Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জমি-বাড়ি ব্যবসায় কালো টাকার দরজা খুলে দিল কেন্দ্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ধরে নিন আপনি ২০ লক্ষ টাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন ২০১৯ সালে। এখন সেটি বিক্রি করতে চান। দাম ধরেছেন ২৫ লক্ষ টাকা। খদ্দের দেখা হয়ে গিয়েছে। অ্যাডভান্সও নিয়ে ফেলেছেন। তার মাঝেই কথা বলে রেখেছিলেন ট্যাক্স কনসালটেন্টের সঙ্গে। প্রশ্ন একটাই, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বা দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী কর কতটা দিতে হবে? কনসালটেন্ট হিসেব কষে-টষে জানিয়েছিলেন, এক পয়সাও না। কারণ, এখনকার ইন্ডেক্সেশন বেনিফিট ধরে হিসেব করলে আপনার ওই ফ্ল্যাটের দাম হচ্ছে ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ১১১ টাকা। অথচ, আপনি বিক্রি করছেন ২৫ লক্ষ টাকায়। ফলে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কিছুই দিতে হচ্ছে না। হিসেব কষে বের করা অঙ্কের উপর যদি আপনার বিক্রির দাম থাকত, তাহলে ওইটুকুর উপর ২০ শতাংশ কর দিতে হতো। কিন্তু নির্মলা সীতারামন গত ২৩ জুলাই বাজেট পেশ করার পরই আপনার কাছে ফোন এল ওই ট্যাক্স কনসালটেন্টের। কুর্সি কি পেটি কস কে বাঁধ লিজিয়ে, মওসম বদল গ্যায়া। কারণ নির্মলাদেবী জানিয়ে দিয়েছেন, সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইন্ডেক্সেশন বেনিফিট তুলে দেওয়া হল। অর্থাৎ, বাজারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আয়কর দপ্তর যে সূচক নির্ধারণ করে দিত, তার অকাল সমাধি ঘটল। যে দামে আপনি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, আর এখন যে দামে বিক্রি করছেন... তার মাঝে কোনও মূল্যবৃদ্ধি ফ্যাক্টর থাকল না। ২০ লক্ষ টাকায় কেনা ফ্ল্যাট এখন যদি আপনি ২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চান, পাঁচ লক্ষ টাকার উপর আপনাকে সাড়ে ১২ শতাংশের হিসেবে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হবে। মানে, ৬২ হাজার ৫০০ টাকা চলে যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে। 
একেবারে সোজা পাটিগণিতের অঙ্ক। অভিজ্ঞ নির্মলাদেবী একমাথা পাকাচুল বাগিয়ে যতই বলুন না কেন ‘করদান প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্যই এই পদক্ষেপ’... আদপে মধ্যবিত্তের জন্য গর্ত খুঁড়ে দিলেন তিনি। সাফাই দেওয়ার অনেক চেষ্টা এই এক হপ্তায় চালিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে উদাহরণ দিয়ে একটি ‘কেস স্টাডি’ও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নজর করার মতো বিষয় কী? সেখানে এমন একটি সম্পত্তিকে শিখণ্ডী হিসেবে খাড়া করা হয়েছে, যার বাজার দর বছরে গড়ে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তাহলে অবশ্যই নতুন নিয়মে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কম দিতে হবে। কীভাবে? একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরে নিন আপনার ফ্ল্যাটের দাম বছরে ১২ শতাংশ হারে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে কী হবে?
অর্থাৎ মহামান্য ভারত সরকার দেখিয়ে দিচ্ছে, নতুন নিয়মে আপনাকে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কম দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কি সত্যিই তাই? ফর্মুলার প্রথম শর্তটা একটু বদলে দিন। মানে, বছরে ওই রিয়েল এস্টেট সম্পত্তির বাজার দর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনুন। যেমন ধরুন ৪ শতাংশ। তাহলে অঙ্কটা কেমন দাঁড়াবে?
এটাই আড়ালে রেখে দেওয়া নগ্ন বাস্তব। এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কেন ১০ শতাংশের নীচে হিসেবটা ধরতে হবে? উত্তরটা হল, দেশের অধিকাংশ প্রথম শ্রেণির শহরে রিয়েল এস্টেট প্রপার্টির বাজার দর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের উপর নয়। কলকাতায় এটা ৫ শতাংশ। আর মুম্বইতে? মাত্র ১ শতাংশ। শুধু হায়দরাবাদে এই অঙ্কটা ১০ শতাংশ। যদি গোটা ভারতের গড় করা যায়, তাহলে ৫ শতাংশের বেশি কোনও শহরে সম্পত্তির দর বাড়ে না। তাহলে এমন একটা নিয়ম আচমকা কেন চালু করা হল? কার স্বার্থে? মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত নিশ্চয়ই নয়। 
অনেক কষ্টে মধ্যবিত্ত তার স্বপ্নের বাড়ি বানায়। আর বুকে অনেক বড় পাথর চেপে তা বিক্রিও করে। কখনও সন্তানের পড়াশোনার জন্য, আবার কখনও মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে। আমদানি শুল্ক কমানোর পরও সোনার দাম ৬৫ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। মেয়েকে সাজানোর মতো কিছু তো দিতেই হবে। তাতেই অন্তত লাখ পাঁচেক টাকার খরচ। জামাইকে একটা বাইক কিনে দিলে ভালো হয়। ও চায়নি... তাও। মেয়েও তো চড়বে। এছাড়া বাড়ি ভাড়া আছে, কেটারার, বরযাত্রীদের যত্নআত্তি। না দেখা খরচের তো ইয়ত্তা নেই। অনেক ভেবেচিন্তেই হয়তো আপনি ফ্ল্যাটটা বিক্রির কথা ভেবেছিলেন। লোন শোধ করে যা বাঁচবে, মেয়ের বিয়েটা হয়ে যাবে। কিন্তু এই বাজারে এতগুলো টাকা সরকারকেও দিতে হবে? 
মধ্যবিত্ত এই বাড়তি বোঝাটা মেনে নেবে তো নির্মলাদেবী? এমনিতেই নতুন কাঠামোয় আয়করে বিনিয়োগের বাড়তি সুবিধা মেলে না। পুরনো কর কাঠামোয় গৃহঋণের সুদের অংশটা সরাসরি আয়ের থেকে বাদ হয়ে যেত। তারপর হিসেব হতো আয়করের। এছাড়া ৮০সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা ছাড় তো ছিলই। গৃহঋণের ‘মূল’ অর্থাৎ প্রিন্সিপাল অ্যামাউন্টও ওর মধ্যে ঢুকে যেত। সোজা কথায়, লোন নিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনলে মাছের তেলে মাছ ভাজার কিছুটা সুবিধা পেত চাকরিজীবী সমাজ। আর তাই সে ঝুঁকিটা নিত। ঝাঁপ দিত ‘ড্রিম হোমে’র লক্ষে। আর তিলে তিলে... একটু একটু করে। আয়ের অর্ধেক টাকা হয়তো সে ইএমআই দিত। তাও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এখন? ইএমআই বাস্তব অর্থেই মধ্যবিত্তের কাঁধে বোঝা। তার উপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স গুনতে হলে তো কথাই নেই। পুরনো বাড়ি যিনি বিক্রি করছেন, তিনি কখনওই বাড়তি টাকা নিজের পকেট থেকে গুনতে চাইবেন না। তাঁর চেষ্টা থাকবে, ক্রেতার থেকেই ওর বেশিরভাগটা উশুল করে নেওয়ার। আর তাই ক্রেতার কাঁধ আরও একটু ঝুঁকবে। এবং বিক্রেতাও সেই টাকাটা অ্যাকাউন্টে নেবেন না। লেনদেন হবে নগদে। এ তো গেল খুচরো লেনাদেনা। নতুন নিয়মে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু আর সম্পত্তির সঠিক দাম দেখাতে চাইবেন না। ছোটখাটো ব্যবসায়ী, প্রোমোটাররা চাইবেন সার্কল রেটটাই দেখাতে। অর্থাৎ, বাড়ি বা ফ্ল্যাট বিক্রি হবে, কিন্তু দেখানো হবে সরকার নির্ধারিত সার্কল রেট। আসল দাম নয়। বাকি টাকাটা তাঁরা নেবেন ক্যাশে। মানেটা খুব পরিষ্কার, রিয়েল এস্টেটে কালো টাকার দরজা হাট করে খুলে দিল এনডিএ সরকার। আর তাতে সিলমোহর দিলেন নির্মলাদেবী। এতে কিন্তু সরকারেরও বিপত্তি। কেন? যে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আমদানির লোভে এই নিয়ম চালু, সম্পত্তির আসল দাম পাবলিক না দেখালে তার কানাকড়িও রাজকোষে যাবে না। সরকার দেখবে, আপনি ২০ লাখে কেনা ফ্ল্যাট ওই দামেই বিক্রি করছেন। পাঁচ লক্ষ টাকা আপনি যে নগদে নিয়েছেন, তা জানা যাবে না। কী করবেন নির্মলাদেবী? ঘরে ঘরে ইনকাম ট্যাক্স অফিসারদের পোস্টিং? সেও যে সম্ভব নয়। যে সম্পত্তির দাম সার্কল রেট বা ক্রয় মূল্যের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে, সেখানে আপনার হাল হবে খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতো। এক কোটি টাকার জমি যদি কেউ ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে, সেখানে আপনি গন্ধ পেতে পারেন। দু’-পাঁচ লক্ষের লেনদেনে নয়। আর এক কোটি টাকার জমি কিনবে শিল্পপতিরা, সমাজের উপর তলার শ্রেণি। তিনি ১০ লক্ষ টাকা ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে পারলে ১২ লক্ষ টাকাও পারবেন। কিন্তু পারবে না মধ্যবিত্ত। নিম্নবিত্ত। হুড়মুড় করে পড়বে রিয়েল এস্টেট শিল্পের বাজার। পথে বসবেন বহু ছোট ব্যবসায়ী। তাহলে দেশের কত শতাংশ মানুষের জন্য এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিলেন নির্মলাদেবী? সাধারণ মানুষ আপাত দৃষ্টিতে যা দেখছে, তার বাইরেও কেউ আছে নাকি? 
২০১৪ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এদেশে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টকে (আরইআইটি) আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, একঝাঁক বিনিয়োগকারী মিলে একটি ট্রাস্ট, যারা মার্কেটে শেয়ার ছাড়তে পারবে। এদের কাজ কী? ধরে নিন, শপিং মলের একটি দোকান তারা কিনবে। এই ট্রাস্টের সদস্যরা মিলে টাকা দিলেন এবং সেই দোকানটি কেনা হল।  তাতে ভাড়া বসিয়ে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই তাদের শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড হিসেবে দেওয়া হবে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি শেয়ার কিনলেন (দোকানে লগ্নি করলেন) এবং সেই মতো ডিভিডেন্ড পেলেন। এও এক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড। এবারের বাজেটে তাদের লাভ কী হল? দীর্ঘমেয়াদি ক্যাপিটাল গেইনে এতদিন তাদের ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। এবার সেটা নেমে এসেছে সাড়ে ১২ শতাংশে। তার উপর জমি-বাড়ির ক্ষেত্রে এতদিন তিন বছরের মধ্যে লগ্নি অথবা কর না দেওয়ার যে সুযোগ ছিল, সেটাও নামিয়ে আনা হয়েছে এক বছরে। একেবারে বাজারের অন্য কোম্পানির শেয়ারের হিসেবে। ফল? এই ধরনের ট্রাস্টের এবার পোয়াবারো। বহু মানুষ যাঁরা রিয়েল এস্টেটে শুধু অ্যাসেট ইনভেস্টমেন্ট করতেন, তাঁরা ঝুঁকবেন ট্রাস্টে। অর্থাৎ, শেয়ার বাজারে। ২০২১ সালের হিসেবে পাঁচটি এমন ট্রাস্ট ভারতের শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত। এই সংখ্যাটা এবার বাড়বে। মানুষও ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারে হাত পোড়াবে। এটাই তো লক্ষ্য মোদি সরকারের। কর্পোরেট, শেয়ার বাজার, সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা টাকার গতিপথ একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। কালো টাকার বাজার খুলছে। মধ্যবিত্ত হয়ে উঠছে নিম্নবিত্ত। আর নিম্নবিত্ত নিঃস্ব। মোদি ৩.০-তে আপনাকে স্বাগত।
30th  July, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
একনজরে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারস্থলের কাছেই চলল গুলি। রবিবার ফ্লোরিডা গল্ফ ক্লাবের বাইরে দুই ব্যক্তির মধ্যে গুলির লড়াই বাধে। জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ট্রাম্প ক্লাব ...

আরজি কর কাণ্ডে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বাম, অতিবাম, কংগ্রেস, বিজেপি সহ তামাম বিরোধী দল। ...

টানা বৃষ্টির জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পুজোর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। রবিবারও ছুটির দিনে বৃষ্টিতে পুজোর বাজার দফারফা করে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এদিন মানুষজন বাড়ি থেকে বের হননি। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জিটি রোডের উপর একের পর এক গাছ ...

পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মিষ্টি দইয়ের জিআই পেতে আর্জি
পশ্চিমবঙ্গে মিষ্টান্নের তালিকা দীর্ঘ। তবু রাজ্যের বাইরের বেশিরভাগ মানুষ বাংলার ...বিশদ

08:20:00 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস ১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা ...বিশদ

07:55:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। বৃষ: দেবদর্শন ও ধর্মগ্রন্থ মানসিক শান্তিলাভ। মিথুন: আয়ের দিকটি শুভ। কর্কট: অর্থ ও ...বিশদ

07:50:00 AM

মহারাষ্ট্রের পালঘরে মহিলাকে গণধর্ষণ, অভিযোগ দায়ের
মহারাষ্ট্রের পালঘরের নালাসোপারা এলাকায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ। নির্যাতিতা ...বিশদ

15-09-2024 - 10:30:00 PM

আর জি কর কাণ্ড: রবিবার রাতে বৃষ্টিতে ভিজেই মহিষাদলে মহিলাদের মশাল মিছিল ও নাচের মুদ্রায় প্রতিবাদ

15-09-2024 - 10:13:17 PM

আইএসএল: কেরল ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারাল পাঞ্জাব এফসি

15-09-2024 - 09:51:35 PM