ঢাকা: ছাত্র আন্দোলনের জেরে রাজনৈতিক পালাবাদল ঘটেছে বাংলাদেশে। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবির মুখে একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ১১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, দু’টি সরকারি কলেজ ও ৬টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্র ও গণ আন্দোলনের জেরে  ৫ আগস্ট আওয়ামি লিগ সরকারের পতন হয়। মসনদে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের আমলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। শুধু ছাত্র রাজনীতিতেই কোপ পড়েনি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করেছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার পর্যন্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা রাজনীতি করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে ১৩টি প্রতিষ্ঠান। আরও অন্তত ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। ছাত্র আন্দোলনে পালাবদলের এক পক্ষকালের মধ্যে বাংলাদেশে এটাই সামগ্রিক চিত্র।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলের 
মৌলনা ভাসানি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি), ইডেন মহিলা কলেজ ও রাজশাহী কলেজ। এর মধ্যে ইডেন ও রাজশাহী কলেজ ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া ছয় মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ও কুষ্ঠিয়া মেডিক্যাল কলেজ। এ ছাড়া অন্তত ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।