Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। তোমার চোখের সামনে তোমারই নিজের রাজ্য তখন জ্বলছে। দাঙ্গার আগুনে। দেশবিদেশের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠেছিল ওই ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলির বিবরণে। আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েও বিশেষ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারিনি। অবশ্যই সেটা আমার ব্যর্থতা। তবু আমার বিবেকদংশন হয়েছিল। মনে মনে চেয়েছিলাম অন্তত তুমি ইস্তফা দাও। আর রাজধর্ম পালন করো। কোনওটাই করোনি। সেই পরামর্শ তোমার পছন্দ হয়নি। তোমার আচরণ ও মনোভাবে সেটা প্রকট হয়েছিল। আমার উপর ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলে ঘনিষ্ঠ মহলে। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ওই অধ্যায়টিকে ব্যক্তিগতভাবে অন্যতম কালো অধ্যায় হিসেবে ভাবতে আমার অন্তত সংকোচ নেই।  হয়তো তোমার নিজের কাছে সেই আচরণের যুক্তি আছে। হতে পারে তুমি ঠিক। আমি বেঠিক। আবার নাও হতে পারে। তবে আমি চিরকাল হৃদয়কে রাজনীতির আগে স্থান দিয়েছি। মানুষকে ভয় দেখানো নয়। তাদের মন জয় করতে চেয়েছি। তাই আমার পথ তোমার পথের থেকে আলাদাই ছিল। তুমি তোমার পথে চলেছো। সাফল্যও পেয়েছো। আমার থেকে অনেক বেশি জাগতিক সাফল্য। অনেক বেশি জনপ্রিয়তা। অনেক বেশি দাপট। অনেক বেশি দলের উপর অথরিটি। ২০০২ সালে আমার দলের উপর বিরাট কোনও একক প্রভাব ছিল না। তাই তোমার প্রতি কঠোর মনোভাব নিতে পারিনি। আজ তোমার দলের উপর নিয়ন্ত্রণ অবিসংবাদিত। তুমি যখন যা সিদ্ধান্ত চাও নিতে পারো। দল সেটা মানতে বাধ্য। পছন্দ হোক না হোক। অথচ দলকে তুমি সর্বজনমান্য ও গ্রাহ্য একটি জাতীয় স্তরের উন্নত উদার আধুনিক গণতান্ত্রিক সংগঠনে পরিণত করতে পারলে না। নিজের নাম দলের থেকেও অনেক বড় আকারে রচনা করতে ব্যস্ত রইলে। আজ আর দলের নামে ভোট হয় না। তোমার নামে হয়। দলকে আমাদের ভোটাররা ভোট দেয় না। তোমাকে দেয়। এ হল ভয়ঙ্কর এক প্রবণতা। কালের নিয়মে একদিন তুমি প্রত্যক্ষভাবে এতটা সক্রিয় থাকবে না। তখন কী হবে? এই দল আর নিজের হারানো মাহাত্ম্য কোনওদিন কি ফিরে পাবে? মনে হয় না। ১৯৮০ সালে তৈরি হওয়া দল এত দ্রুত জাতীয় দলে পরিণত হয়েছিল। সেই দল ছিল পার্টি উইথ আ ডিফারেন্স। আজ সেই দলের প্রধান পরিচয় কী? ধর্মীয় বিভাজন।’ 
বাজপেয়ি নির্ঘাৎ দুঃখ করে আরও লিখতেন, ‘আমাদের দলের সবথেকে বড় সম্পদ কী ছিল? উন্নত ভাষণ। অসাধারণ বাগ্মিতা। আর সৌজন্যবোধ। 
আমি কল্পনা করতে পারি না যে ওরকম একটি পদে বসে কোনও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এসব কথা বলতে পারেন? ১) বিরোধীরা জয়ী হলে হিন্দু নারীর মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করে দেবে। ২) হিন্দুদের দুটো মহিষ থাকলে একটি মহিষ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দেওয়া হবে। ৩) আমি জৈবিকভাবে জন্মগ্রহণ করিনি। আমাকে ঈশ্বর মানুষের সেবার জন্য পাঠিয়েছেন। ৪) ১৯৮২ সালে রিচার্ড অ্যাটেনবরোর সিনেমার আগে গান্ধীজিকে বিশ্বের কেউ চিনত না। ওই গান্ধী নামক সিনেমাই তাঁকে চিনিয়েছে। ৫) বিরোধীরা যতই মুজরা করুক, আমার সিদ্ধান্তকে বদল করতে পারবে না। 
আমাদের দলের কেউ এরকম ভাষা ব্যবহার করছে? আমাদের দলের? এটা কল্পনা করা যায়? আমার প্রশ্ন হল, এসব কেন করতে হল এই নির্বাচনে? তুমি কি এই প্রথম টেনশনে? তোমার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস কি টলে গিয়েছে? তুমি তো এমনিতেই এগিয়ে ছিলে এবার? কেউ কি বলছে যে, তোমার দল হেরে যাবে? সরকার গড়তে পারবে না? কেউ বলছিল না। কিন্তু এখন সকলের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। আব কী বার চারশো পার। বলারই দরকার ছিল না। দরকার তো ২৭২! চারশো পার তো হবেই না! কোনওমতেই না। তাহলে কেন বলা?’ 
অটলবিহারী বাজপেয়ির এই চিঠি লেখার প্রশ্নই নেই। কাল্পনিক এই চিঠির অবতারণা করার কারণ হল, ২০২৪ সালের নির্বাচনে সবথেকে বিস্ময় জাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি অনেক যত্ন করে ১০ বছর ধরে একটি ইমেজ রচনা করেছিলেন নিজের। যে আশ্চর্য জনপ্রিয়তা অর্জন করে তিনি বহু হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন একক ক্যারিশমায় সেটা চরম এক সাফল্য। কিন্তু মাত্র একমাসের মধ্যে ভোটপর্বে মোদি নিজের সেই ঈর্ষণীয় ভাবমূর্তি ভেঙে দিলেন। প্রচারের সময় তাঁর মুখে শোনা গেল, যোগী আদিত্যনাথ, অনুরাগ ঠাকুর, সাধ্বী প্রজ্ঞাদের মতো ভাষা। 
নরেন্দ্র মোদির সবথেকে বড় ক্ষতি হল তিনি যে আদৌ স্টেটসম্যান রাজনীতিক হতে পারেননি, এই লোকসভা ভোটে সেই প্রমাণ দিলেন তিনি নিজেই। এই লোকসভা ভোট ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটাই বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিকের সক্রিয় ও প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে শেষ লোকসভা ভোট। ২০২৯ সালে মোদি নিজেই কি আর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিংবা দলের সেনাপতি থাকবেন? থাকবেন না। অবশ্যই সরে যাবেন। এমনকী তার আগেও সরতে পারেন। লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশকুমার, নবীন পট্টনায়ক, এইচ ডি দেবেগৌড়াদের অবসর অবশ্যম্ভাবী। এই চারজনের সক্রিয় রাজনীতি থেকে অন্তরালে চলে যাওয়ার অর্থ হল, স্বাধীনতার পর শুরু হওয়া সমাজবাদী রাজনীতির অনুগামী ও ধারকদের চিহ্ন মুছে যাবে আগামী দিনে। অর্থাৎ লোহিয়াপন্থী রাজনীতির শিষ্যরা আর কেউ থাকবেন না। অবসর নেবেন শারদ পাওয়ার। তাঁরও এই লোকসভা ভোটে  শেষ সক্রিয় যোগদান। ২০২৬ সালে আবার জয়ী হয়ে একক গরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হলে, ধীরে ধীরে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আর এত সক্রিয় থাকবেন না। দলের সুপ্রিমো হয়তো থাকবেন। কিন্তু নিত্যদিনের প্রত্যক্ষ সক্রিয়তা থেকে অনেকটাই ২০২৯ সালে দেখা যাবে গুটিয়ে নিয়েছেন। সোনিয়া গান্ধী শারীরিক কারণে এখনই অনেকটা নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছেন। এবারই ভোটে লড়াই করেননি। সুতরাং তাঁকেও আর দেখা যাবে না সামনের সারিতে। 
অর্থাৎ পুরনো প্রজন্ম এবারই শেষ লড়াইটা লড়ে নিল হয়তো। পরবর্তী লোকসভা ভোটের কারিগরদের নাম হবে তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা। বিজেপির যোগী আদিত্যনাথ, অমিত শাহ। মোদি এবার ভোটে রাহুল গান্ধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের স্ট্যাটাস বিরোধী এতটা অসৌজন্যের ভাষ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকলেই হয়তো তাঁর স্থান ইতিহাসে আর একটু উজ্জ্বল থাকত। এবারই প্রথম দেখা গেল, মোদির এইসব ভাষণকে কেউ সিরিয়াসলি নিচ্ছে না। অর্থাৎ তাঁর ভোটব্যাঙ্ক অন্য কারণে তাঁকে যথারীতি ভোট দিলেও অন্তত এসব ভাষণের ভাষা তাঁদের স্পর্শই করেনি। কোনও রাজ্যে দেখা যায়নি যে, মোদির এসব ইস্যু নিয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে। তাঁকে সমর্থন করা হচ্ছে। আর তিনি সম্ভবত ভুলেও গিয়েছেন যে, রাহুল গান্ধীর হাতে আরও অন্তত ২০ বছর আছে। তাঁর বোনের হাতে তার থেকেও বেশি। রাজনীতিক হিসেবে মোদি অস্তমিত সূর্য। একথা তিনি কি মেনে নিতে পারছেন না? তাঁর উচিত ছিল, ২০২৪ সালের ভোটের প্রচারকে নিজের সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এক উদার ও সৌজন্যমূলক ইমেজ গঠনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা। 
তাঁর মনে রাখা উচিত ছিল যে, বাজপেয়ি কতটা বুদ্ধিমত্তার রাজনীতি করে গিয়েছেন। লালকৃষ্ণ আদবানির উগ্র হিন্দুত্বকে মুখ বলা হতো বিজেপির। আর বাজপেয়ির উদার মুখকে মুখোশ। বাজপেয়ির তুলনায় দলের উপর আদবানির কর্তৃত্ব অনেক বেশি ছিল। বাজপেয়ি কিন্তু সেই ব্যবস্থাকে মেনে নিয়ে সুকৌশলে নিজের উদার সৌজন্যময় এবং স্টেটসম্যানসুলভ ভাবমূর্তিকেই লালন করে গিয়েছেন শেষদিন পর্যন্ত। আর তার ফলশ্রুতি হল, আজ আদবানির উগ্র হিন্দুত্বের জায়গা নিয়েছেন মোদি। আরও বহু ধাপ এগিয়ে। তৈরি হচ্ছেন আরও কয়েক ধাপ এগনোর জন্য যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু কই? বিজেপিতে কোনও অটলবিহারী বাজপেয়ি তো আর তৈরি হল না! আর তাই আজও বাজপেয়িই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল, আন্তর্জাতিক মহল অথবা দলমতনির্বিশেষে দেশবাসীর কাছে সম্মান, শ্রদ্ধা এবং সমীহের স্থান চিরস্থায়ী করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। আদবানিকে তাঁর দল ও দেশ অতটা মনে রাখছে না। বাজপেয়িকে কিন্তু রাখছে। দেশের নাম ভারত। জিত হয় উদারতার। সৌজন্যের। ভদ্রতার। মোদি শেষ বাস মিস করলেন! ভুল অঙ্ক খেললেন এতটা উগ্র আর অশোভন হয়ে গিয়ে। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দীর্ঘমেয়াদি লাভের সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করলেন। মোদির দুর্ভাগ্য। তিনি নেহরু হতে পারলেন না। বাজপেয়িও হতে পারলেন না! 
31st  May, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM