অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
নিশীথ প্রামাণিককে জেতাতে অবশ্য চেষ্টার কসুর করেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লি থেকে ছুটে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো ‘মহাতারকা’ প্রচারক থেকে রাজ্য বিজেপি বড়, মেজ, সেজ নেতারাও। কারণ, নিশীথকে জেতানো ছিল গেরুয়া শিবিরের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। যদিও শেষরক্ষা হল না। তৃণমূলের মাস্টারমশাইয়ের কাছেই হারতে হল উত্তরবঙ্গের এই ‘সো কলড হোম মিনিস্টার’কে। ভোটের ফলে রীতিমতো মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে তাঁর।
গণনা শুরুর প্রথম থেকে প্রায় প্রতি রাউন্ডে এগিয়ে যান তৃণমূলের প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। মাঝে এক-দু’ববার বিজেপি প্রার্থী কিছুটা এগিয়ে গেলেও ব্যবধান কমিয়ে নেন জগদীশবাবু। বেলা বাড়তেই তৃণমূলের জয় সুনিশ্চিত বুঝতেই কোচবিহার পলিটেকনিকের কাছে, রাজমাতা দিঘির কাছে ঘাসফুল শিবিরের অস্থায়ী টেন্টে ভিড় জমাতে শুরু করেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলের নেতা-কর্মীরা। অবস্থা ভালো নয় বুঝতে পেরে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি নিশীথ। চুপিসাড়ে গণনাকেন্দ্রের পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে একগাল হাসিমুখে জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘এই জয় কোচবিহারের মানুষের জয়। কোচবিহারবাসী জেলায় ‘গুন্ডারাজ’ খতম করতে চেয়েছিলেন। গুন্ডারাজের বিসর্জন হল। এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়।’
রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৪ সালে প্রথম কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের রেণুকা সিন্হা। ২০১৬ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। উপনির্বাচনেও এই কেন্দ্রটি ধরে রাখতে সক্ষম হয় তৃণমূল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বামের ভোট রামে যাওয়ায়, লাভ হয় বিজেপির। সেই সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে হাতছাড়া হয় আসনটি। যার জেরে গত লোকসভা ভোটে ৫৪ হাজার ভোটে জয়ী হন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূলকে হারিয়ে কোচবিহারে জয়ী হওয়ার জন্য নিশীথকে পুরস্কৃত করে বিজেপি। অমিত শাহের ডেপুটি হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয় তাঁকে। সেই নিশীথকে হারিয়েই কোচবিহার আসনটি পুনরুদ্ধার করা কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপির মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন বলেন, আমরা দ্রুত নিজেদের ফলাফল পর্যালোচনা করব। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানাই। কেন ফল খারাপ হল তা নিয়ে বিশ্লেষণে বসব। তৃণমূলের উল্লাস। নিজস্ব চিত্র