Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। হরিয়ানার রাস্তায় তাঁকে পিটিয়ে মেরেছে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। আর সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনির মুখে এমন কথা! ভাবটা এমন, ‘ছেলেমানুষ। ধর্ষণ, খুন-টুন করে এলেই বা কী হয়েছে? ওসব একটু হয়েই থাকে।’ ক্যানিংয়ের জীবনতলা থেকে কাজে গিয়েছিলেন সাবির। বাড়িতে আছে স্ত্রী শাকিলা, আর ছোট্ট একরত্তি মেয়েটা। গোরক্ষক নামে ওই বিশেষ প্রভাবশালী জাতের হঠাৎ সন্দেহ হল, সাবিরের কাছে গোরুর মাংস আছে। ওইটুকুই যথেষ্ট তাঁকে খুন করার জন্য। আগেও এমন সন্দেহ তাদের হয়েছিল। কারণ, সাবির মুসলিম। এবং গোরক্ষকদের ধারণা ছিল, সে বাংলাদেশিও। তাই এমন পরিণতি যে হতে পারে, তার আভাস একেবারে ছিল না বললেও ভুল হবে। কেন সতর্ক হননি সাবির? কেন ফিরে আসেননি প্রাণটুকু নিয়ে এই বাংলায়? তাঁর জন্য তো কেউ কাঁদবে না! কেউ মোমবাতিও জ্বালবে না। শুধু সাবির কেন? আরিয়ানের জন্যও কি কারও বুক একবারটি কেঁপে উঠবে? নামের জন্যই ‘ওরা’ কেউ বিশ্বাস করল না, আরিয়ান মিশ্র হিন্দুও হতে পারে। ‘ওরা’ কারা? গোরক্ষক। ভেবে নিয়েছিল, ১৯ বছরের ছেলেটা গোরু পাচারকারী। ২৫ কিমি ধাওয়া, তারপর গুলি। আরিয়ান ব্রাহ্মণবাড়ির সন্তান জানার পর মা উমাদেবীর কাছে তারা বার্তা পাঠাল, ‘আপনার ছেলে যে হিন্দু সেটা বুঝিনি। তাহলে এই ভুল হতো না। ব্রাহ্মণসন্তানের প্রাণ নেওয়ার জন্য আমরা দুঃখিত।’ বিস্ময়কর নয় কি? এই যুক্তি, এই তেরিয়া মনোভাব মানুষ খুনের পরও! এ কোন সমাজে বাস করছি আমরা? গোরক্ষার নামে প্রকাশ্যে হত্যালীলা চালানোতেও অবাধ ছাড়পত্র! আরিয়ানের মা উমা মিশ্র কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘মুসলমানরা কি মানুষ নয়? ওরা কি আমাদের ভাইবোন নয়? মুসলিম হলেই বা খুন করার অধিকার ওদের কে দিয়েছে?’ 
উত্তর আছে—রাজনীতি। কিন্তু এই উত্তর মুখে আনা যাবে না, শোনা যাবে না, পরীক্ষায় লিখলে নম্বরও মিলবে না। বলা হবে, ধর্মের উপর খবরদারি শুরু হয়েছে। সত্যিই কি তাই? এইচ এইচ উইলসনও সেই উনিশ শতকের গোড়ার দিকে লিখে গিয়েছেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতির প্রথম পর্বেই গোরু এবং ঘোড়াকে শুভ কাজে উৎসর্গ করার প্রথা ছিল। একে বলা হতো গোমেধ এবং অশ্বমেধ।’ অর্থাৎ চল ছিলই। শুধুই মুসলিম শাসকরা পরে এদেশে রাজত্ব করতে এসে গোহত্যা শুরু করেছে, তেমনটা নয়। এই সবই ইতিহাস বলছে। তাহলে পরিস্থিতি বদলাল কীভাবে? এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি চর্চিত থিওরিটা হল, মুসলমান শাসকদের জমানায় হিন্দুরা যাতে এককাট্টা হয়ে প্রতিরোধ করতে পারে, সে জন্য একটি ‘কারণ’ বা ‘বিষয়বস্তু’ সামনে রাখার প্রয়োজন ছিল। সেই কাজটা করেছিল ‘গোমাতা’। সস্তায় পুষ্টিকর বলে গরিব মুসলিম পরিবারের অনেকেই গোমাংস খেতেন। হিন্দুরা তার বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন—গোহত্যা বন্ধ করতে হবে। সেটাই হিন্দুদের জোটবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। আর এই সমীকরণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। ১৮৭০ সালে পাঞ্জাবে প্রথমবার আন্দোলনের ঢঙে পথে নামল শিখ কুকা সম্প্রদায়। আর ১৮৮২ সালে দয়ানন্দ সরস্বতীর নেতৃত্বে গড়ে উঠল প্রথম গোরক্ষিণী সভা। সেইসঙ্গে রাজনীতির অলিন্দে পাকাপাকিভাবে ঢুকে পড়লেন গোমাতা। ১৮৮০ থেকে ’৯০—এই দশ বছরে ভারতের কোণায় কোণায় এই ইস্যুতে একের পর এক দাঙ্গা হল। সাম্প্রদায়িক রঙের গুঁড়ো ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম বিরোধিতার ভিত আরও শক্ত করল গেরুয়া কট্টরপন্থীরা। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত মানবিকতার থেকে বড় হয়ে উঠল উত্তরাধিকার বা কনভারশন সূত্রে পাওয়া ধর্ম। ১৮৯৩ সালে আজমগড় থেকে সূত্রপাত হওয়া এমনই এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দেশজুড়ে প্রাণ গিয়েছিল শতাধিক মানুষের। ১৯১২ সালে অযোধ্যা, ১৯১৭ সালে শাহাবাদ... অন্তবিহীন সেই হিংসা। স্বাধীনতার পর সংবিধানে এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হল ঠিকই, কিন্তু খাদ্যাভ্যাস তো একান্তই ব্যক্তিগত। মৌলিক অধিকারও বটে। সেখানে সরকার রুল জারি করবে কীভাবে। তারপরও চাপ বাড়াতে ১৯৬৬ সালে প্রায় সব গেরুয়াপন্থী দল ও সংগঠন একজোট হল। সংসদের সামনেই চলল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। মৃত্যু হল আটজনের। জখম বহু। গোমাতা নিজেও জানতে পারলেন না, কখন তিনি রাজনীতির এলিট ক্লাসের ঘুঁটি হয়ে গিয়েছেন। জনসঙ্ঘ থেকে বিজেপির ‘নবজন্মে’র পর এই রাজনীতির ষোলো কলা পূর্ণ হল। আর স্বঘোষিত গোরক্ষকরা ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে ডানা মেলতে শুরু করল মোদি জমানায়। সঙ্গে লাভ জিহাদ, হিন্দুরাষ্ট্রের হুঙ্কার, উস্কানিমূলক সিএএ। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, ভোট দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করলেই এই গোক্ষক বা লাভ জিহাদের বিরুদ্ধপন্থীরা ঠিকানা বদলে দরজায় খিল দিয়ে বসে যায়। ভোট মিটতে আবার শুরু হয় তাদের তাণ্ডব। ইঙ্গিতটা বোঝার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এটাই রাজনীতি। ক্ষমতার অলিন্দে অবাধ বিচরণের লক্ষ্যে সামান্য ঘুঁটি চালাচালি। আজও সেটাই হচ্ছে। নবান্নের ১৪ তলার ঘরটাতে অ্যাকোয়ারিয়মের সামনে দাঁড়িয়ে অবাক চোখে মাছগুলোকে দেখতে থাকা সাবির মল্লিকের একরত্তি মেয়েটা বুঝতেও পারছে না, তার বাবার সঙ্গে কী রাজনীতি হয়েছে। সে শুধু জানে, বাবা ফেরেনি। কিন্তু সে কি জানে, তার বাবা আর ফিরবে না? সে কি জানে, কেন তার বাবা ফিরবে না? 
এই ধরনের ঘটনা নিরন্তর একটা সাম্প্রদায়িক আগুনের জন্ম দিয়ে চলে। প্রতিনিয়ত। আগ্নেয়গিরির লাভার মতো ফুটতে থাকা সে বুকের অন্দরে। কোনও একটা সময় বিস্ফোরণ হয়। আর তাতে ধ্বংস হয়ে যায় মানবিকতা। সমাজ যদি এখনও এই খুনে রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ায়, বড্ড দেরি হয়ে যাবে। সময় কি এখনও আসেনি? প্রকাশ্যে একজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারা হচ্ছে। আর বাকিরা পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে। শ্যুটিং চলছে নাকি? কেন তাদের মনে হচ্ছে না এই নারকীয়তার শেষ হওয়া উচিত? কেন সমাজ এগিয়ে আসছে না? কেন সাবির, আরিয়ান বা মালদহের শ্রমিক মোতি আলির জন্য পথে নামছে না সমাজ? আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে ঠিক যেভাবে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছে, তার আঁচ কেন স্বঘোষিত গোরক্ষকদের পুড়িয়ে মারবে না? আসলে সমস্যাটা ব্যক্তির নয়, সিস্টেমের। বছরের পর বছর নিখুঁত প্র্যাকটিসে দুর্নীতি এবং অপরাধ ঢুকে পড়েছে মজ্জায়। শাসক বদলালেও সিস্টেমের ভূতের থেকে নিস্তার নেই। গোটা দেশেই। কারণ, রাজ্যের নাম যাই হোক না কেন, দুর্নীতি, অপরাধ এবং ক্ষমতায়নের সিস্টেমের ভাষা এক। আন্দোলনে যদি নামতেই হয়, তাহলে কয়েকজন ব্যক্তি নয়, লক্ষ্য নিতে হবে সিস্টেমকে আমূল বদলে দেওয়ার। যাতে জাতীয় সড়ক তৈরির সময় ঠিকাদারের থেকে কাটমানি নিতে গেলে বুকটা কেঁপে ওঠে। মনে হয়, সাধারণ মানুষ জানতে পারলে চামড়া গুটিয়ে নেবে। ধর্ষণ করার কথা ভাবলেও প্রবৃত্তি ছাপিয়ে শিরদাঁড়ায় ভয়ের ঠান্ডা স্রোত বেয়ে যাবে... ভয়াবহ পরিণতি ভেবে। মুসলিম নাম শুনলেই গোরক্ষার নামে খুনের ছাড়পত্র ছিঁড়ে কুটিকুটি করে ছড়িয়ে দেওয়া হবে সচেতন সমাজের আকাশে। 
প্রতিদিন শত শত অপরাধ ঘটে চলে ১৪০ কোটি জনতার দেশে। প্রত্যেক ঘটনা মানব মননকে নাড়া দেয় না। ধাক্কা দেয় না। আর জি করের মতো কিছু ঘটনা ট্রিগারের কাজ করে। বহুদিন ধরে জমে থাকা বারুদে বিস্ফোরণ ঘটায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কাশ্মীর হোক বা মণিপুর, কলকাতা বা নাসিক... পরিচয় তার একটাই—অপরাধী। তার কোনও ধর্ম নেই, ভাষা নেই, স্টেটাস নেই, রাজনীতির রংও নেই। সাবির আলি বা আরিয়ান মিশ্রর নৃশংস মৃত্যু, কিংবা উজ্জ্বয়িনীর রাস্তায় দিনেদুপুরে যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনাও সমাজের মনে জমে থাকা বারুদে বিস্ফোরণ ঘটাবে না? ট্রিগার করবে না? বিচারের আশায় বসে আছেন উমাদেবী। সিবিআই তদন্ত হয়নি তাঁর ছেলের মৃত্যুতে। সাবির মল্লিকের খুনও এজেন্সির রেডারে ধরা পড়েনি। স্থানীয় পুলিস লঘু ধারায় মামলা করবে, জনরোষ দেখানো হবে, আর তারপর কয়েক বছরের জেল-জরিমানা। কেস খতম। রাজনৈতিক এবং স্পর্শকাতর হওয়া সত্ত্বেও কেউ অতটা গা ঘামাবে না। উমাদেবী কি আশা করতে পারেন না... অভয়ার মতো আরিয়ানের হয়েও পথে নামুক সমাজ? গণতন্ত্রের দায়রার মধ্যে থেকেই শিক্ষা দিক শাসককে। যারা পথেঘাটে হত্যাকেও নিঃশব্দে ধোঁয়া দিয়ে চলেছে। সেই প্রতিবাদেই সমাজের এবং মানবিকতার সার্থকতা। না হলে? ওটাও রাজনীতি।
10th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
একনজরে
শেষবার তিনি মাঠে নেমেছিলেন কোপা আমেরিকা ফাইনালে। খেতাবি লড়াইয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন লায়োনেল মেসি। তারপর কেটে গিয়েছে দু’মাস। চোট সারিয়ে মাঠে ...

আবার হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। দ্রুতগতির গাড়ি পিষে দিল দুই বাইকযাত্রীকে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বছর সতেরোর এক কিশোর। গুরুতর জখম তাঁর ...

পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...

টানা বৃষ্টির জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পুজোর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। রবিবারও ছুটির দিনে বৃষ্টিতে পুজোর বাজার দফারফা করে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এদিন মানুষজন বাড়ি থেকে বের হননি। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জিটি রোডের উপর একের পর এক গাছ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার সিপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:59:00 PM

আগামী কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসে রদবদল করা হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:58:00 PM

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:57:00 PM

অভয়ার উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে বৈঠক শুরু করি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

আমরা উভয়পক্ষই খুশি, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

কিছু বিষয়ে সহমত কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

11:53:00 PM