Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জমি-বাড়ি ব্যবসায় কালো টাকার দরজা খুলে দিল কেন্দ্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ধরে নিন আপনি ২০ লক্ষ টাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন ২০১৯ সালে। এখন সেটি বিক্রি করতে চান। দাম ধরেছেন ২৫ লক্ষ টাকা। খদ্দের দেখা হয়ে গিয়েছে। অ্যাডভান্সও নিয়ে ফেলেছেন। তার মাঝেই কথা বলে রেখেছিলেন ট্যাক্স কনসালটেন্টের সঙ্গে। প্রশ্ন একটাই, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বা দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী কর কতটা দিতে হবে? কনসালটেন্ট হিসেব কষে-টষে জানিয়েছিলেন, এক পয়সাও না। কারণ, এখনকার ইন্ডেক্সেশন বেনিফিট ধরে হিসেব করলে আপনার ওই ফ্ল্যাটের দাম হচ্ছে ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ১১১ টাকা। অথচ, আপনি বিক্রি করছেন ২৫ লক্ষ টাকায়। ফলে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কিছুই দিতে হচ্ছে না। হিসেব কষে বের করা অঙ্কের উপর যদি আপনার বিক্রির দাম থাকত, তাহলে ওইটুকুর উপর ২০ শতাংশ কর দিতে হতো। কিন্তু নির্মলা সীতারামন গত ২৩ জুলাই বাজেট পেশ করার পরই আপনার কাছে ফোন এল ওই ট্যাক্স কনসালটেন্টের। কুর্সি কি পেটি কস কে বাঁধ লিজিয়ে, মওসম বদল গ্যায়া। কারণ নির্মলাদেবী জানিয়ে দিয়েছেন, সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইন্ডেক্সেশন বেনিফিট তুলে দেওয়া হল। অর্থাৎ, বাজারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আয়কর দপ্তর যে সূচক নির্ধারণ করে দিত, তার অকাল সমাধি ঘটল। যে দামে আপনি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, আর এখন যে দামে বিক্রি করছেন... তার মাঝে কোনও মূল্যবৃদ্ধি ফ্যাক্টর থাকল না। ২০ লক্ষ টাকায় কেনা ফ্ল্যাট এখন যদি আপনি ২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চান, পাঁচ লক্ষ টাকার উপর আপনাকে সাড়ে ১২ শতাংশের হিসেবে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হবে। মানে, ৬২ হাজার ৫০০ টাকা চলে যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে। 
একেবারে সোজা পাটিগণিতের অঙ্ক। অভিজ্ঞ নির্মলাদেবী একমাথা পাকাচুল বাগিয়ে যতই বলুন না কেন ‘করদান প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্যই এই পদক্ষেপ’... আদপে মধ্যবিত্তের জন্য গর্ত খুঁড়ে দিলেন তিনি। সাফাই দেওয়ার অনেক চেষ্টা এই এক হপ্তায় চালিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে উদাহরণ দিয়ে একটি ‘কেস স্টাডি’ও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নজর করার মতো বিষয় কী? সেখানে এমন একটি সম্পত্তিকে শিখণ্ডী হিসেবে খাড়া করা হয়েছে, যার বাজার দর বছরে গড়ে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তাহলে অবশ্যই নতুন নিয়মে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কম দিতে হবে। কীভাবে? একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরে নিন আপনার ফ্ল্যাটের দাম বছরে ১২ শতাংশ হারে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে কী হবে?
অর্থাৎ মহামান্য ভারত সরকার দেখিয়ে দিচ্ছে, নতুন নিয়মে আপনাকে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স কম দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কি সত্যিই তাই? ফর্মুলার প্রথম শর্তটা একটু বদলে দিন। মানে, বছরে ওই রিয়েল এস্টেট সম্পত্তির বাজার দর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনুন। যেমন ধরুন ৪ শতাংশ। তাহলে অঙ্কটা কেমন দাঁড়াবে?
এটাই আড়ালে রেখে দেওয়া নগ্ন বাস্তব। এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কেন ১০ শতাংশের নীচে হিসেবটা ধরতে হবে? উত্তরটা হল, দেশের অধিকাংশ প্রথম শ্রেণির শহরে রিয়েল এস্টেট প্রপার্টির বাজার দর বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের উপর নয়। কলকাতায় এটা ৫ শতাংশ। আর মুম্বইতে? মাত্র ১ শতাংশ। শুধু হায়দরাবাদে এই অঙ্কটা ১০ শতাংশ। যদি গোটা ভারতের গড় করা যায়, তাহলে ৫ শতাংশের বেশি কোনও শহরে সম্পত্তির দর বাড়ে না। তাহলে এমন একটা নিয়ম আচমকা কেন চালু করা হল? কার স্বার্থে? মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত নিশ্চয়ই নয়। 
অনেক কষ্টে মধ্যবিত্ত তার স্বপ্নের বাড়ি বানায়। আর বুকে অনেক বড় পাথর চেপে তা বিক্রিও করে। কখনও সন্তানের পড়াশোনার জন্য, আবার কখনও মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে। আমদানি শুল্ক কমানোর পরও সোনার দাম ৬৫ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। মেয়েকে সাজানোর মতো কিছু তো দিতেই হবে। তাতেই অন্তত লাখ পাঁচেক টাকার খরচ। জামাইকে একটা বাইক কিনে দিলে ভালো হয়। ও চায়নি... তাও। মেয়েও তো চড়বে। এছাড়া বাড়ি ভাড়া আছে, কেটারার, বরযাত্রীদের যত্নআত্তি। না দেখা খরচের তো ইয়ত্তা নেই। অনেক ভেবেচিন্তেই হয়তো আপনি ফ্ল্যাটটা বিক্রির কথা ভেবেছিলেন। লোন শোধ করে যা বাঁচবে, মেয়ের বিয়েটা হয়ে যাবে। কিন্তু এই বাজারে এতগুলো টাকা সরকারকেও দিতে হবে? 
মধ্যবিত্ত এই বাড়তি বোঝাটা মেনে নেবে তো নির্মলাদেবী? এমনিতেই নতুন কাঠামোয় আয়করে বিনিয়োগের বাড়তি সুবিধা মেলে না। পুরনো কর কাঠামোয় গৃহঋণের সুদের অংশটা সরাসরি আয়ের থেকে বাদ হয়ে যেত। তারপর হিসেব হতো আয়করের। এছাড়া ৮০সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা ছাড় তো ছিলই। গৃহঋণের ‘মূল’ অর্থাৎ প্রিন্সিপাল অ্যামাউন্টও ওর মধ্যে ঢুকে যেত। সোজা কথায়, লোন নিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনলে মাছের তেলে মাছ ভাজার কিছুটা সুবিধা পেত চাকরিজীবী সমাজ। আর তাই সে ঝুঁকিটা নিত। ঝাঁপ দিত ‘ড্রিম হোমে’র লক্ষে। আর তিলে তিলে... একটু একটু করে। আয়ের অর্ধেক টাকা হয়তো সে ইএমআই দিত। তাও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এখন? ইএমআই বাস্তব অর্থেই মধ্যবিত্তের কাঁধে বোঝা। তার উপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স গুনতে হলে তো কথাই নেই। পুরনো বাড়ি যিনি বিক্রি করছেন, তিনি কখনওই বাড়তি টাকা নিজের পকেট থেকে গুনতে চাইবেন না। তাঁর চেষ্টা থাকবে, ক্রেতার থেকেই ওর বেশিরভাগটা উশুল করে নেওয়ার। আর তাই ক্রেতার কাঁধ আরও একটু ঝুঁকবে। এবং বিক্রেতাও সেই টাকাটা অ্যাকাউন্টে নেবেন না। লেনদেন হবে নগদে। এ তো গেল খুচরো লেনাদেনা। নতুন নিয়মে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু আর সম্পত্তির সঠিক দাম দেখাতে চাইবেন না। ছোটখাটো ব্যবসায়ী, প্রোমোটাররা চাইবেন সার্কল রেটটাই দেখাতে। অর্থাৎ, বাড়ি বা ফ্ল্যাট বিক্রি হবে, কিন্তু দেখানো হবে সরকার নির্ধারিত সার্কল রেট। আসল দাম নয়। বাকি টাকাটা তাঁরা নেবেন ক্যাশে। মানেটা খুব পরিষ্কার, রিয়েল এস্টেটে কালো টাকার দরজা হাট করে খুলে দিল এনডিএ সরকার। আর তাতে সিলমোহর দিলেন নির্মলাদেবী। এতে কিন্তু সরকারেরও বিপত্তি। কেন? যে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আমদানির লোভে এই নিয়ম চালু, সম্পত্তির আসল দাম পাবলিক না দেখালে তার কানাকড়িও রাজকোষে যাবে না। সরকার দেখবে, আপনি ২০ লাখে কেনা ফ্ল্যাট ওই দামেই বিক্রি করছেন। পাঁচ লক্ষ টাকা আপনি যে নগদে নিয়েছেন, তা জানা যাবে না। কী করবেন নির্মলাদেবী? ঘরে ঘরে ইনকাম ট্যাক্স অফিসারদের পোস্টিং? সেও যে সম্ভব নয়। যে সম্পত্তির দাম সার্কল রেট বা ক্রয় মূল্যের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে, সেখানে আপনার হাল হবে খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতো। এক কোটি টাকার জমি যদি কেউ ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে, সেখানে আপনি গন্ধ পেতে পারেন। দু’-পাঁচ লক্ষের লেনদেনে নয়। আর এক কোটি টাকার জমি কিনবে শিল্পপতিরা, সমাজের উপর তলার শ্রেণি। তিনি ১০ লক্ষ টাকা ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে পারলে ১২ লক্ষ টাকাও পারবেন। কিন্তু পারবে না মধ্যবিত্ত। নিম্নবিত্ত। হুড়মুড় করে পড়বে রিয়েল এস্টেট শিল্পের বাজার। পথে বসবেন বহু ছোট ব্যবসায়ী। তাহলে দেশের কত শতাংশ মানুষের জন্য এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিলেন নির্মলাদেবী? সাধারণ মানুষ আপাত দৃষ্টিতে যা দেখছে, তার বাইরেও কেউ আছে নাকি? 
২০১৪ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এদেশে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টকে (আরইআইটি) আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, একঝাঁক বিনিয়োগকারী মিলে একটি ট্রাস্ট, যারা মার্কেটে শেয়ার ছাড়তে পারবে। এদের কাজ কী? ধরে নিন, শপিং মলের একটি দোকান তারা কিনবে। এই ট্রাস্টের সদস্যরা মিলে টাকা দিলেন এবং সেই দোকানটি কেনা হল।  তাতে ভাড়া বসিয়ে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই তাদের শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড হিসেবে দেওয়া হবে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি শেয়ার কিনলেন (দোকানে লগ্নি করলেন) এবং সেই মতো ডিভিডেন্ড পেলেন। এও এক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড। এবারের বাজেটে তাদের লাভ কী হল? দীর্ঘমেয়াদি ক্যাপিটাল গেইনে এতদিন তাদের ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। এবার সেটা নেমে এসেছে সাড়ে ১২ শতাংশে। তার উপর জমি-বাড়ির ক্ষেত্রে এতদিন তিন বছরের মধ্যে লগ্নি অথবা কর না দেওয়ার যে সুযোগ ছিল, সেটাও নামিয়ে আনা হয়েছে এক বছরে। একেবারে বাজারের অন্য কোম্পানির শেয়ারের হিসেবে। ফল? এই ধরনের ট্রাস্টের এবার পোয়াবারো। বহু মানুষ যাঁরা রিয়েল এস্টেটে শুধু অ্যাসেট ইনভেস্টমেন্ট করতেন, তাঁরা ঝুঁকবেন ট্রাস্টে। অর্থাৎ, শেয়ার বাজারে। ২০২১ সালের হিসেবে পাঁচটি এমন ট্রাস্ট ভারতের শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত। এই সংখ্যাটা এবার বাড়বে। মানুষও ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারে হাত পোড়াবে। এটাই তো লক্ষ্য মোদি সরকারের। কর্পোরেট, শেয়ার বাজার, সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা টাকার গতিপথ একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। কালো টাকার বাজার খুলছে। মধ্যবিত্ত হয়ে উঠছে নিম্নবিত্ত। আর নিম্নবিত্ত নিঃস্ব। মোদি ৩.০-তে আপনাকে স্বাগত।
30th  July, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...

পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কুয়াশার দাপট, সকাল থেকে বাতিল ৭টি বিমান, দেরিতে ১৮৪টি উড়ান

10:37:00 AM

ভূস্বর্গে ঠান্ডার কাঁপুনি, শ্রীনগরের ডাল লেকে হালকা বরফের আস্তরণ

10:37:00 AM

বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM