Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাজ্যের কোনও ইস্যু পেলে তো কথাই নেই। 
তিলকে তাল বানিয়ে ছাড়ছেন। সে সন্দেশখালিই হোক বা সাধু-সন্ত। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এক দশক দেশ শাসনের পরেও বলার মতো তিনি কিছুই করতে পারেননি। তাঁর ঝুলিতে নেই অটলবিহারী বাজপেয়ির সোনালি চর্তুভুজের মতো কোনও উজ্জ্বল প্রকল্প। আছে শুধু ভবিষ্যতের গ্যারান্টি, যা কোটি কোটি মানুষের মতে, সবটাই ধাপ্পা।
লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের বিষয় সাধারণত কী হয়? বিরোধী দলগুলি জানায়, তারা ক্ষমতায় এলে কী করবে। নির্বাচনের আগে দেওয়া অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি প্রায় কোনও দলই রাখে না। যেমন ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালাধন দেশে ফিরিয়ে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ও বছরে ২কোটি চাকরির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেননি। শুধু বিজেপি নয়, এই রকম অনেক প্রতিশ্রুতিই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেয়, কিন্তু রাখে না।
আর ক্ষমতাসীন দল দেশবাসীকে জানায়, গত পাঁচবছরে সরকার কী করেছে এবং আগামী দিনে কী করতে চায়। এক কথায় জনগণের কাছে শাসক দল সরকারের কাজের ‘রিপোর্ট কার্ড’ পেশ করে। সুতরাং মোদিজির কী উচিত ছিল? গত দশ বছরে তাঁর সরকার কী কাজ করেছে, তার হিসেব দাখিল করা। 
নরেন্দ্র মোদি বলতে পারতেন, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কত ছিল এবং পেট্রল ও ডিজেল কত টাকা লিটার দরে বিক্রি হতো। আর তাঁর আমলে অপরিশোধিত তেলের দাম কত এবং ডিজেল, পেট্রল কী দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলতে পারতেন, কংগ্রেস আমলে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার কত ছিল, আর এখন কত! নরেন্দ্র মোদি আর কী বলতে পারতেন? তিনি ক্ষমতায় বসার আগে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ভারতের ঋণ কত ছিল এবং এখন তা কত হয়েছে। কংগ্রেস আমলের তুলনায় এখন বেকার বেড়েছে নাকি কমেছে। বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন তিনি। তাঁর আমলে কত নতুন চাকরি পেয়েছে এবং তাতে কত বেকার কমেছে।
এই সমস্ত কথা তুলে ধরলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যেত। দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যেত, কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি সরকার ভালো নাকি খারাপ। এমনকী মানুষ এও বুঝতে পারত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই সেরার সেরা কি না! এমনকী অটলজির চেয়ে নরেন্দ্র মোদি কতটা সফল, সেটাও তাঁর ভক্তরা বুঝতে পারতেন। মোদিজি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এসব কিছুই বলছেন না। উল্টে দাবি করছেন, তিনি নাকি ঈশ্বরের বরপুত্র। আর নোটবন্দির প্রসঙ্গ ভুলেও মুখে আনছেন না। অথচ একটা সময় নোটবন্দিকেই মোদি সরকারের বিরাট সাফল্য বলে বিজেপি প্রচার করেছিল। 
নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহরা সে সবের ধারেকাছে না গিয়ে কেবল সন্দেশখালির কথা বলছেন। একটা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা ইস্যুকে জোর করে গেলাতে চাইছেন। এখন আবার পড়েছেন সাধু-সন্তদের নিয়ে। কামারপুকুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের একটা অংশকে উল্লেখ করে মেরুকরণের রাজনীতি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। 
অনেকে বলছেন, নরেন্দ্র মোদি অঙ্ক কষে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনের আগে কার্তিক মহারাজ বিজেপিকে ভোট দিন, এই কথাটিই শুধু বলেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির পক্ষে তিনি জোরদার সওয়াল করেছেন। তিনি ৩৭০ ধারা বিলোপ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কার্তিক মহারাজ নির্বাচনের আগে ঠিক কী বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, সমস্ত হিন্দুকে অনুরোধ করব, আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা সেই জায়গায় যাব, যিনি ভারতবর্ষের পরিচালক, যিনি ভারতবর্ষের সিংহপুরুষ, যিনি কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন, যিনি সিএএ প্রবর্তন করছেন আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াব। তাঁর হাতকে শক্ত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
এটা কি কোনও সাধুর ভাষা হতে পারে? সাধু-সন্তরা সকলের প্রণম্য। তাঁদের ধর্ম ও কর্ম একটাই, মানবসেবা। তাঁরা রাজনীতি, ক্ষমতা, সংসার থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন। সর্বত্যাগী বোঝাতে ধারণ করেন গেরুয়া বসন। তাঁরা সবাইকে আপন করে নেওয়ার দুর্লভ ক্ষমতার অধিকারী। তাই বয়সে বড়রাও তাঁদের নতমস্তকে প্রণাম জানান। তাঁদের কাছে জাতি ধর্ম, উচ্চ-নীচ, ধনী-দরিদ্র, কোনও ভেদাভেদ থাকে না। মা সারদা বলেছিলেন, ‘আমি সৎ-এরও মা, অসৎ-এরও মা। আমি সকলের মা।’ সেই কারণেই মা সারদা আজ ঘরে ঘরে পূজিত হন। 
কার্তিক মহারাজ হয়তো অনেকেরই শ্রদ্ধার পাত্র, ভরসার কেন্দ্রস্থলে বিরাজ করেন। কিন্তু তিনি কি এই সব ‘সাধু গুণে’র অধিকারী? নির্বাচনের আগে কালীমন্দিরে দাঁড়িয়ে দেওয়া কার্তিক মহারাজের বক্তব্য শুনলে যে কেউ তাকে রাজনৈতিক নেতার ভাষণ বলেই ভুল করবেন। 
এই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করতেই পারেন। যিনি সেটা করতে চান বুকে দলীয় প্রতীক লাগিয়ে করুন। কোনও ধর্মীয় সংগঠন বা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে নয়।’ আর তাতেই গায়ে ফোস্কা পড়েছে বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে চায়ের দোকানে, পাড়ার আড্ডায় চর্চা হতেই পারে। কিন্তু তা জায়গা করে নিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। ভাবা যায়?
কার্তিক মহারাজের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেননি অধিকাংশ সাধু-সন্ত। এমনকী তিনি যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সেই ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘও নয়। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের পাশে থাকেন। নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আর রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ সাধু-সন্তদের অবস্থান ও ভূমিকা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে। বলেছে, বেলুড় মঠ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এখানকার সন্ন্যাসীরা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন না। এমনকী ভোটও দেন না। ভক্তরা কাকে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে হস্তক্ষেপও করেন না। 
বঙ্গ রাজনীতিতে কট্টর মমতা বিরোধী বলে পরিচিত অধীর চৌধুরীও এই ইস্যুতে কার্তিক মহারাজেরই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কার্তিক মহারাজের হয়ে ব্যাট ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কট্টর মুসলিমদের চাপে সাধুসন্তদের উপর আক্রমণ করছেন। মুসলিম ভোট এককাট্টা করাই তাঁর উদ্দেশ্য। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু বিরোধী প্রমাণের চেষ্টা নতুন কিছু নয়। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে মুসলিম তোষণকারী তকমা সেঁটে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে যে লাভ হয়নি, সেটা ভোটের ফলেই প্রমাণ হয়েছে। শুধু সংখ্যালঘু ভোটের উপর নির্ভর করে যে বাংলায় ২১৩টি আসন জেতা সম্ভব নয়, সেটা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। 
এবারও বিজেপি পরিকল্পনা করে বাংলায় ভোট মেরুকরণের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি তবুও মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু এবার ৪২টি আসনের একটিতেও মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। উদ্দেশ্য, বিজেপি হিন্দুদের দল, এই বার্তা দেওয়া। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাধুর দিকে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেই তাকে ইস্যু করছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচন হোক বা বিধানসভা নরেন্দ্র মোদিই বিজেপির মুখ। প্রচারের দৌলতে বিজেপি আর মোদি সমার্থক হয়ে গিয়েছে। তাঁর আগে বা পরে কেউ নেই। মোদি ব্র্যা঩ন্ডিংয়ের জন্য বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের দফা যত এগচ্ছে, ততই যেন টলে যাচ্ছে আত্মবিশ্বাসের ভিত। তাই বাংলায় এসে শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুঁত খুঁজে বেড়াচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদি বুঝে গিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় বিজেপির ভরসা সেই নেগেটিভ ভোট। তাই তিনি যতই ঠকঠকান না কেন, ঘি বেরবে না। কারণ ভাঁড়ার শূন্য।
25th  May, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM