Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ছেঁদো যুক্তি
পি চিদম্বরম

গত ২৩ জুলাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেছেন। পরদিন সংসদের উভয় কক্ষে শুরু হয় বাজেট নিয়ে আলোচনা। অর্থমন্ত্রী ৩০ জুলাই লোকসভায় এবং ৩১ জুলাই রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত বিতর্কের ‘জবাব’ দেন।  
অর্থমন্ত্রীর জবাব নির্দিষ্ট ছিল তিনটি বিষয় ভিত্তিক:
১. খরচের প্রতিটি খাতের অধীনে সরকার আরও বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে।
অর্থমন্ত্রীর মতে, সরকারের তরফে ব্যয় হল সুশাসনের একটি পরিমাপ। এই অর্থে সরকার যে ‘উন্নয়ন’ ও ‘কল্যাণ’ সাধন করেছে তাতে সকল শ্রেণির জনগণ উপকৃত হয়েছেন। অর্থমন্ত্রী কিছু পরিসংখ্যানসহ তাঁর যুক্তি সাজিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে—ইউপিএ সরকারের শেষ বছরে, অর্থাৎ ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছিল; এনডিএ-২ সরকারের প্রথম ও শেষ বছরে বা ২০১৯-২০ ও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অর্থ খরচের পরিমাণ কত ছিল; এবং চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই সরকার কী পরিমাণ খরচ করতে চলেছে। সংখ্যাগুলি থেকে পরিষ্কার, খরচের পরিমাণ স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিবছর শেষমেশ বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতে মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। একই খাতে আজকের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকা। বরাদ্দের এই পরমিাণ গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) চেয়েও ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। তাহলে এটাই সত্য যে, বিগত বছরগুলিতে কৃষি খাতে খরচের পরিমাণ আমরা বাড়িয়েছি, কোনোভাবেই কমাইনি।’ ধরে নিচ্ছি, সংখ্যাগুলি ‘কারেন্ট প্রাইসে’, ‘কনস্ট্যান্ট প্রাইসে’ নয়।  তবে বর্ধিত ব্যয়ের দাবিটি শুধুমাত্র তখনই প্রাসঙ্গিক হবে যদি তা মোট ব্যয় বা জিডিপির অনুপাত হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য যে, এমন একাধিক হেড বা খাত রয়েছে যেগুলির অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বরাদ্দ অর্থ খরচই করা হয়নি। এই ব্যয় কেন সম্ভব হয়নি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি তারও:
খাত    বাজেট এস্টিমেট    রিভাইজড এস্টিমেট
কৃষি ও আনুষঙ্গিক    ১,৪৪,২১৪    ১,৪০,৫৩৩
শিক্ষা    ১,১৬,৪১৭    ১,০৮,৮৭৮
স্বাস্থ্য    ৮৮,৯৫৬    ৭৯,২২১
সমাজ কল্যাণ    ৫৫,০৮০    ৪৬,৭৪১
বৈজ্ঞানিক দপ্তরগুলি    ৩২,২২৫    ২৬,৬৫১

২. বেকারত্বের সমস্যা বলে কিছু নেই।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, সরকার ‘সক্ষম, স্বতন্ত্র এবং সমর্থ’ (অর্থাৎ—যোগ্য, স্বাধীন এবং সক্ষম) নীতি নিয়ে চলেছে। তিনি পরিচিত পরিসংখ্যানই পেশ করেছেন। পিরয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভেতে দাবি করা হয়েছে যে, বেকারত্ব ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। ওইসঙ্গে, এসবিআই রিসার্চ রিপোর্ট বলছে যে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে সাড়ে ১২ কোটি চাকরির সৃষ্টি হয়েছে। দুটিই সরকারি রিপোর্ট। এই ব্যাপারে সিএমআইই যে তথ্য দিয়েছে তার বিরোধিতা করেছে তারা। সিএমআইই’র এস্টিমেট অনুসারে, দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ৯.২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন বা আইএলও’র তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে বেকারদের মধ্যে ৮৩  শতাংশই যুব! অর্থমন্ত্রী এই প্রশ্নের জবাব দেননি যে, মাত্র কয়েকশো বা কয়েক হাজার চাকরির জন্য প্রার্থীর সংখ্যা কয়েক হাজার বা কয়েক লক্ষ কেন?  
উদারহণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়—
• উত্তরপ্রদেশ পুলিসে ৬০,২৪৪টি পদে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ৪৮ লক্ষাধিক প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ লক্ষ। 
• উত্তরপ্রদেশ স্টাফ সিলেকশন কমিশনের একটি পরীক্ষায় শূন্যপদ পদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে সাত হাজারের মতো মাত্র। কিন্তু ওই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ভিরমি খাওয়ার মতোই—২৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০! 
বেকারত্ব যদি এতই দ্রুত কমে গিয়ে থাকবে তাহলে এক-একটি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে আবেদনকারী বা প্রার্থীর অনুপাত এত ভয়াবহ রকমে অসম কেন?  উপরে উত্তরপ্রদেশে গৃহীত দুটি চাকরির পরীক্ষার যে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে সেখানে এই অনুপাতটি যথাক্রমে ছিল এইরকম—১:৮০ এবং ১:৩২৯। কেন ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজমেন্ট গ্র্যাজুয়েট, আইনজীবী এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা সামান্য কনস্টেবল বা ক্লার্কের চাকরির জন্য আবেদন করছেন? বেকারত্বের সত্যতা খুঁজে পেতে, আমার পরামর্শ, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের উচিত ভারতের ছোট বড় শহরগুলির রাস্তায় একটু হেঁটে আসুন। বেশ, অর্থমন্ত্রী না-হয় মাদুরাই দিয়েই তার হাঁটা শুরু করতে পারেন।  তাঁর জন্ম তো ওই শহরেই। তারপর তিনি যেতে পারেন বিল্লুপুরমে, যেখানে তাঁর স্কুলশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবশেষে অর্থমন্ত্রী ঘুরে আসুন তিরুচিরাপল্লি থেকে। আমরা জানি, নির্মলা সীতারামন ওই শহরের কলেজে পড়েছিলেন। 
৩. আমাদের মুদ্রাস্ফীতির হার আগের 
জমানার চেয়ে ভালো। 
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘অর্থনীতি সামলানোর জন্য ইউপিএ সরকার হার্ভার্ড এবং অক্সফোর্ডে শিক্ষিত নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা জানতেন না কখন এবং কীভাবে ‘স্টিমুলাস’ প্রত্যাহার করতে হবে। আর ওই কারণেই ২০০৯ এবং ২০১৩ সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল দুই সংখ্যার, যেটা যথেষ্ট বেশি।’ অর্থমন্ত্রী অবশ্য বুদ্ধিমতীর মতোই এই ব্যাপারে নামগুলি এড়িয়ে গিয়েছেন, কেননা তাতে তাঁর সরকারই বিব্রত হতে পারত। অর্থমন্ত্রী ‘টেকনিক্যালি কারেক্ট’ হলেও তাঁর এই বক্তব্য কিন্তু প্রাসঙ্গিক নয়। দেশবাসী কিন্তু ইউপিএ আমলে বসবাস করছেন না, তাঁরা বসবাস করছেন মোদির তৃতীয় বা ২.১ জমানায়। তাঁরা এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন টোম্যাটো, পেঁয়াজ এবং আলুর দাম প্রতিবছর যথাক্রমে ৩০ শতাংশ, ৪৬ শতাংশ এবং ৫৯ শতাংশ বেড়েছে (সূত্র: ক্রিসিল)। তাঁরা এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন পাইকারি মূল্য সূচক ভিত্তিক ডব্লুপিআই মূল্যস্ফীতির হার ৩.৪ শতাংশ। যখন ভোগ্যপণ্যের বা সিপিআই মূল্যস্ফীতি ৫.১ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ। ভারতের মানুষ এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন সব শ্রেণির শ্রমিকের মজুরি ছ’বছর যাবৎ থমকে রয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে মানুষ ভোট দিয়েছেন মোদি জমানায় মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে, তাঁরা কেউ ইউপিএ আমলের মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে কিন্তু মত দেননি। মূল্যস্ফীতির বোঝা কমাবার কোনও আইডিয়া অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা পাইনি। নিয়ন্ত্রিত মূল্য (অ্যাডমিনিস্টার্ড প্রাইস) কমানো হয়নি। কমানো হয়নি কর বা সেস। ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হয়নি। জোগান বৃদ্ধির উপযোগী কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হল না। প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত কয়েকটি শব্দ উদ্ধৃত করেছেন তিনি, ‘ভারতের মুদ্রাস্ফীতি কম ও স্থিতিশীল থাকবে এবং এগচ্ছে ৪ শতাংশ লক্ষ্যের দিকে।’ এবং, তার জোরেই বিরূপ প্রশ্নগুলি অর্থমন্ত্রী নস্যাৎ করতে চেয়েছেন। তিনি একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেননি। প্রশ্নটি হল—এই সরকারের মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনা যদি এতই প্রশংসনীয় হয়, তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) ১৩ মাস যাবৎ ব্যাঙ্ক রেট ৬.৫ শতাংশই রেখে দিল কেন? এই হার ২০২৪ সালে কমাবার কোনও সম্ভাবনাও তো নেই! 
এই বাজেটকে সাধারণ নাগরিকরা খুশি মনে গ্রহণ করতে পারেননি। এমনকী, সরকারের তরফে গাইয়ে-বাজিয়েরাও সংশয়ে, তাই প্রতিক্রিয়া জানাবার প্রশ্নে তাঁরা সতর্কই ছিলেন। এই ব্যাপারে একমাত্র অর্থমন্ত্রীর একারই কোনও সংশয় নেই বলে মনে হয়। অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার সময় জ্ঞানের যে উচ্চমার্গে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তাঁর জবাব শেষে, অন্য অনেকের সঙ্গে আমিও রয়ে গিয়েছি একই অবস্থায়।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
05th  August, 2024
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
একনজরে
ভুয়ো নথি দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট বানানো বাংলাদেশি পলাশ বিশ্বাস ওরফে চয়ন বড়ুয়া অসম সীমান্ত দিয়ে পাঁচ বছর আগে ভারতে ঢুকেছিল। চট্টোগ্রামের বাসিন্দা এই যুবক একাধিক নামে জাল নথি তৈরি করেছিল। বাংলাদেশের একটি স্কুল থেকে ক্লাস এইট পাস পলাশ জাল নথি ...

শহর শিলিগুড়ি সংলগ্ন মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক যুবক যুবতীকে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টাকা বা চাকরি ফেরত না পেয়ে পরে ফাঁদে ফেলে প্রতারককে পাকড়াও করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দিলেন প্রতারিতদের ...

চিংড়ির রপ্তানি বাড়াতে রাজ্যের সঙ্গে একযোগে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি কর্তাদের দাবি, এতে যেমন মৎস্যজীবীদের আয় বাড়বে, তেমনই রাজস্ব বাড়াতে সক্ষম হবে সরকার। ...

ডান হাতে ক্রাচ। ভারি শরীরে সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট হচ্ছে। ফর্সা মুখ আরও লালচে। ল্যান্ডিংয়ে খানিক জিরিয়ে নিয়ে ফের উঠছেন মহিলা সমর্থক। দাঁড়িয়ে পড়ছেন বান্ধবীও। কী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থব্যয় বাড়তে পারে। মনের অস্থিরতা-উত্তেজনা দমন করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

পরাক্রম দিবস
নেতাজি জয়ন্তী 
১৮৫৯ - কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তর মৃত্যু
১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম
১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম
১৯০৯ - কবি নবীনচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯২০ - ভারতীয় উপমহাদেশের বিমানে মাল পরিবহণ ও ডাক যোগাযোগ শুরু
১৯২২ - কানাডার টরেন্টো জেনারেল হাসপাতালে প্রথম ডায়াবেটিস বা বহুমুত্রে আক্রান্ত এক রোগীকে কৃত্রিম ইনস্যুলিন দেয়া হয়।
১৯২৬- শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল থ্যাকারের জন্ম
১৯৩৪- সাংবাদিক তথা ‘বর্তমান’-এর প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৬- গায়ক পল রোবসনের মৃত্যু
১৯৮৪ – নেদারল্যান্ডের ফুটবল খেলোয়াড় আর্ইয়েন রবেনের জন্ম
১৯৮৯ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির মৃত্যু
২০০২ - পাকিস্তানের করাচীতে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল অপহৃত হন এবং পরবর্তীকালে নিহত



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৮ টাকা ৮৭.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৪২ টাকা ১০৮.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৮.৮৮ টাকা ৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী  ২০/১০, সন্ধ্যা ৫/৩৮। বিশাখা নক্ষত্র ৫৬/৫৫, শেষরাত্রি ৫/৮। সূর্যোদয় ৬/২২/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৪/৩৭। অমৃতযোগ  রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ৩/৩৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৪২। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩১ গতে ৫/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৯ মধ্যে।  
২২ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বলিউড অভিনেতা রাজপাল যাদবকে হুমকি মেইল, আম্বোলি থানায় দায়ের মামলা

22-01-2025 - 11:10:00 PM

আগুন লাগার গুজব, মহারাষ্ট্রে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২

22-01-2025 - 10:23:00 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারাল ভারত

22-01-2025 - 09:59:00 PM

প্রথম টি২০: ৭৯ রানে আউট অভিষেক, ভারত ১২৫/৩ (১১.৫ ওভার), টার্গেট ১৩৩

22-01-2025 - 09:52:00 PM

২৬ জানুয়ারির আগে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাজধানী দিল্লি

22-01-2025 - 09:48:00 PM

প্রথম টি২০: ভারত ১০০/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৩৩

22-01-2025 - 09:42:00 PM