Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। সর্বত্র মানুষ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী একটি মর্যাদাসম্পন্ন পদে অধিষ্ঠান করে কীভাবে এমন সব কুকথা বলতে পারেন! আসলে নির্বাচনে বিজেপি যতই পিছিয়ে পড়ছে, মোদিজির হাত থেকে খেলা বেরিয়ে যাচ্ছে, ততই তিনি অস্থির হয়ে বেফাঁস কথা বলে ফেলছেন। মুসলমান, মঙ্গল সূত্র নিয়ে যা বলেছিলেন, তার মধ্যে ছিল হিংসা ছড়ানোর কথা, বিচ্ছিন্নতার ঘোলাজলে মাছ ধরার কথা। কিন্তু দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির পাতা ফাঁদে পা দেননি। নিজের দশ বছরের ব্যর্থতা ঢাকতে ভোটের ইস্যু হিসাবে তিনি হিন্দুত্বের পাশা খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবক্ষেত্রে এমন প্রয়াস সফল হয় না। মানুষ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জবাব চাইছেন মোদির কাছে। আপনি কী করেছেন দেশের জন্য? সত্যি কথা বলতে কী, তার জবাব মোদির কাছে কিংবা তাঁর অন্ধ ভক্তদের কাছে নেই। তাই আবার পাশার চালে উল্টো দান দিলেন। তিনি নিজেকে বললেন, তিনি এই পৃথিবীতে জন্মেছেন, কিন্তু কোনও জৈবিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভ্রূণ সৃষ্টি হয়নি। তিনি যেন দৈব প্রেরিত! ‘আমি ঈশ্বরের অংশ।’ এই কথায় মনে পড়ে যাচ্ছে, হিটলারও এমন কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমায় ঈশ্বর যেমন নির্দেশ দেন, আমি সেই নির্দেশ মতোই কাজ করি।’ কী আশ্চর্য মিল!   
ওদিকে ওড়িশার বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলে বসলেন, প্রভু জগন্নাথ হলেন মোদিজির ভক্ত। ভেবে দেখুন, কতটা ঔদ্ধত্য মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হলে তিনি ভাবতে পারেন, ভগবান কোনও মানুষের ভক্ত! পরে সম্বিত ক্ষমা চাইলেও যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ওড়িশার মানুষ এর যোগ্য জবাব দিচ্ছেন ভোটবাক্সে। তাঁদের কাছে ভগবান জগন্নাথদেব কতটা প্রাণের ঠাকুর, সেই বোধটুকুও নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় গেরুয়াবাবুরা হারিয়ে ফেলেছেন। 
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজা হিরণ্যকশিপুর গল্প মনে পড়ে গেল। অসুররাজ হিরণ্যকশিপু ছিলেন একজন অতি বলদর্পী রাজা। তিনি নিজেকে ঈশ্বরের থেকেও শক্তিশালী ভাবতে শুরু করেন। ভাই হিরণ্যাক্ষের মৃত্যুর কারণে তিনি বিষ্ণুকে পরম শত্রু বলে মনে করতেন। তাঁর রাজ্যে বিষ্ণুপুজো নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু তাঁর শিশুপুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। এজন্য রাজা পুত্রকে হত্যার আদেশ দেন। বারবার চেষ্টা করেও প্রহ্লাদকে মারতে অক্ষম হন রাজা। রাজা এর কারণ জানতে চান। প্রহ্লাদ বলেন, তাঁকে ভগবান বিষ্ণু বারবার বাঁচিয়েছেন। রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার বিষ্ণুর অবস্থান কোথায়?’ প্রহ্লাদ বলেন, ‘সর্বত্র।’ রাজা জিজ্ঞাসা করেন, ‘এই বড় স্ফটিকস্তম্ভের মধ্যে তোমার বিষ্ণু আছে?’ প্রহ্লাদ বলেন, ‘হ্যাঁ।’ রাজা লাথি মেরে সেই স্ফটিক স্তম্ভ ভাঙতেই তার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার। রাজা হিরণ্যকশিপুকে নিজের উরুর উপর ফেলে তাঁকে বধ করেন সেই অবতার। আসলে পুরাণের এই সব কাহিনির মধ্য দিয়ে নিজেদের ঔদ্ধত্যকে প্রশমিত করার শিক্ষাই দেওয়া হয়।  
সবাই যে সেই শিক্ষা গ্রহণ করেন তা নয়। ক্ষমতার দম্ভে অনেকের মধ্যেই প্রকাশিত হয় এই ঔদ্ধত্য। নরেন্দ্র মোদি যেভাবে নিজেকে ভাবতে শুরু করেছেন, একইভাবে নিজেদের মহাশক্তিমান মনে করতেন বহু শাসকই। পুরাণে দেখি অসুররা নিজেদের ভগবানের থেকেও বড় বলে মনে করতেন। মধ্যযুগের ইতিহাসে এমন অনেক রাজার নাম পাওয়া যায়। আধুনিক যুগে যে শাসকের মধ্যে এই প্রবণতা সবথেকে বেশি ছিল, তিনি হলেন হিটলার। 
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মোদির বক্তৃতা একবার দেখুন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দেশের মানুষের সেবক হতে চাই। আমাকে আপনারা একবার সেবা করার সুযোগ দিন।’ ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, ‘আমি দেশের চৌকিদার। সবাইকে রক্ষা করা আমার কাজ।’ ২০২৪ সালে এসে বিপাকে পড়ে এখন নিজেকে একজন ‘অবতার’ বলে মানুষের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে চাইছেন। সাবিত্রী দেবী মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলা ছিলেন নিও নাৎসিজিমের প্রবক্তা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘হিটলার হলেন বিষ্ণুর অবতার। তিনি এসেছেন কলিযুগে মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। আসলে নাৎসিজিমের সঙ্গে হিন্দুইজমের ধর্মগত বা দর্শনগত কোনও পার্থক্য নেই।’ সত্যিই কি তাই? আসলে প্রকৃত হিন্দুধর্ম কখনওই বিজেপির হিন্দুত্বের সঙ্গে মেলে না। সেই নিও নাৎসিজমই কি তবে আজ নিও হিন্দুইজমের ভেক ধরে এসেছে? 
প্রকৃতপক্ষে হিটলারের মতো এই ধরনের মানসিকতাসম্পন্ন মানুষকে বলা হয় মেগালোম্যানিয়াক। বেশ কিছুক্ষেত্রে ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের মানসিকতাকে বলা হয় বলা হয় ডিলিউশন অব গ্র্যাঞ্জার। মূলত যেসব রোগী নিজেদের ভগবানের থেকেও ক্ষমতাসম্পন্ন বলে ভাবতে থাকেন, যাঁদের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয়, তাঁদের এই ধরনের রোগী হিসাবে চিহ্নিত করেন চিকিৎসকরা। মানসিক ভারসাম্যের অভাব থেকে এই ধরনের বিভ্রম ঘটে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। চিকিৎসকরা বলেন, এই ধরনের রোগীদের অ্যাসাইলামে রেখে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। 
এই অবতার তত্ত্বের উপসংহার লিখতে সাধুরা দল বেঁধে পথে নামলেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, ভেঙে পড়া মোদির ভোট বাক্সকে চাঙ্গা করা। কিন্তু তা হওয়ার উপায় নেই। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর কারও কারও সাধুত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে মানুষের মনে। আমাদের দেশে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বিখ্যাত, ধনী গেরুয়া বসনধারী সাধুকে অসামাজিক কাজকর্ম করতে। অবশ্য প্রণম্য সাধু অসংখ্য রয়েছেন। তাহলে আমরা বিচার করব কীভাবে? গেরুয়া বসনের ভেক দেখলেই কি গদগদ হয়ে মাথা নত করব? না, আগে দেখতে হবে, সাধুর মনটা গেরুয়ায় রাঙানো কি না! তিনি ভক্তের জাত, ধর্ম, সম্প্রদায়, অর্থকৌলিন্য দেখেন কি না! আমি বহু গৃহী মানুষের মধ্যে সর্বত্যাগী ভাববৈরাগ্যের সাধুমনস্কতা যেমন দেখেছি, তেমনি বহু সাধুর গেরুয়ার আড়ালে কামিনী কাঞ্চনলোভী ভোগী পুরুষও দেখেছি। আসলে গেরুয়া পোশাকধারী ব্যক্তি মাত্রই যে একজন সৎ এবং দিব্যভাবসম্পন্ন মানুষ হবেন, এটা আদতে একটি মৌলবাদী ভাবনা। তাই কোনও অনৈতিক কারণে কোনও সাধু যখন গ্রেপ্তার হন, তখন তাঁর জন্য জন্য নিশ্চয়ই সমগ্র সাধুকূলের অসম্মান হয় না। কিংবা যখন কোনও সাধুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে, তখনও সমগ্র সাধু সমাজ অবশ্যই অভিযুক্ত হয়ে যান না। সাধুরা তখন ঐক্যবদ্ধভাবে ‘গেল গেল’ রব করে পথেও 
নামেন না। এখন নেমেছেন, তার কারণ পিছনে বিজেপির খোঁচা আছে। এটাকে খড়কুটোর মতো ধরে শেষ ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি। সন্দেশখালিকে ইস্যু করা যায়নি, অবতার ধাপ্পা ইস্যু হয়নি, মঙ্গলসূত্র ইস্যু হয়নি, হিন্দুত্ব ইস্যু হয়নি, মুজরোর কুৎসিত ইঙ্গিত ইস্যু হয়নি। কেননা এবারে ভোটের মধ্য দিয়ে মোদিজির কাছে মানুষ তর্জনী তুলে প্রশ্ন 
করছেন, চাকরির কী হল, মূল্যবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি কেন হল? বিজেপির মধ্যে দুর্নীতির এত বাড়বাড়ন্ত কেন, অন্যের ঘরে কালো টাকা খুঁজছেন, তাহলে আপনার পার্টির ঘরে এত কালো টাকা কেন? সেসবের উত্তর খুঁজতে মোদিকে দৈব বৈরাগী সাজতে হচ্ছে। হতে পারেন, তিনি মানসিকভাবে সত্যিই একজন বৈরাগী। সেক্ষেত্রে তাঁর যোগ্য স্থান হল রামলালার মন্দির। সেখানে সারাদিন ভজন পূজন নিয়ে থাকুন। এমন মানসিকভাব সম্পন্ন মানুষ দেশের কাণ্ডারী হতে পারেন না। 
এবারের নির্বাচনে মোদি কতটা সফল হতে পারবেন, বোঝা যাবে ৪ জুন। তবে অনেকেই বলছেন, ওটাই বিজেপি সরকারের এক্সপায়ারি ডেট। এই পৃথিবীতে এখন মোদিকে রামচন্দ্র, হনুমান, শিবজি, গোমাতা বাঁচাবেন কি? একমাত্র বাঁচাতে পারে ইভিএমের কারসাজি। এছাড়া নেই কোনও পরিত্রাণ!
একটি স্বকপোল কল্পিত নকশা দিয়ে লেখাটা শেষ করি। একদিন স্বর্গলোকে বসে গল্প করছেন জগন্নাথ,  বলরাম ও সুভদ্রা। সুভদ্রা বললেন, ‘দাদা, আজ একটা নতুন কথা জানলাম। তুমি নাকি মোদির ভক্ত?’ জগন্নাথ হেসে বললেন, ‘হ্যাঁ মর্তলোকে সবাই আমার ফ্যান, আর আমি মোদির ফ্যান।’ সুভদ্রা বললেন, ‘দাদা, তুমি এই ঔদ্ধত্য সহ্য করলে?’ বলরাম বললেন, ‘সেই কথাটা জানিস তো? তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে!’ জগন্নাথ হেসে বললেন, ‘ওটা ছিল পুরাণতন্ত্রের কথা। এখন গণতন্ত্রে বলে, তোমারে বধিবে যে ইভিএমে বাড়িছে সে!’ 
29th  May, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM