Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’
‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’
‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’
এই প্রশ্নগুলো বাংলার আম জনতার। আর সেটাও এক্সিট পোলের সংখ্যাতত্ত্ব সামনে আসার ঠিক পর! বুথফেরত সমীক্ষা যদি একরাশ কৌতূহল মেটানোর মাধ্যম হয়ে থাকে, তাহলে একঝাঁক প্রশ্নও শুরু হচ্ছে ওই মুহূর্ত থেকে। কেন? প্রথমে দেখা যাক, বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা বাংলা নিয়ে কী ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। ৪২টি আসনের মধ্যে এনডিটিভি বিজেপিকে দিয়েছে ২৩টি, আর তৃণমূলকে ১৮টি। জন কী বাত বিজেপির জন্য বরাদ্দ করেছে ২১-২৬টি আসন। তৃণমূলের জন্য ১৬-১৮। ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস সমীক্ষা বলছে, বাংলায় বিজেপি পাবে ২৬-৩১টি আসন, আর তৃণমূল ১১-১৪টি। অর্থাৎ, এই সমীক্ষাগুলির ফল যদি সত্যি হয়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির দলের ২৪টির কম আসন পাওয়ার কথা নয়। কংগ্রেসের জন্য একটি আসন ছাড়লেও তৃণমূল ১৭টির বেশি কিছুতেই আসন পাবে না। এখানেই কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে। একবার দেখে নেওয়া যাক। ১) লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কোনও প্রভাব কি বাংলার ভোটারদের মধ্যে পড়ছে না? এবারের ভোটে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ কেন্দ্রেই মহিলা ভোটারের সংখ্যা পুরুষ ভোটারের তুলনায় বেশি। এখানেই শেষ নয়, প্রায় প্রত্যেক দফাতেই বহু কেন্দ্রে মহিলারা পুরুষদের থেকে বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। জেলার গ্রামে-গঞ্জে এখনও যদি কোনও মহিলাকে প্রশ্ন করা হয়, কাকে ভোট দিলেন? উত্তর আসে, ‘দিদিকে’। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা কিন্তু তাঁরা বলেন না। ২০২১ সালেও এই মহিলা ভোটারকুলই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০০ অঙ্কের গণ্ডি পার করিয়ে দিয়েছিলেন। এক্সিট পোল সঠিক হলে ধরে নিতে হবে, রাজ্যের মহিলা ভোটাররা জনমোহিনী মমতাকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন। ২) মূল্যবৃদ্ধি কি আম জনতা মেনে নিয়েছে? এই প্রশ্নটা অবশ্য শুধু রাজ্যের জন্য নয়, গোটা দেশেই প্রযোজ্য। গত কয়েক বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় লাগানোর মতো মলম খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। আয় যত, ব্যয়ের অঙ্ক তার থেকে অনেক বেশি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে, মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের পরিমাণ মোদি জমানায় সর্বনিম্ন। এক্সিট পোলের রায় মিলে গেলে বুঝতে হবে, আম জনতা মনে করছে, মূল্যবৃদ্ধি বলে কিছুই নেই। মোদি সরকার যেভাবে সব সামলেছে, সেটা যথাযথ। ৩) বেকারত্বের জ্বালা বলেও কি কিছুই নেই? এই ফল হলে বুঝতে হবে, না নেই। চাকরির প্রয়োজন‌ই নেই যুব সম্প্রদায়ের। বছরে দু’কোটি চাকরি? না হলেও চলবে। অন্তত ১০ লাখ? সেটা না হলেই বা কী? নরেন্দ্র মোদি বাস্তবিকই আচ্ছে দিন এনে দিয়েছেন দেশে। তাই ঢালাও ভোট তাঁরই প্রাপ্য। ৪) ধর্মের রাজনীতিতেই ভরসা রাখছে দেশ? কারণ, প্রথম দু’দফার ভোটের পর ঩বিকাশ, উন্নয়ন, অর্থনীতি, সরকার কী করেছে, আর কী দিতে চলেছে... এইসব গল্পকথা থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে বিজেপি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের খোল-করতাল বাজাতে শুরু করে দিয়েছিলেন। বিরোধীরা জিতে এলে হিন্দুদের সম্পত্তি কেড়ে মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হবে, মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে... এই ধরনের মন্তব্য বারবার করেছেন মোদি। এক্সিট পোল অনুযায়ী, ধর্মের বিভাজন একেবারে মোক্ষম জায়গায় আঘাত করেছে। তাই এনডিএ ড্যাংড্যাং করে জিতে যাবে। এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, মেরুকরণ বিজেপিকে ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকলে সংখ্যালঘু ভোটের কী হল? তাঁদের তো এরপর আর চোখ বন্ধ করে নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করার কথা নয়! আর সংখ্যালঘু ভোট গেরুয়া শিবিরের পক্ষে না গেলে কিছুতেই এনডিএর পক্ষে ৩৭০ পার করা সম্ভব নয়। দুর্নীতির ভিত্তিতে ভোট হয়েছে এবং এক্সিট পোল সেই মতো রায় দিয়েছে—এমনটাও মনে করা যাচ্ছে না। কারণ, তাহলে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা, বা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পাবলিক উড়িয়ে দিত না। উল্টে বেছে বেছে বিজেপি-বিরোধী নেতাদের ইডি ও সিবিআই দিয়ে গুঁতো দেওয়াটা দেশের শিক্ষিত সমাজ ভালোভাবে মেনে নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি এই ক্ষোভে আর একটু ঘি মাখিয়ে দিয়েছিল। সেই শিক্ষিত সমাজও কি তাহলে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি ছাড়া আর কাউকে দেখতে পায়নি? 
মোদির ভোট, মোদির অ্যাসিড টেস্ট আর নয়। সপ্তম দফার নির্বাচন শেষ হতে না হতে ওই শব্দবন্ধগুলো পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির অন্ধ সমর্থকরাও যে ফল কষ্ট করে মেনে নিচ্ছে, তা কীভাবে একাধিক সমীক্ষক সংস্থার মন কী বাত হয়ে গেল? দেখে মনে হচ্ছে, একজন আর একজনকে ফটোকপি করে রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে। কত নমুনা নেওয়া হয়েছে, কতজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, সে সব না হয় সংস্থাগুলির নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যে ঝড়ের এফেক্ট রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, তেমনটা কি আদৌ ছিল? হয়তো ছিল। তাই তেনারা চ্যানেলে চ্যানেলে তা ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রত্যেক দফা ভোটের পর ফাইনাল ফিগার দিতে নির্বাচন কমিশন দেরি করেছে। আর তারপর দেখা গিয়েছে, আগের দিনের তুলনায় ভোটদানের চূড়ান্ত হার পাঁচ-ছয় শতাংশ বেশি। সমীক্ষক সংস্থাগুলি যদি সেই ‘অতিরিক্ত ভোটদান’কে বিজেপির পক্ষে বলে ধরে নিয়ে থাকে, তাহলে এই ফল হতেই পারে। না হলে গতবারের তুলনায় ভোটদানের হারে চার-পাঁচ শতাংশ ঘাটতি সত্ত্বেও অঙ্ক বদলাল না কেন? অতীত বলছে, ভোটদানের গড় হার দুই শতাংশ কমলেই সরকারের পক্ষে তা বিপজ্জনক। এবার তো হার প্রায় পাঁচ শতাংশ। তার উপর মহিলাদের ভোটদান বেড়েছে, নতুন ভোটারও যোগ হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি। সেই সমীকরণটা কীভাবে মিলল? নতুন ভোটাররা কি সবাই নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়েছেন? আর যাঁরা এবার বুথমুখো হননি, তাঁরা সবাই কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির ভোটার? কোন অঙ্কে এনডিএ শরিক চিরাগ পাসোয়ানের দল বিহারে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরও ছ’টি আসনে জেতার সম্ভাবনা দেখায়? কীভাবে হিমাচল প্রদেশ বা হরিয়ানায় মোট আসনের থেকে বেশি বিজেপি পায়? এমন সমীক্ষক সংস্থাকে আজ তো পরীক্ষায় বসতেই হবে। আর মনে রাখতে হবে কয়েকটি বছর। প্রথমেই ২০০৪। অটলবিহারী বাজপেয়ির জনপ্রিয়তায় ভেসে আগেভাগেই লোকসভা ভোট করিয়েছিল বিজেপি। এক্সিট পোল বলেছিল, হেসেখেলে ২৭৫ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন বাজপেয়ি। তা কিন্তু হয়নি। এনডিএ থেমে গিয়েছিল ১৮৭তে। কিংবা ২০২০ বিহার বিধানসভা নির্বাচন। সেবারও বিভিন্ন সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষা বলেছিল, তেজস্বী যাদব হেলায় জিতে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। বিজেপি-জেডিইউ জোটই ক্ষমতায় এসেছিল। আর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হিসেবে একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন তো রয়েছেই। এবারও কি তেমন কিছুই অপেক্ষা করে আছে? এই প্রশ্নের উত্তরের উপর সমীক্ষক সংস্থা এবং চ্যানেলগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে রয়েছে। আজকের ফলের সঙ্গে মানুষ শনিবার রাতের হিসেবও মেলাবে। যদি সম্পূর্ণ উল্টো ফল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এক্সিট পোলের টিআরপি এতটা থাকবে কি না, তা ঘোর সন্দেহজনক। 
তাই এক্সিট পোলকে আজ পরীক্ষায় বসতেই হবে। সাধারণ মানুষকেও আজ জানাতে হবে, তারা কি এক্সিট পোলেই সায় দিয়েছে? নাকি সম্পূর্ণ উল্টো ফলের অপেক্ষায় আছে ৪ জুন? দুপুরের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ছবিটা। ছেলেবেলায় শুনতাম, রেজাল্টের দিন টেনশন করে লাভ নেই। পরীক্ষার আগে টেনশন করতে হয়। এখন আর ব্যাপারটা তেমন মনে হচ্ছে না। পরীক্ষা যেমনই হয়ে থাকুক না কেন, রেজাল্ট ভালো হওয়ার ব্যাপারটা ঠিক ওইদিনের উপরই নির্ভর করে। কাউন্টিং ঠিকমতো হল কি না, স্ট্রংরুম থেকে সুষ্ঠুভাবে ইভিএম গণনাকেন্দ্রে এসে পৌঁছল কি না, লোডশেডিং হল কি না... এমন হাজারো শর্ত অপেক্ষায় থাকে গণনা-দিবসের। তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে থাকেন দেশের ভোটাররাও। একটি মাত্র ভোট। তার জন্য তাঁরা কেউ হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন, কেউ দিনমজুরি ছেড়েছেন, কেউ হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছেন ভোটকেন্দ্রে। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে কেউ ভেবেছেন, এবার চাকরি পাব। কেউ ভেবেছেন, এবার ডিজেলের দামটা ৬০ টাকার নীচে নামবে। কেউ আবার ভেবেছেন, ৪০০ টাকায় আগের মতো গ্যাসটা পেলে আর কয়লা বা কাঠ জ্বালাতে হবে না। এটাই যে আসল ভারত। ভোট দেওয়াটা তাদের কাছে বিলাসিতা নয়, সত্যিই আচ্ছে দিনের চাবিকাঠি। তাঁরা প্রতিবাদ করতে জানেন না। সইতে জানেন। আর পারেন মুখ বুজে ফুরিয়ে যেতে। ভোট দেওয়াটাই যে তাঁদের কাছে একমাত্র মাধ্যম... গণতন্ত্র নামক দেবতার কাছে পৌঁছনোর।
ভীষণ যজ্ঞে প্রায়শ্চিত্ত/পূর্ণ করিয়া শেষে/নূতন জীবন নূতন আলোকে/জাগিবে নূতন দেশে।
আজ যে অগ্নিপরীক্ষা ভারতেরও।
04th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM