Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। পঞ্চম দফা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আঙুল তোলা শুরু করেছিল বিজেপি। ষষ্ঠ দফায় তা গড়িয়েছে ‘সেটিং তত্ত্বে’। এরপরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী অতি সক্রিয় না হলে সপ্তম দফায় বঙ্গ বিজেপি সুর যে সপ্তমে চড়াবে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ মুখে বাঘ মারার দিন শেষ। এবার বাঘ মারতে গেলে ঢুকতে হবে বাঘের গুহায়। তবে, শুধু সিবিআই, ইডি বা আয়কর দপ্তরকে দিয়ে হবে না, দরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপ। তাই সপ্তম দফায় বাহিনী কি হবে অতি সক্রিয়? প্রশ্নটা উঠেছে শেষ দফার ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ম্যানেজারদের নোটিস পাঠানোয়।
বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এরাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর ব্যাপারে একজোট। তাদের দাবি, রাজ্য পুলিসকে দিয়ে নিরপেক্ষ ভোট সম্ভব নয়। তাতে ভোট লুট হয়। তাই পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, সব নির্বাচনেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানায় বিরোধীরা। 
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করালে রাজ্যের শাসক দল ট্যাঁ ফোঁ করতে পারে না, উল্টে কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় থাকে তারাই বেনিফিট পায়, এমন একটা ধারণা মানুষের মধ্যে আছে। এই ধারণা ভুল না ঠিক, সেই বিতর্ক থাক। বাস্তবটা হল, এরাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করালে বিজেপি, সিপিএম উল্লসিত হয়। সেই উল্লাস গোপন থাকে না। বিজেপির নেতারা কর্মীদের এই বলে চাঙ্গা করেন, এবার আর ‘দিদির পুলিস’ নয়, ভোট করাবে ‘দাদার পুলিস’। 
এহেন ‘দাদার পুলিস’ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের ক্ষোভ থাকতেই পারে। তার কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অধিকাংশই হিন্দিভাষী। তাঁরা বাংলা বুঝতে পারেন না। তাতে অনেক সময় ছোটখাট বিষয়কে কেন্দ্র করেও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও জওয়ানদের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোট করানোর ও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তো আছেই।
এবারের নির্বাচনেও বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে। মেদিনীপুরের একটি বুথে এক জওয়ানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া তাঁকে সতর্ক করে দেন। সেই দৃশ্য গোটা রাজ্য প্রত্যক্ষ করেছে। এমনকী, ভোটের দিন বিজেপি কর্মীদের বাইকে চেপে জওয়ানদের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এই নিয়ে কাঁথি লোকসভার পটাশপুরে অশান্তিও হয়েছে। জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টানাটানি পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু ভোটারদের আটকে দেওয়া ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে প্রচুর। কারণ বিজেপি মনে করে, সংখ্যালঘুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কমিটেড ভোটার’।
এহেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেই ষষ্ঠ দফার ভোটে একের পর এক বিজেপি প্রার্থী আঙুল তুলেছেন। কেউ বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করছে না। কেউ বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কেবল বুথ রক্ষার দায়িত্ব পালনে বিজেপি নেতারা সন্তুষ্ট হননি। তাঁরা হয়তো ভেবেছিলেন, কোনও অভিযোগ জানালেই কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের উচিত ‘শিক্ষা’ দেবে। তা না হওয়ায় চরম হতাশ বিজেপি নেতারা। সেটা স্পষ্ট হয়েছে তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যে। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো লোকজনকে তাড়া করে সরিয়ে দেওয়ার পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বাঁশি বাজাচ্ছে।’ তাঁর এই মন্তব্যে অনেকেই ছুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষ, তাহলে কি আরও একটা শীতলকুচি দরকার ছিল?
তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরো হিরণ। ভোটের দিন কেশপুরে ঢুকতে গিয়ে হিরণ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাতে অধিকাংশ বুথেই তিনি যেতে পারেননি। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তাঁর মতে, অবস্থা পঞ্চায়েত ভোটের চেয়েও খারাপ। তবে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্যটি হল, রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হয়ে গিয়েছে।
হিরণের এই মন্তব্যে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের নেতারা। তাঁদের খুশি হওয়ারই কথা। বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে সেটিংয়ের তত্ত্ব তাঁরা একুশের নির্বাচনের আগে থেকেই আওড়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, উভয় দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আছে বলেই সিবিআই, ইডি কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীও সেইমতোই আচরণ করছে। সেটা বিজেপির প্রার্থীও উপলব্ধি করেছেন। তাই তিনি ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের কথা বলেছেন।
বাংলায় সর্বাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বঙ্গ বিজেপির নেতারা উদ্বাহু নেত্য শুরু দিয়েছিলেন। বিজেপির নেতা ও প্রার্থীরা ভেবেছিলেন, একটা ফোন করলেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের পিটিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেবে বাহিনী। তাঁরা যে কাজটা নিজেরা করতে পারছেন না, সেটা করে দেখাবে ‘দাদার পুলিস’। আর সেই দায়িত্ব পালনে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তারজন্য ঩নির্বাচনের অনেক আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠিয়ে দিয়েছে। উদ্দেশ্য, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পদক্ষেপ করা। তারজন্য রুটমার্চ করিয়ে এলাকা চেনানোও হয়েছিল।
জওয়ানরা বাংলায় পা রেখে বুঝেছিলেন, বাংলা অন্য রাজ্যের চেয়ে আলাদা। এখানে বিজেপি নেতাদের খুশি করতে গেলে পাল্টা প্রতিরোধ হবে। তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হবে। জওয়ানদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, সেটা ভোটের দিন পটাশপুরে গিয়েই তাঁরা টের পেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের বাইকে চেপে বাহিনী ঘুরছে, এই অভিযোগ তুলে গ্রামের লোকজন তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। এমনকী, জাওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টানাটানির ঘটনাও ঘটেছিল। মারমুখী জনতার হাত থেকে বাঁচার রাস্তা ছিল একটাই, পিঠটান দেওয়া। ‘দাদার পুলিস’ সেদিন সেটাই করেছিল।
নির্বাচন ঘোষণার সময় বাংলায় ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। সপ্তম দফায় এসে তা বেড়ে হয়েছে ১০২০ কোম্পানি। কিন্তু বাহিনী বাড়িয়ে কি বিজেপির খুব একটা লাভ হবে? একুশের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাংলাকে মুড়ে দিয়েছিল। তারসঙ্গে ছিল নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারি। প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য একের পর এক অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছিল। তারপরেও বিজেপি বাংলায় দাঁত ফোটাতে পারেনি। এবারও সেই একই ছক। প্রথমেই রাজ্য পুলিসের ডিজিকে 
সরিয়ে দিল। তারপর ভোটের দফা যত এগিয়েছে কমিশনের শাস্তির তালিকা ততই লম্বা হয়েছে। 
এসব করে যে কোনও লাভ হয় না, সেটা বিজেপি নেতারাও জানেন। তবুও তাঁরা এসব করান। কারণ নেতৃত্বের বিশ্বাস, ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের চাঙ্গা করার এটাই সেরা ‘টনিক’।
এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিল কেন? কেন্দ্রের সরকার তাদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে। তার সর্বময় কর্তা অমিত শাহ। তা সত্ত্বেও বাহিনীর কাজে কেন এত অসন্তোষ, কেন এত ক্ষোভ?
আসলে বঙ্গ বিজেপির নেতারা ভেবেছিলেন, সিবিআই, ইডি যেভাবে তৃণমূল সহ বিরোধীদের শায়েস্তা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীও সেই একই কাজ করবে। সেই অনুযায়ীই তৈরি হয়েছিল পরিকল্পনা। ভোটের দিন বাছাই করা সংখ্যালঘু ও তৃণমূল প্রভাবিত এলাকায় গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। সেখানে গিয়ে হম্বি তম্বি করেছেন। অশান্তি বাঁধানোর জন্য যাকে তাকে ধরে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আর সবটাই করেছেন ক্যামেরার সামনে। তবে বিজেপির প্রার্থীরা যত তোড়পেছেন ততই জমাট বেঁধেছে মানুষের প্রতিরোধ। তাতেই ভেস্তে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সামনে রেখে বিজেপির এলাকা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা। 
অনেকে বলছেন, মানুষের মুড দেখে প্রার্থীরা বুঝেছেন, ভোটের ফল কী হতে চলেছে। সেটা বুঝেই তাঁরা আগাম সাফাইটা দিয়ে রাখলেন।
01st  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM