Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কেননা তাঁদের অকল্পনীয় আত্মত্যাগের ফলেই এই বাংলা, এই দেশ বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে। এই বিস্মৃতপ্রায় মনীষীদের মধ্যেই একজন ডাঃ রাধাগোবিন্দ কর। কলকাতায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালটি তাঁরই নামে। সেখানে অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা পান, বহু মানুষকে পুনর্জন্ম দিয়েছে সেখানকার পরিষেবা। তবু কমজনই জানে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পিছনে মূল অবদানটি কার। ডাঃ আর জি করের পুরো নামটিও সকলে অবগত নন। কিছু মানুষের মুখের কথায় ‘আর জি কল’ পর্যন্ত হয়ে আছে! সেখানে ডাক্তার রাধাগোবিন্দ করের জন্মদিবস পালনের কথা তেমন শোনা যায় না। গত ২৩ আগস্ট তাঁর জন্মদিন পালিত হল এবং কাগজে ছাপা হল তাঁর ছবি। উপলক্ষটি সুখস্মৃতি হিসেবে রয়ে যাবে না। এক বিষাদের আবহে এবারের এই মনীষীস্মরণ। ওই হাসপাতালের ভিতরে এক স্থানে কিছু প্রতিবাদী ডাক্তারের অবস্থান মঞ্চে জন্মদিনটি পালিত হল। সারা দুনিয়া ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে কী জন্য এই প্রতিবাদ, কী কারণে এই অবস্থান। মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ৩৫, সারা ভারতে সাতশোর বেশি। কিন্তু এগুলি নিয়ে বহির্ভারতে কতটা আলোচনা হয়? বিশেষ একটা কানে আসে না। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আর জি কর নামটি আন্তর্জাতিক পরিসরেই জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহু দেশে। ২২ আগস্ট ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় লন্ডন, বার্মিংহাম, মিল্টন, কেইনস, গ্লাসগো-সহ ব্রিটেনের ১৬টি শহরে। যাঁর নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠান ঘিরে এত কাণ্ড এবং যাঁকে স্মরণ করা হল একেবারেই এক ব্যতিক্রমী অবকাশে, তাঁর সম্পর্কেই আলোচনা করা যাক কিছু কথা, যদিও অংশবিশেষ অনেকের জানা। ডাঃ করের মানবসেবার স্বপ্ন যাঁদের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় সাকার হয়ে উঠেছে এই উপলক্ষ্যে স্মরণীয় তাঁরাও। 
১৮৮৬ সাল। চিকিৎসাশাস্ত্রে বিলাতি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলেন রাধাগোবিন্দ কর। ১৮ অক্টোবর ডাকলেন একটি সভা। যোগ দিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অক্ষয়কুমার দত্ত, বিপিনবিহারী মৈত্র, এম এল দে, বি জি বন্দ্যোপাধ্যায়, কুন্দ ভট্টাচার্য-সহ অনেক সম্মাননীয় চিকিৎসক। তাঁরা একটি বেসরকারি মেডিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিলেন। কলকাতায় ১৬১ বৈঠকখানা বাজার রোডে গড়ে উঠল দেশের প্রথম নন-অফিসিয়াল মেডিক্যাল স্কুল—দ্য ক্যালকাটা স্কুল অফ মেডিসিন। পরে স্থানান্তরিত হল বউবাজার স্ট্রিটের দুটি (যথাক্রমে ১৫৫ এবং ১১৭) ঠিকানায়। ১৮৮৭-তে নতুন নাম পেল দ্য ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল। সরকারি পাঠক্রম গ্রহণসহ চালু হল বাংলা মাধ্যমে তিনবছরের কোর্স। পরিচালনার জন্য ১৮৮৯ সালে গড়া হল একটি সোসাইটি। প্রথম প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হলেন যথাক্রমে ডাঃ লালমাধব মুখোপাধ্যায় ও ডাঃ আর জি কর। চিকিৎসাশাস্ত্র তো পড়ানো হবে, কিন্তু হাতে-কলমে শিক্ষার কোনও হাসপাতাল যে নেই! সেখানকার ছাত্ররা ট্রেনিংয়ের অনুমতি পেলেন চাঁদনি অ্যান্ড মেয়ো হসপিটালে। শবব্যবচ্ছেদেরও অনুমতি মিলল শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থী সংখ্যা পৌঁছল ২৬০-এ। তাঁদের পড়াতেন লালমাধব মুখোপাধ্যায়, আর জি কর, নীলরতন সরকার এবং সুন্দরীমোহন দাসদের মতো প্রথিতযশা পণ্ডিতগণ।
১৮৯৫ সালে ‘কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অফ বেঙ্গল’ নামে আরও একটি নন-অফিসিয়াল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশন কলকাতায় গড়ে ওঠে। ২৯৪ আপার সার্কুলার রোডে সেই প্রতিষ্ঠানের ১৪ বেডের একটি হাসপাতালও ছিল। তারা পড়াত চারবছরের কোর্স, কিন্তু তাদের ছাত্র ছিল মাত্র ১২ জন। অন্যদিকে, ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল ১৮৯৭ সালে সরে গেল ২২৮ আপার সার্কুলার রোডের ঠিকানায়, জায়গাটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স কলেজ সংলগ্ন। পরের বছর ২৫ হাজার টাকায় কেনা হল বিঘে ১২ জমি এবং তার উপর ৭৫ হাজার টাকায় তৈরি হল ৩০ শয্যার একতলা হাসপাতাল বাড়ি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজটির এখন ওই জমিতেই। ওই ভবন নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল প্রিন্স আলবার্ট ভিক্টরের সফর উপলক্ষ্যে। এজন্য ভবনটি হয়েছিল তাঁরই নামাঙ্কিত। ১৯০২ সালে আলবার্ট ভিক্টর হসপিটলের (এভিএইচ বিল্ডিং) উদ্বোধন করেন বাংলার তৎকালীন গভর্নর স্যার জন উডবার্ন। অনেকখানি জায়গা পাওয়ায় ১৯০৩ সালে ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুলের বিভিন্ন বিভাগ উঠে যায় সেখানেই। পরের বছর যোগ হয় পান্নালাল শীল আউটডোর ব্লক। সেটি নির্মাণের জন্য ১২ হাজার টাকা দান করেন বাবু মানিকলাল শীল। বিল্ডিং ফান্ডের সমৃদ্ধির জন্য বহু টাকা দান করেন একাধিক দানবীর। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাশিমবাজারের মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুর এবং বাবু রামচন্দ্র ভুর। বেশকিছু অর্থ দান করেছিল বাংলার সরকারও। ১৯০৪ সালেই ‘ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল’ এবং ‘কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অফ বেঙ্গল’ একসঙ্গে মিশে যায়। নতুন প্রতিষ্ঠান নাম নেয় ‘দ্য ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অফ বেঙ্গল’। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের স্কুল বিভাগে চালু হয় বাংলা মাধ্যমে চারবছরের কোর্স এবং কলেজ বিভাগে ইংরেজি মাধ্যমে পাঁচবছরের কোর্স। এভিএইচ বিল্ডিংয়ের দোতলা নির্মাণে ১৯০৯-এ অর্থ দান করেন পোস্তা রাজ পরিবারের রানি কস্তুরী। বেড সংখ্যা ৪০ থেকে বেড়ে ১০০ হয়ে যায়। নতুন ব্লকের উদ্বোধন করেন বাংলার তৎকালীন গভর্নর স্যার এডওয়ার্ড বেকার। ভবন উদ্বোধন করতে এসে তিনিও কিছু টাকা দেন। অর্থ সাহায্য দেন বাবু দেবপ্রসন্ন ঘোষও। পরের বছর বেশকিছু অর্থ সাহায্য করে মন্মথ ভট্টাচার্য মেমোরিয়াল কমিটি এবং কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল কমিটি। ১৯১১ সালে ভারতভ্রমণে এসে রাজা পঞ্চম এডওয়ার্ড এবং রানি মেরিও এই প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ান। 
দেশে ডাক্তারের সংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে একত্র হওয়ার প্রস্তাব দেয় সরকার। ১৯১৪ সালে ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জেনস অফ বেঙ্গল এই ব্যাপারে বিশেষ দায়িত্ব পালন করে। তাদের এই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ১৯১৬ সালের ৫ জুলাই আত্মপ্রকাশ করে নতুন এক মেডিক্যাল কলেজ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেটি নাম নেয় ‘বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ’। উদ্বোধন করেন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল। এমবি কোর্স করার জন্য প্রথম ব্যাচে ভর্তি সুযোগ পান ৪৮ জন। পরের বছর ১০০ জনকে ভর্তির অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। মেডিক্যাল কলেজের সুষ্ঠু পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১৯১৮ সালে তৈরি করা হয় মেডিক্যাল এডুকেশন সোসাইটি অফ বেঙ্গল। তার প্রথম প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হন যথাক্রমে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস পি সর্বাধিকারী ও ডাঃ আর জি কর। দুর্ভাগ্য যে, ওই বছরই ১৯ ডিসেম্বর ডাঃ করের মৃত্যু হয়। ১৯১৯-এ বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ ‘ফাইনাল এমবি স্ট্যান্ডার্ডে’ উত্তীর্ণ হয় এবং সেখানকার ল্যাবরেটরি ঢেলে সাজার জন্য অনুদান দেয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলার সরকার। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটি লর্ড কারমাইকেলের নামাঙ্কিত হয়। এর পরবর্তী ইতিহাস ও পরম্পরা বাংলার চিকিৎসাশাস্ত্রের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এখানে চালু হয় সার্জিক্যাল, প্যাথলজি, অ্যানাটমি, চিলড্রেন, মেটারনিটি প্রভৃতি ব্লক এবং টিবি স্যানাটোরিয়াম। এখানকার প্রাক্তনীরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি দিলেন বিলেতে। তাঁরা দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়লেন সেবাকার্যে এবং শিক্ষকতায়। ১৯৩৩ সালে এখানে যুক্ত হয় সাইক্রিয়াট্রিক ওপিডি। এশিয়া মহাদেশে প্রথম কোনও হাসপাতালে এমন একটি বিভাগ চালু হল। এর পুরো কৃতিত্ব ছিল প্রফেসর গিরীন্দ্রশেখর বসুর (উল্লেখ্য, তিনি সাহিত্যিক রাজশেখর বসুর ভাই)। এশিয়ার প্রথম বেসরকারি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাধীনতার পরপরই, ১৯৪৮ সালের ১২ মে গ্রহণ করল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল নামটি। প্রতিষ্ঠানটির জন্য ডাক্তার রাধাগোবিন্দ করের যথাসর্বস্ব দানের পর, নিঃসন্দেহে, এটাই ছিল দেশবাসীর সেরা শ্রদ্ধার্ঘ্য। এখানকার প্রাক্তনীদের নাম যুক্ত হল লন্ডন এবং মেলবোর্ন ওলিম্পিকসের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে ১৯৫৮ সালে। এখানকারই প্রাক্তনী ডাঃ প্রীতিকুমার রায়চৌধুরী কলকাতা পুরসভার মেয়র হন। এছাড়া একাধিক প্রাক্তনী হয়েছেন মন্ত্রী এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদাধিকারী। এই প্রতিষ্ঠানের পিছনে বিশেষ অবদান রয়েছে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়, ডাঃ নীলরতন সরকার, স্যার রাসবিহারী ঘোষ, স্যার তারকনাথ পালিত, ডাঃ কেদারনাথ দাস-সহ বহু মনীষীর। 
তাই যখন এই হাসপাতালের দুর্নাম হয়, এখানকার চিকিৎসার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, আর্ত অসহায় গরিব মানুষ দিনের পর দিন চিকিৎসা না-পেয়ে ফিরে যান, তখন শুধু একটি মেডিক্যাল কলেজ কিংবা সরকার অথবা শাসক কলঙ্কিত হয় না। বস্তুত স্বপ্নভঙ্গ হয় বহু দানবীর ও কৃতী মানুষের, যাঁদের অক্লান্ত দানে তিলে তিলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল আজকের চেহারায় মাথা তুলে আছে। এই প্রতিষ্ঠানের একদা অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতি এবং অমানবিকতার অভিযোগ উঠেছে, মানুষ এসব আর দেখতে চায় না। মানুষ শুনতে চায় না এখানে রোগী ভর্তি নিয়ে দালাল চক্র চলে। তারা বরদাস্ত করে না একজনও রোগীর প্রতি ডাক্তার কিংবা নার্সের অবহেলা। মানুষ দেখতে চায়—মানবদরদি রাধাগোবিন্দ করের স্বপ্ন তাঁরই প্রতিষ্ঠানে সবরকমে পূরণ হয়েছে; সার্থক হয়েছে বাকি স্বপ্নদ্রষ্টাদেরও ত্যাগের ব্রত, যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে শুধু মানবসেবারই স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁদের মূল স্বপ্ন ছিল, মানবিকতা ও সেবার পরীক্ষায় শীর্ষস্থান নেবে এই প্রতিষ্ঠান। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে রোগীদেরও অধিকার ও পূর্ণ নিরাপত্তা সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেই তাঁদের সকলের স্বপ্ন সার্থক হবে একযোগে। এই দায়িত্ব কারও একার নয়, আমাদের সকলের।
28th  August, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
একনজরে
আবার হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। দ্রুতগতির গাড়ি পিষে দিল দুই বাইকযাত্রীকে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বছর সতেরোর এক কিশোর। গুরুতর জখম তাঁর ...

পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...

শেষবার তিনি মাঠে নেমেছিলেন কোপা আমেরিকা ফাইনালে। খেতাবি লড়াইয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন লায়োনেল মেসি। তারপর কেটে গিয়েছে দু’মাস। চোট সারিয়ে মাঠে ...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারস্থলের কাছেই চলল গুলি। রবিবার ফ্লোরিডা গল্ফ ক্লাবের বাইরে দুই ব্যক্তির মধ্যে গুলির লড়াই বাধে। জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ট্রাম্প ক্লাব ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার সিপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:59:00 PM

আগামী কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসে রদবদল করা হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:58:00 PM

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:57:00 PM

অভয়ার উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে বৈঠক শুরু করি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

আমরা উভয়পক্ষই খুশি, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

কিছু বিষয়ে সহমত কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

11:53:00 PM