Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে। 
রক্তাক্ত ট্রাম্পের মুষ্টিবদ্ধ হাত তোলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ছেলে এরিক ট্রাম্প। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘এই যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন।’ আমেরিকার রাজনীতিতে এমন একটি ঘটনা নিয়ে এরই মধ্যে যে লড়াইয়ের সূচনা হয়েছে, তা আগামীতে আরও কুৎসিত রূপ নেবে বলেই ধারণা করা যায়। আর এটাই এই নির্বাচনের প্রচারের ধরন বদলে দেবে। ট্রাম্প নিজেকে একজন ‘ভিকটিম’ হিসেবেই উপস্থাপন করতে চাইবেন, যাতে তাঁর 
প্রতি সহানুভূতি বাড়ে। নিজেকে ‘প্রায়-শহিদ’ হয়ে যাওয়া একজন বলে হাজির করতে চাইবেন। ফলে এই একটা ঘটনায় ডেমোক্র্যাটদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে!
এই হতাশা অবশ্য হঠাৎ করে আসেনি। দিন কয়েক আগে এক সকালবেলা ডেমোক্রেটিক পার্টির এক সোর্সকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন শার্লট। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চান। উত্তর এল, ‘Death is better than this।’ মেসেজ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন টাইম ম্যাগাজিনের প্রখ্যাত সাংবাদিক শার্লট অল্টার।
আসলে আমেরিকার বাতাসে কান পাতলেই এখন এই হতাশা আর আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। সর্বত্র আলোচনার বিষয় সেই একই—‘এটা কী ভোট হচ্ছে? আমরা তো আবার একই কাজ করতে চলেছি?’ ভোট দিতে হবে— এই চিন্তায় দেশের মানুষ এখন ভয়ে কাতর। সমীক্ষায় প্রতি ১০ জনে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক বলেছেন, এই নির্বাচন হবে ‘ভয়ঙ্কর’। কেউ কেউ আবার বলছেন, এই ভোট ‘ক্লান্তিকর’, ‘হতাশাব্যঞ্জক’, ‘গতানুগতিক’। দলের কর্মীরাও ক্লান্ত। স্বেচ্ছাসেবীরা পা ঘষছেন। পাঠক-শ্রোতা-দর্শকরা আর রাজনৈতিক খবরে আগ্রহ পাচ্ছেন না। জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে রাজনৈতিক খবরের চাহিদায় ভাটা পড়ে গিয়েছে। আসলে সবারই মোহভঙ্গ ঘটেছে। আর এটাই এই নির্বাচনের থিম।
বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য বলছে, ট্রাম্পের কাছে বাইডেন পরাজিত হবেন। ২০২০ সালেও এমন হয়নি। ওই সময় ভোটারদের অংশগ্রহণের হার ছিল সবচেয়ে বেশি। অল্পের জন্যই রক্ষা পেয়েছিলেন বাইডেন। এবার ট্রাম্প রাউন্ড টু-তে খেলতে নেমেছেন। অনুজ্জ্বল জোট, ভোটের ফ্যাকাশে ফল এবং সমর্থকদের মধ্যে গেঁড়ে বসা ধারণা যে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে বাইডেন অনুপযুক্ত। বাইডেন এই ম্যাচে নেমেছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। লরি গোল্ডম্যান ট্রাম্পকে হারাতে আট বছর ধরে কাজ করছেন। ‘ফেমস অ্যান্ড ডেমস’ এর প্রতিষ্ঠাতা গোল্ডম্যান মিশিগানে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে সদস্য সংগ্রহ, প্রার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ করেছেন। সেই গোল্ডম্যান বলছেন, ‘আমরা আমেরিকার রাজনীতি নামে একটা নিষ্ক্রিয় প্রতিষ্ঠানে আটকা পড়েছি। এই পরিস্থিতির উন্নতির কোনও সুযোগ নেই। এখন নিজেকে প্রশ্ন করি, ‘এত কিছু কেন করেছি? সপ্তাহান্তে এই যে এত এত মানুষকে ফোন করে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা, স্কুলের পরে তহবিল সংগ্রহ, বৃষ্টি আর বরফ উপেক্ষা করে প্রচার চালানো, সন্তানদের বঞ্চিত করা—কী লাভ হল?’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে যাঁরা টাকাপয়সা দিতেন, তাঁরাও এখন আর টাকা খরচ করতে চাইছেন না। হতাশা আর হতাশা!
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বাইডেনের নড়বড়ে জোটকে আরও দুর্বল করেছে। তরুণ ও প্রগতিশীল ভোটারদের মনে বাইডেনকে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অথচ, ২০২০ সালে এই ভোটাররাই ট্রাম্পকে পরাজিত করতেই ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। এখন তাঁরা বলছেন, ডেমোক্র্যাটদের ধারা এমন নয়। রিপাবলিকানরা হয়তো এভাবে চলতে পারে। এসবই ২০১৬ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় অনলাইনে হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে যা-ই বলা হতো, সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ শুরু হয়ে যেত। জো বাইডেনের অবস্থাও এখন একই।
অবস্থা এমন যে, ভোট বিতর্কের মঞ্চে জো বাইডেন কী বলেছেন, সেটা বড় ব্যাপার ছিল না, তিনি কীভাবে বলেছেন, সেটাই মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তাঁর গলার স্বর ছিল খুব দুর্বল। বারবার তিনি কথার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি কী বিষয়ে কথা বলছেন, তা–ও বারবার ভুলে যাচ্ছিলেন। তাঁকে অতি বার্ধক্যজর্জর দুর্বল মানুষ মনে হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টিভি বিতর্কে অংশ নেওয়ার পর বাইডেন এমনই বিব্রতকর ও বিপর্যয়কর অবস্থার মুখে পড়েছিলেন। বিতর্কের পর মিত্র ও শত্রু উভয় শিবির থেকে উত্তপ্ত সমালোচনার ঝড় বাইডেনের সাদা চুলের মাথার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। ট্রাম্প শিবির বলছে, টিভি বিতর্কে বাইডেনের লক্ষ্য ছিল একটাই। ৮১ বছর বয়সে এসেও তিনি যে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের জন্য শারীরিকভাবে ঠিক আছেন, সেটা প্রমাণ করা। তাতে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রিপাবলিকানদের এই ধারণায় অনেক আমেরিকানই একমত। তবে বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে বাইডেনের ধরাশায়ী হওয়ার বিষয়টি দোদুল্যমান ভোটারদের কতটা প্রভাবিত করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেকেই বলছেন, বাইডেনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে প্রচণ্ড আত্মগৌরবে ভুগতে থাকা একগুঁয়ে বাইডেনকে বসিয়ে দেওয়ার যেকোনও চাপ তিনি প্রতিহত করবেন। তিনি কিছুতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন না। এটা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটদের প্রথম সারির নেতারা যে মুখ ফুটে বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলবেন, সেটিও কারও পক্ষে সম্ভব নয়। আমেরিকার জন্য এটা নিঃসন্দেহে তীব্র নির্বাচনী সঙ্কটের একটি মুহূর্ত। তবে বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের পুনর্নির্বাচনের আশাকে কবর দেওয়ার আগে বিশ্বের একটু বিরতি নেওয়া ও গভীর শ্বাস নেওয়া উচিত।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর কলামিস্ট সাইমন টিসডাল লিখছেন, বিতর্কের গোলমালের মধ্যে ট্রাম্পের নিজের জঘন্য পারফরম্যান্সও ঢাকা পড়ছিল। তাঁকে যতটা না প্রেসিডেন্টের মতো দেখাচ্ছিল, তার চেয়ে বেশি দেখাচ্ছিল শিকারির মতো। তাঁকে যতটা না প্রার্থী মনে হচ্ছিল, তার চেয়ে বেশি ঘৃণ্য উৎপীড়ক মনে হচ্ছিল। তিনি অবলীলায় একের পর এক মিথ্যা বলে গিয়েছেন। তাঁর কাছে সব নীতিই হল কুসংস্কার। মানুষটি যে কত বিপজ্জনক, তার সময়োপযোগী অনুস্মারক হয়ে রইল এই বিতর্ক। ট্রাম্পের আক্রমণ ও আঘাতগুলি বাস্তব-বিবর্জিত ভিত্তিহীন বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি দাবি করেন, বাইডেন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং চীনের কাছ থেকে তিনি নাকি অর্থ নিয়েছেন। কিন্তু এ কথার সমর্থনে তিনি কোনও প্রমাণ হাজির করেননি। ট্রাম্প বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের ঢেউ ‘আমাদের নাগরিকদের উপর আছড়ে পড়ছে এবং আমাদের হত্যা করছে’। এই কথাও ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। ট্রাম্পের সবচেয়ে হাস্যকর বক্তব্য ছিল, বাইডেন নাকি রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলা চালাতে ‘উৎসাহিত’ করেছিলেন। অথচ, সবাই জানেন, ট্রাম্পই ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে থাকেন। সবাই জানেন, ট্রাম্প পুতিনের মতোই স্বৈরশাসক হতে চান। তিনি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, নির্বাচিত হলে একদিনের জন্য হলেও তিনি ‘ডিক্টেটর’ হবেন। সব রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। বাইডেন এই তালিকার বাইরে নন।
২০২০ সালে ট্রাম্প পরাজিত হওয়ার পর উদারপন্থীদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ট্রাম্পের ফিরে আসা সময়ের অপেক্ষা। ট্রাম্পের ফিরে আসার প্রকৃত বিপদ সম্পর্কে বুঝতে হলে তাঁর হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাঁর চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করা জন কেলির সাক্ষ্য তুলে ধরা যেতে পারে। কেলি তাঁর প্রাক্তন বস ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমেরিকা কীসের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেই সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি স্বৈরাচারী ও খুনি স্বৈরশাসকদের প্রশংসা করেন এবং আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আমাদের সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি তাঁর অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নেই।’
সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে ব্যর্থ হওয়ার পর জো বাইডেনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি ক্রমে জোরালো হচ্ছে। প্রথমে সেই দাবি তুলেছিলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রচারকরা, তারপর ডেমোক্র্যাটিক সমর্থক কলাম লেখকেরা। এখন দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও আওয়াজ তোলা শুরু করেছেন। বাইডেনের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর অধিকাংশই কোনও না কোনও অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ার গেভিন ন্যুসাম ও মিশিগানের গ্রেচেন হুইটমার। এমনকী মিশেল ওবামার নামও শোনা যাচ্ছে। তালিকায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নামও। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ট্রাম্প বাইডেনের তুলনায় ৬ পয়েন্টে এগিয়ে (৪৯:৪৩)। ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ সাতটি অঙ্গরাজ্যের পাঁচটিতেই তিনি বাইডেনের তুলনায় ৫ থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে। অন্যদিকে ট্রাম্প ও কমলার মুখোমুখি লড়াইয়ে তাঁদের ব্যবধান মাত্র ২ শতাংশ (ট্রাম্প ৪৭, কমলা ৪৫)। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, নিজের ‘ইগো’কে প্রাধান্য না দিয়ে বাইডেন দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিবেচনায় রেখে সরে দাঁড়াবেন— সেটাই কাম্য। ডেমোক্র্যাটরাও আশা করছেন, বালিতে মাথা গুঁজে না রেখে তিনি দেওয়ালের লিখন পড়বেন।
বাইডেনকে এগিয়ে আসতে হলে নভেম্বরের মধ্যে ছোটখাটো কোনও অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে হবে। 
তবে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাইডেনের বিকল্প ‘ভয়ঙ্কর’। এক মার্কিন নাগরিক যেমন বলেছেন, ভোটারদের এখন একজন বৃদ্ধ ও একজন বাটপার— এই দু’জনের মধ্যেই একজনকে বেছে নিতে হবে। এটাই ভয়ঙ্কর!
18th  July, 2024
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
একনজরে
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’ তাণ্ডবের মধ্যেই পাল্টা প্রতিরোধের ছবি দেখা গেল বাংলাদেশের গাজিপুরে। শুক্রবার রাতে আওয়ামি লিগের নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর করতে গিয়েছিল ‘ছাত্র-জনতা’। তাদের বাধা দিয়ে গণপিটুনি দিল স্থানীয় বাসিন্দারাই। রীতিমতো আটকে রেখে ‘হামলাকারী’দের মারধর করা হয়। ...

সরকারি হাসপাতালে পিপিপি মডেলে তৈরি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে বড়সড় ভুল। এই অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্যদপ্তরের। তদন্ত শেষে গ্রেপ্তার সেন্টারের মালিক। ধৃতের নাম গগনচন্দ্র হালদার। ...

বইমেলায় সভা চলছে। মাইক থেকে ভেসে আসছে কবি-সাহিত্যিকদের সাবধানবাণী, ‘প্রেম কিন্তু কখনওই নিরাপদ নয়। কখন যে প্রেমিক-প্রেমিকা অন্য কারও হয়ে যাবে, বলা মুশকিল।’ ...

জয়ে ফিরল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তৃতীয় সারির দল লেটন ওরিয়েন্ট এফসি’কে ২-১ গোলে হারাল তারা। শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের ডেরায় দল জিতলেও ছেলেদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উত্তম ধনোযোগ পরিলক্ষিত হয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে দিনটি ভালো বলা যায়। কাজকর্মে শুভফল লাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭- ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লর্ড ক্লাইভ ও বাংলার নবাব সিরাজদৌল্লার মধ্যে আলিনগর সন্ধি হয় এবং বৃটিশরা কলকাতার দখল নেয়
১৮৪৩- মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন
১৮৪৭- বিশিষ্ট আইনজ্ঞ অধ্যাপক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি রেজিস্ট্রার কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৯- বাংলার গুপ্ত সমিতির বিপ্লবী নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধ চন্দ্র বসু মল্লিক বা রাজা সুবোধ মল্লিকের জন্ম
১৮৯৫- উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন
১৮৯৭- ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি জাকির হুসেনের জন্ম
১৯০০- ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়
১৯০৯- বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২২- ইংরেজ ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার জিম লেকারের জন্ম
১৯৫৮- বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের জন্ম
১৯৬৫- ভারতে প্রথম ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ রফিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
১৯৬৮- বলিউড অভিনেতা রাহুল রায়ের জন্ম
১৯৭০- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯- সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় তথা বনফুলের মৃত্যু
১৯৯৪- নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী ৩২/৫৫ রাত্রি ৭/২৬। আর্দ্রা নক্ষত্র ২৯/৩ সন্ধ্যা ৫/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৬/৫, সূর্যাস্ত ৫/২৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৩ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী রাত্রি ৮/৬। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫২। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৫/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ গতে ৯/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৬ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১২/১৩ গতে ৩/৩১ মধ্যে।
১০ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা উত্তম মোহান্তি
গুরুতর অসুস্থ ওড়িয়া অভিনেতা উত্তম মোহান্তি। গতকাল, শনিবার চিকিৎসার জন্য ...বিশদ

02:31:30 PM

দ্বিতীয় ওডিআই: ২৬ রানে আউট ফিলিপ সল্ট, ইংল্যান্ড ৮১/১ (১০.৫ ওভার)

02:23:00 PM

দ্বিতীয় ওডিআই: হাফসেঞ্চুরি করলেন বেন ডাকেট, ইংল্যান্ড ৮০/০ (১০.৩ ওভার)

02:22:00 PM

নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জামা-কাপড়, খাবার পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা

02:20:00 PM

নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ড: স্থানীয়দের ক্ষোভ থেকে বাঁচতে থানায় আশ্রয় নিলেন কাউন্সিলর

02:18:00 PM

নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ড: মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তরা সকলেই ঘর পাবেন বলে জানালেন স্থানীয় কাউন্সিলর

02:17:00 PM