Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই।
অতঃপর, আমি ফিরে যাই সাধারণ মানুষের কাছে। কথাবার্তা হয় বিধায়ক, অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কৃষক, মহিলা, যুবক-যুবতী এবং সর্বোপরি দলীয় কর্মী ও বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের সঙ্গে। শেষোক্ত ব্যক্তিরা আমাকে একেবারে তৃণমূল স্তরের খবরাখবর দেয়। বিশেষ করে প্রতিক্রিয়া উঠে আসে হাটে-বাজারের স্থানীয় মানুষের আড্ডা থেকে।  গত একদশ যাবৎ, কার্যত প্রতিবছরই খেয়াল করছি যে বাজেটের ‘ঘোষণাগুলি’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। সেসব গুরুত্ব হারাচ্ছে সাধারণ মানুষের আড্ডাতেও।   

ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ 
বাজেট নিয়ে সাধারণের মধ্যে এই হতাশার প্রধান কারণ হল, বাজেট যাঁরা তৈরি করছেন তাঁদের সঙ্গে মাটির-বাস্তবের কোনও যোগাযোগ নেই। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তব মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা। ২০২৪-২৫ সালের কথা ধরা যাক। এই সময়কালের জন্যই বাজেট পেশ হতে চলেছে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই)। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি বাস্তব মূল্যায়নে এটাই প্রকাশিত হবে যে:
•  যুব সমাজ, সমস্ত পরিবার ও সামাজিক ক্ষেত্রে শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম বেকারত্ব। পদ রয়েছে কয়েক হাজার। তার মধ্যে শূন্যপদ মাত্র কয়েক ডজন। কিন্তু তার জন্যই আবেদন জমা পড়ছে লক্ষ লক্ষ প্রার্থীর। একটি লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ দিতে হাজিরও হচ্ছেন তাঁদের সকলে। এই আবহেই ঘটে যাচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ভয়াবহ ঘটনা। চলছে ঘুষের লেনেদন। বেগতিক বুঝে অনেক ক্ষেত্রে চাকরির পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ শেষ মুহূর্তে বাতিলও হচ্ছে। এমন ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের মধ্যেই পড়তে হয় এই বেকার বাহিনীকে। এগুলিই হল একটি বিস্ফোরক বেকার পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ পরিণতি। বিশেষজ্ঞ সংস্থা সিএমআইই’র মতে, বেকারত্বের সর্বভারতীয় হার এখন ৯.২ শতাংশ।  কিছু কাজের সুযোগ নাকি বেড়েছে কৃষি ক্ষেত্রে (সত্যিকার অর্থে যেটা ছদ্মবেকারত্ব), নির্মাণ শিল্পে (যদিও তা অনিয়মিত) এবং গিগ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে (মানে মুক্ত অর্থনীতিসুলভ স্বল্পদিনের পার্টটাইম টাইপের কাজে, যেসব কাজের কোনও গ্যারান্টি নেই)। 
অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা সেই ধরনের স্থায়ী চাকরি চান যাতে কাজের মেয়াদ এবং ন্যায্য মজুরির নিশ্চয়তা নিরাপত্তা রয়েছে। এমন কাঙ্ক্ষিত কাজ বা চাকরি অবশ্য সরকার এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলিতেই পাওয়া সম্ভব। ২০২৪ সালের শুরুতে, এই ধরনের ১০ লক্ষ শূন্যপদ ছিল। নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার ওই শূন্যপদগুলি পূরণ করতে চায়, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। চনমনে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তি, শিপিং, অসমারিক বিমান পরিবহণ, হসপিটালিটি, হেলথকেয়ার বা স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মতো ‘হাই-ভ্যালু’ সার্ভিস সেক্টরে এই ধরনের কাজ বা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা যেতেই পারে। ম্যানুফ্যাকচারিং আউটপুট জিডিপির মাত্র ১৫ শতাংশেই থমকে রয়েছে। কারণ ভারতীয় শিল্পপতি বা বণিকদের তরফে এই ক্ষেত্রে পুঁজি বিনিয়োগে চরম অনীহা দেখা গিয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ‘হাই-ভ্যালু’ সার্ভিস সেক্টরে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য জরুরি হল আর্থিক নীতি নতুনভাবে ঠিক করা। ওইসঙ্গে আরও দরকার, বিদেশি বিনিয়োগ এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির পক্ষে উপযোগী সাহসী পদক্ষেপ। 
• অন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের নাম মূল্যবৃদ্ধি বা মুদ্রাস্ফীতি। সরকারের পরিমাপ অনুযায়ী, পাইকারি মূল্যস্ফীতি ৩.৪ শতাংশের মতো চড়া। একই সময়ে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই মূল্যস্ফীতি ৫.১ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ হয়েছে।  যেহেতু ভারতের সব জায়গায় পণ্য ও পরিষেবা অবাধে পাঠানো যায় না, তাই হার স্থান বিশেষে নানারকম। দাম এরাজ্যে একরকম তো অন্য রাজ্যে আর-এক রকম। এমনকী, একই রাজ্যের ভিতরেও নানা শহর বা অঞ্চলেও দামের তফাত লক্ষণীয়। যেসব জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেখানকার সঙ্গে এবং অনুন্নত প্রান্তিক জেলাগুলিতে জিনিসপত্র ও পরিষেবার দামের হেরফের ঘটে। সম্ভবত জনসংখ্যার শীর্ষ ২০-৩০ শতাংশকে বাদ দিলে দেশের বাকি প্রতিটি পরিবারই মুদ্রাস্ফীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ এবং বেশিরভাগই খেপে রয়েছে। 
বাজেট ভাষণ ও বরাদ্দের ভিতরে বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলার জন্য যতটুকু বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে পাবেন, তাতে আপনার সন্তুষ্টির মাত্রা অনুযায়ী আপনি বড় জোর ৫০ নম্বর দিতে পারেন। 

অন্য দুটি চ্যালেঞ্জ
বাকি ৫০ নম্বর বরাদ্দ করা যেতে পারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং জনগণের জন্য অন্যসকল অগ্রাধিকারের নিরিখে। আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার মান যতদিন নিম্ন থাকবে ভারত ততদিন ‘উন্নত’ দেশের পংক্তিতে পৌঁছবে না।  শিক্ষার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল স্কুলশিক্ষার চিত্রটি। স্কুলশিক্ষার নিঃসন্দেহে বিস্তৃতি ঘটেছে, কিন্তু তা অতিশয় নিম্নমানের। বাস্তব এটাই যে, একটি শিশু গড়ে সাত-আট বছর স্কুলে কাটায়। তব সত্ত্বেও প্রায় অর্ধেক শিশু কোনও একটি ভাষায় তার পাঠ্য অতিসাধারণ বিষয়ও ঠিকমতো পড়ার ও লেখার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। সাধারণ পাটিগণিতের অঙ্কেও তাদের একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা। স্কিলড জব বা যে চাকরিতে বিশেষ দক্ষতা জরুরি, সেইসব কাজের জন্য এরা মোটেই উপযুক্ত নয়। কয়েক হাজার স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্রই এক! স্কুলগুলিতে পড়ার ঘর, শৌচাগার এবং শিক্ষা-উপকরণের ঘাটতি মারাত্মক। এরপর লাইব্রেরি এবং ল্যাবরেটরির পরিস্থিতি নিয়ে ভাববার অবকাশ কোথায়? এই মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধানের ব্যবস্থা কেন্দ্রকেই করতে হবে। এজন্য সর্বতোভাবে সাহায্য করতে হবে রাজ্যগুলিকে। বিতর্কিত জাতীয় শিক্ষানীতি কিংবা কেলেঙ্কারি-জর্জরিত এনটিএ/নিট-এর ধুয়ো তুলে মানবসম্পদ এবং অমূল্য সময় নষ্ট করা অনুচিত।
স্বাস্থ্য পরিষেবা ভালো কিন্তু মোটেই পর্যাপ্ত নয়। যদি পরিমাণের কথা বলেন, তো বলব যে পাবলিক হেলথকেয়ার পরিমাণগতভাবে বাড়ছে কিন্তু তার গুণমান একেবারেই তেমন নয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ন্যাশনাল হেলথ এক্সপেনডিচার অ্যাকাউন্টস বা এনএইচএই অনুসারে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যয় হয় প্রায় ৪৭ শতাংশ। আকারে এবং গুণমানে উভয় ক্ষেত্রেই শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার। তবে তা বেশিরভাগ মানুষের সাধ্যের বাইরে। সার্বিক চিত্র এটাই যে—ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান এবং রোগনির্ণয়ের যন্ত্রপাতি প্রভৃতির যে ঘাটতি রয়েছে তা মারাত্মক। স্বাস্থ্য পরিষেবায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমেছে দুই দিক থেকেই। জিডিপির অনুপাত ধরলে তা কমে হয়েছে ০.২৮ শতাংশ। অন্যদিকে, মোট ব্যয়ের অনুপাতে নেমে গিয়েছে ১.৯ শতাংশে (সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডয়া, ১৫ জুলাই, ২০২৪)। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষ মোটেই খুশি নয়।

কষিয়ে থাপ্পড় 
অন্যান্য লোকের অগ্রাধিকারগুলি হল—থমকে থাকা মজুরি, ক্রমবর্ধমান পারিবারিক ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবহার কমে যাওয়া, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টি, শিক্ষাঋণের বোঝা এবং অগ্নিপথ প্রকল্প। এই চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান এটাই যে, ন্যূনতম মজুরি দৈনিক ৪০০ টাকা করতে হবে, দিতে হবে এমএসপির জন্য লিগাল গ্যারান্টি, মকুব করে দিতে হবে শিক্ষাঋণ এবং তুলে দিতে হবে সেনা বাহিনীতে জওয়ান নিয়োগের অগ্নিপথ নামক প্রকল্পটি।
উপর্যুক্ত বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের চরম অবহেলা ও মশকরার পরিণামে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন জয়ের ক্ষেত্রে বিরাট বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। যদিও তাতে বিজেপিকে অনুতপ্ত বলে মনে হয়নি। কেননা, সরকার তার ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট, ট্রিকল-ডাউন, ক্যাপিটাল বায়াসড অ্যান্ড প্রোটেকশনিস্ট’ মডেল থেকে দেশকে বের করে আনার ব্যাপারে জনসাধারণের সামনে না-দিয়েছে বিবৃতি, না-ইচ্ছা প্রকাশ করেছে অন্যভাবেও।  এমাসে অনুষ্ঠিত ১৩টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও ভোটাররা বিজেপিকে আরও কষিয়ে একটা থাপ্পড় দিয়েছে। এই ভোটে বিরোধীদের মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ জিতেছে দশটি আসনে। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দলগুলির ভোট শেয়ারের যে বৃদ্ধি ঘটেছে সেটিও রীতিমতো নাটকীয় (দ্য হিন্দু, ১৭ জুলাই, ২০২৪)। আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট কি দেওয়াল লিখন অনুযায়ী সাড়া দেবে? পাঠক, আশা ছাড়বেন না। 
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
22nd  July, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
‘জাস্টিস চাই’ দাবির আড়ালে...
তন্ময় মল্লিক

‘নেমে গেলেই তো হল না। সবাই নামছে তো। আমরা আছি। নেমে কেওস না হয়ে যায়। হিতে বিপরীত হয়ে গেলে তো হবে না। কেউ যদি ভাবে এটার সুযোগ নেবে, সুযোগ নিতে পারে।’ কথাগুলি অরিজিৎ সিংয়ের। প্রসঙ্গ আর জি কর। বিশদ

31st  August, 2024
প্রতিবাদের আগুনে এবার নিজেকেও বদলান
সমৃদ্ধ দত্ত

কোনও একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করলে জানতে পারি সকলেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন।  প্রত্যেকেই ন্যায়বিচারের পক্ষে। প্রত্যেক নারী পুরুষ সৎ। সকলেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্য এবং প্রশংসিত। বিশদ

30th  August, 2024
আমাদের আরও ‘অ্যানিম্যাল’ চাই!
মৃণালকান্তি দাস

সম্প্রতি সাংবাদিক গীতা পাণ্ডের একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসিতে। যেখানে লেখিকা প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলিউডের সিনেমা আজও কেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’। তিনি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিআইএসএস-এর একটি গবেষণা তুলে এনেছিলেন। বিশদ

29th  August, 2024
ডাঃ করের সঙ্গে স্বপ্নভঙ্গ বহু দাতার, কৃতীরও
হারাধন চৌধুরী

জন্মদিন আসে, জন্মদিন যায়। কিন্তু তা মনে রেখে পালিত হয় খুব কম জনের। স্বামীজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরু, রাধাকৃষ্ণাণ-সহ হাতেগোনা কয়েকজনকেই আমরা সশ্রদ্ধায় স্মরণ করি। কিন্তু স্মরণীয় মনীষীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বিশদ

28th  August, 2024
একনজরে
রাতের বেলা দামোসের ধারে চলছিল আড্ডা। এমন সময় হঠাৎ আগমন কয়েকজন দুষ্কৃতীর। কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি চলল তিন রাউন্ড গুলি। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে জখম হলেন এক তৃণমূল কর্মী ...

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। অন্তত ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধাতালিকায় স্থান পায়নি। অথচ ...

সকালে ৩২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহও করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। এবার রাতেও রাস্তা পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিল তারা। শনিবার রাতে ...

সম্প্রতি ইউক্রেনের একাধিক শহরে লাগাতার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এবার পুতিনের দেশকে তার মোক্ষম জবাব দিল জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ অধিকৃত খারকিভ অঞ্চলে আকাশ পথে হানায় আগুন ঝরাল ইউক্রেন। সৌজন্যে ‘ড্রাগন ড্রোন’। যা নিমেষের মধ্যে গাছপালা পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
১৮৮৬: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের পত্তন হয়
১৯২৬: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার জন্ম
১৯৩৩: সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের জন্ম
১৯৩৯:  হিন্দু সন্ন্যাসী, রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের প্রতিষ্ঠাতা  স্বামী অভেদানন্দর  মৃত্যু
১৯৫৬: অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর জন্ম
২০২২: দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উন্মোচিত হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ২৮ ফুট উচ্চতার কালো গ্রানাইটের মূর্তি
২০২২: বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৩২ টাকা ১১১.৮৭ টাকা
ইউরো ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৬/৫ রাত্রি ৭/৫৯। স্বাতী নক্ষত্র ২৫/১৫ দিবা ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৪/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৪৩/৪৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ গতে ৯/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/১৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ১/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৯ গতে ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/১ গতে ১/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
২২ ভাদ্র, ১৪৩১, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৩/৫৫। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১/৭। সূর্যোদয় ৫/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৩ গতে ৯/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ১/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩০ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তুহিনকান্ত পান্ডেকে অর্থসচিবের পদে নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় সরকার

07-09-2024 - 11:47:15 PM

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

07-09-2024 - 11:21:33 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে সস্ত্রীক হাজির অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত

07-09-2024 - 11:20:18 PM

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি

07-09-2024 - 11:18:42 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেতা সলমন খান

07-09-2024 - 11:15:13 PM

আম্বানি পরিবারের গণেশ পুজোতে হাজির অভিনেত্রী মাধুরি দীক্ষিত

07-09-2024 - 10:44:53 PM