Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। এই বিমান ঘাঁটি তখন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে।
১৯৫৭ সালে তিব্বতের ছ’জন গেরিলার প্রথম দলটি কুর্মিটোলা থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন ঘাঁটি ‘সাইপান’ দ্বীপে উড়ে গিয়েছিল। তিব্বতের তৎকালীন শীর্ষ নেতা দলাই লামার বড়ভাই থুবতেন নোরবুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বিদ্রোহীদের অন্যতম নেতা ছিলেন এই ছয় গেরিলা যোদ্ধা। রিডেল জানিয়েছেন, নোরবু সেই সময় সিআইএ নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ‘কমিটি ফর ফ্রি এশিয়ার’ সঙ্গে যুক্ত। পোল্যান্ডত্যাগী কমিউনিস্ট বিরোধীরা কুর্মিটোলা থেকে একটি বি-১৭ বোমারু বিমানে প্রশিক্ষিত যোদ্ধাদের নিয়ে ভারতের উপর দিয়ে উড়ে তিব্বতে নামিয়ে দেয়। যাতে কোনও আমেরিকান গুপ্তচর ধরা না পড়েন। পাক সেনা নিয়ন্ত্রিত কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি থেকে দ্বিতীয় ফ্লাইট উড়েছিল ১৯৫৭ সালের নভেম্বরে। এই সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বেতার সরঞ্জামও কুর্মিটোলা হয়ে বিমানে করে তিব্বতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমেরিকা তখন পেশোয়ার থেকে ইউ-২ গোয়েন্দা বিমানের সাহায্যে রাশিয়া-চীনে নজরদারি এবং তিব্বত অভিযানের জন্য কুর্মিটোলা ঘাঁটি ব্যবহার করত। সব জানতেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান। রিডেলের কথায়, 
তিব্বতের বিদ্রোহীদের কাছ থেকে আমেরিকার প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-গোলাবারুদ পাওয়ার কথা জানতে পারলেও এর পিছনে আসলে কার হাত রয়েছে তা চীন ধরতেই পারেনি। বিস্ময়করভাবে তারা পাকিস্তান নয়, এই অপারেশনে শুধু ভারতের হাত ছিল বলে সন্দেহ করত।
তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, ১৯৫০ সালে তিব্বতকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে যুক্ত করার পর থেকে তিব্বতের বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তৈরি করে আমেরিকা ও ভারত। সিআইএ ১৯৫০ সালেই প্রথমে যোগাযোগ গড়ে তোলে দলাই লামার অগ্রজ (মেজদাদা) গিয়ালো থন্ডুপের সঙ্গে। ওই সময়ে কালিম্পং শহরে সিআইএ-র গোপন অপারেশনের ঘাঁটি স্থাপিত হয় এবং সেখান থেকেই তিব্বতে গোপন অভিযান চলত। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো-ও। এক ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসার তখন কালিম্পঙের অভিবাসী গিয়ালোকে রোজ উৎসাহ দিতেন, ‘চরবৃত্তির জন্য প্রতি মাসে তিনজনকে তিব্বতে পাঠান। আমি অর্থসাহায্য করব।’ ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সের তৎকালীন ডিরেক্টর বি এন মালিক এই চরবৃত্তির বিরোধী ছিলেন। কিন্তু উপরমহলকে না জানিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেওয়া, এই রোগ তখনই ধরে গিয়েছিল।
৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৬। ভারত সফরে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই। চৌয়ের অভিযোগ: ‘আপনাদের কালিম্পঙে লক্ষ লক্ষ চীনবিরোধী গুপ্তচর।’ কালিম্পঙের মতো অতটুকু শহরে লক্ষ লক্ষ চর? অভিযোগ, ১৯৫০ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত তিব্বতের অভ্যন্তরে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে হাত ছিল সিআইএ এবং ভারতের আইবির। বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নেপাল-তিব্বত সংলগ্ন মাসটাং নামে গোপন আস্তানা থেকে তিব্বতের অভ্যন্তরে পাঠানো হতো। ওই সময়ে তিব্বতে সিআইএ পরিচালিত সেন্ট সার্কাস এবং সেন্ট বারনাম নামে গোপন অভিযানে উপমহাদেশের তিনটি দেশ আমেরিকাকে সহযোগিতা করেছে— ভারত, নেপাল ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান। এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৫৯ সালে তিব্বতে চীনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা হয়।
আর সেই বছরই মার্চের এক রাতে লাল ফৌজের লাল চক্ষু এড়িয়ে পথে নেমে পড়েছিলেন দলাই লামা। অচেনা, অজানা রুটে। কপালে কী লেখা রয়েছে, তা না জেনেই। যাচ্ছেন কোথায়, জানা ছিল। ভারত। ভারত ভূখণ্ডে পালিয়ে আসার দু’দিন পর জানতে পেরেছিল লাল ফৌজ। তারপরেই তিব্বতে দলাই লামার খোঁজে বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয়েছিল তল্লাশি, অত্যাচার। বন্দুকের মুখে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে তিব্বতকে গায়ের জোরে দখলে নিয়ে এসেছিল চীন। সেটা ছিল ১৯৫৯ সালের ২১ মার্চ। ততদিনে দলাই লামা ঢুকে পড়েছেন ভারত ভূখণ্ডে। ভারত তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় এপ্রিলের ৩ তারিখে। তাঁর নির্বাসিত সরকারকে জায়গা দেয় হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। প্রায় ৪০ হাজার তিব্বতি দলাই লামার নেতৃত্বে ভারতের ধর্মশালায় সরকার গঠন করে তিব্বতের স্বাধীনতার দাবি তোলে। যা ভালো চোখে নেয়নি চীন। ফলে দু’দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বাধতে বেশি সময় নেয়নি। ১৯৬২ সালের ২০ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই যুদ্ধে চীন পশ্চিম রণাঙ্গনে আকসাই চীনের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি দখল করে নেয়। একইসঙ্গে তারা পূর্ব সীমান্তে অসমের পূর্ব পর্যন্ত দখল করে একতরফা যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে। ভারতের কাছ থেকে হাতছাড়া হওয়া আকসাই চীন আজও চীনের দখলে। সেখানে দুই দেশের সীমান্তরেখা টানা হয়েছে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলএসি) মাধ্যমে। ১৯৬২ সালের ওই যুদ্ধে ভারতের ব্যাপক পরাজয় শুধু নেহরুর জন্যই নয়, ভারতের জন্যও মানসিক যন্ত্রণা। আজও। 
আমেরিকা নিজের অবস্থান বদলায় ১৯৭১ সালে। চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক স্থাপনের মূলে ছিল হোয়াইট হাউসের ‘এক চীন নীতি’ গ্রহণ। ১৯৭২ সালে চীনের চেয়ারম্যান মাও সে-তুঙ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের বৈঠক হয়। সেখানেই ‘এক চীন’ নীতিতে সমর্থন জানায় আমেরিকা। সেদিন আমেরিকাও তিব্বত ও তিব্বতের বহিরাংশকে চীনের অংশ বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আমেরিকা ফের অবস্থান বদলায় ট্রাম্প জমানায়। বিশ্বশক্তি হিসেবে চীনের উত্থান ঠেকাতে ফের মরিয়া হয়ে ওঠে ওয়াশিংটন। ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে কোয়াডের উদ্ভব এবং বৃহৎ শক্তি হিসেবে ভারতের আত্মপ্রকাশের প্রেক্ষাপটে চীনের কাছে এখন দু’টি সংবেদনশীল বিষয় রয়েছে। একটি তাইওয়ান, অপরটি তিব্বত। ১৯৭৫ সালে ভারতের সিকিম দখল এবং ভূখণ্ডটিকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার পরও ভারত ও চীনের মধ্যে একধরনের অলিখিত বোঝাপড়া ছিল যে, তিব্বত এবং তিব্বতে দলাই লামার কথিত কর্তৃত্বের বিষয়টি চাপা থাকবে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জটিলতর হয়ে উঠেছে। তাছাড়া কয়েক বছর ধরেই ভারত আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টায় ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় এই উদ্যোগ গতি পায়। ভারত আমেরিকার সহযোগী হিসেবে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং ভূকৌশলগত প্রতিযোগিতার ঘূর্ণিপাকে প্রবেশ করে। ইন্দো-প্যাসিফিক জোট এই অঞ্চলে একটি চীনবিরোধী সামরিক জোট। এই জোটে সাউথ ব্লক যোগ দেওয়ার পর থেকে চীন-ভারতের সম্পর্ক দ্রুতগতিতে অবনতি হতে থাকে। যার কিছু বহিঃপ্রকাশ ঘটে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষ ও পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সীমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে।
তিব্বতকে ঘিরে চীন-ভারত-আমেরিকার ভূরাজনৈতিক হিসাব–নিকাশ যে জটিল এবং সংঘাতের দিকে যাচ্ছে, তা বেশ স্পষ্ট। সম্প্রতি আমেরিকার প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি-সহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে এসে ধর্মশালায় গিয়ে দলাই লামা এবং প্রবাসী সরকারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। মার্কিন প্রতিনিধিরা তিব্বতের নেতাদের হাতে তুলে দেন গত ১২ জুন পাস করা ‘তিব্বত পলিসি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যাক্ট ২০২০’ (টিপিএসএ)–এর একটি কপি। ওই আইন অনুযায়ী, তিব্বতের ইতিহাস, মানুষ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্পর্কে চীনের ‘মিথ্যা তথ্য’-এর মোকাবিলা করতে অর্থ সহায়তা করবে আমেরিকা। তিব্বত তাদের অংশ বলে চীন যে দাবি করে, সেই ভাষ্যের পাল্টা জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে। তিব্বতের নেতাদের সঙ্গে চীনের যে আলোচনা ২০১০ সাল থেকে বন্ধ হয়ে আছে, তা চালু করার জন্য বেজিংয়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে তিব্বত নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছনো যায়।  টিপিএসএ ২০২০-এর মূল বিষয় হল, ভারতের ধর্মশালায় অবস্থিত স্বাধীন তিব্বত সরকারপ্রধান ও ধর্মীয় প্রধান ১৪ তম দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন ও তিব্বতের রাজধানী লামাতে আমেরিকার কনস্যুলেট স্থাপন। চীন এখনও পর্যন্ত আমেরিকাকে সেখানে কনস্যুলেট খোলার অনুমতি দেয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার নয়া তিব্বত নীতির পরিপ্রেক্ষিতে চীনের সঙ্গে ভারতের নতুন করে উত্তেজনার পথ প্রশস্ত হয়েছে। কূটনৈতিক শিবিরে চর্চা, নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এক পক্ষকালের মধ্যেই চীন বিরোধিতার এই মহামঞ্চ গড়লেন কেন? বিশেষত তাঁর ভিত এ বারে দুর্বল। তা হলে কি আমেরিকার প্রতি নির্ভরতা কিছুটা বাড়াতে চেয়ে এই পদক্ষেপ? নাকি গোটা অঞ্চলে চীনের একাধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রথমেই সরাসরি লড়াইয়ের বার্তা না দিয়ে, পরোক্ষ কৌশল নিলেন মোদি? কারণ, মল্লপুরম অথবা উহানের ঘরোয়া সংলাপে বেজিং-প্রীতির বলয় তৈরি করতে গিয়ে ঘা খাওয়া নরেন্দ্র মোদি জানেন যে, চীনের সঙ্গে রোমান্টিকতার জায়গা নেই। যা করতে হবে, তা নিজের শক্তি বাড়িয়ে সমমনস্ক দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে। তিব্বতের তাস যদি আমেরিকা খেলে, তা ভারতের জন্য সুবিধাজনক। 
নেহরুর তৃতীয় মেয়াদে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ভারত। মোদির তৃতীয় মেয়াদে কী তেমন কোনও সম্ভবনা রয়েছে? ইতিহাস বলে, প্রয়োজনের সময়ে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে আমেরিকার। অতীতে তার সাক্ষীও থেকেছে ভারত। শুধু ১৯৬২ নয়, ১৯৭১ সালেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকেনি। বরং তারা পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল। ফলে পা মেপেই এগতে চাইবে সাউথ ব্লক!
25th  July, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বিশদ

28th  August, 2024
একনজরে
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। অন্তত ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধাতালিকায় স্থান পায়নি। অথচ ...

হরিরামপুরে দু’মাস ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। কিশোরীর অভিযোগ পাওয়ার পর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি হরিরামপুর থানার গোকর্ণ এলাকায়। ...

সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...

রাতের বেলা দামোসের ধারে চলছিল আড্ডা। এমন সময় হঠাৎ আগমন কয়েকজন দুষ্কৃতীর। কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি চলল তিন রাউন্ড গুলি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হলেন এক তৃণমূল কর্মী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM