নয়াদিল্লি: ২০২১ সালে লখিমপুর খেরিতে তাঁর ছেলের গাড়ির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল চার বিক্ষোভকারী কৃষকের। সে সময় অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। বিরোধীদের দাবি মানেনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রীকেই ফের  লখিমপুর-খেরি কেন্দ্রে প্রার্থী করে তারা। তবে মানুষের রায়ে সরতে হল তাঁকে। সমাজবাদী পার্টির উৎকর্ষ শর্মার কাছে পরাজিত হলেন তিনি। এদিকে, খুন্তিতেও বিপাকে পড়েছেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়কমন্ত্রী তথা বিদায়ী সাংসদ অর্জুন মুন্ডা। কংগ্রেসের কালীচরণ মুন্ডার কাছে পরাজিত হন তিনি। ডিএমকে-এর এ রাজার কাছে জিততে পারেননি কেন্দ্রীয় মৎস, পশুপালন ও দুগ্ধ রাষ্ট্রমন্ত্রী এল মুরুগান। কৃষি, কৃষক কল্যাণ রাষ্ট্রমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী রাজস্থানের বারমের কেন্দ্রে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। 
কংগ্রেসের গড় হিসেবেই পরিচিত আমেথি। তবে গতবার সকলকে চমক দিয়ে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করে সেখানে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব। তবে গত পাঁচ বছরে বহু ক্ষোভ জমা হয়েছে আমেথির মানুষের মননে। তারই ফল মিলল ভোটের রেজাল্টে। কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরী লাল শর্মার কাছে পরাজিত হলেন স্মৃতি। কেরলের তিরুবনন্তপুরমে গেরুয়া ঝড় উঠতে পারে বলে প্রাথমিক ট্রেন্ডে উঠে এসেছিল। হারছিলেন কংগ্রেসের শশী থারুর। তবে ‘শেষ হাসি হাসলেন’ শশীই। পরাজিত কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। 
তবে এবারও ভালো ফল করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, ভূপেন্দ্র যাদব, অনুরাগ ঠাকুর,  রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি, পীযূষ গোয়েল, কিরেণ রিজিজু, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।