Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
ভ্রমণ, আতিথেয়তা, বিনোদন এবং অন্যান্য সুবিধা খাতে রাজ্যপাল বোস বছরে ভাতা পেয়ে থাকেন ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। দেশের মধ্যে সর্বাধিক। তাও তিনি বিলে সই করেন না। বিধায়ক বা মন্ত্রীদের শপথে সিলমোহর না দিয়ে দিল্লি চলে যান। জনপ্রতিনিধি এবং পরিষেবার অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় রাজ্যের মানুষকে। 
রাজ্যপাল বোস ঘর সাজানোর সরঞ্জামের জন্য পেয়ে থাকেন ৮০ লক্ষ টাকা। আর দার্জিলিংয়ের রাজভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৭২ লক্ষ টাকা। তারপরও বোসবাবুর বিরুদ্ধে তাঁরই রাজভবনের অস্থায়ী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। এবং সেই ইস্যুতে কোনও প্রশ্ন তোলা যায় না। কারণ, তিনি রাজ্যপাল। সাংবিধানিক পদ। তদন্তের ঊর্ধ্বে। আর তাই তাঁর জন্য বরাদ্দ থাকে ‘রক্ষাকবচ’। 
উপরে যে কয়েকটি প্রাপ্তিযোগের কথা বলা হয়েছে, তার সবই কিন্তু জুগিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ, রাজ্যবাসীর করের টাকায় রাজ্যপালের সংসার চলে বললেও খুব ভুল বলা হবে না। তাই রাজ্যবাসী যদি তাঁর কাছে শুধু তাঁর কর্তব্যটুকু দাবি করে? যদি বলে, আপনি মশাই নিরপেক্ষ থাকুন! তাহলেও কি অন্যায় হবে? কিন্তু না, সংবিধান নাকি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার ব্যাপারে প্রত্যেক নাগরিকের হাত-পা বেঁধে রেখেছে। উনি সবার ঊর্ধ্বে। তাই কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেন! তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাষ্ট্রপতি স্বয়ং তাঁর নিয়োগে সই করে থাকেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। এই সবই টেকনিকাল কথাবার্তা। বাস্তবটা হল, রাজ্যপাল এদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং কখনও বশংবদ। যদি ডাবল ইঞ্জিন হয়, নো প্রবলেম। সমন্বয়ের আলোর ছটায় তখন দিল্লি থেকে রাজ্য—সর্বত্র আলোকিত হয়ে থাকে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসকের বিরোধী কোনও দল যদি রাজ্যের ক্ষমতায় থাকে, তখনই রাজ্যপালের পক্ষপাতের চরিত্র জ্বলজ্বল করে ওঠে। এটাই দস্তুর। আর এই চিরন্তন সত্য কমবেশি প্রত্যেকেই জেনে গিয়েছে এবং মেনেও নিয়েছে। আমাদের বোসবাবুর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই, এতদিন দেখেশুনে রাজ্যবাসীও তাঁর রূপগুণের সঙ্গে আত্মস্থ। তাহলে এখন হঠাৎ এত নড়াচড়া কীসের? কারণ বোসবাবুর বিরুদ্ধে ভয়াবহ একটি অভিযোগ উঠেছে—শ্লীলতাহানির। আর অভিযোগকারিণী তাঁরই রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। অভিযোগ কি দায়ের হয়েছে? না হয়নি। কারণ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওটা করা যায় না। তদন্ত হয়েছে? সেখানেও বাধা রাজ্যপাল। বলা যায়, রাজ্যের তরফে শুধু রুটিন কয়েকটা কুটো নাড়া হয়েছিল। তাতেই দিল্লিকে বলেকয়ে স্বয়ং পুলিস কমিশনারের সাঁকো নাড়তে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তাহলে উপায় কী? সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের কী মনে হতে পারে? সেই মেয়েটি কি বিচার পাবে না?
এই প্রশ্নটাই এখন লাখ টাকার। রাজ্যবাসীর কাছে আশার আলো হল, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটা গ্রহণ করেছে। স্পষ্ট কথা, অভিযোগ এবং সাধারণ মানুষের দাবির সারবত্তা পেয়েছে বলেই এমন পদক্ষেপ। এখানেই শেষ নয়, এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে যুক্ত হওয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম শুনানি। তার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই ইস্যুতে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই কোমর বাঁধছে রাজ্য। সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় পূর্ণ ‘ইমিউনিটি’ পেয়ে থাকেন রাজ্যপাল। এই ধারার জোরেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় না। যতক্ষণ তিনি সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। তদন্তও নয়। এই ধারার অধীনে রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতিও। কী বলা হয়েছে ৩৬১ নম্বর ধারায়? ক্ষমতার ব্যবহার এবং কর্তব্য পালনে রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের নেওয়া পদক্ষেপের জন্য কোনও আদালতই তাঁদের জবাবদিহি করতে বলবে না। সেই অধিকার আদালতের নেই। তবে দেখতে হবে, সাংবিধানিক প্রধানের সিদ্ধান্তে যেন কোনও নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ না হয়। তাহলে কি রাজ্যপালের কাজকর্মের কোনওরকম কাটাছেঁড়াই করা যাবে না। সেটাও হয়। ৬১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, লোকসভা বা রাজ্যসভার ঠিক করে দেওয়া ব্যক্তি, আদালত বা সংস্থা রাজ্যপালের নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘রিভিউ’ করতে পারবে। মুশকিল হল, গোটা ব্যাপারটাই পর্যালোচনা স্তরে থেমে যাবে। যতদিন তিনি কুর্সিতে থাকবেন, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তো দূরঅস্ত, তদন্ত পর্যন্ত করা যাবে না। এখানে এটা মোক্ষম প্রশ্ন হল, যদি রাজ্যপালের ওই ‘কর্মকাণ্ড’ তাঁর দায়িত্ব পালন বা কর্তব্যের সঙ্গে জড়িত না হয়? রাজ্যপাল পদে বসলেই তো আর কেউ ভগবান হয়ে যান না! তাঁরও ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া থাকে। আর সেই ‘ইনস্টিংক্ট’ যদি দেশের কোনও নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে? তাহলেও কি তিনি রক্ষাকবচ পাবেন? ওই চেয়ারে বসে কেউ চুরি-ডাকাতি করবেন না, তা নিশ্চিত। অত টাকা পাওয়ার পর সেটার আর প্রয়োজন হবে না। কিন্তু শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, খুনের মতো অপরাধ ঘটলেও কি সংবিধান সামনে রেখে আদালত চুপ থাকবে? 
সুপ্রিম কোর্ট মামলাটা গ্রহণ করেছে মানে, এই প্রশ্নগুলো বিচারপতিদের মনেও এসেছে। তাই তাঁরা মামলা এবং সংবিধানকে পাশাপাশি রেখেই উপায় খুঁজতে নেমেছেন। সুপ্রিম কোর্টে এই নির্দেশের মধ্যেই অবশ্য বোসবাবু নিজে একটি তদন্ত রিপোর্ট খাড়া করে ফেলেছেন। কে করেছেন সেই তদন্ত? পুদুচেরির অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ ডি রামাবাথিরন। একেবারে ‘ইন-হাউজ’ তদন্ত। রাজভবন সূত্র বলছে, ওই এক সদস্যের তদন্ত কমিটির কাছে ৬৯টি ‘নিউজ ক্লিপিংস’ তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও সিসিটিভি ফুটেজের উল্লেখ রিপোর্টে নেই। অর্থাৎ, রাজভবন চত্বর বা বোসবাবুর ঘর পর্যন্ত করিডরের সিসি ক্যামেরার ছবিও তদন্ত কমিটিকে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ নেই রিপোর্টের শুরুতে। এ গেল মুদ্রার এক পিঠ। এবার দেখা যাক, তদন্তের সময় কার কার বয়ান নেওয়া হয়েছে—দু’জন টেলিফোন অপারেটর, দু’জন এডিসি, একজন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি, একজন চাপরাশি এবং দু’জন পরিচারিকা। রাজভবনের তথ্য থেকেই স্পষ্ট, অভিযোগকারিণীর বয়ানই নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি কমিটি। তাহলে কি এই তদন্ত রিপোর্টকে সম্পূর্ণ বলে ধরা যায়? অথচ বোসবাবু গোটা অভিযোগ পর্বকেই ‘বানানো’ বলে দেগে দিয়েছেন। একজন যুবতী তাঁর সম্মান বিসর্জন দিয়ে দুনিয়ার সামনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করবেন, বোসবাবু সেটা মিথ্যা বলবেন। ক্যামেরায় দেখা যাবে, তিনি কাঁদতে কাঁদতে ছুটছেন পুলিসের কাছে, সেটা হয়ে যাবে ‘রংচড়ানো’। আর তাঁর খাড়া করা রিপোর্ট গীতার মতো পবিত্র? তারপরও আমরা আবিষ্কার করব যে, সংবিধান তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে? তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না। ফৌজদারি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না! তাহলে আইন সবার জন্য সমান হল কীভাবে? 
‘ফ্যাব্রিকেটেড’ অভিযোগ কেউ করতেই পারে। হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমনটা হয়েও থাকে। রাজ্যপালের চেয়ারে বসে আমাদের বোসবাবুও হাইপ্রোফাইল হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তিনি কেন্দ্রের মনোনীত প্রতিনিধি। নির্বাচিত নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিন্তু বাংলার মানুষ নির্বাচিত করেছেন। বারবার। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই বোসবাবু দাবি করছেন, পুরো ঘটনা নাকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাজিয়েছেন। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানহানি হয় না? আজ রাজ্যবাসী যদি তাঁকে প্রশ্ন করে, আমাদের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে আপনার কাছে? উত্তর দিতে পারবেন তো বোসবাবু। আপনি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি বিরোধী দলের লোকজনকে গুরুত্ব দেন। তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেন। যদি ধরেও নেওয়া যায়, বিরোধীদের আপনি বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান। গণতন্ত্রে সেটা মোটেও অন্যায় নয়। কিন্তু তাহলে একটি মাত্র দল কেন? বাকি বিরোধীরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে? এই প্রশ্নের জবাব কেন আপনার থেকে পাওয়া যায় না? এখানেও অবশ্য সংবিধান মাই বাপ। আপনার কোনও কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। আমরা সাধারণ মানুষ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জীবন যন্ত্রণায় এমনিই ঝুঁকে থাকি। তাই প্রশ্ন তোলার কথা আমাদের মনেও আসে না। কিন্তু প্রশাসন হোক বা সংবিধান, প্রধানদের একটা কথা মনে রাখা উচিত—এই আম আদমি যখন চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন তোলে, তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। আইন মানুষের জন্য। সংবিধান মানুষের জন্য। দেশের নাগরিক ততক্ষণই এর ফাঁকফোকরের সামনে নতজানু হবে, যতক্ষণ তা মৌলিক অধিকারকে পিঁপড়ের মতো টিপে মারছে না। কিন্তু সংবিধানকে হাতিয়ার করে যদি কেউ সাধারণ মানুষকে অসহায় পণ্যে পরিণত করে দেয়? সেটা সমাজ মানবে তো? যুগে যুগে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আম আদমিই কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছে। তখন তারা আইন মানেনি। সংবিধানও না। সংবিধান ক্ষমতা দিয়েছে রাজ্যপালকে। আর প্রতিবার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর মানুষ দেখিয়েছে, আসল ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। যে কুর্সির অহংয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান, সেই চেয়ারই কিন্তু আর তখন থাকে না। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বেচ্ছাচারী আবিষ্কার করে, সে প্রাক্তন হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে? ক্ষমতা... পাওয়ার অব কমন ম্যান।   
23rd  July, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বিশদ

28th  August, 2024
একনজরে
রাতের বেলা দামোসের ধারে চলছিল আড্ডা। এমন সময় হঠাৎ আগমন কয়েকজন দুষ্কৃতীর। কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি চলল তিন রাউন্ড গুলি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হলেন এক তৃণমূল কর্মী ...

লখনউয়ে একটি তিনতলা বাড়ি ভেঙে পড়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ...

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়ছে। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। দেশের সেরা টুর্নামেন্টের আগে কতটা তৈরি অংশগ্রহণকারী ১৩টি দল। কোচেরা কী বলছেন, ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে কাদের দিকে— ...

সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM