Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না। গ্রাম বাংলার রায় মমতার পক্ষেই অনেকটা ভারী, ইঙ্গিত এমনই। মঙ্গলবার শুধু তা মিলিয়ে নেওয়ার পালা। একুশের রিপিট টেলিকাস্ট হলে বিরোধীরা সেদিন মুখ লুকোবেন কোন অতল গর্তে!
ভোট প্রচার শুরুর আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, দুর্নীতির অভিযোগ নাকি খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেবে তৃণমূলকে। অলক্ষ্যে ভগবান শুধু হেসেছেন। কারণ এমন চ্যালেঞ্জ, এমন যুযুধান লড়াইয়ের মুহূর্ত মমতার জীবনে অনেক এসেছে। বারবারই তিনি ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। সব হিসেব উল্টে দিয়েছেন। আর এবার ফল বেরনোর ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যত প্রমাদ গুনছে বঙ্গ বিজেপি। হারের চেয়েও বড় ভয়, দিল্লিতে পাঠানো ফোলানো ফাঁপানো রিপোর্ট ভুল হলে উপরতলার নেতাদের কান মলে চাকরি খেয়ে নেবেন অমিত শাহরা। কারণ উনিশ সালের কাসুন্দি চটকে ১৮টি আসন জেতাও এবার তাদের কাছে প্রায় অসম্ভব। শেষে যদি দশের নীচে নেমে যায়? প্রধানমন্ত্রীর জেলায় জেলায়, পাড়ায় পাড়ায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি এবারও ব্যর্থ। বরং ভোট শেষের বুথ ফেরত সমীক্ষাকে পিছনে ফেলে বাস্তবে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে ৩০’এর আক্রা পার করে কি না, নজরটা এখন সেই দিকেই। একুশের পর এবারও যাবতীয় সমীক্ষা ও এক্সিট পোলকে ভুল প্রমাণ করে, বাংলার জননেত্রী সিংহভাগ আসনে জয়ী হলে, তাঁর জীবদ্দশায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলার মুরোদ ও হিম্মত আর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতানেত্রীদের থাকবে বলে মনে হয় না। নাকি দু’কান কাটারা পরের দিন থেকেই আবার নেমে পড়বেন নেতা কেনাবেচার কর্দমাক্ত বাজারে, এজেন্সি লেলিয়ে দিয়ে। আর দার্শনিক আলিমুদ্দিন অস্ফুটে বলবে, শূন্য ছাড়া পুণ্য কই! তার উপর যদি কেন্দ্রে সরকার গড়তে হোঁচট খেতে হয় মোদি ব্রিগেডকে, তাহলে বলতেই হবে সোনায় সোহাগা। অন্তত বিরোধীদের টুঁটি চেপে ধরার ইডি, সিবিআই দৌরাত্ম্য থমকে যাবেই। প্রমাণ হয়ে যাবে সংগঠন না গড়ে শুধু গাঁয়ের নেতা কিনে তাঁকে সাজিয়ে গুছিয়ে বাঘের পিঠে চড়িয়ে দৌড় করালেই ভোটে জেতা যায় না।
সত্যটা এই, বোফর্সের পর ভারতীয় রাজনীতি আর কোনও দুর্নীতি ঘিরে উত্তাল হয়নি। সরকারও পড়েনি। হ্যাঁ, আলোচনা হয়েছে। হইচইও হয়েছে। কিছুদিন সংবাদপত্রের খোরাক হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনকে সেভাবে আর প্রভাবিত করেনি। চোদ্দো সালে মনমোহন সরকারের পতনের পিছনেও দুর্নীতি মূল কারণ ছিল না। প্রধান কারণ ছিল সরকারের শেষদিকে অতিমাত্রায় নীতি পঙ্গুতা। পলিসি প্যারালিসিস। এবং মূল্যবৃদ্ধি। বত্রিশভাজা ইউপিএ-র বারো ঘর এক উঠোনের শ্লথতার বিপক্ষে মোদিজির ধূমকেতুসম উত্থান। টু-জি, কয়লা ব্লক বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে সংসদ তোলপাড় হলেও ভোটে নির্ণায়ক হতে পারেনি। বাংলায় এবারও মমতার হাজার যোজন এগিয়ে থাকার প্রধান কারণ তাঁর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরিসীম ক্ষমতা, যার জুড়ি আজও বঙ্গ রাজনীতিতে নেই। জাতীয় স্তরের বিরোধী পরিসরেও চার দশক পেরিয়েও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। শহুরে প্রতিষ্ঠিত মধ্যবিত্তের একটা অংশ সামান্য রুষ্ট হলেও গ্রামে যে বাড়িতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা থেকে তিন-চার হাজার টাকা ঢোকে তাঁরা কিছুতেই মমতা সরকারের গ্যারান্টি ছেড়ে গুজরাতি মোদির আজগুবি ধাঁধার পিছনে ছুটবেন না। গ্রামের গরিব মানুষের কাছে মাসে মাসে নগদ টাকা পাওয়ার চেয়ে বড় গ্যারান্টি আর কিছু হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী গত কয়েক মাসে যে সব গ্যারান্টি দিয়েছেন, তার মধ্যে কতগুলি বিশ্বাসযোগ্য? একটিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর যোজনার সৌজন্যে আপনার বিদ্যুৎ বিল হবে শূন্য। কেউ এটা বিশ্বাস করবে, আমাদের জীবদ্দশায় হবে? যাদের প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল বাবদ কয়েক হাজার টাকা দিতে হয়, তাদের বিল কোন জাদুতে শূন্য হবে? বলেছেন, ভারতকে প্রধান উৎপাদক দেশ হিসেবে গড়ে তুলে যুবাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা হবে। বলি, গত দশ বছরে কতজনকে কাজ দিয়েছেন? মেক ইন ইন্ডিয়া ক্যাম্পেন তো ডাহা ফ্লপ! বছরে দু’কোটি চাকরি ভুলে যান, কেন্দ্রীয় সরকারের ৩০ লক্ষ শূন্যপদে কি চাকরি দেওয়া যেত না? কেন দেশে সাড়ে চার দশকের মধ্যে রেকর্ড বেকারত্ব? এর সঙ্গে মিশেছে মূল্যবৃদ্ধির ছেঁকায় সারা শরীরে কালসিটে ফোস্কার সঙ্গে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ভাগাভাগির আকণ্ঠ বিষ। খুলে আম সভায় দাঁড়িয়ে সেই বিষ ছড়িয়েছেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে?
আমরা সবাই জানি, বাকি ৪৮ ঘণ্টা তীব্র উৎকণ্ঠার। বিরোধীদের কারা ‘মুজরো’ করবে আর ত্রিশঙ্কু হলে ঘোড়া কেনাবেচায় কাদের ‘নথভাঙা’ পর্ব শুরু হবে, সব জল্পনার অবসান মঙ্গলবার দুপুরেই হয়ে যাবে। না ভুল বললাম, নতুন নৌটঙ্কি শুরু হবে বিজেপির সৌজন্যে। এখন থেকেই যেন একটা অনিশ্চয়তা পেয়ে বসেছে গেরুয়া থিঙ্কট্যাঙ্কদের। বাণিজ্যনগরী মুম্বইও সেই পথের পথিক। একপেশে বাজারে হঠাৎ যেন এলোমেলো দমকা হাওয়া। ইন্ডিয়া জোটের পক্ষেও বাজি ধরতে শুরু করেছে সাট্টা বাজার। কেউ কেউ এতদিন তেমন আমল না দিলেও সবুরে মেওয়া ফলতে দেখছে বিরোধী জোটের। আর শাসকের অন্দরেরও ধুকধুকানি তো দু’দফার ভোটের পর থেকেই চলছে। সবাইকে চমকে দিয়ে ভোটের হার অত্যন্ত কম এবং মহিলা ভোট বেশি পড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। ৪০০ নয়, গতবারের ৩০৩ আসনও নয়, ২৭২ থেকে কতটা দূরে মোদিজির ফিকে হয়ে যাওয়া উন্নয়নের রকেট বা হাউই এসে গোত্তা খেয়ে পড়বে, সেই হিসেব কষা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৪০ হলে একরকম, ২৬০ হলে অন্যরকম, আবার ২১০ হলে আর এক রকম। বালাই ষাট, যদি বিজেপির প্রাপ্ত আসন দু’শোর নীচে যায়? তবে যাই হোক, নির্বাচনী পণ্ডিত থেকে ভক্তকুল একবাক্যে স্বীকার করছেন, এবারের নির্বাচনে কোনও মোদি ওয়েভ, কোনও গেরুয়া হাওয়া কাজ করেনি। কাজ করেনি বালাকোট, পুলওয়ামার স্মৃতিও। গত ২২ জানুয়ারি ৫০০ বছর পর রামকে পাক্কা ঘর দেওয়ার ন্যারেটিভও ডিভিডেন্ড দেয়নি। ফানুসের মতো উড়ে গিয়েছে 
আব কি বার ৪০০ পারের গল্পও। দু’শো নয়, হাজার নয়, লক্ষ লক্ষ গ্যারান্টি মানুষের বড্ড গা-সওয়া, ক্লিশে। মানুষ জানে, এসবই আসলে ভোট কেনার টোপ। রুটি রুজির লড়াইয়ে মূল্যহীন অসার নিরর্থক। ঠিক মাসির গোঁফ হওয়ার মতো! তাই উন্নয়ন থেকে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে কাঁচা হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতির শরণ নিয়েছেন মোদি থেকে নাড্ডা সবাই। মায় কংগ্রেস এলে মঙ্গলসূত্র হারানোর ভয় দেখানো পর্যন্ত, বাদ যায়নি কিছুই।
অথচ ২২ জানুয়ারির কথা ভাবুন। সেদিন বিকেলে মহল্লায় মহল্লায় রামভক্তদের ধুম দেখে মনে হচ্ছিল, ভোটের ফল বুঝি লেখা হয়ে গেল! কিন্তু সেই রাম ভাবাবেগ মোটেই স্থায়ী হয়নি। শুধু বাংলা কেন উত্তরপ্রদেশে বাছাই করা কিছু মন্দিরনগরী বাদ দিলে তার কোনও প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়নি ভূভারতে। সেই রেশ কত দ্রুত লঘু হতে হতে মিলিয়ে গিয়েছে মহাশূন্যে, তারই প্রমাণ দেবে আগামী মঙ্গলবারের নির্বাচনী ফল, বিশেষ করে হিন্দি বলয়। মোদির দু’শো গ্যারান্টিকে ম্লান করে দিয়েছে গ্যাস, পেট্রল, ডিজেলের দাম, খাদ্যদ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, রেকর্ড বেকারত্ব এবং সংখ্যার জোরে সবাইকে দমিয়ে দেওয়ার স্বৈরতান্ত্রিক চক্রান্ত। মোদিজি যতই সাফাই দিন, একটা বড় অংশের মধ্যে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, এবার জিতে এলে সহজে আর ভোট করাবে না বিজেপি। এটাই হয়তো তাঁর এবং দেশেরও শেষ ভোট! আমূল বদলে যাবে সংবিধান। সব দলকে ভেঙে দিয়ে দেশে একটাই দল থাকবে। নোট বাতিলের মতো অপরিণত স্বেচ্ছাচার যে আবার হবে না তার গ্যারান্টি দেবে কে? আসলে জনগণ কষ্ট সহ্য করতে তৈরি। মোদিজি ফিরলেই যে জীবনযাত্রার বিরাট পরিবর্তন হয়ে যাবে, তা কেউ বিশ্বাসও করেন না। একইসঙ্গে ভারতবাসীর রক্তে গণতন্ত্র এবং মাথা উঁচু করে চলার অদম্য স্পৃহা আজন্ম প্রবাহিত। ব্যক্তিশাসন, স্বৈরতন্ত্র তাই গ্রামের আধপেটা খাওয়া কৃষক থেকে শহুরে পরিযায়ী শ্রমিক কেউ বেশিদিন সহ্য করে না। এরা ইন্দিরা গান্ধীকে সাতাত্তরে সবক শিখিয়েছে। মোদিজিকেও কড়ায় গণ্ডায় উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত। দেশের মানুষকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ মনে করলে পরিণাম ভালো হতে পারে না। ইতিহাস বারবার সেই শিক্ষাই দিয়েছে। জনগণ আমার পোষ মেনেছে তাই যা খুশি করব, এই ভ্রান্ত ধারণা মনে জন্ম নিলে বুঝতে হবে, ষোলো আনা সর্বনাশের আর বেশি দেরি নেই। 
একনায়কতন্ত্রের তলায় চাপা পড়ে যাওয়া বিজেপি জিতলে নির্বাচন, সংবিধান, ব্যক্তি অধিকার সব হারিয়ে যাবে। কিন্তু মোদিজি সত্যিই যদি ইন্ডিয়া জোটের কাছে পরাজিত হন—তাহলে কি নিয়মমতোই দান ছেড়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে ইস্তফা দেবেন, 
নাকি যে সংসদ ভবন তিনি নিজের হাতে গড়েছেন সেটি অন্যের হাতে ছেড়ে না দিয়ে কোনও নতুন নাটক মঞ্চস্থ করবেন? বন্ধু ট্রাম্পের কায়দায় অনুষ্ঠিত অন্য কোনও পট পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবে না তো দিল্লির রাজপথ! সামান্য ভোটের জন্য যে রাষ্ট্রনায়ক বলতে পারেন সিনেমাটা হয়েছিল বলে সারা বিশ্ব গান্ধীজিকে চিনেছে, তাঁর পক্ষে ক্ষমতায় থাকার জন্য কতটা নীচে নামা সম্ভব, তা সহজেই অনুমান করা যায়। প্রচার শেষেও তাঁর জুমলা শেষ হয় না, অগুনতি ক্যামেরার ঝলকানিকে সঙ্গী করে তিনি প্রচারসর্বস্ব ধ্যানে বসেন কন্যাকুমারীর ঐতিহাসিক বিবেকানন্দ রকে। ১৩২ বছর আগের উদার হিন্দুধর্মের উজ্জ্বল প্রতীক স্বামীজির ধ্যানের ঐতিহাসিক মুহূর্তটি এতে কলঙ্কিত হল নাকি তার গৌরব বাড়ল, তা বিচার করুন বিগলিত ভক্তকুলই। 
তবে দেশের এই কঠিন সময়ে খুব মনে পড়ছে উর্দু কবি রাহত ইন্দোরির লেখা কবিতাটি, ‘জো আজ সাহিবে মসনদ হ্যায়, কাল নেহি হোঙ্গে। কিরায়েদার হ্যায়, জাতি মকান থোড়ি হ্যায়...সভি কা খুন হ্যায় শামিল ইয়াহাঁ কি মিট্টি মেঁ, কিসি কে বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়’।
02nd  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM