Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংরক্ষণ: সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজপথ জুড়ে বিক্ষোভের স্রোত, স্লোগান, শাসক বাহিনীর বুটের শব্দ। চাপা পড়ল সবকিছু... গুলি ছুটছে। বাংলাদেশের আকাশে তার অনুরণন। প্রতিবাদী স্লোগান ঢাকা পড়ছে তাতে। ছুটছে আন্দোলনকারীরা। ছুটছে মানুষ। সাধারণ মানুষ। তাদের সঙ্গে সংরক্ষণ বিরোধী এই আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। সামাজিক বৈষম্যের বিরোধিতায় শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ কখন রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করেছে, সেটাও জানা নেই তাদের। বুকের মাঝে বাসা বেঁধে আছে শুধু আতঙ্ক। আর একটাই প্রশ্ন—বেঁচে বাড়ি ফিরতে পারব তো? দৌড়াদৌড়ির মধ্যে সরে যাচ্ছে একজন। ধীরে ধীরে। আরও কয়েকজন এসে তাকে ধরলেন। আস্তে আস্তে বসে পড়ছে সে। বুকে গুলি লেগেছে। শরীর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। নাঃ, বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। পরিচয়? স্রেফ আম আদমি। সমাজের সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি জাত বিশেষ। 
সীমান্ত বদলে যায়, বদলায় না এই খাঁটি সত্যিটা। বৈষম্য তাদের রোজকার সঙ্গী। কলেজে বৈষম্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে, চাকরিতে, আবার সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পেও। দরখাস্ত দিতে গিয়ে তারা জানতে পারে, আর জায়গা নেই। আসন যে কয়েকটি আছে, সেগুলি সংরক্ষিত। কোটার। সেই আসন যদি ভর্তি না হয়েই পড়ে থাকে? যদি কোনও প্রার্থী পাওয়া না যায়? তখনও হয়তো ডাক পড়বে না জেনারেল 
ক্যাটিগরির সেই ছেলেটির। প্রশাসন থাকবে অপেক্ষায়। সংরক্ষণের স্নো-পাউডার মেখে কেউ যদি আসে। আর ক্ষোভ বাড়বে সেই জেনারেল ক্যাটিগরির ছেলেটির মধ্যে। তাকে বারুদের স্তূপ বললে কি খুব ভুল হবে? শুধু একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের অপেক্ষা। একটি ডাক। এক আহ্বান। তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। ঠিক যেমনটা হয়েছে বাংলাদেশে।
বড় বিচিত্র দেশ ভারত। বড় বিচিত্র এর গণতান্ত্রিক অধিকার। সংরক্ষণের ফর্মুলার দিকে যত নজর পড়ে, ততই অবাক বোধ হয়। কারণ, যে ব্যবস্থা সমাজের পিছিয়ে থাকা শ্রেণিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য শুরু হয়েছিল, সেটাই এখন বদলে গিয়েছে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিতে। সংবিধান চেয়েছিল, এদেশে কেউ যেন ‘অচ্ছুৎ’ না থাকে। নিচু জাতের হাতে জল খাওয়া যাবে না, তাদের ছায়া মাড়ানো যাবে না, তাদের সঙ্গে স্কুলের এক বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করা যাবে না... এমন হাজারো সামাজিক অসুখের ভ্যাকসিন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল সংরক্ষণ ব্যবস্থা। লোকসভা-বিধানসভায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কিংবা সরকারি চাকরিতে। সংবিধান আমাদের শিখিয়েছিল, জাতপাতের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করা যাবে না। চলবে না বৈষম্য। কিন্তু সংবিধান আমাদের একবারও বলে দেয়নি যে, এই ব্যবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যতক্ষণ সংরক্ষিত শ্রেণি জেনারেল ক্যাটিগরির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে পারবে। বুঝে নিতে পারবে তাদের অধিকার। তাই শ্রেণি উন্নয়ন নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোটা ব্যবস্থা বদলে গিয়েছে জাতপাতের রাজনীতিতে। অমুক জাতের লোকজন আমার ভোটব্যাঙ্ক... নথিভুক্ত করে দাও ওদের সংরক্ষণের আওতায়। ওরা খুশি হবে, আমাদের ভোট দেবে। রাজনীতি কিন্তু এটা দেখছে না যে, সত্যিই তাঁদের সবার সংরক্ষণের সুবিধা প্রয়োজন কি না। আর তাই যে মাতব্বরের বার্ষিক আয় ১৪ লক্ষ টাকা, তাঁর সন্তানও কলেজে ভর্তির সময় সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবী পড়ুয়ার ৬৫ শতাংশ নম্বর ফিকে হয়ে যাচ্ছে তার ৪০ শতাংশের কাছে। কারণ, তার হাতে একটি কাস্ট সার্টিফিকেট রয়েছে। আর সেটার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকারই। 
সমাজকে যদি সত্যিই উন্নত করতে হয়, প্রত্যেক শ্রেণিকে এক আসনে বসাতে হয়, তার জন্য জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা চলে না। কাস্ট রিজার্ভেশন নয়, প্রয়োজন ক্লাস রিজার্ভেশনের। সিস্টেম হবে এমন, যা খুঁজে নেবে অভাবীকে। তেলা মাথায় তেল দেবে না। সেই সময় কিন্তু এসে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এখনও কি দেশে ছুৎমার্গ নেই? তফসিলি জাতি-উপজাতি কিংবা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিদের সবাই সমাজের প্রথম সারিতে এসে গিয়েছেন? উত্তর হল, না। আসেননি। ৮০ বছর ধরে সংবিধান সংশোধনের পরও তা হয়নি। এবং পরের ৮০ বছরেও হবে না। কারণ, সেই উদ্যোগটাই সরকারের নেই। তারা মন দিয়েছে শুধু মোড়কে। ‘ওই জাতের’ সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিনিধিরাই যে ভোটটা নিশ্চিত করবে! বাকিদের তারা প্রভাবিত করবে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন জোগানোর জন্য। কিন্তু সরকার যদি কখনও আস্তরণটা তুলে দেখত, চোখে আসত ছিন্নবিচ্ছিন্ন এক অন্দরমহল। সেই ভিতরঘর জানে না, মেধাবী ছেলেটা বা মেয়েটাকে কলেজে পড়াতে গেলে কোথায় আবেদন করতে হবে। তারা জানে না, ওই এক সার্টিফিকেটের জন্য আরও কী কী সুবিধা তারা পেতে পারে। কারণ, সরকার সেই সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনই বোধ করেনি। তারা ক্লাস্টার তৈরি করে গোটা দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে বোঝায়নি। তাদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার মতো সচেতন করেনি। শুধু মনে করেছে, কোটার ব্যবস্থা করে দিলেই হল। বাকি যেমন চলছে চলুক। আর ঠিক এই কারণেই আঙুল ওঠে সিস্টেমের দিকে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত সংরক্ষণের আওতাধীন শ্রেণির মধ্যে থেকে ‘ক্রিমি লেয়ার’ বা চূড়ান্ত সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে বাদ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেয়। তারা বলে, সত্যি কাদের জন্য সংরক্ষণ দরকার, তা খুঁজে বের করতে হবে। পরিস্থিতি এই সমীকরণে চললে ভবিষ্যতে বিক্ষোভের আঁচ যে ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়বে, সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। সরকার অবশ্য বলবে, আমরা তো ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দিয়েছি! ৮ লক্ষ টাকার 
উপরে উঠলে ‘ক্রিমি লেয়ার’! সরকার বাহাদুর একবার ভেবে দেখতে পারেন, বছরে ৮ লক্ষ টাকা আয় করলে মাসে কত হাতে আসে? ৬৬ হাজার টাকা। কেন্দ্রেরই রিপোর্ট বলছে, দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এই অঙ্ক পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। বছরে ১০ লক্ষ টাকার উপর আয় করেন মাত্র ৬৯ লক্ষ নাগরিক। তাহলে এই সমীকরণে নিশ্চয়ই ’ক্রিমি লেয়ার’ বাছাই সম্ভব নয়! সেক্ষেত্রে অন্য কোনও উপায় খুঁজতে 
হবে। যেতে হবে ঘরে ঘরে। ক্ষমতার জন্য 
মানুষকে ব্যবহার বন্ধ করে মানুষের স্বার্থে ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। এটাই রাজধর্ম। সংরক্ষণ যার সত্যিই প্রয়োজন, সে আরও গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে 
না তো? কিংবা গরিব ঘরের মেধাবী সন্তান স্রেফ 
টাকা আর সুযোগের অভাবে দিনমজুরে পরিণত হচ্ছে না তো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে সরকারকেই।
এ এক অদ্ভুত দাঁড়িপাল্লার উপর বসে আছে সমাজ। লাগাতার পরীক্ষা চলছে মানুষের উপর। এক শ্রেণিকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি কেড়ে নিচ্ছে আর এক শ্রেণির অধিকার। ক্ষোভ বাড়ছে অন্তঃসলিলা নদীর মতো। বিস্ফোরণের নিরন্তর অপেক্ষা কিন্তু হঠাৎ একদিন শেষ হয়ে যেতে পারে। যেমন হয়েছে বাংলাদেশে। যে বৈষম্য থেকে আন্দোলনের সূচনা, সুপ্রিম কোর্ট তো তা দূর করার চেষ্টা করেছে। সরকারও বলেছে, আমরা সংরক্ষণের পক্ষে নই। তাহলে নতুন করে কেন দানা বাঁধল আন্দোলন? আসলে বাংলাদেশের এই সমাজ এখন হিংসার স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। তারা আজ পতন চায় সরকারের। ইন্ধন কি নেই? সব দেশে থাকে। এখানেও আছে। ঘরের ভিতরের... হতে পারে বাইরের। কিন্তু সারমর্ম হল একটা শিরোনাম—অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। আর তার জেরেই পদত্যাগ করতে হয়েছে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বৃদ্ধ, মহিলা, শিশু... হু হু করে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ছাদে ছিল ওই কিশোর। বন্দুকের একটি হুঙ্কার... থেমে গিয়েছে তার হৃদস্পন্দন। রাস্তায় গণ্ডগোলের শব্দ শুনে শিশুটি গিয়েছিল জানালা বন্ধ করতে। ছিটকে আসা গুলি ফুঁড়ে দিয়েছে তাকে। একটি সংরক্ষণের ইস্যুকে সরকার পতনের মাধ্যম করে তুলেছে বিরোধী শক্তি।
ভারতের নাগরিক অরিত্র মুখোপাধ্যায়। সাধারণ নাগরিক। জেনারেল ক্যাটিগরি। বলছিলেন, ‘আন্দোলন চলছে। এভাবেই। শুরু হয় কিছু স্লোগানে। শান্ত হয় অগুনতি মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে। ভয় হয়, আমাদের জন্যও এমন কিছু অপেক্ষা করে নেই তো? সেটা হলে দায় নিতে হবে রাজনীতিকেই। যে সংবিধান আমাদের জাতপাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলে, সেখানেই জাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ধারা যোগ করা হয়। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয় বৈষম্যটাকে। মেনে চলতে বাধ্য করা হয়। একই পরীক্ষায় একদল ২০-৩০ নম্বর হাতে নিয়ে বসে, আর একদল মাইনাস ৫০ থেকে শুরু করে। একেই কি সমান অধিকার বলে?’
06th  August, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির কনট প্লেসে প্রাচীন হনুমান মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

11:05:00 AM

বুধবারে চড়ছে শেয়ার বাজার, সেনসেক্স বাড়ল ৪৬৮ পয়েন্ট

10:55:00 AM

ভূস্বর্গে ঠান্ডার কাঁপুনি, শ্রীনগরের ডাল লেকে হালকা বরফের আস্তরণ

10:46:33 AM

দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কুয়াশার দাপট, সকাল থেকে বাতিল ৭টি বিমান, দেরিতে ১৮৪টি উড়ান

10:37:00 AM

বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM