অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এই পরাজয়ের পিছনে দলের নেতৃত্বের একাংশের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছে দল। বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টি তৃণমূলের দখলে। একটি করে বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দলের কব্জায়। গত পুরভোটে বড় ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল। তবে তৃণমূলের পুরভোটে ব্যাপক রিগিং করেছে বলে অভিযোগ আনে সাধারণ মানুষ। একদিকে সেই ক্ষোভ ও অন্যদিকে বিশ্বজিৎ দাসকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে দলের নেতাদের একাংশের অনীহা– এই দুয়ের প্রভাবেই বনগাঁয় বিজেপিকে জয়ী করেছে বলে মনে করছে দল।
বাগদা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এই কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি। বিজেপির বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন। বিধায়কের এই দলত্যাগ ভালোভাবে নেননি বাগদার বাসিন্দারা। এবার লোকসভায় বিশ্বজিৎ দাসকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, যা দলের কাছেও মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায়। বাগদায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে আসায় বিপাকে পড়ে তৃণমূল। দলের আশঙ্কা, সেই গোষ্ঠীকোন্দল লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। বনগাঁ দক্ষিণ, গাইঘাটাতেও পিছিয়ে তৃণমূল।
এবার আগেই প্রচারের ক্ষেত্রে দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছিল তৃণমূলের নেতৃত্ব। এরপরও বিশ্বজিৎ দাসের সমর্থনে প্রচারে এক শ্রেণির নেতার অনীহা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভোটের ফলাফলের পর ওই বিক্ষুব্ধ নেতাদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার। যদিও এবিষয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মানুষের রায় মেনে নিতে হবে। সকলে ভালো কাজ করেছেন। কোথায় গাফিলতি, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।