Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। কিন্তু কী দেখা যায়? দেখা যায়, ওই বেঁচে থাকা টাকা দিয়ে যখন আমরা বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছি, তখন তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একাধিক সেস। অর্থাৎ যা প্রকৃত বিদ্যুৎ বিল হয়েছে, তার থেকে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। নিচ্ছে সরকার। সন্তানের জন্মদিনে কোনও রেস্তরাঁয় হয়তো আমরা খেতে গেলাম। যা বিল হয়েছে, তার উপর স্টেট এবং সেন্ট্রাল জিএসটি দিতে হচ্ছে। সঙ্গে সার্ভিস ট্যাক্স। বেঁচে থাকা টাকায় যতবার মাসকাবারি নিত্যপণ্য কিনছি, প্রত্যেকবার যে কোনও পণ্যের সঙ্গে জিএসটি দিতে হয়। কতটা? চাল, ডাল, ময়দার উপরও জিএসটি দিতে হবে। কেন? কারণ সেগুলি প্যাকেট করা। গোটা মাসের সংসার খরচ বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে ব্যাঙ্কে আমরা নিজেদের উদ্বৃত্ত অর্থ সঞ্চয় করলাম ফিক্সড ডিপোজিট করে। কেন? কারণ আমাদের কষ্টার্জিত টাকা থেকে আমরা সুদ পাব। সেই টাকা কোনও কাজে ব্যবহার করব। অথবা এভাবে আমাদের টাকা বাড়বে। কিন্তু তাও হবে না। সেই টাকা থেকে প্রাপ্ত সুদও পুরোপুরি আমাদের হবে না। ম্যাচিওরিটির পর যে অর্থ হবে, তার উপরও ট্যাক্স নিয়ে নেবে সরকার। পেট্রল ও ডিজেলের যা প্রকৃত দাম, তার উপর মাত্রাছাড়া ট্যাক্স। ট্রেনে যাব, প্লেনে যাব, হোটেল থাকব, গাড়ি ভাড়া নেব। প্রতিবার আমরা ট্যাক্স দেব। সারাদিনে একজন দেশবাসী হিসেবে নিজের অজান্তে অথবা জ্ঞানত যে কত টাকা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে চলেছি তার হিসাব হয় না। 
আমাদের শারীরিক শক্তি আছে। কারও আর্থিক শক্তি আছে। কেউ উচ্চশিক্ষিত। কেউ মাঝারি। কেউ হয়তো প্রথাগত শিক্ষায় বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। আমাদের সব আছে হয়তো। অর্থাৎ লোকবল। অর্থবল। মানসিক শক্তি। কিন্তু ধরা যাক যা নেই, তা হল, এই সমাজে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তার নাম সোর্স। অর্থাৎ এই যে আমরা আমাদের পরিশ্রম করে অর্জন করা অর্থ থেকে সারাদিন ধরে, সারা মাস ধরে, সারা বছর ধরে সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে চলেছি নানারকম নামের আড়ালে, তা সত্ত্বেও আমাদের ক্রাইসিসের সময় কোনও পরিষেবাই কিন্তু পাব না। কারণ আমাদের সোর্স নেই। হঠাৎ হাসপাতালে কোনও স্বজন ভর্তি হওয়ার পর রক্ত লাগলে, আমরা কি যখন তখন অনায়াসে রক্ত পাব? হাসপাতালের বেড? অথবা অপারেশনের ডেট? সবই সোর্স। কোভিডকালে যারা দিল্লি থেকে মুম্বই। জয়পুর থেকে বেঙ্গালুরুতে, অক্সিজেন না পেয়ে বড়লোকদের হাসপাতালেও অবিরত প্রাণ হারিয়েছেন, তারা কিন্তু নিয়মিত ট্যাক্স দিয়েছিলেন। কোনও রাজ্যে অথবা কেন্দ্রীয় সরকারে, একজনও মন্ত্রী, বিধায়ক, এমপিদের দেখা যায়নি যাঁদের অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে। 
এই জানা কথাগুলো আবার বলা হচ্ছে কেন? কারণ সম্প্রতি জুলাই মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি বার্তা দিয়েছে যে, এবার থেকে আর প্রতি মাসে কত টাকা জিএসটি বাবদ সরকার আদায় করেছে এই হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না। এত বছর ধরে কিন্তু সরকার প্রতি মাসের হিসাব নিয়ম করে প্রকাশ করেছে। এমনকী মে মাসের হিসাবও পেয়েছি আমরা। কেন এই সিদ্ধান্ত? মনে করা হচ্ছে, জিএসটি আদায় লাফিয়ে লাফিয়ে যেভাবে বাড়ছে, সেটা কার্যত মানুষের মধ্যেও প্রশ্ন তৈরি করছে যে, আমাদের থেকে সরকার এই বিপুল অর্থ আদায় করছে, আমরা বিনিময়ে কী পাচ্ছি? অথবা সরকার কি তাহলে দেশবাসীকে রীতিমতো আর্থিকভাবে সন্ত্রাসই চালাচ্ছে? কথাটি সত্যি। শেষ হিসেব পর্যন্ত এক মাসে সরকার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে জিএসটি থেকে। যেভাবে জিএসটি আরোপ করা চলছে এবং ট্যাক্স কাঠামোর বদলের দিকে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক অথবা জিএসটি কাউন্সিল, আগামী দিনে দ্রুত ২ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে জিএসটি আদায়। 
আয়কর এবং কর্পোরেট ট্যাক্স বাবদ সরকার প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে বিগত আর্থিক বছরে। মনে রাখতে হবে, এর বাইরে রয়েছে জিএসটি আদায়। যা অন্তত ১৫ লক্ষ কোটি টাকা হবেই। যারা কর্পোরেট ট্যাক্স ও ব্যক্তিগত আয়কর দিচ্ছে, তারাও জিএসটি দিচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই যারা করযোগ্য আয় করি, তাদের উপর আয়কর, জিএসটি, সেস, সার্ভিস ট্যাক্স, এক্সাইজ ট্যাক্স সব পৃথক পৃথকভাবে আরোপিত হয়। একই মানুষ সরকারকে অসংখ্য ট্যাক্স দিয়ে চলেছি। অথচ আয় একটাই। যেই অতিরিক্ত আয়ের চেষ্টা কেউ করবে, সেটা যদি সাদা টাকা হয়, সঙ্গে সঙ্গে আবার ট্যাক্স দিতে হবে। 
একটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে কত টাকা ব্যয় হয়? দেশের রাজ্যে রাজ্যে অনেক বেশি সরকারি মেডিকেল কলেজ কেন নির্মাণ করা হয় না? সরকারি হাসপাতাল রাজ্যে রাজ্যে বাড়ে না কেন? ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে মুম্বই থেকে আমেদাবাদে বুলেট ট্রেন তৈরি করতে। আমাদের কী কাজে লাগবে? ধনীদের বিলাস ছাড়া বুলেট ট্রেনের সামান্যতম প্রয়োজনীয়তা ভারতে নেই। বিশেষ করে কোভিডে যেখানে অক্সিজেন, হাসপতাল বেড আর ব্ল্যাকমার্কেটে ওষুধ না পেয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের শেষ নিঃশ্বাসের বাতাস কেটে বুলেট ট্রেন যাচ্ছে, এই দৃশ্যটির মধ্যে সভ্য সমাজের চরম লজ্জা জড়িয়ে থাকবে। 
ইন্ডিয়া রেটিংস রিসার্চ মঙ্গলবার যে সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে সেটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি সিদ্ধান্ত এবং একটি কোভিড মিলিয়ে ভারতের সমাজ ও অর্থনীতির একটি বৃহৎ অংশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। ১০১৬ সালের নোটবাতিল, ২০১৭ সালের নতুন জিএসটি চালু এবং ২০২০ সালের কোভিড, এই তিন ফ্যাক্টর মিলিয়ে সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে ভারতের। অসংগঠিত সেক্টরের ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে গিয়েছে। ৬৩ লক্ষ অসংগঠিত সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র পাড়ার কারখানা, দোকান কিংবা ছোটখাটো উৎপাদন ‌ইউনিট এমনকী শাড়ি ব্লাউজ বিড়ি লেদ মেশিনের উৎপাদন ইউনিটও হতে পারে। ভারতের মোট ওয়ার্কফোর্সের ৪৪ শতাংশই এই অসংগঠিত সেক্টরে কাজ করে। অকৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের অবস্থা কতটা উদ্বেগজনক? ২০১৬ সালে কর্মীসংখ্যা ছিল ১২ কোটি। কমতে কমতে ২০২২ সালে সেটা হয় ১০ কোটি। 
হাজার হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছে নোটবাতিলের সময়। কোভিডের সময়। অথচ আমরা বিগত বছরগুলিতে সরকারকে দেখেছি যে, তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিক্ষা নিয়ে? ওই পরিস্থিতি আবার এলে যাতে এরকম ভয়ঙ্কর কর্মহীনতা অথবা মৃত্যুমিছিল আর না আসে, এরকম কোনও মরিয়া মনোভাব দেখা গিয়েছে? আমরা কি দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের চারপাশে প্রচুর অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার? কারণ সেই ঘোষণাই তো করা হয়েছিল ওই সময়! রাজ্যে রাজ্যে নাকি একঝাঁক করে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হবে? নতুন সংসদ ভবন, রামমন্দির, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টি নিয়ে রাষ্ট্রকে যতটা উত্তাল এক উৎসবের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রনায়ক, সেই অনুপাতে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, বিনা চিকিৎসা, সঞ্চয়হীনতা ইত্যাদি মানুষের চরম সঙ্কটমোচনে কী কী উৎসব হয়েছে? জিরো! গত ১০ বছরে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৪৬ শতাংশ। অথচ ট্যাক্স ছাড়ের ৮০ সি ধারায় সঞ্চয়ের ঊর্ধ্বসীমা বেড়েছে সেই ১০ বছর আগে। ২০১৪ সালে। তারপর থেকে এক টাকাও বাড়ানো হল না। 
রাষ্ট্রের তো উচিত ছিল ওষুধের দাম কমাতে কমাতে একেবারে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা! আদতে কি তাই হল? বরং গত এপ্রিল মাসে সাড়ে আটশোর বেশি ওষুধের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। সরকারের ড্রাগ প্রাইসিং কমিটিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা সদরে একটি করে জেলা হাসপাতাল। মহকুমা হাসপাতাল। ব্লক হাসপাতাল। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই তো প্যাটার্ন। বিগত ৩০ বছরে এই ফরম্যাটের কোনও বদল দেখছি আমরা? আজও তো সেইসব হাসপাতালকেই সরকারি হাসপাতাল নামে চিনি, যেগুলো ৩০ বছর আগেও ছিল। স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় সরকার ৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে। আমাদের রাজ্য কী কী পেল ওই টাকায়? কী কী বদলেছে? 
১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ জুলাই। এই যে ২ বছর কেটে গেল, আমরা আম জনতা জানতে চাইছি যে, ওই ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকায় কী কী কাজ হল? উল্টে তো বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিদের লুটপাট চালানোর ব্যবস্থা করে নেওয়া হল! যে যেমন পারছে রিচার্জের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের যাদের খুব সীমিত আয়, তাদের সরকারি পরিষেবাই হতে পারত শেষ আশ্রয়। বৃহৎ কর্পোরেট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষমতা নেই। বিল দিতে পারব না। স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামও আয়ত্তের বাইরে। তাই সরকারি হাসপাতাল ভরসা। বেসরকারি টেলিকম কোম্পানির উচ্চহারের রিচার্জ অথবা পোস্টপেইড বিল দিতে সক্ষম নই। তাই সরকারি বিএসএনএলের দিকে তাকিয়ে থাকি। অথচ কই, সরকার তো জানাচ্ছে না ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকায় কী কী করা হয়েছে? টাকার অঙ্কটা  তো আমরা কাগজে কলমে লিখতেই পারব না সংখ্যায়! কিন্তু আমরা সরাসরি প্রশ্ন করছি, ওই টাকা কোথায় গেল? বিএসএনএল পুনরুজ্জীবিত হল না কেন? কত টাকা জিএসটি থেকে আদায় হচ্ছে এবার থেকে সেটা গোপন রাখা হবে কেন? মানুষ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছে। অথচ সরকার সেই মানুষকে কিছু দিচ্ছে না। রক্ষকই ভক্ষক! সরকারের উত্তর হবে কেন ট্যাক্সের টাকা দিয়ে রাস্তা হয়, সেতু হয়, রেললাইন হয়। তাই নাকি? একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ছে। ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়মে পরিণত। একটি বর্ষায় রাস্তা সাফ। টাকাগুলো কোথায় যায়? 
সবথেকে বিস্ফোরক তথ্য দেখা যাচ্ছে বিগত আর্থিক বছরের কর আদায়ের পরিসংখ্যানে। মোট যত ট্যাক্স সরকার আদায় করেছে, তার মধ্যে বেনজিরভাবে এই প্রথম কর্পোরেট ট্যাক্সের তুলনায় ব্যক্তিগত আয়কর জমা হওয়ার পরিমাণ বেশি হয়েছে! ধনী আয় করবে বেশি, ট্যাক্স দেবে কম। মধ্যবিত্ত আয় করবে কম, ট্যাক্স দেবে বেশি! ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন,আজ থেকে নতুন কালচক্র শুরু হল। এক হাজার বছর থাকবে এই কালচক্র। অর্থাৎ রামরাজ্য। এটাই প্রকৃত সেই নতুন কালচক্র। রাষ্ট্রকে টাকা জোগাবে আম জনতা। বিনিময়ে রাষ্ট্র দেবে জ্ঞানগর্ভ ভাষণ আর স্লোগান?
12th  July, 2024
‘বেগমপাড়া’ এক অবৈধ স্বর্গরাজ্য!
মৃণালকান্তি দাস

টরন্টোর পাশে লেক অন্টারিওর তীরের এক ছোট্ট শহর। মিসিসাগা। বছর দশেক আগে শহরের একটি বড় কন্ডোমিনিয়াম (বহুতল ভবন) হঠাৎ করেই কানাডার সংবাদমাধ্যমের নজরে আসে। সেই কন্ডোমিনিয়ামে মূলত থাকেন দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া বহু অভিবাসী পরিবার। বিশদ

প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

21st  August, 2024
জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। বিশদ

20th  August, 2024
সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়! তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। বিশদ

15th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল।
বিশদ

13th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি?
বিশদ

11th  August, 2024
এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। বিশদ

10th  August, 2024
একনজরে
বুধবার পেভার ব্লকের রাস্তার কাজকে ঘিরে দু’পক্ষের গণ্ডগোলের জেরে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহে। ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত তিনজন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসার ...

করোনা-পরবর্তীকালে রাজ্যে আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা রাখতে একাধিক উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্য অর্থদপ্তর ঘোষণা করে যে, ক্রেতারা স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় পাবেন। সার্কেল রেটে ...

আজ বৃহস্পতিবার নবান্নে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার ফিলিপ গ্রিন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বৈঠক করছেন কৃষিমন্ত্রী। ...

মার্কিন ডলারের সাপেক্ষে ভারতের অর্থনীতি ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে হবে। তাহলে ২০৪৭ সালের মধ্যে এদেশের অর্থনীতি ৫৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছনো সম্ভব। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও ব্যবসাদি কর্মে অর্থাগম বেশি হবে। লেখাপড়া ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে গতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মাদ্রাজ (চেন্নাই) দিবস, ভারত
১৬৪২: ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু
১৬৩৯: মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই) শহরের প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
১৮১৮: ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস-এর মৃত্যু
১৯১১: গায়ক দেবব্রত বিশ্বাসের জন্ম
১৯১৫: অভিনেতা শম্ভু মিত্রের জন্ম
১৯৩২ : বিবিসি প্রথম নিয়মিত টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৫৫: রাজনীতিক ও বিশিষ্ট অভিনেতা চিরঞ্জীবীর জন্ম
১৯৮৯: নেপচুন গ্রহে প্রথম বলয় দেখা গেল
২০০০: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রথিতযশা কবি ও ফরাসি ভাষা ও খ্যাতনামা অধ্যাপক ও অনুবাদক  অরুণ মিত্রর মৃত্যু
২০০৫: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্যা ও সংগীত-নৃত্য ও অভিনয়ে পারদর্শিনী  অমিতা সেনের (আশ্রমকন্যা) মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৯ টাকা ৮৪.৭৩ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪৯ টাকা ১১১.০২ টাকা
ইউরো ৯১.৬৬ টাকা ৯৪.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪। তৃতীয়া ২১/৮ দিবা ১/৪৭। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪১/৫৫ রাত্রি ১০/৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৫। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৯ গতে ১/৪ মধ্যে।    
৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫০। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫২ গতে ৬/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে। 
১৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

21-08-2024 - 11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

21-08-2024 - 10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

21-08-2024 - 10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

21-08-2024 - 10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

21-08-2024 - 10:02:32 PM

এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারকে জেড প্লাস ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকার

21-08-2024 - 09:32:44 PM