Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ছেঁদো যুক্তি
পি চিদম্বরম

গত ২৩ জুলাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেছেন। পরদিন সংসদের উভয় কক্ষে শুরু হয় বাজেট নিয়ে আলোচনা। অর্থমন্ত্রী ৩০ জুলাই লোকসভায় এবং ৩১ জুলাই রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত বিতর্কের ‘জবাব’ দেন।  
অর্থমন্ত্রীর জবাব নির্দিষ্ট ছিল তিনটি বিষয় ভিত্তিক:
১. খরচের প্রতিটি খাতের অধীনে সরকার আরও বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে।
অর্থমন্ত্রীর মতে, সরকারের তরফে ব্যয় হল সুশাসনের একটি পরিমাপ। এই অর্থে সরকার যে ‘উন্নয়ন’ ও ‘কল্যাণ’ সাধন করেছে তাতে সকল শ্রেণির জনগণ উপকৃত হয়েছেন। অর্থমন্ত্রী কিছু পরিসংখ্যানসহ তাঁর যুক্তি সাজিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে—ইউপিএ সরকারের শেষ বছরে, অর্থাৎ ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছিল; এনডিএ-২ সরকারের প্রথম ও শেষ বছরে বা ২০১৯-২০ ও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অর্থ খরচের পরিমাণ কত ছিল; এবং চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই সরকার কী পরিমাণ খরচ করতে চলেছে। সংখ্যাগুলি থেকে পরিষ্কার, খরচের পরিমাণ স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিবছর শেষমেশ বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতে মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। একই খাতে আজকের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকা। বরাদ্দের এই পরমিাণ গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) চেয়েও ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। তাহলে এটাই সত্য যে, বিগত বছরগুলিতে কৃষি খাতে খরচের পরিমাণ আমরা বাড়িয়েছি, কোনোভাবেই কমাইনি।’ ধরে নিচ্ছি, সংখ্যাগুলি ‘কারেন্ট প্রাইসে’, ‘কনস্ট্যান্ট প্রাইসে’ নয়।  তবে বর্ধিত ব্যয়ের দাবিটি শুধুমাত্র তখনই প্রাসঙ্গিক হবে যদি তা মোট ব্যয় বা জিডিপির অনুপাত হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য যে, এমন একাধিক হেড বা খাত রয়েছে যেগুলির অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বরাদ্দ অর্থ খরচই করা হয়নি। এই ব্যয় কেন সম্ভব হয়নি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি তারও:
খাত    বাজেট এস্টিমেট    রিভাইজড এস্টিমেট
কৃষি ও আনুষঙ্গিক    ১,৪৪,২১৪    ১,৪০,৫৩৩
শিক্ষা    ১,১৬,৪১৭    ১,০৮,৮৭৮
স্বাস্থ্য    ৮৮,৯৫৬    ৭৯,২২১
সমাজ কল্যাণ    ৫৫,০৮০    ৪৬,৭৪১
বৈজ্ঞানিক দপ্তরগুলি    ৩২,২২৫    ২৬,৬৫১

২. বেকারত্বের সমস্যা বলে কিছু নেই।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, সরকার ‘সক্ষম, স্বতন্ত্র এবং সমর্থ’ (অর্থাৎ—যোগ্য, স্বাধীন এবং সক্ষম) নীতি নিয়ে চলেছে। তিনি পরিচিত পরিসংখ্যানই পেশ করেছেন। পিরয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভেতে দাবি করা হয়েছে যে, বেকারত্ব ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। ওইসঙ্গে, এসবিআই রিসার্চ রিপোর্ট বলছে যে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে সাড়ে ১২ কোটি চাকরির সৃষ্টি হয়েছে। দুটিই সরকারি রিপোর্ট। এই ব্যাপারে সিএমআইই যে তথ্য দিয়েছে তার বিরোধিতা করেছে তারা। সিএমআইই’র এস্টিমেট অনুসারে, দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ৯.২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন বা আইএলও’র তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে বেকারদের মধ্যে ৮৩  শতাংশই যুব! অর্থমন্ত্রী এই প্রশ্নের জবাব দেননি যে, মাত্র কয়েকশো বা কয়েক হাজার চাকরির জন্য প্রার্থীর সংখ্যা কয়েক হাজার বা কয়েক লক্ষ কেন?  
উদারহণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়—
• উত্তরপ্রদেশ পুলিসে ৬০,২৪৪টি পদে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ৪৮ লক্ষাধিক প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ লক্ষ। 
• উত্তরপ্রদেশ স্টাফ সিলেকশন কমিশনের একটি পরীক্ষায় শূন্যপদ পদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে সাত হাজারের মতো মাত্র। কিন্তু ওই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ভিরমি খাওয়ার মতোই—২৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০! 
বেকারত্ব যদি এতই দ্রুত কমে গিয়ে থাকবে তাহলে এক-একটি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে আবেদনকারী বা প্রার্থীর অনুপাত এত ভয়াবহ রকমে অসম কেন?  উপরে উত্তরপ্রদেশে গৃহীত দুটি চাকরির পরীক্ষার যে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে সেখানে এই অনুপাতটি যথাক্রমে ছিল এইরকম—১:৮০ এবং ১:৩২৯। কেন ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজমেন্ট গ্র্যাজুয়েট, আইনজীবী এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা সামান্য কনস্টেবল বা ক্লার্কের চাকরির জন্য আবেদন করছেন? বেকারত্বের সত্যতা খুঁজে পেতে, আমার পরামর্শ, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের উচিত ভারতের ছোট বড় শহরগুলির রাস্তায় একটু হেঁটে আসুন। বেশ, অর্থমন্ত্রী না-হয় মাদুরাই দিয়েই তার হাঁটা শুরু করতে পারেন।  তাঁর জন্ম তো ওই শহরেই। তারপর তিনি যেতে পারেন বিল্লুপুরমে, যেখানে তাঁর স্কুলশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবশেষে অর্থমন্ত্রী ঘুরে আসুন তিরুচিরাপল্লি থেকে। আমরা জানি, নির্মলা সীতারামন ওই শহরের কলেজে পড়েছিলেন। 
৩. আমাদের মুদ্রাস্ফীতির হার আগের 
জমানার চেয়ে ভালো। 
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘অর্থনীতি সামলানোর জন্য ইউপিএ সরকার হার্ভার্ড এবং অক্সফোর্ডে শিক্ষিত নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা জানতেন না কখন এবং কীভাবে ‘স্টিমুলাস’ প্রত্যাহার করতে হবে। আর ওই কারণেই ২০০৯ এবং ২০১৩ সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল দুই সংখ্যার, যেটা যথেষ্ট বেশি।’ অর্থমন্ত্রী অবশ্য বুদ্ধিমতীর মতোই এই ব্যাপারে নামগুলি এড়িয়ে গিয়েছেন, কেননা তাতে তাঁর সরকারই বিব্রত হতে পারত। অর্থমন্ত্রী ‘টেকনিক্যালি কারেক্ট’ হলেও তাঁর এই বক্তব্য কিন্তু প্রাসঙ্গিক নয়। দেশবাসী কিন্তু ইউপিএ আমলে বসবাস করছেন না, তাঁরা বসবাস করছেন মোদির তৃতীয় বা ২.১ জমানায়। তাঁরা এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন টোম্যাটো, পেঁয়াজ এবং আলুর দাম প্রতিবছর যথাক্রমে ৩০ শতাংশ, ৪৬ শতাংশ এবং ৫৯ শতাংশ বেড়েছে (সূত্র: ক্রিসিল)। তাঁরা এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন পাইকারি মূল্য সূচক ভিত্তিক ডব্লুপিআই মূল্যস্ফীতির হার ৩.৪ শতাংশ। যখন ভোগ্যপণ্যের বা সিপিআই মূল্যস্ফীতি ৫.১ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ। ভারতের মানুষ এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন সব শ্রেণির শ্রমিকের মজুরি ছ’বছর যাবৎ থমকে রয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে মানুষ ভোট দিয়েছেন মোদি জমানায় মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে, তাঁরা কেউ ইউপিএ আমলের মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে কিন্তু মত দেননি। মূল্যস্ফীতির বোঝা কমাবার কোনও আইডিয়া অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা পাইনি। নিয়ন্ত্রিত মূল্য (অ্যাডমিনিস্টার্ড প্রাইস) কমানো হয়নি। কমানো হয়নি কর বা সেস। ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হয়নি। জোগান বৃদ্ধির উপযোগী কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হল না। প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত কয়েকটি শব্দ উদ্ধৃত করেছেন তিনি, ‘ভারতের মুদ্রাস্ফীতি কম ও স্থিতিশীল থাকবে এবং এগচ্ছে ৪ শতাংশ লক্ষ্যের দিকে।’ এবং, তার জোরেই বিরূপ প্রশ্নগুলি অর্থমন্ত্রী নস্যাৎ করতে চেয়েছেন। তিনি একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেননি। প্রশ্নটি হল—এই সরকারের মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনা যদি এতই প্রশংসনীয় হয়, তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) ১৩ মাস যাবৎ ব্যাঙ্ক রেট ৬.৫ শতাংশই রেখে দিল কেন? এই হার ২০২৪ সালে কমাবার কোনও সম্ভাবনাও তো নেই! 
এই বাজেটকে সাধারণ নাগরিকরা খুশি মনে গ্রহণ করতে পারেননি। এমনকী, সরকারের তরফে গাইয়ে-বাজিয়েরাও সংশয়ে, তাই প্রতিক্রিয়া জানাবার প্রশ্নে তাঁরা সতর্কই ছিলেন। এই ব্যাপারে একমাত্র অর্থমন্ত্রীর একারই কোনও সংশয় নেই বলে মনে হয়। অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার সময় জ্ঞানের যে উচ্চমার্গে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তাঁর জবাব শেষে, অন্য অনেকের সঙ্গে আমিও রয়ে গিয়েছি একই অবস্থায়।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
05th  August, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ধোঁয়ায় ঢেকে গোটা এলাকা

03:53:09 PM

রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ...বিশদ

03:28:03 PM

বেহাল দশায় ময়নাগুড়ির খুকশিয়া উদ্যান
বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা ...বিশদ

03:20:00 PM

কুম্ভমেলা থেকে ফেরার পথে বৃন্দাবনে বাসে আগুন, ঝলসে মৃত ১
পূর্ণকুম্ভে পূণ্যের ডুব দিয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি। ...বিশদ

03:15:45 PM

নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি পরিবহণের অভিযোগ, পুলিসি অভিযানে গ্রেপ্তার ৪
জলপাইগুড়ি জেলার জল্পেশ সংলগ্ন জর্দা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি ...বিশদ

03:00:00 PM

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাটোয়া শহরে একটি বাড়ির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলছে পুরসভা

02:55:11 PM