Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। এই গল্পের প্রচলনের দাপট এতটাই যে, শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে যাওয়ার পরও সম্রাট নিরো প্রবাদবাক্যে রিজার্ভেশন নিয়ে বসে আছেন। অথচ, ৬৪ সালে যখন রোমে আগুন লাগে, নিরো তখন ছিলেন সমুদ্রের ধারে ছোট্ট গ্রাম আনজিওতে। সেখানে তাঁর বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদে। প্রচণ্ড গরমের চোটে ছোটখাটো আগুন তখন লেগেই থাকত। তাই ১৯ জুলাই দূত যখন এসে তাঁকে খবর দিয়েছিল, খুব একটা গুরুত্ব তিনি দিতে চাননি। পরে তাঁর টনক নড়ে। প্রশাসনের পুরো মেশিনারি নামিয়েও কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর রোমকে নতুন করে তৈরি করা, বাসিন্দাদের পুনর্বাসন... এই সবের জন্য রাজকোষ খুলে দিয়েছিলেন নিরো। আর সবচেয়ে বড় কথা, নিরোর সময় বেহালার আবিষ্কারই হয়নি! লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা যে কখন মিথ হয়ে গিয়েছে, বুঝতে পারেনি ইতিহাস। বুঝতে পারছে না এই সময়কালও। নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর ৪০০ পারের স্লোগানকে। 
কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই স্লোগান? কে ঠিক করেছিল টার্গেট? কোন বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল? কোন কোন সাধারণ সম্পাদক, কার্যকর্তা, বিজেপি রাজ্য ইউনিটের মাথারা ছিলেন সেই বৈঠকে? দিল্লির এক নেতার কথায়, ৪০০ পারের ব্যাপারে কোনও বৈঠকেই আলোচনা হয়নি। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে তিনি এবং তাঁর মতো কেন্দ্রীয় নেতারা জানতে পেরেছেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের এই পাহাড়প্রমাণ টার্গেটের কথা। যেহেতু কোনও বৈঠকেই এ ব্যাপারে আলোচনা হয়নি, তাই খুব স্বাভাবিকভাবে এর কোনও ব্লু-প্রিন্টও নেই। অর্থাৎ, কোন রাজ্যে কত করে আসন বাড়াতে হবে এবং কীভাবে সেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব... সে নিয়ে এক নয়া পয়সার আলোচনা বিজেপির কেন্দ্রীয় কোনও বৈঠকে হয়নি। ভোটের আগে রাজ্যওয়াড়ি দলীয় রিপোর্ট যেমন পেশ হয়, তেমনটা হয়েছিল। ওখানেই শেষ। সেই রিপোর্টে কিন্তু শক্তিক্ষয়ের ইঙ্গিত ছিল বলেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর। সংখ্যালঘু ভোটারদের ক্ষোভ, মেরুকরণে শিক্ষিত সমাজের বিরক্তি—এই সবেরই উল্লেখ ছিল তাতে। তারপরও নরেন্দ্র মোদি ৪০০ পারের ডাক দিয়েছেন এবং সেটা দলের নেতারাই জানতেন না! মোদির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁরাও ‘অব কি বার ৪০০ পার’ শুরু করেছেন বটে, কিন্তু আড়ালে-আবডালে নিজেদেরই প্রশ্ন করেছেন—কীভাবে? নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই যে আপনারা ৪০০ পার বলছেন, সেটা হবে কোন অঙ্কে? রাজ্যওয়াড়ি ব্রেক আপটা কী? তিনি জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘দেশজুড়ে প্রো-ইনকামবেন্সি হাওয়া বইছে। তাতেই হবে।’ অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভোট পড়বে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষে। কীভাবে তিনি সেই হাওয়া বুঝলেন? বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলেতে যখন আসন কমে যাওয়ার নিশ্চিত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে... প্রো-ইনকামবেন্সি হাওয়াটা ঢুকল কোথা দিয়ে? সেই উত্তর শুধু জয়শঙ্কর কেন, বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারাও দিতে পারছেন না। নরেন্দ্র মোদিও না।
ভোটপর্ব শুরুর মুখে মোদিজি লাগাতার বলছিলেন, ৪০০ পার হবেই। বিজেপি নিশ্চিত। তিন দফা ভোটের পর ৩৭০ বা ৪০০ পারের অঙ্ক বেমালুম চেপে গেলেন তিনি। তারপর হঠাৎ আবার বলতে শুরু করলেন, ‘আমাদের ৪০০ পার করানোটা আমার চাহিদা নয়, জনগণের ইচ্ছে।’ মানে ভাবটা এমন, ১৪০ কোটি দেশবাসী তাঁর কানে কানে এসে বলে গিয়েছেন, আপনি ৪০০ পার করছেন। আচ্ছা, না হয় ধরে নেওয়া গেল ১৪০ কোটি দেশবাসী তাঁকে এই ইচ্ছের কথা জানাননি। তাহলে কতজন জানিয়েছেন? ১০ কোটি? এক কোটি? এক লক্ষ? ১০০ জনও কি জানিয়েছেন? তাহলেও জানতে ইচ্ছে করে, কোন কোন রাজ্যের মানুষ এমন আশাবাদী। দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্য থেকে ৪০০ পারের কথা কেউ বলবে বলে মনে হয় না। এমনকী, কর্ণাটকেও বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা ১৪-১৫টার বেশি আসন দেখছে না। অথচ গত লোকসভা ভোটে এই রাজ্য থেকে ২৫টা আসন পেয়েছিল মোদির দল। কৃষক ইস্যু যে সব রাজ্যে প্রভাব ফেলেছে, তাঁরা বলবেন না। মণিপুর বলবে না। প্রাপ্য টাকার জন্য বছরের পর বছর ধুঁকতে থাকা বাংলাও বলবে না। তাহলে ৪০০’র বৈতরণী পার কে করাবে? মোদিঝড় যে নেই, সে ব্যাপারে তো বিজেপির অন্দরেই কানাঘুষো চলে। তাহলে কি ইভিএম? 
ভোটদানের হার প্রতি দফার পর প্রকাশে ঢিলেমি দেখানোর জন্য নির্বাচন কমিশন এমনিতেই বিতর্কে জর্জরিত। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বুথমুখী ভোটারদের যে হার দেখা যাচ্ছে, পরের এক ঘণ্টার হিসেবে ৪-৫ শতাংশের ফারাক হচ্ছে কীভাবে? ওই বাকি অংশটুকুই কিন্তু দিনের দিনে দিতে ‘অপারগ’ ছিল কমিশন। তাই বিরোধীরা তো গলা ফাটাবেই। কমিশনকে বিজেপির বি টিম বলে কাঠগড়ায় দাঁড়ও করাবে। ৪ জুন ফলাফল বেরনোর পর যদি দেখা যায়, অধিকাংশ আসনেই বিরোধীরা বাজিমাত করেছে, তাহলে এই বিতর্ক ধামাচাপা পড়ে যাবে। কিন্তু বিজেপি যদি সত্যিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে ডালের মধ্যে কালোপানা অংশ বিরোধীরা খুঁজে বের করবেই। তবে তেমন কিছু হয়তো হবে না। কারণ, বিজেপির অতি ভক্তও দূরবীন নিয়ে ৪০০ দেখতে পাচ্ছেন না। কর্মীরা এখনও জানেন না, কোন কোন কেন্দ্রে বাড়তি জোর দেওয়ার ছিল, বা শেষ দফায় দিতে হবে। কোন ধরনের ভোটারদের মগজ ধোলাই এই ৪০০ পারের টার্গেটের জন্য জরুরি ছিল? কোন রাজ্যে কত আসনে জয় ধরে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ৪০০ পার স্লোগান তুলেছেন এবং লাগাতার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন?
কী বলা যায় একে? ফাটকা? নাকি স্রেফ ধাপ্পা? ফাটকা কেন? নরেন্দ্র মোদি হয়তো ভেবেছেন, একটা সংখ্যা ছুড়ে দেওয়া যাক। ঝড় না থাকুক, খানিক হাওয়া তো আছে! তাহলেই এই সংখ্যার স্রোতে পাবলিক ভেসে যাবে, আর ভোট দেবে। না মিললে? যতটুকু পাওয়া যাবে, সেটাই লাভ। আর ধাপ্পা কেন? মোদি জানেন, তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে নেমেছে বিজেপি। থুড়ি, মোদি জনতা পার্টি। দলের কাঠামো, শীর্ষ স্তর, আদি নেতা, বাজপেয়ি ঘরানা... সবকিছু একা হাতে কফিনবন্দি করেছেন তিনি। গোটা দলটাই এখন তাঁর উপর দাঁড়িয়ে। এটাই তো চেয়েছিলেন মোদি! একাই নায়ক। এক ব্যক্তি, এক মিথ। কিন্তু একনায়কতন্ত্রের একটা মুশকিল আছে—সাফল্যের কৃতিত্ব যেমন তাঁর হয়, ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায়ও চাপে তাঁর কাঁধে। তাই হয়তো মরিয়া হয়ে আরও একটা জুমলা। এবার শুধু দেশবাসী নয়, দলকেও। কোনওমতে বেরিয়ে গেলে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী। জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তিনবার দিল্লির কুর্সি। হোক না মিথ্যা! সত্যি হয়ে উঠবে মিথ।
স্প্যানিশ অভিযাত্রী কমান্ডার হার্নান কর্টেজ সম্পর্কেও একটা মিথ আছে। লাতিন আমেরিকার সভ্যতা, সম্পদ, সংস্কৃতি পৃথিবী থেকে মুছে দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয় তাঁকে। বলা হয় তাঁর নৃশংসতার কথা। তাঁর অভিযানের পরই চিরতরে বিলুপ্ত হয় অ্যাজটেকদের সাম্রাজ্য। কথিত রয়েছে, অ্যাজটেকদের রাজধানী টেনোচতিতিলানে গণহত্যা চালিয়েছিলেন তিনি। ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কলঙ্ক লেগে রয়েছে 
তাঁর কপালে। জনশ্রুতি বলে, কর্টেজ মূর্তিমান শয়তান। কিন্তু এর নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা সত্যিটা কী? কর্টেজ বা স্প্যানিয়ার্ডরা লুটতরাজ চালিয়েছিল, এতে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু কারা তাদের পথ 
দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল? রেড ইন্ডিয়ানদেরই একটা অংশ। সহযোগী ছিল তারা কর্টেজের। হত্যালীলা চালিয়েছিল তারাই। কর্টেজ আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। স্প্যানিয়ার্ডরা ফিরে যাওয়ার পর শহর তথা সাম্রাজ্যটাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কাজটা সেরেছিল গুটিবসন্ত। দেখা দিয়েছিল মহামারী রূপে। ধ্বংস হয়েছিল সভ্যতা। আর একটা মিথ্যা শুধুমাত্র লোকমুখে মিথ হয়ে উঠেছিল। ভারতবর্ষ আজ তাকিয়ে আছে এমনই এক প্যাকেজের দিকে। চোখ ধাঁধানো প্রতিশ্রুতি, মোহ, স্বপ্ন। অন্ধকার বাস্তবের উপর গড়ে ওঠা ঝাঁ-চকচকে ইমারত। ৪০০ পারের স্লোগান। আজ বাদে কাল সামনে আসবে সত্যিটা। হয়তো। কেন এই সংশয়? সবটাই যেন নির্ভর করছে ভোটের ফলের উপর! নরেন্দ্র মোদি জিতে গেলে সবটাই চাপা পড়ে যাবে প্রতিশ্রুতির চাদরের নীচে। আর হারলে? বেরিয়ে আসবে হাড়-কঙ্কাল। মিথ্যা তখন আর মিথ হয়ে উঠবে না। 
ও হ্যাঁ, দিল্লির ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে বুথের বাইরে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৪০০ পার নিয়ে কী বলবেন? কানহাইয়ার উত্তর ছিল, ‘বিজেপির আসন নয়, মোদিজি ওটা পেট্রলের দাম বলছেন... বিজেপি জিতে এলে।’
28th  May, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM