Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। কারণ এতক্ষণ আরও ৮টি সংস্থা  প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। সেরকম স্পার্ক নেই। পছন্দ হচ্ছে না। কিছু একটা মিসিং। অতএব লিও বার্নেট সদস্যরা প্রবেশ করার পর একমাত্র সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, হ্যালো.. সিট ডাউন। বাকিরা নিরাসক্ত হয়ে বসে। ১৫ মিনিট লেগেছিল ওই টিমের একটি প্রেজেন্টেশন দেখাতে। উপস্থিত মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। এমনিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অটলবিহারী বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আদবানির যুগলবন্দির বিজেপি হাই ভোল্টেজ একটি চূড়ান্ত স্মার্ট অ্যাড ক্যাম্পেন অর্থাৎ বিজ্ঞাপনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। টিভি থেকে বাস স্টপ। সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে সেই বিজ্ঞাপন। ক্যাচলাইন ছিল ইন্ডিয়া শাইনিং। ভারত উদয়। ফিল গুড। কারও মনে কোনও সন্দেহ ছিল না যে, আবার ফিরছে অটলবিহারী বাজপেয়ির এনডিএ সরকার। কংগ্রেসের কোনও সুযোগই নেই। তাদের কোনও মুখই নেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। বিজেপির লাগাতার প্রচারে সোনিয়া গান্ধীর পরিচয় ‘বিদেশিনী’। বিরোধী বলতে তেমন কোনও শক্তিশালী দল নেই। বিজেপি কেন ইন্ডিয়া শাইনিং এবং ফিল গুড নামক ক্যাচলাইন বলেছিল? প্রধান কারণ ছিল ২০০৩ থেকে ২০০৪ সালের প্রথমার্ধে শেয়ার বাজার সাংঘাতিক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার উপচে পড়ছে রাজকোষে। এসবকেই উন্নতির পরাকাষ্ঠা ভাবা হয়েছিল। লক্ষণীয়, ২০২৪ সালে ঠিক এই দুটি ফ্যাক্টরকেও বড়সড় উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এই মুহূর্তেও শেয়ার বাজার সর্বকালীন রেকর্ড করে শীর্ষস্তরে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও প্রচুর। এবং বিরোধীদের নেই প্রধানমন্ত্রী মুখ। 
২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে এহেন এক অবস্থায় কংগ্রেস ভোটের মাঠে নামার আগে শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে। তারই একটি অঙ্গ হল একটা কোনও অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করা। ততদিনে গ্রে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সংস্থার সঙ্গে বিজেপির চুক্তি হয়ে গিয়েছে। তাদের প্রথম দফার বিজ্ঞাপন পুরোদমে গ্রাস করে ফেলেছে দেশের মিডিয়া এবং জনমন। ঠিক এরকম সময় লিও বার্নেট সংস্থার ওই বিজ্ঞাপনী প্রেজেন্টেশন পছন্দ হল কংগ্রেসের। কিন্তু আটকে গেল পরের বৈঠকে। ৭ ফেব্রুয়ারি। কংগ্রেসের ট্রেজারার মতিলাল ভোরা বললেন, ৮০ কোটি টাকা দেওয়া যাবে না। অর্ধেক করতে হবে। কীভাবে সম্ভব? প্রস্তাব দেওয়া হল, বিজ্ঞাপনের প্রথম পর্ব বাদ দেওয়া হোক। কী ছিল লিও বার্নেটের বিজ্ঞাপন? দুটি পর্বে। প্রথম পর্বে বলা হবে, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা?’ অর্থাৎ ইন্ডিয়া শাইনিং তো বুঝলাম! আম আদমি কী পেল? আর ভোট শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আসবে দ্বিতীয় পর্ব। ‘কংগ্রেস কা হাত আম আদমি কে সাথ’। লিও বার্নেট সংস্থার ক্রিয়েটিভ টিম কিছুতেই মানবে না সেই প্রস্তাব। তারা বলল, ‘আম আদমি কো কেয়া মিলা’ এটা না থাকলে এই বিজ্ঞাপনের প্রভাবই থাকবে না। আমরা বলতে চাইছি, ইন্ডিয়া শাইনিং কাদের জন্য? আম আদমির তো কিছুই মেলে না। তাহলে আম আদমির কথা কে ভাববে? কংগ্রেস ভাববে। কংগ্রেসকে ভোট দিন। এভাবেই সাজানো হয়েছে স্লোগান। অতএব ওটা রাখতেই হবে। 
একটি বই প্রকাশিত হয়েছে কয়েক বছর আগে। সেই বইয়ের নাম, ‘ডোন্ট ফরগেট ২০০৪: অ্যাডভার্টাইজিং সিক্রেটস অফ অ্যান ইমপসিবল ইলেকশন ভিকট্রি’। সেই বইতে লেখক লিও বার্নেটের অন্যতম ডিরেক্টর জয়শ্রী এম সুন্দর লিখেছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সামনে রেডিও ক্যাম্পেন শোনানো হল আবার। একই কন্টেন্ট। প্রিয়াঙ্কা বললেন, আপনারা কি সব প্রস্তুতি করে ফেলেছেন? লিও বার্নেট বলল, না। আমাদের তো কাটছাঁট করতে বলা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ইটস অল অর নাথিং! অর্থাৎ হয় সবটা যাবে। নয়তো যাবেই না। প্রিয়াঙ্কার ওই সবুজ সংকেতের পর আর বাধা নেই। শুরু হল বিজ্ঞাপনের যাত্রা। অবিশ্বাস্য এক ফলাফল হয়েছিল। বিজেপি হেরে যায়। 
বিজেপির ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনে ডাবল ইঞ্জিন সুবিধা আছে। একদিকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন। তারা সরকারি টাকায় মোদি সরকারের হয়ে বিজ্ঞাপন করছে। মোদি সরকারের গ্যারান্টি শীর্ষক। আবার পাশাপাশি  বিজেপির ভোট প্রচারের বিজ্ঞাপনের কন্ট্রাক্ট পেয়েছে মূলত ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপ এবং স্কারক্রো এম অ্যান্ড সি। ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপের কর্ণধার হলেন বিখ্যাত কবি, গীতিকার প্রসূন যোশী। মোদি সরকার এবং বিজেপির প্রিয়পাত্র তিনি। অসংখ্য সুপারহিট গান ও সিনেমার গীতিকার তথা চিত্রনাট্যকার। বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল ও গানেও তিনি সফল এবং দক্ষ। অন্যদিকে, মোদির অমৃতকাল এবং মোদির গ্যারান্টি স্লোগানের বিপরীতে পাল্টা প্রচারের জন্য কংগ্রেস বেছে নিয়েছে ডিডিবি মুদ্রা নামক বিখ্যাত এজেন্সিকে। কারা এরা? দীর্ঘকালের সমীহ সৃষ্টিকারী অ্যাড সংস্থা। যাদের বিখ্যাত তথা আইকনিক বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন হল, ‘অনলি বিমল’ অথবা ‘কেরালা, গডস ওন কান্ট্রি’। ডিবিডি মুদ্রার ক্লায়েন্ট তালিকা ঈর্ষণীয়। ম্যাকডোনাল্ড, নেটফ্লিক্স, ধারা, ফোকসওয়াগন, রয়্যাল এনফিল্ড ইত্যাদি। 
এবারও কংগ্রেস ২০০৪ সালের ফর্মুলায় 
ফিরে গিয়েছে। অন্তত আগ্রাসী বিজ্ঞাপনে তেমনই দেখা যাচ্ছে। মোদির অমৃতকালে যে আম আদমি 
কিছু পায়নি, বেকারত্ব থেকে মূল্যবৃদ্ধির জেরে আম আদমি জেরবার, সেটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিটি অডিও ভিস্যুয়াল অথবা প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল প্রচারে। কংগ্রেসের এবারের স্লোগান হল, ‘হাত বদলেগা হালত’। 
২০০৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল ২০ বছর এগিয়ে এসেছে। বিজ্ঞাপনের অভিমুখ এবং টার্গেট অডিয়েন্সও বদলে গিয়েছে। তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ক্যাম্পেনের জন্য সব দলের বাজেট রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে গুগুল অ্যাডস খাতে অর্থাৎ গুগুল ২০১৮ সাল থেকে যে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করেছে তাদের প্ল্যাটফর্মে, তার ২৬ শতাংশই বিজেপির। ১০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপির ক্যাম্পেনে শুধু গুগুলে। পূর্বতন বিজ্ঞাপনের সঙ্গে ২০২৪ সালের বিজ্ঞাপনী স্ট্র্যাটেজি এবং থিওরির পার্থক্য কী? পার্থক্য হল, আগে টিভিতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখা ছিল ব্যক্তিগত দর্শন ও শ্রবণ। দেখলাম, শেষ হয়ে গেল, ভুলে গেলাম অথবা মনে রাখলাম। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান জগতে পছন্দ হলে সেই বিজ্ঞাপন শেয়ার করার সুবিধা আছে। অর্থাৎ একটি বিজ্ঞাপনের একজন ভিউয়ার সেটা শেয়ার করে করে আসলে নিজের অলক্ষ্যেই একজন ক্যাম্পেনারও হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে এখন ডিজিটাল ক্যাম্পেন এত গুরুত্বপূর্ণ। যে ওই ভিডিও অথবা প্রচারের স্লোগানটি শেয়ার করছে বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা গ্রুপে, সেজন্য সে কিন্তু কোনও টাকা পয়সা পাচ্ছে না। ভোটের পরও সে যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। অথচ সে একজন পরোক্ষ প্রচারক। ওই বিজ্ঞাপনের সংস্থা হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ভোটাররা যে দলকে জেতাবে, তারা সিংহাসনে বসবে। হাজার হাজার কোটি টাকা দলের ফান্ডে আসবে ক্ষমতাসীন হলে। কিন্তু ভোটারদেরও জীবন পাল্টায় না। এসব সবাই জানে। 
সব দলের এই যে প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ, একটি বা একাধিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিরা ভোটারদের কাছে তাদের ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে ভালো ভালো চিত্র ও স্বপ্ন নিয়ে আসবে এটা স্বাভাবিক। রাজনীতি এবং ভোট যে সংসদীয় গণতন্ত্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আবার এটাও ঠিক যে, এই গোটা প্রক্রিয়া একটি বৃহৎ বিজনেস। ‘ইলেকশন ইকনমি’ ভারতে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার একটি বাণিজ্য। সুতরাং এটা মাথায় রেখে আমাদের ভাবতে হবে যে,আমরা যারা এই ইলেকশন ইকনমির প্রত্যক্ষ অংশীদার নই, তারা ভোটটা কীভাবে দেব? নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে? নাকি প্রচার ও প্রোপাগান্ডায় আকৃষ্ট হয়ে? কোন দল আমাদের কী কী সুবিধা দিচ্ছে। সরাসরি নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হচ্ছে। আমাদের সংসারের কাজে লাগছে। পরিবারের সামান্য কিছু সুরাহা হচ্ছে। আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে অথবা হতে পারে। এসব ভেবেই কি ভোট দেওয়া উচিত নয়? সেটাই কি বুদ্ধিমত্তা নয়? নাকি নিছক দলীয় মতবাদের ক্রীতদাস হব? 
নবীন পট্টনায়ক কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রধান ভোটব্যাঙ্ক হলেন মহিলারা। তাঁরা দুজনেই মহিলাদের ভোট পেয়ে থাকেন। প্রধানত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। নবীন পট্টনায়কের মহিলা ভোটব্যাঙ্কের কারণ হল, মিশন শক্তি প্রকল্প। মহিলাদের স্বনিযুক্তি স্কিম। বিনা সুদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় ব্যাঙ্ক লোন। এবং বিজু স্বাস্থ্য কল্যাণ যোজনা। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এবং স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি প্রকল্পে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অটুট। এই দুই উদাহরণ দেওয়ার অর্থ হল, এই মহিলা ভোটব্যাঙ্ক কিন্তু ঘর পরিবার থেকে অনেক দূরে কোথায় মন্দির মসজিদে কী হয়েছে, কোথায় কোন সম্প্রদায় কোন গোষ্ঠীকে মারধর করেছে, কোনটা ফেক নিউজ, এসব ভাবেই না। রোজকার মোমেন্টারি ইস্যুতে তারা মাথাই ঘামায় না। তারা ভাবে নিজেদের পরিবারের কথা। সুবিধার কথা। সুরাহার কথা। আবার মোদি যতই হিন্দু মুসলিম নিয়ে বিভাজনের চেষ্টা করুন, সেভাবে বিরাট লাভ দিচ্ছে না। তাঁর অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক হল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লাভার্থীরা। অর্থাৎ বিনামূল্যে রেশন, আবাস যোজনা, কৃষকদের ৬ হাজার টাকা ইত্যাদি। অর্থাৎ সমাজের এই যে তথাকথিত নিম্নবর্গ এবং নিম্নবিত্ত অংশ, তারা সরাসরি সুযোগ সুবিধাকে প্রধান্য দিচ্ছে। প্রোপাগান্ডায় খুব একটা গা ভাসায় না। এটা কি সুবিধাবাদী ভোটব্যাঙ্ক? নাকি বাস্তববাদী পরিণতমনস্কতা? কোনটা ঠিক?
24th  May, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
একনজরে
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM