব্বরের বার্ষিক আয় ১৪ লক্ষ টাকা, তাঁর সন্তানও কলেজে ভর্তির সময় সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবী পড়ুয়ার ৬৫ শতাংশ নম্বর ফিকে হয়ে যাচ্ছে তার ৪০ শতাংশের কাছে। কারণ, তার হাতে একটি কাস্ট সার্টিফিকেট রয়েছে। আর সেটার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকারই। 
সমাজকে যদি সত্যিই উন্নত করতে হয়, প্রত্যেক শ্রেণিকে এক আসনে বসাতে হয়, তার জন্য জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা চলে না। কাস্ট রিজার্ভেশন নয়, প্রয়োজন ক্লাস রিজার্ভেশনের। সিস্টেম হবে এমন, যা খুঁজে নেবে অভাবীকে। তেলা মাথায় তেল দেবে না। সেই সময় কিন্তু এসে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এখনও কি দেশে ছুৎমার্গ নেই? তফসিলি জাতি-উপজাতি কিংবা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিদের সবাই সমাজের প্রথম সারিতে এসে গিয়েছেন? উত্তর হল, না। আসেননি। ৮০ বছর ধরে সংবিধান সংশোধনের পরও তা হয়নি। এবং পরের ৮০ বছরেও হবে না। কারণ, সেই উদ্যোগটাই সরকারের নেই। তারা মন দিয়েছে শুধু মোড়কে। ‘ওই জাতের’ সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিনিধিরাই যে ভোটটা নিশ্চিত করবে! বাকিদের তারা প্রভাবিত করবে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন জোগানোর জন্য। কিন্তু সরকার যদি কখনও আস্তরণটা তুলে দেখত, চোখে আসত ছিন্নবিচ্ছিন্ন এক অন্দরমহল। সেই ভিতরঘর জানে না, মেধাবী ছেলেটা বা মেয়েটাকে কলেজে পড়াতে গেলে কোথায় আবেদন করতে হবে। তারা জানে না, ওই এক সার্টিফিকেটের জন্য আরও কী কী সুবিধা তারা পেতে পারে। কারণ, সরকার সেই সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনই বোধ করেনি। তারা ক্লাস্টার তৈরি করে গোটা দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে বোঝায়নি। তাদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার মতো সচেতন করেনি। শুধু মনে করেছে, কোটার ব্যবস্থা করে দিলেই হল। বাকি যেমন চলছে চলুক। আর ঠিক এই কারণেই আঙুল ওঠে সিস্টেমের দিকে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত সংরক্ষণের আওতাধীন শ্রেণির মধ্যে থেকে ‘ক্রিমি লেয়ার’ বা চূড়ান্ত সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে বাদ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেয়। তারা বলে, সত্যি কাদের জন্য সংরক্ষণ দরকার, তা খুঁজে বের করতে হবে। পরিস্থিতি এই সমীকরণে চললে ভবিষ্যতে বিক্ষোভের আঁচ যে ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়বে, সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। সরকার অবশ্য বলবে, আমরা তো ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দিয়েছি! ৮ লক্ষ টাকার 
উপরে উঠলে ‘ক্রিমি লেয়ার’! সরকার বাহাদুর একবার ভেবে দেখতে পারেন, বছরে ৮ লক্ষ টাকা আয় করলে মাসে কত হাতে আসে? ৬৬ হাজার টাকা। কেন্দ্রেরই রিপোর্ট বলছে, দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এই অঙ্ক পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। বছরে ১০ লক্ষ টাকার উপর আয় করেন মাত্র ৬৯ লক্ষ নাগরিক। তাহলে এই সমীকরণে নিশ্চয়ই ’ক্রিমি লেয়ার’ বাছাই সম্ভব নয়! সেক্ষেত্রে অন্য কোনও উপায় খুঁজতে 
হবে। যেতে হবে ঘরে ঘরে। ক্ষমতার জন্য 
মানুষকে ব্যবহার বন্ধ করে মানুষের স্বার্থে ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। এটাই রাজধর্ম। সংরক্ষণ যার সত্যিই প্রয়োজন, সে আরও গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে 
না তো? কিংবা গরিব ঘরের মেধাবী সন্তান স্রেফ 
টাকা আর সুযোগের অভাবে দিনমজুরে পরিণত হচ্ছে না তো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে সরকারকেই।
এ এক অদ্ভুত দাঁড়িপাল্লার উপর বসে আছে সমাজ। লাগাতার পরীক্ষা চলছে মানুষের উপর। এক শ্রেণিকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি কেড়ে নিচ্ছে আর এক শ্রেণির অধিকার। ক্ষোভ বাড়ছে অন্তঃসলিলা নদীর মতো। বিস্ফোরণের নিরন্তর অপেক্ষা কিন্তু হঠাৎ একদিন শেষ হয়ে যেতে পারে। যেমন হয়েছে বাংলাদেশে। যে বৈষম্য থেকে আন্দোলনের সূচনা, সুপ্রিম কোর্ট তো তা দূর করার চেষ্টা করেছে। সরকারও বলেছে, আমরা সংরক্ষণের পক্ষে নই। তাহলে নতুন করে কেন দানা বাঁধল আন্দোলন? আসলে বাংলাদেশের এই সমাজ এখন হিংসার স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। তারা আজ পতন চায় সরকারের। ইন্ধন কি নেই? সব দেশে থাকে। এখানেও আছে। ঘরের ভিতরের... হতে পারে বাইরের। কিন্তু সারমর্ম হল একটা শিরোনাম—অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। আর তার জেরেই পদত্যাগ করতে হয়েছে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বৃদ্ধ, মহিলা, শিশু... হু হু করে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ছাদে ছিল ওই কিশোর। বন্দুকের একটি হুঙ্কার... থেমে গিয়েছে তার হৃদস্পন্দন। রাস্তায় গণ্ডগোলের শব্দ শুনে শিশুটি গিয়েছিল জানালা বন্ধ করতে। ছিটকে আসা গুলি ফুঁড়ে দিয়েছে তাকে। একটি সংরক্ষণের ইস্যুকে সরকার পতনের মাধ্যম করে তুলেছে বিরোধী শক্তি।
ভারতের নাগরিক অরিত্র মুখোপাধ্যায়। সাধারণ নাগরিক। জেনারেল ক্যাটিগরি। বলছিলেন, ‘আন্দোলন চলছে। এভাবেই। শুরু হয় কিছু স্লোগানে। শান্ত হয় অগুনতি মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে। ভয় হয়, আমাদের জন্যও এমন কিছু অপেক্ষা করে নেই তো? সেটা হলে দায় নিতে হবে রাজনীতিকেই। যে সংবিধান আমাদের জাতপাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলে, সেখানেই জাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ধারা যোগ করা হয়। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয় বৈষম্যটাকে। মেনে চলতে বাধ্য করা হয়। একই পরীক্ষায় একদল ২০-৩০ নম্বর হাতে নিয়ে বসে, আর একদল মাইনাস ৫০ থেকে শুরু করে। একেই কি সমান অধিকার বলে?’
06th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হরিয়ানার কারনালের সভায় বক্তব্য রাখছেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা

02:24:00 PM

আজ দুপুর ২টোর মধ্যে কতজন জুনিয়র চিকিৎসক কাজে ফিরছেন তার তালিকা চাইল স্বাস্থ্যভবন

02:12:00 PM

সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে পৌঁছলেন ইডির আধিকারিকরা

02:12:00 PM

আর জি কর-এ পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক, পরীক্ষা চালাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড

01:55:00 PM

বোয়ালমারী হাইস্কুলে মিড ডে মিল খেয়ে মান পরীক্ষা করলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন

01:46:00 PM

শেয়ার বাজার আপডেট: ১৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮১ হাজার ৬৯২ পয়েন্টে পৌঁছল সেনসেক্স

01:33:00 PM