Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। এবার আমরা জেনে যাব, দেশের বেশিরভাগ মানুষ পরিবর্তন চাইলেন নাকি স্থিতাবস্থা বজায় রেখেই খুশি তাঁরা।   
স্থিতাবস্থায় স্বস্তি
অনেক মানুষই পরিবর্তন চান, আমার মনে হয়, আবার এমন অনেক মানুষও আছেন যাঁরা পরিবর্তন চান না।  তার কারণ পরিবর্তন-বিরোধীরা ভয় পাচ্ছেন যে পরিবর্তনের ফল তাঁদের জীবনে আরও খারাপ হতে পারে; অথবা অজানা পরিবর্তনটা হতে পারে চেনা বর্তমানের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর; অথবা কারণটা এই যে, তাঁরা ভয় পাচ্ছেন—একটি দিকের পরিবর্তন জীবনের অন্যান্য দিকগুলির পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। যেমন—প্রথা ভঙ্গের পরিণামে গোষ্ঠীগত ক্রোধ ধেয়ে আসতে পারে। স্থিতাবস্থায় বরং নির্দিষ্ট কিছু স্বস্তি আছে।  
ভারতের গত তিনটি দশকের একাধিক কালখণ্ডকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়—যেখানে চালিকা শক্তি (মোটিভ ফোর্স) পাল্টে গিয়েছিল এবং কিছু নির্দিষ্ট দফায় বজায় ছিল স্থিতাবস্থা। আবার অন্য সময়ে, এটা ছিল পূর্বগানুকৃতি (অ্যাটাভিজম), অভিধান বিষয়টিকে ‘বিবর্তনের প্রবণতা’ হিসেবে দেখিয়েছে।  (অ্যাটাভিস্ট হলেন তাঁরাই, হারিয়ে যাওয়া সময়কে যাঁরা গৌরবময় অতীত হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন।) 
আমি বিশ্বাস করি যে, ভারতের একটা পরিবর্তন প্রয়োজন এবং সেটা তার প্রাপ্যও। দশ বছর আগে, পরিবর্তনের পক্ষে মানুষ সরব হয়েছিল, এবং তার জন্যই এসেছিল পরিবর্তন—ইউপিএ সরে গিয়ে বসেছিল এনডিএ সরকার। আমি মনে করি, ভারত আবার এমনই একটি মুহূর্তে এসে পৌঁছেছে। গত ১০ বছরে এমন অনেক কিছু ঘটেছে যেগুলি অবশ্যই উল্টে দিতে হবে বা তার জন্য প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ করাই সমীচীন। এই প্রসঙ্গে কয়েকটি উদাহরণ দেব: 
ভুক্তভোগী মানুষজন 
২০১৬ সালের বিমুদ্রাকরণ ছিল একটি হিমালয়প্রমাণ ভুল। নগদ ব্যবস্থা ভয়ানকভাবে ধসে পড়ার (দ্য হিউজ লিকুউইডিটি হোল) কারণে সেবার মানুষের ব্যক্তিজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ওইসঙ্গে কয়েক হাজার অতিক্ষুদ্র এবং ছোট মাপের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থা পড়েছিল একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে। এই আকস্মিক অস্থিরতার মোকাবিলা করতে না-পেরে অনেক ইউনিট শেষমেশ ঝাঁপ বন্ধ করে দিতেই বাধ্য হয়েছিল।
২০২০ এবং ২০২১, মহামারীর বছরগুলিতে চাপিয়ে দেওয়া অপরিকল্পিত লকডাউন, পরিস্থিতিকে করে তুলেছিল আরও দুর্বিষহ। কোনোরকম আর্থিক প্যাকেজ এবং ঋণসহায়তা দেওয়া হয়নি। ফলে অতিক্ষুদ্র (মাইক্রো) এবং ছোট (স্মল) ইউনিটগুলির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আরও বহু সংস্থা। এই জোড়া আঘাতেই হারিয়ে গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের চাকরি, রুটিরুজি। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জরুরি ছিল সরকারের তরফে একটা সাহসী পরিকল্পনা গ্রহণ। তার মধ্যে অবশ্যই থাকার দরকার ছিল—ঋণ মকুব, ব্যাপক মাত্রায় ঋণ প্রদান, সরকারের তরফে কেনাকাট‍া বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ইনসেনট‍িভ এবং করের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় 
ছাড় ঘোষণা। যাঁরা পরিবর্তনের বিপক্ষে তাঁদের তরফে এই বিষয়ে কোনও পরিকল্পনার কথা আমি অন্তত শুনিনি।
সংরক্ষণের উপর নীরব আঘাত এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতিগুলিকে নস্যাৎ করেছে। সরকারি দপ্তরগুলিতে এবং সরকারি ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূর্ণ না-করার ঘটনাটি অপরাধ হিসেবে গণ্য একটি অবহেলা এবং সংরক্ষণ বিরোধী মনোভাবেরই দৃষ্টান্ত। সংরক্ষণের জন্য ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা মেনে চলার অঙ্গীকার রয়েছে। কিন্তু স্থিতিশীলতায় আস্থাশীলরা চুপি চুপি ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আরও একটি কোটা চালু করেছে। নয়া সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে সমাজে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের (ইডব্লুএস) জন্য। এটা দেওয়া হয়েছে সংরক্ষিত ৫০ শতাংশকে ছাপিয়ে। তবে এসসি, এসটি এবং ওবিসির মধ্যে ইডব্লুএস’কে সেখানে ব্রাত্য করা হয়েছে! কিন্তু কেন?  সরকারি ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগের নিখাদ হ্রাস, চাকরিতে সংরক্ষণের শর্ত ছাড়াই বেসরকারিকরণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকারের চেয়ে বেসরকারি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার প্রদান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে পাবলিক এগজাম বাতিলকরণ, পদোন্নতির সুযোগ হরণ এবং চাকরিতে চুক্তিভিত্তি ও অস্থায়িত্ব—সংরক্ষণের নীতিকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করেছে। যাঁরা স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করবেন পরিবর্তন আসবে কেবলমাত্র তাঁদেরই সৌজন্যে। 
ক্ষতিটা উল্টে দিন 
আইনকে হাতিয়ার করার কৌশল উল্টে দিতেই হবে।  কিন্তু সংসদে পরিবর্তন-বিরোধীদের দাপট চলতে থাকলে তা কীভাবে সম্ভব? অথচ গত ১০ বছরে সরকার পাস করেছে বেশকিছু কঠোর নতুন অথবা সংশোধনী বিল। সরকার পরিবর্তন ছাড়া সেসব খারিজ করা সম্ভব কীভাবে? কে তদন্তকারী সংস্থাগুলির লাগাম টেনে ধরবে এবং সংসদ/ বিধানসভা কমিটিগুলির নিয়ন্ত্রণে সেগুলিকে আনবে? কে সংবিধানের ১৯, ২১, এবং ২২ অনুচ্ছেদের অর্থ ও বিষয়বস্তু পুনরুদ্ধার করবে এবং ফেরাবে আইনের শাসন? কে ইতি টানবে ‘বুলডোজার বিচার’ এবং ‘প্রাক-বিচার কারাগার’ সংস্কৃতিতে?  জনগণের মধ্যে আইনের ভীতি দূর করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জাগাবার ব্যবস্থা কে করবে?  আইনের ‘ডিউ প্রসেস’ বা ‘যথা প্রক্রিয়াকে’ ফৌজদারি আইনের একটি অপরিবর্তনীয় নীতিতে পরিণত করবে কে? ‘জামিনই নিয়ম, জেলই ব্যতিক্রম’ আইনে এই নীতির অন্তর্ভুক্তির জন্যই এটা জরুরি। এই পরিবর্তনগুলি শুধুমাত্র নির্ভীক আইন প্রণেতাদের একটি দলের পক্ষেই করা সম্ভব। তাঁরা অবশ্যই হবেন বাবাসাহেব আম্বেদকর প্রণীত সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধ এবং নীতিগুলির রূপায়ণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উদারীকরণ, একটি উন্মুক্ত অর্থনীতি, প্রতিযোগিতা এবং বিশ্ব বাণিজ্য ভারতীয় অর্থনীতিতে দুর্দান্ত উন্নতি এনে দিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক নীতিগুলির পুনঃস্থাপন ছাড়া সেগুলির প্রাসঙ্গিকতা রক্ষা পেতে পারে না। বেড়ে চলা নিয়ন্ত্রণ, ছদ্ম লাইসেন্স ব্যবস্থা, ক্রমবর্ধমান মনোপলি ও প্রোটেকশনিজম এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহু-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ভয়ে বৃদ্ধির হার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই জিনিস ঘটতে বাধ্যও বটে। শ্রমের প্রাপ্য মূল্য অস্বীকার করে পুঁজির প্রতি পক্ষপাতিত্বের (আমাদের একটি পিএলআই আছে কিন্তু একটি ইএলআই নেই) নীতিতে কর্মসংস্থান এবং মজুরির দিকটি চাপা পড়ে গিয়েছে। ভারতে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের এটা একটা কারণ।  ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব অনুসারে, ভারতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈষম্য চলে আসছে সেই ১৯২২ সাল থেকে!
মাঝামাঝি স্তরের আয় (মিডিয়ান ইনকাম) বৃদ্ধির ফলে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, মিডিয়ান ইনকামের নীচে রয়েছেন ভারতীয় জনগণের অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ, সংখ্যার বিচারে ৭১ কোটি মানুষ! এঁদের মধ্যে আছেন জনসংখ্যার নীচের দিকের ২০ শতাংশ বা ২৮ কোটি, যাঁরা আরও বেশি গরিব।  স্থিতাবস্থা রক্ষার পক্ষের লোকজন কি নীচের দিকের ২০ শতাংশের পক্ষে কথা বলবেন? ভাববার মতো আর-একটি তথ্য এই যে, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক (১৫-৬৪ বছর) জনসংখ্যা ৯২ কোটির মধ্যে মাত্র ৬০ কোটি মানুষ শ্রমশক্তি (লেবার ফোর্স) হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।  শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার (এলএফপিআর) সর্বাধিক হল—পুরুষের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ এবং ৪৯ শতাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে। 
এবার অসন্তোষজনক এলএফপিআর, বেকারত্বের উচ্চ হার এবং বার্ধক্যপীড়িত জনসংখ্যা একত্র করুন। তাহলে অবশ্যই দেখা যাবে যে, ডেমোগ্রাফিক অ্যাডভান্টেজ বা জনবিন্যাসের  সুবিধাগুলি আমরা দ্রুত হারাচ্ছি। বর্তমান অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে চ্যালেঞ্জসহ পুনঃস্থাপনের সাহস কে দেখাবেন? নিশ্চয় স্থিতাবস্থা রক্ষায় মরিয়া লোকজন নন। 
যে বাধাবিঘ্ন উপস্থিত হয়েছে, এবার সেটাই পরিবর্তন এনে দেবে। ব্যাঘাত ও পরিবর্তনের জন্য অনেক সুবিধা এবং কিছু ক্ষতি আমাদের হবে। তবে ওই ক্ষয়ক্ষতির সংশোধনও সম্ভব।  ১৯৯১ সাল আমাদের মূল যে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে তা হল—শুধু সাহসীরাই জয়ী হয়। স্থিতাবস্থা রক্ষা যাঁরা চান—তাঁরা কোনোভাবেই পরিবর্তনকামী নন। জয়ী হওয়ার মূল পাঠ তাঁরা শেখেননি এবং শিখবেনও না। 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
03rd  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
৪ জুন যে সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে হবে
হিমাংশু সিংহ

২০১৬, ২০২১ এবং ২০২৪। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মুখে ছাই দিয়ে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের হ্যাটট্রিক করলে কী বলবেন? বিগত আড়াই বছর ধরে চলা যাবতীয় নেগেটিভ প্রচার, অবিরাম কুৎসাকে ব্যর্থ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের তেমন কোনও জায়গা দিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
হঠাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি চটল কেন?
তন্ময় মল্লিক

আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এরাজ্যের ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন থাকছে এক হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নজিরবিহীন। তবুও বিজেপির অভিযোগের অন্ত নেই। এতদিন যাঁরা ‘দাদার পুলিস’ দিয়ে ভোট হবে বলে লাফাচ্ছিলেন এখন তাঁরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
বিশদ

01st  June, 2024
শেষ নির্বাচন: মোদি এত উগ্র না হলেই পারতেন
সমৃদ্ধ দত্ত

অটলবিহারী বাজপেয়ি থাকলে আজ যদি নিজে প্রাক্তন হিসেবে তাঁরই স্থলাভিষিক্ত বর্তমানকে একটি চিঠি লিখতেন, তাহলে তার বয়ান কেমন হতো? হয়তো লিখতেন, ‘তোমাকে একবার রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলাম। ২২ বছর হয়ে গেল। বিশদ

31st  May, 2024
ধর্মতন্ত্রের মুদ্রাদোষ ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা
মৃণালকান্তি দাস

কবিগুরুকে নিয়ে রাজনীতির তাড়না নতুন কিছু নয়। তাঁকে ছাড়া নাকি বাঙালি মনন ধরা দেয় না। তাই সব রঙের রাজনেতাই সেই তাড়না বোধ করে এসেছেন। মোদি-অমিত শাহরাও চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। বিশদ

30th  May, 2024
মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। বিশদ

29th  May, 2024
৪০০ পার: মিথ? নাকি মিথ্যা?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিথ, আর মিথ্যার মধ্যে ফারাক কতটা? কালজয়ী একটি মিথের কথা বলা যাক। সম্রাট নিরো সম্পর্কে। বলা হয়, রোম যখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বিশদ

28th  May, 2024
সমস্যা আজও জাতপাত আর বৈষম্য
পি চিদম্বরম

যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকার করে যে ভারতীয় রাজনীতি এবং অর্থনীতির দুটি নির্ণায়ক হল—জাতি এবং বৈষম্য—দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের মূলে আমরা আঘাত হানতে পারব না। ‘উন্নয়ন’ নিয়ে বিজেপি যে কাহিনি ফাঁদে, কংগ্রেসের ইস্তাহার তার কালো দিকগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, ওইসঙ্গে রেখেছে জনগণের কাছে কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও।
বিশদ

27th  May, 2024
ভোট মিটবে, ফল বেরবে, ঘা শুকবে না
হিমাংশু সিংহ

বাকি আর মাত্র এক দফা। আরও কত কী দেখতে হবে! আরও কত নোংরা খেলা। ষড়যন্ত্র, বিভেদ এবং সমাজের বাটোয়ারা। ভোট মিটে সরকার গড়া হবে, কিন্তু গত তিন মাসের গভীর ক্ষত, দগদগে ঘা সহজে শুকবে না। বিশদ

26th  May, 2024
মমতার খুঁত ধরে জিততে পারবেন মোদি?
তন্ময় মল্লিক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনলে এটা লোকসভা না বিধানসভার নির্বাচন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হবেই। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণত দেশের ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিষয় প্রাধান্য পায়। কিন্তু ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও মোদিজি বাংলায় এসে স্থানীয় বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বিশদ

25th  May, 2024
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ বনাম ভোটারদের মনস্তত্ত্ব
সমৃদ্ধ দত্ত

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ প্রথমবার দিল্লির লোদি এস্টেটে গিয়েছিল টিম। মতিলাল ভোরা, জয়রাম রমেশ, অম্বিকা সোনি, সলমন খুরশিদ, সোনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত। তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে ক্লান্ত, প্রায় বিধ্বস্ত এবং কিছুটা অসহিষ্ণুও। বিশদ

24th  May, 2024
একনজরে
মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে না জিতলেও করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মুখ বাঁচালেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপি জিতলেও ইসলামপুর বিধানসভায় লিড ধরে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ...

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়। সেখানে প্রবেশের মুখেই নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশে লেখা, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে, গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই কার্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি২০ বিশ্বকাপ: আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

10:56:13 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট সূর্যকুমার, ভারত ৯১/২ (১১.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:50:20 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: হাফসেঞ্চুরি রোহিতের, ভারত ৭৪/১ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:37:30 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ভারত ৩৩/১ (৫ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:10:05 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট কোহলি, ভারত ২২/১ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯৭

10:03:16 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: জয়ের জন্য ভারতকে ৯৭ রানের টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড

09:33:39 PM