Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ছেঁদো যুক্তি
পি চিদম্বরম

গত ২৩ জুলাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেছেন। পরদিন সংসদের উভয় কক্ষে শুরু হয় বাজেট নিয়ে আলোচনা। অর্থমন্ত্রী ৩০ জুলাই লোকসভায় এবং ৩১ জুলাই রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত বিতর্কের ‘জবাব’ দেন।  
অর্থমন্ত্রীর জবাব নির্দিষ্ট ছিল তিনটি বিষয় ভিত্তিক:
১. খরচের প্রতিটি খাতের অধীনে সরকার আরও বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে।
অর্থমন্ত্রীর মতে, সরকারের তরফে ব্যয় হল সুশাসনের একটি পরিমাপ। এই অর্থে সরকার যে ‘উন্নয়ন’ ও ‘কল্যাণ’ সাধন করেছে তাতে সকল শ্রেণির জনগণ উপকৃত হয়েছেন। অর্থমন্ত্রী কিছু পরিসংখ্যানসহ তাঁর যুক্তি সাজিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে—ইউপিএ সরকারের শেষ বছরে, অর্থাৎ ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছিল; এনডিএ-২ সরকারের প্রথম ও শেষ বছরে বা ২০১৯-২০ ও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অর্থ খরচের পরিমাণ কত ছিল; এবং চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই সরকার কী পরিমাণ খরচ করতে চলেছে। সংখ্যাগুলি থেকে পরিষ্কার, খরচের পরিমাণ স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিবছর শেষমেশ বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতে মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। একই খাতে আজকের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকা। বরাদ্দের এই পরমিাণ গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) চেয়েও ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। তাহলে এটাই সত্য যে, বিগত বছরগুলিতে কৃষি খাতে খরচের পরিমাণ আমরা বাড়িয়েছি, কোনোভাবেই কমাইনি।’ ধরে নিচ্ছি, সংখ্যাগুলি ‘কারেন্ট প্রাইসে’, ‘কনস্ট্যান্ট প্রাইসে’ নয়।  তবে বর্ধিত ব্যয়ের দাবিটি শুধুমাত্র তখনই প্রাসঙ্গিক হবে যদি তা মোট ব্যয় বা জিডিপির অনুপাত হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য যে, এমন একাধিক হেড বা খাত রয়েছে যেগুলির অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বরাদ্দ অর্থ খরচই করা হয়নি। এই ব্যয় কেন সম্ভব হয়নি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি তারও:
খাত    বাজেট এস্টিমেট    রিভাইজড এস্টিমেট
কৃষি ও আনুষঙ্গিক    ১,৪৪,২১৪    ১,৪০,৫৩৩
শিক্ষা    ১,১৬,৪১৭    ১,০৮,৮৭৮
স্বাস্থ্য    ৮৮,৯৫৬    ৭৯,২২১
সমাজ কল্যাণ    ৫৫,০৮০    ৪৬,৭৪১
বৈজ্ঞানিক দপ্তরগুলি    ৩২,২২৫    ২৬,৬৫১

২. বেকারত্বের সমস্যা বলে কিছু নেই।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, সরকার ‘সক্ষম, স্বতন্ত্র এবং সমর্থ’ (অর্থাৎ—যোগ্য, স্বাধীন এবং সক্ষম) নীতি নিয়ে চলেছে। তিনি পরিচিত পরিসংখ্যানই পেশ করেছেন। পিরয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভেতে দাবি করা হয়েছে যে, বেকারত্ব ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। ওইসঙ্গে, এসবিআই রিসার্চ রিপোর্ট বলছে যে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে সাড়ে ১২ কোটি চাকরির সৃষ্টি হয়েছে। দুটিই সরকারি রিপোর্ট। এই ব্যাপারে সিএমআইই যে তথ্য দিয়েছে তার বিরোধিতা করেছে তারা। সিএমআইই’র এস্টিমেট অনুসারে, দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ৯.২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন বা আইএলও’র তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে বেকারদের মধ্যে ৮৩  শতাংশই যুব! অর্থমন্ত্রী এই প্রশ্নের জবাব দেননি যে, মাত্র কয়েকশো বা কয়েক হাজার চাকরির জন্য প্রার্থীর সংখ্যা কয়েক হাজার বা কয়েক লক্ষ কেন?  
উদারহণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়—
• উত্তরপ্রদেশ পুলিসে ৬০,২৪৪টি পদে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ৪৮ লক্ষাধিক প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ লক্ষ। 
• উত্তরপ্রদেশ স্টাফ সিলেকশন কমিশনের একটি পরীক্ষায় শূন্যপদ পদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে সাত হাজারের মতো মাত্র। কিন্তু ওই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ভিরমি খাওয়ার মতোই—২৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০! 
বেকারত্ব যদি এতই দ্রুত কমে গিয়ে থাকবে তাহলে এক-একটি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে আবেদনকারী বা প্রার্থীর অনুপাত এত ভয়াবহ রকমে অসম কেন?  উপরে উত্তরপ্রদেশে গৃহীত দুটি চাকরির পরীক্ষার যে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে সেখানে এই অনুপাতটি যথাক্রমে ছিল এইরকম—১:৮০ এবং ১:৩২৯। কেন ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজমেন্ট গ্র্যাজুয়েট, আইনজীবী এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা সামান্য কনস্টেবল বা ক্লার্কের চাকরির জন্য আবেদন করছেন? বেকারত্বের সত্যতা খুঁজে পেতে, আমার পরামর্শ, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের উচিত ভারতের ছোট বড় শহরগুলির রাস্তায় একটু হেঁটে আসুন। বেশ, অর্থমন্ত্রী না-হয় মাদুরাই দিয়েই তার হাঁটা শুরু করতে পারেন।  তাঁর জন্ম তো ওই শহরেই। তারপর তিনি যেতে পারেন বিল্লুপুরমে, যেখানে তাঁর স্কুলশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবশেষে অর্থমন্ত্রী ঘুরে আসুন তিরুচিরাপল্লি থেকে। আমরা জানি, নির্মলা সীতারামন ওই শহরের কলেজে পড়েছিলেন। 
৩. আমাদের মুদ্রাস্ফীতির হার আগের 
জমানার চেয়ে ভালো। 
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘অর্থনীতি সামলানোর জন্য ইউপিএ সরকার হার্ভার্ড এবং অক্সফোর্ডে শিক্ষিত নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা জানতেন না কখন এবং কীভাবে ‘স্টিমুলাস’ প্রত্যাহার করতে হবে। আর ওই কারণেই ২০০৯ এবং ২০১৩ সালের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল দুই সংখ্যার, যেটা যথেষ্ট বেশি।’ অর্থমন্ত্রী অবশ্য বুদ্ধিমতীর মতোই এই ব্যাপারে নামগুলি এড়িয়ে গিয়েছেন, কেননা তাতে তাঁর সরকারই বিব্রত হতে পারত। অর্থমন্ত্রী ‘টেকনিক্যালি কারেক্ট’ হলেও তাঁর এই বক্তব্য কিন্তু প্রাসঙ্গিক নয়। দেশবাসী কিন্তু ইউপিএ আমলে বসবাস করছেন না, তাঁরা বসবাস করছেন মোদির তৃতীয় বা ২.১ জমানায়। তাঁরা এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন টোম্যাটো, পেঁয়াজ এবং আলুর দাম প্রতিবছর যথাক্রমে ৩০ শতাংশ, ৪৬ শতাংশ এবং ৫৯ শতাংশ বেড়েছে (সূত্র: ক্রিসিল)। তাঁরা এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন পাইকারি মূল্য সূচক ভিত্তিক ডব্লুপিআই মূল্যস্ফীতির হার ৩.৪ শতাংশ। যখন ভোগ্যপণ্যের বা সিপিআই মূল্যস্ফীতি ৫.১ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ। ভারতের মানুষ এমন এক সময়ে বসবাস করেন যখন সব শ্রেণির শ্রমিকের মজুরি ছ’বছর যাবৎ থমকে রয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে মানুষ ভোট দিয়েছেন মোদি জমানায় মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে, তাঁরা কেউ ইউপিএ আমলের মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে কিন্তু মত দেননি। মূল্যস্ফীতির বোঝা কমাবার কোনও আইডিয়া অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা পাইনি। নিয়ন্ত্রিত মূল্য (অ্যাডমিনিস্টার্ড প্রাইস) কমানো হয়নি। কমানো হয়নি কর বা সেস। ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো হয়নি। জোগান বৃদ্ধির উপযোগী কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হল না। প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত কয়েকটি শব্দ উদ্ধৃত করেছেন তিনি, ‘ভারতের মুদ্রাস্ফীতি কম ও স্থিতিশীল থাকবে এবং এগচ্ছে ৪ শতাংশ লক্ষ্যের দিকে।’ এবং, তার জোরেই বিরূপ প্রশ্নগুলি অর্থমন্ত্রী নস্যাৎ করতে চেয়েছেন। তিনি একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেননি। প্রশ্নটি হল—এই সরকারের মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনা যদি এতই প্রশংসনীয় হয়, তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) ১৩ মাস যাবৎ ব্যাঙ্ক রেট ৬.৫ শতাংশই রেখে দিল কেন? এই হার ২০২৪ সালে কমাবার কোনও সম্ভাবনাও তো নেই! 
এই বাজেটকে সাধারণ নাগরিকরা খুশি মনে গ্রহণ করতে পারেননি। এমনকী, সরকারের তরফে গাইয়ে-বাজিয়েরাও সংশয়ে, তাই প্রতিক্রিয়া জানাবার প্রশ্নে তাঁরা সতর্কই ছিলেন। এই ব্যাপারে একমাত্র অর্থমন্ত্রীর একারই কোনও সংশয় নেই বলে মনে হয়। অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার সময় জ্ঞানের যে উচ্চমার্গে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তাঁর জবাব শেষে, অন্য অনেকের সঙ্গে আমিও রয়ে গিয়েছি একই অবস্থায়।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
05th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
১০১১ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

02:40:00 PM

আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের চিঠি মুখ্যসচিবের, বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

02:27:00 PM

হরিয়ানার কারনালের সভায় বক্তব্য রাখছেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা

02:24:00 PM

আর জি করে পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল জলের বোতল, কোল্ড ড্রিংকস, শোলার থালা

02:20:00 PM

আজ দুপুর ২টোর মধ্যে কতজন জুনিয়র চিকিৎসক কাজে ফিরছেন তার তালিকা চাইল স্বাস্থ্যভবন

02:12:00 PM

সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে পৌঁছলেন ইডির আধিকারিকরা

02:12:00 PM