Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা ভারত সেবাশ্রমের পাশে থেকেছেন
শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাধুসন্তদের ছদ্মলড়াই পর্যন্ত লাগিয়ে দিলেন। কে না জানে, কোনও প্রয়োজনে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে কতবার ছুটে গিয়েছেন নেত্রী। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কখনও কার্পণ্য করেননি। আর্থিক সাহায্য থেকে নৈতিক সমর্থন, সব বিলিয়েছেন অকাতরে। সামান্য ভোটের জন্য ষড়যন্ত্র করে সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা! আর কোন মুখ্যমন্ত্রীকে ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে দাঁড়াতে দেখেছে বাংলার মানুষ? যখনই ডাক এসেছে শত ব্যস্ততা বাধা হয়নি কখনও। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটের মধ্যে এই মিথ্যাচার ধর্মে সইবে তো? স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ (দিলীপ মহারাজ) বিবৃতি দিয়ে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু পিছনে কার ষড়যন্ত্র, খোলসা করেননি। বাংলার মানুষ এই চক্রান্ত ব্যর্থ করবেই ভোটযন্ত্রে।
কুকথার জঞ্জাল সাফ করবে কে?
শেষ দফায় বাংলার ৯ আসন সহ ৫৭ আসনের ভোটের সঙ্গেই শেষ হবে এবারের ঐতিহাসিক নির্বাচন পর্ব। অচিরেই ভোট মিটে যাবে। এক্সিট পোলের সাময়িক উত্তেজনা কেটে গিয়ে ৪ জুনের আসল ফলের পর সরকারও গঠন হয়ে যাবে যথাসময়ে। নন্দীগ্রামের রক্তপাত, আগুনও নিভে যাবে। মার খাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে শুধু গরিব মানুষ। কিন্তু এই অকথা কুকথার এভারেস্ট ছুঁই ছুঁই জঞ্জালের পাহাড় সাফ করবে কে? নেতাদের শরীর যত ভারিক্কি, সেই তুলনায় স্মৃতি খুব পাতলা। তাঁরা সব সহজে ভুলে যান। কিংবা ভুলতে চান, সেইসঙ্গে ভোলাতেও। ভোট গেলে রাজনীতি নামক সোনার ডিম পাড়া হাঁস নাড়াচাড়া করে নিত্যনতুন রোজগারে মাতবেন তাঁরা। তখন মন্ত্রী, ষড়যন্ত্রী সবার আমে দুধে মিশে যাওয়ার পালা। সেই পরম মুহূর্তে আঁটি জনগণ গড়াগড়ি খাবে রাস্তায়, বাজারে, পাড়ার আড্ডায় নিজের না-পাওয়ার চেনা আবর্তে। ব্রিগেডে সভার পরদিন ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের কাপ, এঁটো থালা, কলার খোসা, ফেলে দেওয়া জলের বোতল সরাতে নেমে পড়ে পুরসভা থেকে রাজনৈতিক দল, কিন্তু গত আড়াই মাসের কুকথার স্রোত মন থেকে ধুয়ে সাফ করবে কোন সংস্থা?
চোর বলতে প্রমাণ লাগে না ...
যে যাকে খুশি ‘চোর’ বলছে ভরা বাজারে প্রকাশ্য জনসভায়। প্রমাণ তথ্য নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ছাড়াই। নাকি নিজের গা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে অন্যের ঘাড়ে  কলঙ্ক চাপাও! একজন প্রাক্তন বিচারপতি যিনি কি না দু’দিন আগেও ন্যায়দণ্ড হাতে রায় দিতেন, লোকে বাহবা দিত কী সাহস কী সাহস বলে, তিনি প্রকাশ্যে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আগেই বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতার সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন। এখন আবার এরাজ্যেরই গত চার দশকের সর্বাধিক জনপ্রিয় জননেত্রীর ‘বাজারে দাম কত’ সেই প্রশ্ন তুলছেন সর্বসমক্ষে। এই সস্তা খেউড় যখন শিক্ষিত বাঙালিরও রাজনৈতিক আলোচনার প্রধান অঙ্গ হয় তখন বুঝতে অসুবিধে হয় না গণতন্ত্র, মূল্যবোধ গভীর সঙ্কটে। এসবই ভোটের পশরা। দু’দিন আগে কেউ দেখা করে কোন বই পড়ে আদর্শ মানুষ হওয়া যাবে প্রশ্ন করলে প্রাক্তন ওই বিচারপতি বলতেন, ‘হাউ টু বি এ গুড কমিউনিস্ট’ অবশ্য পাঠ্য সমস্ত যুবক-যুবতীর। তা এরাজ্যে বামেদের অবস্থা ক্রমেই সঙ্গীন দেখে তিনি হয়তো মুনাফার লোভে মত ও পথ দুই বদলেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই স্বার্থপর জগতে আদর্শ, মতবাদ, বিশ্বাস সব মিথ্যে, ঠুনকো। আসল হচ্ছে—কীসে ফায়দা, তা বেছে নেওয়া। আলিবাবা ও ৪০ চোরের বাজার নিয়ন্ত্রিত এই রঙ্গালয়ে সেইমতো পথ বেছে নাও, মুনাফা ঘরে তোলো। সেই অঙ্কেই তমলুককে পাখির চোখ করেছেন প্রথম থেকেই। সততা আদর্শ সত্যমিথ্যা সব কথার কথা, জয় হোক শুধু ধান্দার।
মোদিজির ভাষণ না বিষবর্ষণ
হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জেনেশুনে বিষ ছড়াচ্ছেন। আড়াই মাস ধরে এই যে স্বয়ং রাষ্ট্রনেতার মুখে বিভাজনের প্রাণঘাতী বিষবর্ষণ তা কি দেশকে দুর্বল করছে না, মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়ায়নি? সীমান্তপারের একে-৪৭ থেকে ক্রমাগত গোলাগুলির সন্ত্রাসের চেয়ে তা কম কীসে? জেনেশুনে তবু বিষ ছড়িয়েই চলেছেন। কী লক্ষ্য? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, না বিরোধীদের সাড়ে সর্বনাশ সুনিশ্চিত করা। একবার গুনে দেখেছেন, তিনি কতবার হিন্দু- মুসলিম করেছেন আর কতবার বেকার যুবকের চাকরির কথা বলেছেন? কতবার গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দূষণ নিয়ে কথা বলেছেন? সুলভে গরিবের ঘরে শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন তিনি? আর কতবার বিরোধীদের তাক করে খুলে আম বদলা নেওয়ার কথা বলেছেন? কত ডজন বার অলীক ৪০০ আসনের বেলুন উড়িয়েছেন, আর কতবার দারিদ্র্য দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন? আর এখন শরিকদের তোয়াজ করছেন। কারণ, একক গরিষ্ঠতা মায়, ২৭২ আসন জেতা নিয়ে তাঁর মনেও নানা প্রশ্ন। মহারাষ্ট্র, বিহার, বাংলা, উত্তরপ্রদেশে আসন বৃদ্ধি দূরে থাক বিজেপি অপ্রত্যাশিত ধাক্কাও খেতে চলেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা ফুঁসছে। দাক্ষিণাত্য বিজয়ও থমকে। তাই বাধ্য হয়ে এনডিএ’র নামাবলি গায়ে চড়াচ্ছেন গেরুয়া নেতারা।
মানুষের জন্য মন্দির না মন্দিরের জন্য মানুষ!
শুধু একটা মন্দির দেশের বৃহত্তম রাজ্যে শাসক দলের আসন বাড়ায় না কমায়, তারও পরীক্ষা এবারের নির্বাচন। গতবার যোগী আদিত্যনাথের দল ৬২ আসন জিতেছিল। এবার রামমন্দিরের  শক্তিতে একবার বলছেন ৭২, আবার কখনও বলছেন না অতটা হবে না। বিরোধীরা বলছে, ৭২ নয়, ৬২’ও নয়, শেষ পর্যন্ত নামতে হবে ৫০’এ। প্রমাণ হবে এদেশে মন্দির নয়, এখনও মানুষের রুটিরুজিই শেষকথা বলে। হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণই রাজনীতির শেষকথা হতে পারে না। বিরোধীদের নিকেশ না করে বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আর পবিত্র ধর্ম ও মন্দিরকে ভোট কেনার জন্য ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
দোস্ত দোস্ত না রাহা!
স্বার্থের রাজনীতিতে কোনও দাম নেই বিশ্বাসের, বন্ধুত্বের। না-হলে যে শিবসেনা আদবানি ও বাজপেয়ির হিন্দুত্ব আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে একনিষ্ঠ সঙ্গী, বহু লড়াইয়ের সহযোদ্ধা—বাল থ্যাকারে আজ আর নেই—মোদিজি তাঁর শিবসেনাকে দু’টুকরো করে ছেড়েছেন! একনাথের না উদ্ধবের শিবসেনা, কোনটা ‘আসল’ তার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে মহারাষ্ট্র। আবার ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সব ইস্যুতে মোদি সরকারকে সংসদে সমর্থন দিয়ে এসেছেন—কী রাজ্যসভা, কী লোকসভায়। ওড়িশার স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাননি তিনি। অথচ ভুবনেশ্বরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মোদিজি নবীনবাবুকেও ছাড়লেন না! তিনি বললেন, ৪ জুনই বিজেডি সরকারের পতন। ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শক্তি। এত করেও বিষ নজর থেকে মুক্তি পেলেন না নবীনবাবু। এক বিজেপি প্রার্থী আবার ভগবান জগন্নাথদেবকে মোদিজির ভক্ত বানিয়ে দিলেন! এনডিএ’র অন্য শরিকদের জন্য ব্যাপারটা শিক্ষণীয় নয় কি? গেরুয়া শক্তির বিস্তারে মোদিজি শত্রু-মিত্র কাউকেই রেয়াত করেন না।
দুর্নীতি নিয়ে মানুষ মাথা ঘামায়?
এদেশে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মানুষ চঞ্চল হয় সাময়িকভাবে। কাগজে হেডলাইন হয়। আলোচনার খোরাক হয় দু’দিন। কিন্তু শেষপর্যন্ত দুর্নীতির মামলার নিষ্পত্তি হয় না। বোফর্স থেকে রাফাল। কফিন থেকে টু’জি। কয়লা ব্লক বণ্টন। চারা ঘোটালা। ওই পহেলে জেলবাস ফির মুক্তি, অউর সব ভুল জানা। নির্দিষ্ট করে মানি ট্রেইলের হদিশ মেলে না কোথাও। ইউপিএ আমলে বিজেপি সিবিআইকে বলত কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। আর আজ ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স সব শাসকের আঁচলে বাধা। ধরপাকড়, তল্লাশি, পুছতাছ সব চলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে—দেশের হিতে নয়। আমার দলে এলেই কলঙ্ক সাফ। মানুষ যখন আসল কারণটা জানবে, ততক্ষণে ভোট শেষ। গদি দখলের নাটকে যবনিকা।
ভারতের শত্রুরা খুশি
ভোট শেষ হয়ে যাবে। ফল বেরিয়ে সরকার ভাঙাগড়া তাও সম্পন্ন হবে নির্বিঘ্নে। এরাই থাকবে কিংবা অন্যরা আসবে। কিন্তু দেশের মানুষ এই কথার বিষ প্রাণপণে দু’হাতে সরিয়ে আবার শান্তিতে ঘরে ধূপ জ্বালতে পারবে কি? না সমাজ, বিশ্বাস, একই বৃন্তে দু’টি ফুলের ঘ্রাণ— সব কেড়ে নেবে ক্ষমতা দখলের নোংরা রাজনীতির অবিচল ধারাপাত? মানুষে মানুষে সম্পর্ক যদি ধর্মের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে দেশ দুর্বলই হয়। তা কখনও শত্রুর কাছে দুর্ভেদ্য দুর্গ হতে পারে না। সীমান্ত পারের শত্রুরাও সেটাই চায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা। আর জপ করে, ওরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে মরুক। বাকিটা দেখে নেব।
গরিব জনগণ ঘর কা না ঘাট কা ...
সরকার গড়া হবে। নেতারা গত ৭৫ দিনের ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভুলে স্বাভাবিক কামানোর রাজনীতিতে ফিরে যাবেন ৪ জুন রাত থেকেই। নতুন সমীকরণ তৈরিতে মন দেবেন। কোটি টাকা নিমেষে একশো-দু’শো গুণ হয়ে ফিরে আসবে। আর তখন উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় কিংবা বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আক্রান্ত হবেন। ভাঙচুর হবে তাঁদের আবাস যোজনার বাড়ি, রক্তাক্ত হবে পরিবার। মঙ্গলসূত্র নয়, হারিয়ে যাবে ছোট্ট আশ্রয়টুকু। নেতাদের কিচ্ছু হয় না। তাঁরা হারুন-জিতুন নিরাপদ ঘেরাটোপেই মুরগি, মাটন, পানীয় সহযোগে আরামে আয়েশে থাকেন। মার খায় শুধু গরিব জনগণ, না ঘর কা, না ঘাট কা! নেতাদের দু’শো উঞ্ছবৃত্তির দগদগে ঘা বয়ে নিশ্চিত সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যেতে হয় তাদের! ভিয়েতনামে পরবর্তী বিমান আক্রমণের মতোই অপেক্ষা পরের ভোটের। মঙ্গলসূত্র নয়, গরিবের দু’মুঠো ভাত যেন কেউ কেড়ে নিতে না-পারে, তা আগে নিশ্চিত করুন মোদিজি। 
26th  May, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM