Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে। কিন্তু নিছক ওই ঘটনাটি নয়, আমাদের কাছে অনেক বেশি উদ্বেগজনক হল, ২০ বছরের ওই তরুণকে দেখে নিজেদের আশপাশে কিশোর, তরুণ মনগুলির দিকে এবার ফিরে তাকানোর বার্তা। আমাদের ঘর এবং বাইরের পরিচিত কিশোর কিশোরীদের তীক্ষ্ণ এবং সূক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করা প্রয়োজন। তাদের মনের একঝাঁক বদলের ইঙ্গিত নেই তো? কেমন তাদের আচরণ, মনোভাব, সামাজিক স্ট্যাটাস? কেন হঠাৎ এই শঙ্কার বার্তা আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশেও কড়া নাড়ছে? কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা ওই টমাস ম্যাথিউ ক্রুক নামক ২০ বছরের তরুণের স্কুল জীবন এবং সামাজিক যাপনের যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই যথেষ্ট ভীতিপ্রদ। ওরকম প্রবণতা আমাদের স্কুলে স্কুলে, পাড়ায় পাড়ায় অবিরত হয়ে চলেছে কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণীদের সঙ্গে।
২০ বছরের টমাস ম্যাথিউ ক্রক নামক শান্ত, অঙ্কে ভালো, চশমা পরা নিরীহদর্শন তরুণ আসলে ঠিক কেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নামক এক মহাশক্তিমানকে হত্যা করার প্ল্যান করল, তার সামান্যতম আঁচ প্রাথমিক তদন্তে এখনও এফবিআই পায়নি। রহস্যের কারণ একঝাঁক হিসেব না মেলা। 
ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী ক্রুকের নাম রিপাবলিকান হিসেবে রেজিস্টার্ড। তাহলে তো সে রিপাবলিকান ভোটার? অথচ সেই ক্রুকই ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে ১৫ ডলারের একটা চাঁদা দিয়েছিল প্রোগ্রেসিভ টার্নআউট প্রজেক্টে। যেটা লিবারাল ভোটার টার্নআউট গ্রুপের প্ল্যাটফর্ম। যার নাম অ্যাক্ট ব্লু। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ও নন রেসিস্ট। 
আবার সেই ক্রুকই ট্রাম্পের দলের সমর্থক ছিল? তাহলে হঠাৎ ঠিক কী কারণে সে ট্রাম্প বিরোধী হয়ে উঠল? কোন ক্রুকটা আসল? 
২০২২ সালে পেনসিলভেনিয়ার বেথেল পার্ক হাইস্কুল থেকে ক্রুক গ্রাজুয়েট হয়। কেমন ছাত্র? ন্যাশনাল ম্যাথ এবং সায়েন্স ইনিশিয়েটিভ তাকে 
৫০০ ডলার পুরস্কারের স্টার অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিল। 
মাত্র পাঁচ মাস আগে তার বাবা কিনেছিল এআর ফিফটিন সেমিঅটোমেটিক রাইফেল। কেন? কারণ তিনি এবং ক্রুক দুজনেই স্থানীয় একটি  শ্যুটিং প্র্যাকটিস ক্লাবের সদস্য। 
ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে ভাষণ দিচ্ছেন তার চারপাশে সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপার ছিল বিভিন্ন বিল্ডিং-এর রুফটপে। ক্রুক সেটা জানবে না এটা হতে পারে না। তাহলে সে এই ঝুঁকি নিল কেন? সে ঠিক কী প্রমাণ করতে চাইছিল? এটাই কি যে, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সিকিউরিটি এজেন্সি সিক্রেট সার্ভিসের থেকেও সে বেশি বুদ্ধিমান এবং অনেক বেশি শার্প? সেটা সে সত্যিই প্রমাণ করেছে। সিক্রেট সার্ভিস ঠেকাতে পারেনি ট্রাম্পের আঘাত পাওয়া।  এই ক্রুককেই স্কুলের শ্যুটিং ক্লাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কারণ তার নাকি নিশানা অত্যন্ত খারাপ! আর আজ সেই ক্রুক দেড়শো মিটার দূরের এক রুফটপ থেকে ট্রাম্পের ডান কানের নীচে লক্ষ্যভেদ করল। ট্রাম্প নিজেই বলেছেন, আমি যদি সেই মুহূর্তে একটা ইমিগ্রেশন নিয়ে একটা চার্ট দেখার জন্য মাথা না ঘোরাতাম, বুলেট লাগত সোজা মস্তিষ্কে। অর্থাৎ ক্রুকের নিশানা সঠিক ছিল। 
ট্রাম্পকে সে রক্তাক্ত করতে পারল! পাল্টা অবশ্যই সিক্রেট সার্ভিসের গুলি হেডশট হয়েছে। ক্রুক তৎক্ষণাৎ প্রাণ হারিয়েছে মাথায় গুলি খেয়ে। কিন্তু সে একঝাঁক প্রশ্ন আর শঙ্কা রেখে গেল মার্কিন গোয়েন্দা, গুপ্তচর আর সিক্রেট সার্ভিসের কাছে। এবং বিশ্বজোড়া মা বাবাদের কাছেও। 
২০ বছরের একটা ছেলে আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সিকে এভাবে ধোঁকা দিতে সক্ষম হল? সে লোন উলফ হয়ে উঠতে চাইল কেন? ক্রুকের মোটিভ তাই এখনও রহস্যে ঢাকা। টানটান এক তদন্তের অপেক্ষায় গোটা বিশ্বের সিকিউরিটি এজেন্সিগুলি।
আমাদের কাছে কেন এই ঘটনা বিপজ্জনক? কারণ আমাদের আশপাশের শান্ত, নিরীহদর্শন কিশোর আর তরুণ মনগুলি সকলের আড়ালে ঠিক কী কী ভাবছে? আমরা তাদের বুঝতে পারছি তো? 
এই প্রশ্ন উঠছে কেন? কারণ আমরা জানতে পারছি পেনসিলভেনিয়ার আপাত নিস্তরঙ্গ এক জনপদে বেথেল পার্ক হাইস্কুলে ক্রুক যখন পড়ত কিছু বছর আগে, তখন সে ছিল প্রায় নিঃসঙ্গ। সম্প্রতি মিডিয়া তার সহপাঠীদের ইন্টারভিউ করেছে। তারা একটি মারাত্মক উদ্বেগের কথা বলেছে। সেটি হল, এই ছেলেটিকে স্কুলে সারাক্ষণ ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা হতো। তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত সহপাঠীদের একাংশ। সে যথেষ্ট হ্যান্ডসাম নয়। স্মার্ট নয়। এসব বলা হয়েছিল। আর তাই স্কুলের লাঞ্চ আওয়ারে সে একা বসে থাকত। কেউ তার বন্ধু ছিল না। তার সহপাঠীরা মিডিয়াকে বলেছে, হি ওয়াজ বিং বুলিড অন এভরি ডে, এভরি অকেশন! অর্থাৎ প্রতিদিনই তাকে হেনস্তা করা কিংবা তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা বাকিদের একটা বিনোদনই ছিল।
আজকাল আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে প্রধান উদ্বেগ এবং অভিযোগ হল, তারা সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। গোটা দিন কেটে যায় স্ক্রিন টাইমে। অথচ কী আশ্চর্য! ক্রুকের কোনও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ ছিল না। এমনকী তার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম কোথাও অ্যাকাউন্ট নেই। ইউটিউব ছাড়া। 
এই যে স্কুলে ক্রমেই বন্ধুহীন হয়ে যাওয়া। এই যে সারাক্ষণ সহপাঠীদের কাছে ব্যঙ্গের শিকার হওয়া, এভাবেই কি ক্রুকের মধ্যে ধীরে ধীরে কোনও অপরাধ মনস্তত্ত্ব তৈরি হয়ে গেল? এই যে স্কুলে তাকে বলা হয়েছিল, সে বন্দুকের নিশানায় ব্যর্থ, তখনই কি সে স্থির করল জীবনে একটা কিছু করে দেখাতে হবে? আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থীকে হত্যা করার পরিকল্পনা নিতে তো বিশ্বের যে কোনও কুখ্যাত অপরাধী অথবা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীরও বুক কেঁপে যাবে। সেখানে মাত্র ২০ বছরের তরুণ এরকম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে গেল কেন? 
বালক কিশোর, তরুণ মনগুলোকে আমরা খুব বেশি বুঝতে পারছি না। ক্রমেই টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটস এসে তাদের আরও দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মাত্র কয়েক দশক আগে পর্যন্ত জেনারেশন গ্যাপ এত প্রকট ছিল না। দেখা যেত আমাদের অভিভাবকদের যে গান, যে সিনেমা ভালো লাগে, আমাদেরও সেই একই গান সিনেমা ভালো লাগছে। অর্থাৎ কালচারাল মাইন্ডসেট খুব ভিন্ন নয়। হুবহু এক না হলেও, নিকটবর্তী ছিল।  সামাজিক অবস্থান, শিক্ষার প্রণালী, চাকরি-বাকরির প্রক্রিয়া, সবই পিতামাতারা জানতেন সন্তানদের মতোই। 
কিন্তু এখন সফটঅয়্যার, এআই অথবা প্রসেসিং কিংবা নানাবিধ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আমাদের সন্তানেরা আদতে ঠিক কী কাজ করে অফিসে গিয়ে, সর্বদা আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তারা মোবাইলে কী দেখে আনন্দ পায়? আমরা সর্বদা জানি না। তারা কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করে? আমরা জানি না। ফেসবুক, ইনস্টা জানি, তার বাইরেও অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আছে, যা আজকের মিলেনিয়ালস ব্যবহার করে। আমরা বুঝি না হয়তো। 
ঠিক এমতাবস্থায় আমাদের কর্তব্য নিজেদের সন্তানদের সঙ্গে বসে তাদের ক্লাসের সহপাঠীদের সঙ্গে আচরণ সম্পর্কে কথা বলা। তাদের বলা যে, দল বেঁধে বিশেষ কাউকে যেন টার্গেট করে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ তথা বুলি করা না হয়। আবার একইসঙ্গে নিজেদের সন্তান কিংবা পরিজনদের কিশোর কিশোরী তরুণদের দিকেও নজর দেওয়া দরকার। কারা খুব একাকী জীবন যাপন করছে? কেন সে একাকী? স্কুলে যেতে চাইছে না কেন? অথবা হঠাৎ কেমন একটা আগ্রাসী, উদ্ধত  মনোভাব কেন? বাইরে সে কোণঠাসা হচ্ছে, সেই কারণেই কি ঘরে আরও বেশি ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে? কাকে বলে ডিপ্রেশন? তাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগসূত্র বাড়ানো দরকার। এবং সবথেকে বড় ভূমিকা শিক্ষক শিক্ষিকার। তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ক্লাসের ভালো রেজাল্ট করা, খারাপ রেজাল্ট করা, সুন্দর দেখতে, খারাপ দেখতে, বড়লোক, অতটা বড়লোক নয় ইত্যাদি তাবৎ ছাত্রছাত্রীকে সমান চোখে! কারা বদলে যাচ্ছে! কারা একাকী হয়ে যাচ্ছে? 
এই যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, এসবই মনোবিদরা বলে থাকেন। আমরা সাধারণ মানুষ। কাউন্সেলিং জানি না। কিন্তু নিজেদের সন্তানদের মন বোঝার চেষ্টা করতেই হবে। সকলে যে টমাস ম্যাথিউ ক্রুকের মতো ভাববে তা অবশ্যই নয়। কিন্তু সেই তরুণ ক্রমেই সকলের অলক্ষ্যে, একাকী জীবন কাটাতে কাটাতে ভয়ঙ্কর অপরাধী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। 
অ্যাডোলোসেন্টদের বুদ্ধি নেই বলে কথায় কথায় তাচ্ছিল্য করার প্রবণতা আছে আমাদের মধ্যে অনেকের। যা একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। কতটা জনপ্রিয় এই ব্যাধি? সবথেকে বড় প্রমাণ হল, একজন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মহাশক্তিশালী নেতা সম্প্রতি লোকসভার মধ্যে তাঁর বক্তৃতায় বিরোধী দলনেতাকে ব্যঙ্গ করার জন্য, বিদ্রুপ করার জন্য এবং হাস্যাস্পদ করে তোলার জন্য বারংবার একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন। ‘বালক-বুদ্ধি’।  প্রধানমন্ত্রী নিজেও মনে করেছেন যে, ‘বালক-বুদ্ধি’ শব্দের অর্থ হল, বুদ্ধিহীন নির্বোধ। অনায়াসে কাউকে অপদার্থ হিসেবে আক্রমণ করতে হলে ‘বালক-বুদ্ধি’ বললেই তাহলে উদ্দেশ্য সাধিত হয়? অর্থাৎ বালকেরা বুদ্ধিহীন? 
আমরা সদ্য জানতে পারলাম একটি উদ্বেগজনক সংবাদ। আমাদের রাজ্যের পাঁশকুড়া থানার মাইসোরা পঞ্চায়েতের একটি স্কুলের প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছিল ছাত্রদের। দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র পুরনো লোহালক্কড় এবং যন্ত্রাংশ দিয়ে একটি বন্দুকের মতো ডিভা‌ইস তৈরি করে স্কুলে নিয়ে এসেছিল। ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক দেখে চমকে যান। পুলিসকে সেই ছাত্র জানিয়েছে, ইউটিউব দেখে সে এটা শিখেছে। দেশের আর্মির হাতে নিজের তৈরি বন্দুক তুলে দিতে চায় সে। খুব ভালো ভাবনা। কিন্তু এভাবে বন্দুক তৈরির চেষ্টা যে অপরাধের তালিকায় পড়ে সেটা হয়তো সে জানেই না। 
বিস্ময়কর এই তথ্য। কেন? কারণ ট্রাম্পকে গুলি করার সময়, টমাস ক্রুকের পরনে যে টি শার্ট ছিল, সেটা একটি ইউটিউব চ্যানেলের ব্র্যান্ডনেমের টি শার্ট। ডেমলিশন র‌্যাঞ্চ। সেই চ্যানেলে দেখা যায়, টার্গেটকে কীভাবে গুলি করতে হয়। ম্যানিকুইন অথবা পরিত্যক্ত গাড়িতে হ্যান্ডগান কিংবা রাইফেল দিয়ে গুলি করার প্র্যাকটিস দৃশ্য থাকে ওই চ্যানেলে। পেনসিলভেনিয়ার ক্রুক ওই ইউটিউবের দর্শক। আবার বাংলার এক গ্রামীণ এলাকার ছাত্রও অন্য এক ইউটিউব দেখে শিখেছে কীভাবে বন্দুকের মতো ডিভাইস তৈরি করতে হয়। 
অ্যাডোলোসেন্ট মন কখন, কীভাবে এবং কোথায় প্রভাবিত হবে, সেটা প্রবল রহস্যময়। তারা বুদ্ধিমান। কিন্তু বড়দের দায়িত্ব সেই বুদ্ধিকে সঠিক পথে চালিত করতে সাহায্য করা! সেজন্য দরকার তাদের লক্ষ্য করা। উদাসীন না থাকা! আমাদের রাজ্যে ভয়ঙ্কর সব কিশোর অপরাধ কিন্তু বহুবার ঘটেছে!  
19th  July, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
একনজরে
শান্তিনিকেতনে পর্যটক ও নারী সুরক্ষায় আরও একধাপ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিল শান্তিনিকেতন থানা। গ্রিন মোবাইল টিম নামের একটি বিশেষ মহিলা সুরক্ষা দল গঠন করল সংশ্লিষ্ট থানা। এর মাধ্যমে ওই মহিলা দল ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব সাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাবে ...

বালুরঘাটে ল’কলেজ পাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে খুনের অভিযোগে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস। পাশাপাশি এক দুষ্কৃতীর বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা ...

গত ২৯ অক্টোবর দেশজুড়ে রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা সরকারি চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়াই ছিল ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। ...

অনুশীলন শুরুর কথা বিকেল চারটেয়। তবে ইস্ট বেঙ্গল মাঠে অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা যখন ঢুকলেন ঘড়িতে তখন পাঁচটা। প্রায় এক ঘণ্টা ড্রেসিং-রুমে ফুটবলারদের সঙ্গে মিটিং সেরেছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হেমু পরাস্ত হন
১৭৯৫: বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ পত্রিকায়
১৮৭০: আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম
১৮৮৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২: বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী জে বি এস হ্যালডেনের জন্ম
১৮৯৩: রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ ও রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী তথা লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ প্রতিমা ঠাকুরের জন্ম
১৯০২: গহরজানের গান দিয়ে কলকাতায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ডিং শুরু হয়
১৯০৫: অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফিরোজ শাহ মেহতার মৃত্যু
১৯১৮: বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক বাণী রায়ের জন্ম
১৯৫৫: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক করণ থাপারের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৮: ক্রিকেটার বিরাট কোহলির জন্ম
২০০৬: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আল দুজাইল ট্রায়ালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মৃত্যু
২০১২: যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪১ টাকা ১১১.১৯ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৮ টাকা ৯৩.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৪৬/১৫ রাত্রি ১২/১৭। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৯/৫৫ দিবা ৯/৪৫। সূর্যোদয় ৫/৪৭/৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩১ মধ্যে পুনঃ ৭/১৬ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১২ মধ্যে পুনঃ ৪/৫৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/১০ গতে ৮/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ৯/৩৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৪৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/২৯ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪১ মধ্যে ও ১/৩৮ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৫/১০ গতে ৫/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১১ গতে ৮/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩১ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম সবজি বিক্রেতা
  এক সবজি বিক্রেতার উপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ...বিশদ

11:06:00 PM

পাঞ্জাবের সাঙরুর জেলায় মাঠেই জ্বালানো হল ফসল, ধোঁয়াচ্ছন্ন এলাকা

10:43:00 PM

গুজরাতে নির্মীয়মান রেল ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে ৩ জন শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ

10:14:00 PM

আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে অংশগ্রহণ করছেন ১৫৭৪ জন প্লেয়ার

09:56:00 PM

পাঞ্জাবের সাংরুরে জমিতে পড়ে থাকা ফসলের গোড়ায় আগুন, চাঞ্চল্য

09:48:00 PM

ভোপালে সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

09:21:00 PM