Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জমি-বাড়ি ব্যবসায় কালো টাকার দরজা খুলে দিল কেন্দ্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ধরে নিন আপনি ২০ লক্ষ টাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন ২০১৯ সালে। এখন সেটি বিক্রি করতে চান। দাম ধরেছেন ২৫ লক্ষ টাকা। খদ্দের দেখা হয়ে গিয়েছে। অ্যাডভান্সও নিয়ে ফেলেছেন। তার মাঝেই কথা বলে রেখেছিলেন ট্যাক্স কনসালটেন্টের সঙ্গে। প্রশ্ন একটাই, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বা দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী কর কতটা দিতে হবে? কনসালটেন্ট হিসেব কষে-টষে জানিয়েছিলেন, এক পয়সাও না। কারণ, এখনকার ইন্ডেক্সেশন বেনিফিট ধরে হিসেব করলে আপনার ওই ফ্ল্যাটের দাম হচ্ছে ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ১১১ টাকা। অথচ, আপনি বিক্রি করছেন ২৫ লক্ষ টাকায়। ফলে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কিছুই দিতে হচ্ছে না। হিসেব কষে বের করা অঙ্কের উপর যদি আপনার বিক্রির দাম থাকত, তাহলে ওইটুকুর উপর ২০ শতাংশ কর দিতে হতো। কিন্তু নির্মলা সীতারামন গত ২৩ জুলাই বাজেট পেশ করার পরই আপনার কাছে ফোন এল ওই ট্যাক্স কনসালটেন্টের। কুর্সি কি পেটি কস কে বাঁধ লিজিয়ে, মওসম বদল গ্যায়া। কারণ নির্মলাদেবী জানিয়ে দিয়েছেন, সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইন্ডেক্সেশন বেনিফিট তুলে দেওয়া হল। অর্থাৎ, বাজারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আয়কর দপ্তর যে সূচক নির্ধারণ করে দিত, তার অকাল সমাধি ঘটল। যে দামে আপনি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, আর এখন যে দামে বিক্রি করছেন... তার মাঝে কোনও মূল্যবৃদ্ধি ফ্যাক্টর থাকল না। ২০ লক্ষ টাকায় কেনা ফ্ল্যাট এখন যদি আপনি ২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চান, পাঁচ লক্ষ টাকার উপর আপনাকে সাড়ে ১২ শতাংশের হিসেবে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হবে। মানে, ৬২ হাজার ৫০০ টাকা চলে যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে। 
একেবারে সোজা পাটিগণিতের অঙ্ক। অভিজ্ঞ নির্মলাদেবী একমাথা পাকাচুল বাগিয়ে যতই বলুন না কেন ‘করদান প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্যই এই পদক্ষেপ’... আদপে মধ্যবিত্তের জন্য গর্ত খুঁড়ে দিলেন তিনি। সাফাই দেওয়ার অনেক চেষ্টা এই এক হপ্তায় চালিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে উদাহরণ দিয়ে একটি ‘কেস স্টাডি’ও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নজর করার মতো বিষয় কী? সেখানে এমন একটি সম্পত্তিকে শিখণ্ডী হিসেবে খাড়া করা হয়েছে, যার বাজার দর বছরে গড়ে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তাহলে অবশ্যই নতুন নিয়মে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কম দিতে হবে। কীভাবে? একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরে নিন আপনার ফ্ল্যাটের দাম বছরে ১২ শতাংশ হারে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে কী হবে?
অর্থাৎ মহামান্য ভারত সরকার দেখিয়ে দিচ্ছে, নতুন নিয়মে আপনাকে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কম দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কি সত্যিই তাই? ফর্মুলার প্রথম শর্তটা একটু বদলে দিন। মানে, বছরে ওই রিয়েল এস্টেট সম্পত্তির বাজার দর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনুন। যেমন ধরুন ৪ শতাংশ। তাহলে অঙ্কটা কেমন দাঁড়াবে?
এটাই আড়ালে রেখে দেওয়া নগ্ন বাস্তব। এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কেন ১০ শতাংশের নীচে হিসেবটা ধরতে হবে? উত্তরটা হল, দেশের অধিকাংশ প্রথম শ্রেণির শহরে রিয়েল এস্টেট প্রপার্টির বাজার দর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের উপর নয়। কলকাতায় এটা ৫ শতাংশ। আর মুম্বইতে? মাত্র ১ শতাংশ। শুধু হায়দরাবাদে এই অঙ্কটা ১০ শতাংশ। যদি গোটা ভারতের গড় করা যায়, তাহলে ৫ শতাংশের বেশি কোনও শহরে সম্পত্তির দর বাড়ে না। তাহলে এমন একটা নিয়ম আচমকা কেন চালু করা হল? কার স্বার্থে? মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত নিশ্চয়ই নয়। 
অনেক কষ্টে মধ্যবিত্ত তার স্বপ্নের বাড়ি বানায়। আর বুকে অনেক বড় পাথর চেপে তা বিক্রিও করে। কখনও সন্তানের পড়াশোনার জন্য, আবার কখনও মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে। আমদানি শুল্ক কমানোর পরও সোনার দাম ৬৫ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। মেয়েকে সাজানোর মতো কিছু তো দিতেই হবে। তাতেই অন্তত লাখ পাঁচেক টাকার খরচ। জামাইকে একটা বাইক কিনে দিলে ভালো হয়। ও চায়নি... তাও। মেয়েও তো চড়বে। এছাড়া বাড়ি ভাড়া আছে, কেটারার, বরযাত্রীদের যত্নআত্তি। না দেখা খরচের তো ইয়ত্তা নেই। অনেক ভেবেচিন্তেই হয়তো আপনি ফ্ল্যাটটা বিক্রির কথা ভেবেছিলেন। লোন শোধ করে যা বাঁচবে, মেয়ের বিয়েটা হয়ে যাবে। কিন্তু এই বাজারে এতগুলো টাকা সরকারকেও দিতে হবে? 
মধ্যবিত্ত এই বাড়তি বোঝাটা মেনে নেবে তো নির্মলাদেবী? এমনিতেই নতুন কাঠামোয় আয়করে বিনিয়োগের বাড়তি সুবিধা মেলে না। পুরনো কর কাঠামোয় গৃহঋণের সুদের অংশটা সরাসরি আয়ের থেকে বাদ হয়ে যেত। তারপর হিসেব হতো আয়করের। এছাড়া ৮০সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা ছাড় তো ছিলই। গৃহঋণের ‘মূল’ অর্থাৎ প্রিন্সিপাল অ্যামাউন্টও ওর মধ্যে ঢুকে যেত। সোজা কথায়, লোন নিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনলে মাছের তেলে মাছ ভাজার কিছুটা সুবিধা পেত চাকরিজীবী সমাজ। আর তাই সে ঝুঁকিটা নিত। ঝাঁপ দিত ‘ড্রিম হোমে’র লক্ষে। আর তিলে তিলে... একটু একটু করে। আয়ের অর্ধেক টাকা হয়তো সে ইএমআই দিত। তাও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এখন? ইএমআই বাস্তব অর্থেই মধ্যবিত্তের কাঁধে বোঝা। তার উপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স গুনতে হলে তো কথাই নেই। পুরনো বাড়ি যিনি বিক্রি করছেন, তিনি কখনওই বাড়তি টাকা নিজের পকেট থেকে গুনতে চাইবেন না। তাঁর চেষ্টা থাকবে, ক্রেতার থেকেই ওর বেশিরভাগটা উশুল করে নেওয়ার। আর তাই ক্রেতার কাঁধ আরও একটু ঝুঁকবে। এবং বিক্রেতাও সেই টাকাটা অ্যাকাউন্টে নেবেন না। লেনদেন হবে নগদে। এ তো গেল খুচরো লেনাদেনা। নতুন নিয়মে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু আর সম্পত্তির সঠিক দাম দেখাতে চাইবেন না। ছোটখাটো ব্যবসায়ী, প্রোমোটাররা চাইবেন সার্কল রেটটাই দেখাতে। অর্থাৎ, বাড়ি বা ফ্ল্যাট বিক্রি হবে, কিন্তু দেখানো হবে সরকার নির্ধারিত সার্কল রেট। আসল দাম নয়। বাকি টাকাটা তাঁরা নেবেন ক্যাশে। মানেটা খুব পরিষ্কার, রিয়েল এস্টেটে কালো টাকার দরজা হাট করে খুলে দিল এনডিএ সরকার। আর তাতে সিলমোহর দিলেন নির্মলাদেবী। এতে কিন্তু সরকারেরও বিপত্তি। কেন? যে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আমদানির লোভে এই নিয়ম চালু, সম্পত্তির আসল দাম পাবলিক না দেখালে তার কানাকড়িও রাজকোষে যাবে না। সরকার দেখবে, আপনি ২০ লাখে কেনা ফ্ল্যাট ওই দামেই বিক্রি করছেন। পাঁচ লক্ষ টাকা আপনি যে নগদে নিয়েছেন, তা জানা যাবে না। কী করবেন নির্মলাদেবী? ঘরে ঘরে ইনকাম ট্যাক্স অফিসারদের পোস্টিং? সেও যে সম্ভব নয়। যে সম্পত্তির দাম সার্কল রেট বা ক্রয় মূল্যের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে, সেখানে আপনার হাল হবে খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতো। এক কোটি টাকার জমি যদি কেউ ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে, সেখানে আপনি গন্ধ পেতে পারেন। দু’-পাঁচ লক্ষের লেনদেনে নয়। আর এক কোটি টাকার জমি কিনবে শিল্পপতিরা, সমাজের উপর তলার শ্রেণি। তিনি ১০ লক্ষ টাকা ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে পারলে ১২ লক্ষ টাকাও পারবেন। কিন্তু পারবে না মধ্যবিত্ত। নিম্নবিত্ত। হুড়মুড় করে পড়বে রিয়েল এস্টেট শিল্পের বাজার। পথে বসবেন বহু ছোট ব্যবসায়ী। তাহলে দেশের কত শতাংশ মানুষের জন্য এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিলেন নির্মলাদেবী? সাধারণ মানুষ আপাত দৃষ্টিতে যা দেখছে, তার বাইরেও কেউ আছে নাকি? 
২০১৪ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এদেশে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টকে (আরইআইটি) আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, একঝাঁক বিনিয়োগকারী মিলে একটি ট্রাস্ট, যারা মার্কেটে শেয়ার ছাড়তে পারবে। এদের কাজ কী? ধরে নিন, শপিং মলের একটি দোকান তারা কিনবে। এই ট্রাস্টের সদস্যরা মিলে টাকা দিলেন এবং সেই দোকানটি কেনা হল।  তাতে ভাড়া বসিয়ে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই তাদের শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড হিসেবে দেওয়া হবে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি শেয়ার কিনলেন (দোকানে লগ্নি করলেন) এবং সেই মতো ডিভিডেন্ড পেলেন। এও এক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড। এবারের বাজেটে তাদের লাভ কী হল? দীর্ঘমেয়াদি ক্যাপিটাল গেইনে এতদিন তাদের ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। এবার সেটা নেমে এসেছে সাড়ে ১২ শতাংশে। তার উপর জমি-বাড়ির ক্ষেত্রে এতদিন তিন বছরের মধ্যে লগ্নি অথবা কর না দেওয়ার যে সুযোগ ছিল, সেটাও নামিয়ে আনা হয়েছে এক বছরে। একেবারে বাজারের অন্য কোম্পানির শেয়ারের হিসেবে। ফল? এই ধরনের ট্রাস্টের এবার পোয়াবারো। বহু মানুষ যাঁরা রিয়েল এস্টেটে শুধু অ্যাসেট ইনভেস্টমেন্ট করতেন, তাঁরা ঝুঁকবেন ট্রাস্টে। অর্থাৎ, শেয়ার বাজারে। ২০২১ সালের হিসেবে পাঁচটি এমন ট্রাস্ট ভারতের শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত। এই সংখ্যাটা এবার বাড়বে। মানুষও ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারে হাত পোড়াবে। এটাই তো লক্ষ্য মোদি সরকারের। কর্পোরেট, শেয়ার বাজার, সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা টাকার গতিপথ একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। কালো টাকার বাজার খুলছে। মধ্যবিত্ত হয়ে উঠছে নিম্নবিত্ত। আর নিম্নবিত্ত নিঃস্ব। মোদি ৩.০-তে আপনাকে স্বাগত।
30th  July, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
একনজরে
খাদ্যশস্য প্যাকেজিংয়ের জন্য সরকারি সংস্থাগুলিকে চটের বস্তা ব্যবহারেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। ...

তরিতরকারির মতো পোষ্য বিক্রি হচ্ছে রাজ্যে। প্রায় সাত বছর আগে পোষ্য বিক্রি সংক্রান্ত আইন তৈরি হলেও তা অমান্য করেই চলছে পোষ্য কেনাবেচা। ...

জেসিকা পেগুলার রিটার্ন লাইনের বাইরে আছড়ে পড়তেই কোর্টে শুয়ে পড়লেন আরিনা সাবালেঙ্কা। চোখের জল লুকোতে দু’হাতে মুখ ঢাকলেন। কান্না নয়, আনন্দাশ্রু! এই আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ...

কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে পুজোগুলির মোট বাজেট এবার ধরা হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরগুলিতে। জেলায় দুর্গাপুজোর প্রধান ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিল্পকর্মে সাফল্য, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১: প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামানুসারে আমেরিকার রাজধানীর নামকরণ হয় ওয়াশিংটন ডিসি।
১৮৫০: ৩১তম রাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৮৫০: আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক কবি ও নাট্যকার ‘ভারতেন্দু’ হরিশ্চন্দ্রর জন্ম
১৮৮২: ঔপন্যাসিক অনুরূপা দেবীর জন্ম
১৯২০: আলিগড়ের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়
১৯২০: সাহিত্যিক তথা সাংবাদিক সন্তোষকুমার ঘোষের জন্ম
১৯৪১: মার্কিন প্রোগ্রামার তথা কম্পিটার বিজ্ঞানী এবং ‘সি’ প্রোগ্রামিং ভাষার জনক ডেনিস রিচির জন্ম
১৯৬৭: অভিনেতা অক্ষয় কুমারের জন্ম
১৯৭৬: চীনের কমিউনিস্ট নেতা মাও সে তুংয়ের মৃত্যু
১৯৮৯: মহিলা কবি  রাধারাণী দেবীর মৃত্যু
২০১৪: বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
08th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

২৪ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী ৪১/১৩ রাত্রি ৯/৫৪। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৩৮ সন্ধ্যা ৬/৪। সূর্যোদয় ৫/১৫/৭, সূর্যাস্ত ৫/৪২/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/১০ গতে ২/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৭ গতে ৪/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৬ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী অপরাহ্ন ৫/১৪। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ৩/৪। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৪/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৮ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। 
৫ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: মালদহের ইংলিশবাজারে অভিনব রাত দখল কর্মসূচি

08-09-2024 - 11:01:51 PM

ফরাক্কার অর্জুনপুর বাজারে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ

08-09-2024 - 10:49:37 PM

আর জি কর কাণ্ড: জাতীয় পতাকা নিয়ে শ্যামবাজারে প্রতিবাদ মিছিল

08-09-2024 - 10:20:16 PM

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের টিম ঘোষণা
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করল টিম ইন্ডিয়া।  ব্রিগেডে ...বিশদ

08-09-2024 - 10:08:14 PM

ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজস্থানের আজমীর

08-09-2024 - 09:54:49 PM

আর জি কর কাণ্ড: আসানসোলের নাগরিকবৃন্দের একাংশের রাত দখল কর্মসূচি

08-09-2024 - 09:32:36 PM