অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের গণনা কেন্দ্র করে এদিন ভোরেই শিলিগুড়ি কলেজে চত্বরে জমায়েত করে তৃণমূল ও বিজেপি শিবির। কলেজের ডান দিকে বাঘাযতীন পার্কের কাছে ক্যাম্প করে বিজেপি। দলীয় পতাকা ও গেরুয়া কাপড়ে সাজিয়ে তোলা হয়। সেখানে ছিল এলইডি টিভি। নেতা-নেত্রীদের বসার জন্য চেয়ারও পাতা হয়। সকালের দিকে সেখানে নেতা-কর্মীদের ঠাসা ভিড় ছিল। বেল গড়িয়ে দুপুর হতেই সেখান থেকে পাতলা হতে শুরু করে ভিড়। বেলা ১টা নাগাদ ক্যাম্পে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডল সহ নেতা-নেত্রীরা বসে নিউজ চ্যানেলের পর্দায় নজর রাখছিলেন। কারও মুখে হাসি নেই। গোটা ক্যাম্প থমথমে। এর কিছুক্ষণ পর বিজেপির বেশ কয়েকজন কাউন্টিং এজেন্ট হল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁরা বলেন, মধ্যাহ্নভোজ করার জন্য হেল থেকে বেরিয়ে এসেছি। আবার দলের একাংশ বলেন, দার্জিলিংয়ে জিতলেও গোটা রাজ্যে প্রত্যাশিত ফল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ হেভিওয়েট নেতাদের দিয়ে সভা করানোর পরও অনেক জেতা আসনে দল হেরেছে। প্রতিবেশী কোচবিহার জেলাতেও দলের হার হয়েছে। তাই ক্যাম্পে উচ্ছ্বাস নেই। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অবশ্য বলেন, দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করতে পারছিল না। এজন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্নায়ুচাপ বেড়েছে। কিন্তু হতাশার কিছু নেই। রাজু বিস্তা সহ রাজ্যের ফলাফলে আমরা উচ্ছ্বসিত।
অন্যদিকে, কলেজ রোডে জোড়াফুল শিবিরের ক্যাম্পে সকাল থেকেই জমজমাট ভিড়। দিনভর সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ, দলের জেলা চেয়ারম্যান (সমতল) অলোক চক্রবর্তী, মেয়র গৌতম দেব। সেখানে মহিলা ও যুবকদের ভিড় ছিল নজরকাড়া। দফায় দফায় সেখান থেকে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়। টিভির পর্দায় এবং মোবাইল স্ক্রিনে বাংলার একের পর এক কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে উচ্ছ্বাস। নেতা-কর্মীরা মিষ্টিমুখও করেন। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) বলেন, বাংলা নিয়ে পদ্মশিবির ধারাবাহিকভাবে অপপ্রচার করেছে। এর জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ। এজন্যই দলের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। তবে দার্জিলিং কেন্দ্রে হারের জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে।