অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
অনন্য অভিজ্ঞতা
‘মলহার’কে ঘিরে উচ্ছ্বসিত অভিনেতা। শারিব বলেন, ‘এই ছবির চিত্রনাট্য দুর্দান্ত। আমরা সবাই প্রচুর পরিশ্রম করেছি। কচ্ছে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্যুটিং হয়েছিল। রিয়েল লোকেশনে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।’
ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু
এই ছবিতে বন্ধুত্বের গল্প রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে কি আদৌ ভালো বন্ধু হয়? এর জবাবে মাথা নেড়ে অভিনেতা বলেন, ‘কেন হবে না? আমার কাছে বন্ধুত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডাস্ট্রির এবং ইন্ডাস্ট্রির বাইরের বন্ধুরা প্রতিটা পদক্ষেপে আমার পাশে থেকেছে। নীতিন কক্কর আমাকে ‘ফিল্মিস্তান’ ছবিতে প্রথম মুখ্য চরিত্রে সুযোগ দিয়েছিলেন। উনি এখনও আমার ভালো বন্ধু। ইনামুল হক, কুমুদ মিশ্র, মনোজ বাজপেয়ি আমার খুব কাছের বন্ধু।’
জীবনদান
‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’, ‘তরলা’, ‘স্ক্যাম ১৯৯২’, ‘অসুর’ সহ ওটিটির একাধিক প্রজেক্টে দুরন্ত অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন শারিব। ওটিটির কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। স্পষ্ট বললেন, ‘ওটিটি আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে। ‘ফ্যামিলি ম্যান’-এর পর আমার কেরিয়ারের মোড় ঘুরে গিয়েছে। ‘ফিল্মিস্তান’ আমাকে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি দিয়েছে। কিন্তু ওটিটি আমাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে, আর প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি।’
নিজের প্রতি আস্থা
‘কেরিয়ারের শুরুর দিকে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা বেশ কঠিন কাজ। বিশেষ করে আমার মতো যারা বাইরে থেকে আসেন। এর জন্য প্রয়োজন নিজের প্রতি আস্থা এবং অসীম ধৈর্য্য। আর একজন এমন মানুষ প্রয়োজন, যিনি প্রথম সুযোগ দেবেন। এখানে টিকে থাকতে হলে দাঁতে দাঁত চেপে লড়তে হবে,’ নিজের শুরুর দিনের গল্প বলছিলেন শারিব।
আক্ষেপ
প্রায় ৩৩ বছর বয়সে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন শারিব। এই আক্ষেপ তাঁকে আজও তাড়া করে। অভিনেতার কথায়, ‘শুধু মনে হয় অন্তরের ডাক যদি আমি আগে শুনতে পেতাম, তাহলে নিজের কেরিয়ারটা আগে শুরু করতে পারতাম। তবে এই জার্নির প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার ভাগই বেশি। কিন্তু আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। একবার সন্তুষ্ট হলে উন্নতির পথ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও আমি নিজেকে আরও সাফল্য পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করি।’