Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। গণতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ যে বিরোধী শক্তি, তারা উপেক্ষিত হয়েছে সবরকমে। রাজ্যে রাজ্যে বেনজির নিপীড়নের শিকার হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বস্তুত ‘কংগ্রেস-শূন্য’ ভারত নির্মাণের সংকল্প নিয়ে ‘বিরোধী-শূন্য’ ভারত গড়ার দিকেই পদক্ষেপ করেছে গেরুয়া শিবির। এই ভাবনা একেবারেই স্বৈরতন্ত্রসুলভ। ভারতের গণতন্ত্র এ জিনিস কখনোই প্রত্যাশা করে না। 
খুব শীঘ্রই দায়িত্ব নেবে নতুন সরকার। এবার যে সরকারই ক্ষমতাসীন হোক, তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, তারা যেন গণতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষায় যত্নবান হয়। প্রথম দুটি মোদি সরকার মূলত চমক প্রদর্শনের উপরই সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—নোট বাতিল এবং রেল বাজেট ও পরিকল্পনা কমিশন তুলে দেওয়া। গুরুত্ব পেয়েছিল সেন্ট্রাল ভিস্তা এবং অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। প্রথম তিনটি পদক্ষেপ থেকে দেশ কতটা উপকৃত হয়েছে তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা রূপায়ণের ফলে রাজধানী নয়াদিল্লি নিশ্চয় একটু বেশি ঝাঁচকচকে হয়েছে, কিন্তু একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রের উন্নয়ন কনসেপ্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়া রামমন্দির নির্মাণের সঙ্গে ভারতের মতো একটি সুবিশাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং তার সরকারের কোনও সম্পর্ক থাকায় উচিত ছিল না। এতে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি ইন্ধন পেয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে ধর্মীয় মেরুকরণ। বিজেপিকে জব্দ করতে নেমে অন্য দলগুলিও যেন একটি পলিটিক্যাল কম্পালশনের জায়গা থেকে মেরুকরণেরই উল্টো ফাঁদে পা দিয়েছে। তার ফলে যে চূড়ান্ত মেরুকরণ ঘটে গিয়েছে তার ফায়দা, নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের রাজনৈতিক শাখাটি এবং তার মিত্র দলগুলি। 
সব মিলিয়ে এক দশকে যে ভোট রাজনীতির চর্চা দেশজুড়ে পুষ্ট হয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘উন্নয়ন’ প্রসঙ্গ। স্বাধীনতার আট দশক পূর্তি আসন্ন। এমন ‘অমৃতকালে’ পৌঁছেও দেশে নিরক্ষর, ক্ষুধার্ত, বেকারত্বের জ্বালায় জর্জরিত সামাজিক সুরক্ষাহীন শ্রমিক বাহিনী এবং প্রবীণ নাগরিক সমাজ অসহায়ের মতো বেঁচে আছে। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) জন্য মাথা কুটছেন কৃষকরা। অথচ তারাই এদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ভরসা। আমরা বরাবর লক্ষ্য করেছি, ভারতের অর্থনীতি যতবার বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তাকে আগলে রেখেছে কৃষিক্ষেত্র। তাদের টাটকা অনস্বীকার্য অবদান আমরা দেখেছি কোভিড ১৯-এর তিনটি বছরে। বিশেষ করে ২০২০ ও ২০২১ সালে যখন বেশিরভাগ উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্র অসহায়ের মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল, ভারতীয় অর্থনীতিকে বরাবরের মতোই সচল রেখেছিল সেই এক ও অদ্বিতীয় কৃষি। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, ২০২২-এর ভিতরে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু অর্থনীতির উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মিলিয়ে দেখা যায়, কৃষকের আয় তার পরিবর্তে কমেই গিয়েছে। একইভাবে বাস্তব আয় হ্রাস পেয়েছে সাধারণ শ্রমিকদেরও। 
অন্যদিকে এই মোদি জমানাতেই বেড়ে চলেছে গুটিকয়েক ধনাঢ্য (মিলিয়নেয়ার) ব্যক্তি ও পরিবারের সংখ্যা। সার্বিকভাবে বেড়ে গিয়েছে ধনবৈষম্য, ভারতের অর্থনীতির বিকাশের পথে যেটা বরাবরের অন্তরায়। আরও পরিতাপের বিষয় এই যে, একটি দেশের মানুষ কতটা উন্নত এবং সুখী তা বিশেষভাবে নির্ভর করে সেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয় তার উপর। কোনও সন্দেহ নেই, যেকোনও মাঝারি আয়ের দেশের তুলনায় ভারতে স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় বাজেট বরাদ্দ সর্বনিম্ন। ২০২০ সালে গালভরা ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ চাপিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই নয়া নীতিতে শিক্ষা খাতে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সর্বশেষ বাজেটেও পরিষ্কার, শিক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ শিক্ষা নীতিতে গৃহীত লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও নয়। সোজা কথায়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দুটি দিকই আজও পর্যন্ত সরকার বাহাদুরের কাছে প্রাপ্য গুরুত্ব পায়নি। 
ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাপিয়ে গিয়েছে এবং সেটা ১৫০ কোটির দিকেই দ্রুত ছুটছে। এই বিপুল জনসংখ্যার বেনিফিট পেতে গেলে মানুষকে অবিলম্বে ‘মানবসম্পদে’ (হিউম্যান রিসোর্স) উন্নীত করাটা জরুরি। সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা ছাড়া একজন মানুষ কখনও মানবসম্পদে উন্নীত হতে পারে না। এই প্রশ্নে ভারত প্রতিদিন পদে পদে নিজের ব্যর্থতার দিকটি প্রকট করে চলেছে। অথচ বিপুল জনসংখ্যারই ‘আশীর্বাদে’ শ্রমশক্তি ও মেধাসম্পদের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে, নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে ঈর্ষণীয় উন্নতি করা যেত। নরেন্দ্র মোদি ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। অর্থাৎ মোদির ভারতের অর্থনীতি—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই জায়গা করে নেবে দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে তিন নম্বর জায়গা পেলেও এখানকার সাধারণ মানুষের আর্থিক উন্নতি আহামরি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তার কারণ তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিপরীতে হাত পেতে থাকবে দেড়শ কোটি মানুষও! ফলে এমন ‘চমকপ্রদ’ অর্থনীতিকেও ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বাংলাদেশের চেয়ে খুব একটা উজ্জ্বল দেখাবে না।
তাই শুধু সংকীর্ণ রাজনীতি করতে গিয়ে তথাকথিত ‘সিঙ্গল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিকে যেভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ভুল আর করা যাবে না, এমনকী ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যেও যে ধরনের ধর্ম, জাতি ও বর্ণগত বৈষম্য হয়েছে বন্ধ করতে হবে সেগুলিও অচিরে। কারণ কোনও একটি রাজ্য বা কোনও একটি অঞ্চলকে পিছিয়ে রেখে ভারতের জাতীয় আয় বা জাতীয় উৎপাদন কখনোই কাঙ্ক্ষিত চেহারা নিতে পারবে না। তাই নতুন শাসক শ্রেণির কাছে প্রত্যাশা থাকবে—তারা সংকীর্ণ রাজনীতি, ঘোড়া কেনাবেচা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলবদলে ইন্ধন-উৎসাহ প্রদানের মতো নিকৃষ্ট মানের রাজনীতি থেকে নিজেদের অবিলম্বে দূরে রাখার সংকল্প নেবে। নতুন সরকার প্রথম দিন থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দেবে ‘উন্নয়ন এবং উন্নয়ন’-এর উপরে, সেখানে অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে দারিদ্র্যসীমার নীচের মানুষগুলি এবং জনসংখ্যার শেষ ৫০ শতাংশ নরনারী। কারণ সমাজের অর্ধেক মানুষকে পিছিয়ে রেখে এই দেশ কোনোদিনই ‘সকল দেশের রানি’ হতে পারবে না।‌
একই সঙ্গে দূর করতে হবে নারী-পুরুষে বৈষম্যও। মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক নারী। একাধিক রাজ্যে পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটদাতা সংখ্যায় বেশি এবং দেশের শতাধিক লোকসভা আসনে মহিলারাই বস্তুত নির্ণায়ক শক্তি। প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে মহিলারা এখনও অঘোষিতভাবে ব্রাত্য। তার ফলে দেশজুড়ে মোট প্রার্থীর মধ্যে মহিলা এবারও ১০ শতাংশের নীচে। আইনসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের পরও এই করুণ হাল! নয়া আইন দ্রুত কার্যকর করার ব্যাপারে নতুন সরকারকে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে, শুধু মুখে ‘নারীশক্তি’র জয়গান গাওয়াই যথেষ্ট নয়। বিশেষ মতলবের এনপিআর এবং এনআরসির প্ল্যান অবিলম্বে বাতিল করা দরকার। দেশের কিছু মানুষকে ‘অনাগরিক’ প্রমাণ করার পদক্ষেপ মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। দেশের সমস্ত মানুষ যদি নিশ্চিন্তে সুখে-শান্তিতে বসবাসেরই সুযোগ না পান, তাহলে তাঁরা উন্নয়নের ডাকে সাড়া দেবেন কী করে? তাই, এনপিআর, এনআরসির হিড়িক ছেড়ে, শীঘ্রই শেষ করে ফেলতে হবে সেন্সাস বা জনগণনা। কারণ জনগণনার বিস্তারিত তথ্য হাতে না নিয়ে তৈরি কোনও পরিকল্পনাই দেশকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারবে না। 
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়ে এই যে, টানা ১৩ বছর দেশের যাবতীয় পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে যথাযথ জনগণনার পরিসংখ্যান ও তথ্য ছাড়াই। দেশকে সংরক্ষণ বিবাদে নতুন করে জড়ানোও বাঞ্ছনীয় নয়। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) নিয়েও সময় ও উদ্যম নষ্ট করা অনুচিত। তার পরিবর্তে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসর ফিরিয়ে দেওয়া দরকার। মণিপুরসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের উপদ্রুত এলাকার সুস্থিতি ফেরানোও জরুরি। 
একই সঙ্গে নজর দিতে হবে পরিবেশের সুরক্ষার উপর। নগরায়ণের নেশায় আমরা কৃষিজমি, জলাভূমি, অরণ্য, পাহাড় প্রভৃতির অপূরণীয় ক্ষতি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছি। এই ‘আত্মঘাতী’ কাজ-কারবারে এখনই লাগাম না পড়লে আমাদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার তাতে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে পরিবেশের সুরক্ষার দিকটি আজ পর্যন্ত বিশেষ গুরুত্ব পায়নি। কোনও কোনও দলের নির্বাচনী দলিলে হয়তো নিয়মরক্ষার মতোই তার উল্লেখটুকু রয়েছে। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা, এই মারাত্মক ভুলটির সংশোধনে তারা প্রথম থেকে এবং আন্তরিকতার সঙ্গেই যত্নবান হবে।
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM